ইনসাইড বাংলাদেশ

রোববার ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail রোববার ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার

রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। ৪ দিনের এই সফরে তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। তবে ব্যাচেলেটের সফর ঘিরে সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ।

শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের ঢাকা সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে মানবাধিকার এজেন্ডার রাজনীতিকরণ কখনই জনগণের মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সাহায্য করে না। বরং আন্তরিক সংলাপ এবং সহযোগিতা হলো এর মূল পথ। সুতরাং সরকারের ওপর অযথা চাপ সৃষ্টির উপলক্ষ হিসেবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কিছু দৃশ্যমান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য হাইকমিশনারের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে হাইকমিশনার অবগত রয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের এ সফরে বাংলাদেশের জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও দেশীয় আইনি কাঠামো আপডেট করা, সচেতনতা তৈরি করা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোকে সংবেদনশীল করার মাধ্যমে জনগণের মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারের জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ হবে।

এতে আরও বলা হয়, ঢাকা দৃঢ়ভাবে আশা করে যে জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার প্রধান স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করবেন কীভাবে মানবাধিকার ঠিক রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা সামনে এগিয়ে নিচ্ছে। চলমান মহামারি সত্ত্বেও দেশে কেউ অনাহারে মারা যায়নি। ১৬৫ মিলিয়নের দেশ বাংলাদেশ গৃহহীনদের প্রায় এক মিলিয়ন বাড়ি দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। সামাজিক নিরাপত্তা সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ১০ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ পাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ মানুষের জন্য খাদ্য, বাসস্থান ও উন্নয়নের অধিকার ইত্যাদি মৌলিক মানবাধিকারের প্রচার করছে। এছাড়াও বাংলাদেশে শপিংমল, স্কুল বা উপাসনালয়ে কেউ নিহত হচ্ছে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাতীয় প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে মহামারী ও অন্যান্য ক্রমবর্ধমান সংকটের মধ্যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনগণের শান্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ, রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের মতো প্রতিবন্ধকতাগুলো যথাযথভাবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে সফরটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ হবে।

সফরে তিনি সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, যুব প্রতিনিধি, সিএসও নেতা এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। হাইকমিশনার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়া তিনি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এতে করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সুযোগ হবে হাইকমিশনারের। আর এটি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ তাদের এজেন্ডায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।   



মিশেল ব্যাচেলেট   ঢাকা   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত অনলাইন!

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের জন্য। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন, এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।

তিনি বলেন, একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য।

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক— সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তবে একইসাথে আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।


বন্ধ   অনিবন্ধিত   অনলাইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের ডমুরিয়া টুঙ্গিপাড়া শাখা গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গোপালগঞ্জে দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা কার্যালয় উদ্বোাধনের পর এটিই প্রথম মামলা।

দুই লাখ ঊনসত্তর হাজার ছয়শত বারো টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ করার দায়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এই মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং-০১) । 

মামলার আসামীরা হলেন অসীম বৈদ্য, সজল কুমার মজুমদার ও শেখ নাজমুল ইসলাম। আসামীরা সবাই ডুমুরিয়া টুঙ্গিপাড়া শাখার অফিসার।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ ব্যাংক ডুমুরিয়া টুঙ্গিপাড়া শাখার ১৪ জন সদস্যের স্বাক্ষর গ্রহণ করে ঋণ বাবদ অর্থ উত্তোলন করে ঋণগ্রহীতাদের না দিয়ে ঋণ গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তির টাকা আদায় পূর্বক ব্যাংকে জমা না করে দুই লাখ ঊনসত্তর হাজার ছয়শত বারো টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ করেন আসামীরা।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে এসব অফিসারের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়।


গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ   গ্রামীণ ব্যাংক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্রহ্মপুত্র তীরে অষ্টমী স্নানে মানুষের ঢল

প্রকাশ: ০৫:২৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ময়মনসিংহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানে হাজার হাজার মানুষের ঢল

দেশের আবহমান ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে উৎসব মুখর পরিবেশে ময়মনসিংহ জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের আশায় ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদীতে এ স্নান করতে আসেন।

 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিনব্যাপী এই স্নান উৎসব চলবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

 

এদিকে উৎসবকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ ও এর আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঢল নামে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীর।

 

অষ্টমী স্নানের উপলক্ষে নদীর দুইপাশের সকল ঘাটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও মহিলা পুণ্যার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশেষ স্নান ঘাট। যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মহিলা পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী মহিলার উপস্থিতিও লক্ষ করা গেছে।


এ স্নান উৎসব উপলক্ষ্যে নগরীর কাচারিঘাটে ঐতিহ্যবাহী খেলনার মেলা বসেছে। স্নান উৎসবে শিশু-কিশোর ও বিভিন্ন বয়সী পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটে যা ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আজীবন কালজয়ী সাক্ষী হয়ে রবে ।


অষ্টমী স্নান   সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব   শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি   ব্রহ্মপুত্র নদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর ভেন্যু পরিদর্শন করলেন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। 

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ভেন্যু পরিদর্শন করেন তিনি। এবছর ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামী ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 

ভেন্যু পরিদর্শনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   মোঃ আব্দুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসীর মালয়েশিয়ায় মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ায় পলাতক ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা গেছেন।

গত ১২ এপ্রিল কুয়ালালামপুরে একটি তালাবদ্ধ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পুডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, নব্বই দশকের আতঙ্ক ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য তানভীর ইসলাম জয় দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। নিয়মিতভাবে তাকে ডায়ালাইসিস করতে হতো। জয় এতদিন তারেক রানা নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। কুয়ালালামপুরের একটি ফ্ল্যাটে তিনি দীর্ঘদিন বসবাস করতেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বোন মালয়েশিয়ায় গিয়ে হাসপাতাল থেকে তার লাশ গ্রহণ করেন। পরে মালয়েশিয়া লাশ বহনকারী গেসকেট কোম্পানি তার লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

একাধিক সূত্র বলছে, শীর্ষসন্ত্রাসী জয় বাংলাদেশে কয়েক ডজন খুন, চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত। বাড্ডার রাইন হত্যাকাণ্ডের পর আত্মগোপনে চলে যান জয়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে তার বিরুদ্ধে।

২০০৬ সালের ১৪ মে বিদেশে কাজের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া সংস্থা ‘তুর্কি অ্যাসোসিয়েট’-এর মালিককে আট লাখ মার্কিন ডলার চেয়ে ফোন করে জয়। টাকা না দেওয়ায় ওই সংস্থার অফিসে ঢুকে ছয়জনকে গুলি করে খুন করে জয়ের দলবল। কলকাতায় জয় পাসপোর্ট তৈরি করে তানভীর রানা নামে। ২০০৭ সালে বাগুইআটির চিনার পার্কের একটি বাড়ি থেকে ভারতের সিআইডি জয়কে গ্রেপ্তারের পর এ বিষয়টি ওঠে আসে।

সূত্র বলছে, ২০১১ সালে পর্যটক ভিসা নিয়ে জয় পাড়ি জমান কানাডায়। টরোন্টোর শহরতলি আয়াক্সে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। সেখানে তার প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ‘এসজে ৭১’। ২০১৮ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘বাংলাদেশের শীর্ষসন্ত্রাসী জয়-ই কি কানাডার ব্যবসায়ী তারেক?’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দফায় দফায় কানাডার অভিবাসন দপ্তর তাকে তলবের মাঝেই ওই বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কানাডা থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। তবে ২০১৯ থেকে তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং থাইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।

শীর্ষ সন্ত্রাসী   খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন