ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় লাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ অস্ট্রেলিয়ায়

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ১৬ জুন, ২০২২


Thumbnail বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় লাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ অস্ট্রেলিয়ায়

বিদ্যু ঘাটতি মোকাবিলায় নাগরিকদের ঘরের লাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশের অধিবাসীদের প্রতি সন্ধ্যায় দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন।

ক্যানবেরায় একটি টেলিভিশন মিডিয়া কনফারেন্সে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের জনগণের উদ্দেশে, যতটা সম্ভব বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আনার কথা বলেন। ক্রিস বোয়েন বলেন, যদি আপনাদের পক্ষে সম্ভব হয় তবে সন্ধ্যা ৬ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ রাখুন। এই সময়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করুন। 

দাম বৃদ্ধির কারণে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান পাইকারি বিদ্যুতের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই এমন নির্দেশনা সামনে এলো। এতে করে বিদ্যুৎ ঘাটতি এড়ানো যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বোয়েন।

বিশ্বের অন্যতম কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ হওয়া সত্ত্বেও গত মাস থেকে দেশটি ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। সেখানকার তিন-চতুর্থাংশ বিদ্যুৎ এখনও কয়লা ব্যবহার করে উৎপাদিত হয়।

গত কয়েক সপ্তাহে কয়লা সরবরাহে ব্যঘাত, বেশ কয়েকটি কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভ্রাট এবং বৈশ্বিক জ্বালানি শক্তির দাম বৃদ্ধির প্রভাবের কারণে দেশটি বেশ সংকটে পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার কয়লা চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় এক চতুর্থাংশ বর্তমানে অপ্রত্যাশিত বিভ্রাট এবং নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের কারণে কোনো কাজে আসছে না। এছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী কয়লা ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ খরচও বেড়ে গেছে।

বিদ্যুৎ   ঘাটতি   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পিকারের বিবৃতি নিয়ে হট্টগোল

প্রকাশ: ১০:৪৪ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পিকার ওম বিড়লার একটি বিবৃতি নিয়ে হট্টগোল করেছেন বিরোধীরা। এই হট্টগোলের পর বুধবার (২৬ জুন) লোকসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। লোকসভার বৈঠক আবার বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বসবে।

বিড়লা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।

সেই সঙ্গে যারা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন তাদের প্রশংসা করি।’ তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভারত সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের মা হিসেবে পরিচিত।

ভারতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সবসময়ই সমর্থন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সবসময় রক্ষা করা হয়েছে। আর ইন্দিরা গান্ধী এমন একটি দেশে একনায়কত্ব চাপিয়েছিলেন। সে সময় ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চূর্ণ করা হয়েছিল।

আট মিনিটের দীর্ঘ বিবৃতি পাঠ শেষে জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের পর স্পিকার সেই সময় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিট নীরবতা পালনের ডাক দেন। তার পরেই সারা দিনের মতো মুলতবি করে দেন লোকসভা।

সোমবার ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থার কথা বলেছিলেন। জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করার জন্য এই সপ্তাহে সারা দেশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিজেপি।

বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীকে সেই ঘটনার জন্য দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

লোকসভা   স্পিকার   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে সামরিক অভ্যুত্থানের শঙ্কায় নেতানিয়াহুর স্ত্রী

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের এই বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ বাড়ছে এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধে বৈশ্বিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সরাতে সেনা কর্মকর্তারা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেছেন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু। বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে গাজায় বন্দী থাকা ইসরায়েলিদের পরিবারের সাথে বৈঠকের সময় সারা নেতানিয়াহু এই অভিযোগ করেন। বৈঠকের সময় কিছু পরিবারের সদস্য তাকে বাধা দেন এবং পরামর্শ দেন যে, তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অবিশ্বাস করতে পারেন না।

জবাবে সারা নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেন যে, তার অবিশ্বাস কেবল সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের জন্য, পুরো সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) জন্য নয়। তিনি একাধিকবার জোর দিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী একটি অভ্যুত্থান মঞ্চস্থ করতে চায়। সারা নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়ার নেতানিয়াহুও একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় সামরিক এবং শিন বেত নিরাপত্তা পরিষেবাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি।

ইয়ার নেতানিয়াহু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলেন, কেন সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা প্রধানরা দাবি করেন যে হামাসকে নিবৃত্ত করা হয়েছে? ৭ অক্টোবর বিমান বাহিনী কোথায় ছিল?

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের অনেক সামরিক, নিরাপত্তা, এবং রাজনৈতিক নেতারা হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ভার গ্রহণ করেছেন। তবে নেতানিয়াহু কোনো দায় স্বীকার করতে রাজি নন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েল   সামরিক অভ্যুত্থান   বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিতর্কিত ট্যাক্স আইন থেকে সরল কেনিয়া

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কেনিয়ায় কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইনে সই করবেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার এই বিতর্কিত অর্থ বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। 

কেনিয়ায় বিতর্কিত এই কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আইন পাসের বিরোধিতায় বিক্ষোভে এরই মধ্যে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানী নাইরোবিসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলে আসছিল। তবে পরিস্থিতি মঙ্গলবার উত্তপ্ত হলে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে পুলিশ। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজারো মানুষ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের পাশাপাশি ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালীন ভবনে হামলার চেষ্টা করেন তাঁরা। জোর করে পার্লামেন্টের ভেতর ঢুকে পড়েন অনেকে। 

পুলিশের অভিযোগ, পার্লামেন্টের ভেতরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়া হয়। পরে বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্ট থেকে সরিয়ে দিতে সমর্থ হয় পুলিশ।

 নাইরোবির পাশাপাশি কেনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় নতুন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। কারণ, এই আইনের মাধ্যমে কর বাড়ানো হয়েছে। আইন পাসের আগে গত সপ্তাহে কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাবটির কিছু বিষয়ে সংশোধন করা হয়। তবে সংশোধন নয়, কেনিয়ার সাধারণ জনগণ আইনটি পুরোপুরি বাতিল চায়।

এদিকে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ কেনিয়া সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সেনাবাহিনীকে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে গত সপ্তাহের শেষ দিকে তিনি বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন।


ট্যাক্স আইন   কেনিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তীব্র গরমে গলছে আব্রাহাম লিংকনের মোমের ভাস্কর্য

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপমাত্রার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে স্থাপিত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের ছয় ফুট লম্বা মোমের মূর্তিটি গলতে শুরু করেছে।

এদিকে, ওয়াশিংটনের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গৃহযুদ্ধ-যুগের শরণার্থী শিবির ক্যাম্প বার্কার, যেখানে পূর্বে ক্রীতদাস এবং মুক্ত আফ্রিকান আমেরিকানদের রাখা হয়েছিল, সেখানে আব্রাহাম লিঙ্কনের মোমের মূর্তিটি স্থাপন করা ছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে তার মোমের মূর্তিটি গলে বিকৃত হয়ে গেছে ।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, জ্বলন্ত উত্তাপের কারণে প্রথমে মূর্তির মাথা এবং পরে পা গলতে শুরু করে। কর্তৃপক্ষ এখন ভাস্কর্যটি মেরামত করছে।

উল্লেখ্য, মূর্তিটির দেখভাল করে অলাভজনক সংস্থা কালচারাল ডিসি।

সংস্থাটিও এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচন কিংবা এই রেকর্ড মাত্রার উত্তাপই যাই হোক না কেন, আমরা সবাই শেষ!’

মোম মনুমেন্ট সিরিজের অংশ হিসেবে মূর্তিটি তৈরি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্কর্যশিল্পী স্যান্ডি উইলিয়ামস।


গরম   আব্রাহাম লিংকন   ভাস্কর্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুক্ত জীবনে অ্যাসাঞ্জ, ফিরলেন নিজ জন্মভূমিতে

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজ জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন। তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি আজ বুধবার (২৬ জুন) অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় পৌঁছায়। অ্যাসাঞ্জকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে আসেন তার বাবা এবং স্ত্রী স্টেলা।

অ্যাসাঞ্জের কিছু সমর্থকও তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছে। অ্যাসাঞ্জের আগমনে তারা উল্লাস করেন।


মার্কিন ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ আইন লঙ্ঘনের দায় স্বীকার করে নেওয়ার চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে আপস রফায় পৌঁছানোর পর সোমবার যুক্তরাজ্যের একটি উচ্চ নিরাপত্তার কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ।

এরপর চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার তিনি যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জে যান। বুধবার মারিয়ানার রাজধানী সাইপ্যানের আদালত ভবন গিয়ে দোষ স্বীকারের পর অ্যাসাঞ্জের মামলা শেষ হয় এবং তিনি পুরোপুরি মুক্ত হন।

সাংবাদিকদেরকে এসময় তার আইনজীবী বলেন, “শেষ পর্যন্ত ১৪ বছরের আইনি লড়াই শেষে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্ত মানুষ হিসেবে বাড়ি ফিরতে পারছেন।”

তিন ঘণ্টা শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার উদ্দেশে একটি উড়োজাহাজে চেপে সাইপ্যান ছাড়েন অ্যাসাঞ্জ।

উইকিলিকস জানিয়েছে, মাল্টাভিত্তিক ভিস্তাজেটের একটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে করে তিনি দেশে ফিরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় ৬টা ৪১ মিনিটের দিকে তিনি ক্যানবেরায় নামেন।

এরমাধ্যমে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ বহু বছর পর মুক্ত জীবনে ফিরলেন। ৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এর আগে আরও ৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করছিলেন অ্যাসাঞ্জ।

যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে আইনি লড়াই করেছেন অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাজ্যের পুলিশ ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জকে ২০১৯ সালের গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের ষড়যন্ত্রে জড়িত।

অ্যাসাঞ্জ কী কী তথ্য ফাঁস করেছিলেন?

অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসে অনেক গোপন অথবা বিধিনিষেধ দেওয়া প্রতিবেদন ফাঁস করা হয়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগই যুদ্ধ, নজরদারি এবং দুর্নীতি বিষয়ক।

২০১০ সালে উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইরাকের রাজধানী বাগদাদে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে সাধারণ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে মার্কিন সেনারা।

এছাড়া উইকিলিকস যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সাবেক বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিংয়ের দেওয়া হাজার হাজার গোপন নথি ফাঁস করে। এসব নথি থেকে জানা যায় আফগানিস্তান যুদ্ধে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে মার্কিন সেনারা।

এগুলো ফাঁস করার পর পুরো বিশ্বে আলোড়ন তৈরি হয়। অন্যান্য দেশগুলোতে যুদ্ধের নামে গিয়ে মার্কিন সেনারা কী কী করছে সেগুলো নিয়ে ভাবা শুরু করে বিশ্বের বাকি দেশগুলো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে এগুলো ফাঁস করার কারণে মার্কিন সেনাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে তিনি তাদের সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর ডাটাবেজে ঢোকার চেষ্টা করেছেন। বিচারের মুখোমুখি করতে দেশটি তার বিরুদ্ধে ১৮টি অভিযোগ আনে।

তবে অ্যাসাঞ্জ সবসময় দাবি করেছেন মার্কিন সেনারা যেসব অপরাধ করেছে সেগুলো তিনি ফাঁস করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।


জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ   উইকিলিকস   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন