মন্তব্য করুন
রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। ৪ দিনের এই সফরে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। তবে ব্যাচেলেটের সফর ঘিরে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ।
শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে মানবাধিকার এজেন্ডার রাজনীতিকরণ কখনই জনগণের মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সাহায্য করে না। বরং আন্তরিক সংলাপ এবং সহযোগিতা হলো এর মূল পথ। সুতরাং সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য হাইকমিশনারের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হাইকমিশনার অবগত রয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের এ সফরে বাংলাদেশের জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও দেশীয় আইনি কাঠামো আপডেট করা, সচেতনতা তৈরি করা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে সংবেদনশীল করার মাধ্যমে জনগণের মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ হবে।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকা দৃঢ়ভাবে আশা করে যে জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার প্রধান স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করবেন কীভাবে মানবাধিকার ঠিক রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সামনে এগিয়ে নিচ্ছে। চলমান মহামারি সত্ত্বেও দেশে কেউ অনাহারে মারা যায়নি। ১৬৫ মিলিয়নের দেশ বাংলাদেশ গৃহহীনদের প্রায় এক মিলিয়ন বাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ১০ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ পাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ মানুষের জন্য খাদ্য, বাসস্থান ও উন্নয়নের অধিকার ইত্যাদি মৌলিক মানবাধিকারের প্রচার করছে। এছাড়াও বাংলাদেশে শপিংমল, স্কুল বা উপাসনালয়ে কেউ নিহত হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাতীয় প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে মহামারী ও অন্যান্য ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনগণের শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ, রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মতো প্রতিবন্ধকতাগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে সফরটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ হবে।
সফরে তিনি সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যুব প্রতিনিধি, সিএসও নেতা এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। হাইকমিশনার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এতে করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ হবে হাইকমিশনারের। আর এটি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ তাদের এজেন্ডায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির আভিযোগে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেস। গত ২২ জুলাই (শুক্রবার) গভীর রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশির পরে তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। সেই সময় ইডির কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তিনি যে কাউকে ফোন করতে পারেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পরে জানা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফোন ধরেননি। বৃহস্পতিবার বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। সিবিআই-এর জালে পড়ার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ফোন ধরেননি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যেমন মমতার অবস্থার পরিষ্কার ছিল, অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে এখনও অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলকে যে আলাদা করছেন না, তা বুঝিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অনুব্রত মন্ডলকে বৃহস্পতিবার গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুব্রতর শক্তিশালী ঘাঁটি বীরভূম থেকে তুলে নেওয়ার আগে তৃণমূলের এই নেতাকে বাড়িতে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিতির মধ্যেই আবার বাড়তি সঙ্কট যোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আরেক প্রভাবশালী নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তিনি দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন।
সবমিলিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে মমতার তৃণমূল।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুব্রত মমতা ব্যানার্জী
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১১ সেট অতি গোপনীয় নথি জব্দ করেছে এফবিআই।
নথি জব্দের বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। নথিগুলোতে গোপন কিছুই নেই। তার কাছে চাইলেই দিয়ে দেওয়া হতো।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ট্রাম্পের পাম বিচের মার-এ-লাগো রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে নথিগুলো উদ্ধার করা হয়। নথিগুলোর একটি তালিকা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে একজন বিচারক সাত পৃষ্ঠার নথি মুক্ত করেন। এরপর নথিগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ তল্লাশি পরোয়ানার বিষয়বস্তু প্রকাশ করতে বিচারককে অনুরোধ জানান। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই গত সোমবার (৮ আগস্ট) মার-এ-লাগোতে তল্লাশি চালায় এফবিআই।
যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক কোনো প্রেসিডেন্টের বাড়িতে এভাবে এফবিআইয়ের তরফে অভিযান পরিচালনাকে অভূতপূর্ব বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। এদিকে রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তল্লাশি অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ হিসেবে দেখছেন। তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক বিবৃতিতে বলেছেন, উদ্ধারকৃত আইটেমগুলো ‘সব ডিক্লাসিফাইড’ এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। ৪ দিনের এই সফরে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। তবে ব্যাচেলেটের সফর ঘিরে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ...