ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত সিরিয়ার ৩ সেনা

প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত সিরিয়ার ৩ সেনা

ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ার ৩ সেনা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন। সিরিয়ায় ‘একাধিক ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরীয় সৈন্যদের হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রোববার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এই ঘটনা ঘটে। রাজধানী দামেস্কের নিকটবর্তী গ্রামাঞ্চলে এবং উপকূলীয় প্রদেশ টারটাউসের বেশ ‘কিছু লক্ষ্যবস্তুর ওপর এই হামলা হয়।

অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সানা জানিয়েছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘আগ্রাসন মোকাবিলা করেছে এবং কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ‘আগ্রাসনের ফলে তিন সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন আহত হয়েছেন।

আলজাজিরা বলছে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে দামেস্কে হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে টারটাউসে হামলা করা হয় ভূমধ্যসাগর থেকে। এছাড়া মৃত্যু ছাড়াও, হামলার কারণে কিছু ‘বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে বলে সামরিক সূত্রটি সানাকে জানিয়েছে।

অবশ্য সিরিয়ায় এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

মূলত ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এই দেশটির অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। মূলত সরকারি অবস্থানের পাশাপাশি মিত্র ইরান-সমর্থিত বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েল অবশ্য খুব কমই সিরিয়ায় এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করে থাকে।

যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রোববারের এই হামলার বিষয়ে জানিয়েছে, টারটাউস প্রদেশে একটি বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। ওই ঘাঁটিতে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় রয়েছে।

 

 


ইসরায়েল   সিরিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফের হামলা হলে ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানি ভূখণ্ডের ওপর আবারও কোনো হামলা হলে ইসরাইলি ভূখণ্ড নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি।

মঙ্গলবার পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় দিনে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

রায়িসি বলেন, “যদি ইসরায়েল আবারও ইরানের ওপর হামলা করে তাহলে ইসরায়েল আর থাকবে না।”

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে বলেন, “যদি ইসরায়েল আরেকবার ভুল করে এবং পবিত্র ইরানের সার্বভৌমতাকে লঙ্ঘন করে তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।”

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর জেরে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।

ইরানের নজিরবিহীন হামলার পাল্টা জবাব দিতে ইরানি ভূখণ্ডে ছোট হামলা চালায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল। দেশটির ইস্ফাহানে পরমাণু স্থাপনার রাডার ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। তবে উত্তেজনা থামিয়ে দিতে ইরান বিষয়টি চেপে যায়। এছাড়া ইসরায়েলও আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি।

পরবর্তীতে ইসরায়েলের একটি সূত্র জানায়, তারা ইরানে আরও বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে এমন ভয় থেকে সিদ্ধান্ত বদলায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।


ইসরায়েল   নিশ্চিহ্ন   হুঁশিয়ারি   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, বিপদে জর্ডান

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দুই দেশ—ইরান ও ইসরায়েলকে নিয়ে মহাবিপত্তিতে আছে জর্ডান। দেশ দুটির মধ্যে শত্রুতা দিন দিন বাড়ছে। আর এই শত্রুতার জেরে আঞ্চলিক সংঘাত বাড়লে মারাত্মক আঘাত আসতে পারে জর্ডানের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজের ওপর।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যদি চূড়ান্তরূপে যুদ্ধ বেধে যায়, তাহলে জর্ডান বড় সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের টেম্পল ইউনির্ভাসিটির জর্ডান–বিশেষজ্ঞ সেন ইয়োম। তিনি বলেন, ‘জর্ডানকে খোলাখুলিভাবে এই ঝঞ্ঝাটের বাইরে থাকতে হবে। যুদ্ধে কোনো এক পক্ষের সঙ্গে হাত মেলাতে পারবে না তারা।’ খবর আল জাজিরার।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডান আরেকটা পরিচিতি পেয়েছে। সেটি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। এ ছাড়া উপত্যকাটিতে পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টাও চালাচ্ছে তারা। তবে এসব কর্মকাণ্ড দেশটির রাজপথে নামা বিক্ষোভকারীদের অতটাও মন ভরাতে পারেনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরই প্রতিবাদে জর্ডানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এই দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে আম্মানকে।

এরই মধ্যে সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনা জর্ডানের মানুষকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ঘটনাটি ১৩ এপ্রিল রাতের। জর্ডানের আকাশে কয়েক ডজন ইরানি ড্রোন ধ্বংস করে দেশটির বিমানবাহিনী। সেদিন রাতে ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়েছিল তেহরান।

ইরানের ওই হামলা ছিল ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা জবাব। ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কয়েক কর্মকর্তা নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও।

ইরানের ড্রোন ধ্বংসের বিষয়ে জর্ডানের ভাষ্য, তারা নিজেদের সীমান্ত রক্ষায় ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছিলেন, ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপাণাস্ত্রগুলো জর্ডানের ভূখণ্ডে পড়ার সম্ভাব্য বিপদ ছিল। জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনী উপযুক্ত কৌশলে সেই বিপদ মোকাবিলা করেছে।

আয়মান সাফাদি আরও বলেন, জর্ডানের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। এটি জর্ডানের মূলনীতির বিষয়। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও একই কাজ করা হবে। হুমকিগুলো ইসরায়েল, ইরান বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আসছে কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া হবে না।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি জর্ডানের বাসিন্দাদের গভীর সহানুভূতি রয়েছে। দেশটিতে আনুমানিক ২০ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির জনসংখ্যার বড় একটি অংশ ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এমন পরিস্থিতিতে ১৩ এপ্রিল রাতে ইরানের ড্রোন ধ্বংসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়েছেন।

জর্ডানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির রাজতন্ত্র চাপে রয়েছে। এমনকি ৭ অক্টোবরের আগেও দেশটির ভেতরে ও সীমান্তে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। জর্ডানের পদক্ষেপে প্রথম দিকে চটেছিল তেহরানও। রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইরানি বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের চালানো কোনো অভিযানে নাক গলালে জর্ডানকেও ভবিষ্যতে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে তেহরান।

তবে দ্রুতই নিজেদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেয় দুই দেশ। ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানকে ফোনে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফাদি বলেছেন, ইসরায়েলকে তাদের ‘আকাশসীমার অপব্যবহার করতে দেওয়া হবে না’।

টেম্পল ইউনির্ভাসিটির সেন ইয়োমের ভাষ্যমতে, ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগ তুলে ১৪ এপ্রিল জর্ডানকে সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু করার হুমকি দিয়েছিল রেভল্যুশনারি গার্ড কোর। তবে পরদিনই নরম সুরে কথা বলতে শোনা যায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি জর্ডানকে কূটনৈতিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে জর্ডানের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে।


ইরান   ইসরায়েল   সংঘাত   বিপদে   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে বড় আকারের রকেট হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে বড় আকারে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার জবাবে উত্তর ইসরায়েলের সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের একটি সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খোদ হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

এ হামলা প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলের আইন জেইটিম ঘাঁটিতে ৯১ তম ডিভিশনের তৃতীয় পদাতিক ব্রিগেডের সদর দপ্তরে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট দিয়ে বোমাবর্ষণ করেছে। অতি সম্প্রতি শ্রীফা, ওদাইসেহ এবং রাব তলাতিনে হামলাসহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্রাম এবং বেসামরিক বাড়িঘরে ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ওই তিনটি গ্রামে ইসরায়েলি হামলার খবর দিয়েছে লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সিও (এনএনএ)।

এদিকে সবশেষ হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের আইন জেইটিম এলাকায় নিক্ষেপ করা আনুমানিক ৩৫টি রকেট চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সৈন্যরা এর প্রতিক্রিয়ায় রকেট নিক্ষেপের উৎস স্থানগুলোতে পাল্টা হামলা করেছে বলেও জানিয়েছে তারা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের ওপর প্রতিশোধস্বরূপ গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে।

সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠীটি সীমান্তের ওপারে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত লেবাননে কমপক্ষে ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ১০ জন সৈন্য ও ৮ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ১৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল   রকেট হামলা   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা সাময়িকভাবে প্রশমিত হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২৯ সেন্ট কমায় প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ ডলারে।

অন্যদিকে, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাজারে এই তেল প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয় ৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে।

বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক ইয়েপ জুন এ বিষয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বর্তমানে বিক্রির ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত সপ্তাহের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডাটা থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ২৭ লাখ ব্যারেল বেড়েছে, যা বিশ্লেষকদের ১৪ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্লেষকরামনে করছেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের জন্য বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হতে পারে। ফলে ইরানের জ্বালানি তেল উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারেও।

বিশ্ববাজার   জ্বালানি তেল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অতিরিক্ত তাপে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত তাপের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। 

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)—এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে ‘পেশাগত রোগ’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আইএলও   আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন