বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেলের আমদানিকারক চীনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের
ধীরগতি এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের বাজারে। চীনের
চাহিদা কমে যাওয়ায় সোমবার বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আবারও কমেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, সোমবার দ্বিতীয় সেশনে বিশ্ব বাজারে দুই দফায় কমেছে তেলের দাম। অন্যদিকে, বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক কোম্পানি সৌদি আরামকোর প্রধান বলেছেন, তেলের উৎপাদন বাড়াতে তার কোম্পানি প্রস্তুত আছে।
বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম প্রতি ব্যারেলে (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ৮৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৯৭.২৬ ডলারে নেমেছে। এছাড়া সোমবার প্রথম সেশনে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ৮২ সেন্ট কমে ৯১.২৭ ডলারে হয়েছে। এর আগে, প্রথম সেশনে এই তেলের দাম ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়।
গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার পর থেকেই মন্দাভাব শুরু হয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শতাংশ হিসেবে গত ৬ মাসে বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
চীনের সরকারি তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রুড তেলের আমদানিকারক চীনে গত জুন মাসে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করায় জুলাইয়ে তা কমে যায়। চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অপ্রত্যাশিত ধীরগতির কারণে জুলাই মাসে দেশটিতে দৈনিক তেল পরিশোধনের পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে নেমে গেছে। যা ২০২০ সালের মার্চের পর দেশটিতে দৈনিক সর্বনিম্ন তেল পরিশোধন।
বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিসের অর্থনীতিবিদ হেরন লিন বলেছেন, চীনের সরকারি তথ্য-উপাত্তে তেলের রেকর্ড দামের কারণে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ এবং ভোক্তাদের চাহিদা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সৌদি আরামকোর প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের বলেছেন, সৌদি সরকারের কাছ থেকে চাহিদা পেলে সৌদি আরামকো দৈনিক সর্বোচ্চ ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার অথবা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চাহিদা অথবা অনুরোধ পেলে যে কোনও সময় দিনে এক কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। চীন করোনাভাইরাস বিধি-নিষেধ শিথিল এবং বিমান পরিবহন পুরোদমে শুরু করায় জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তেলের একটি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মেক্সিকো উপসাগরের কয়েকটি অফশোরে উৎপাদন ব্যাহত হয়। যে কারণে গত সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মেক্সিকো উপসাগরের ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন শুক্রবার রাতের দিকে মেরামত করায় কিছু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের স্থগিত হয়ে যাওয়া উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে।
চলতি শীতে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহে ইউরোপীয়
ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
তবে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাব
যদি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে তেলের সরবরাহ বাড়তে পারে। বিশ্লেষকরা
বলছেন, চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হলে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
হয়ে যাবে।
সূত্র: রয়টার্স।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জন হয়েছে। নিখোঁজ এখনও বেশ কয়েকজন। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের তানা তোরাজায় এ ভূমিধসের ঘটনা হয়। ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্টি হয় এই ভূমিধস। এতে দুটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাদামাটিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি এলাকা।
এখনও ধ্বংস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেকেই। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে উদ্ধারকাজ।
প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার তানা তোরাজার পার্বত্য অঞ্চল প্রাদেশিক রাজধানী মাকাসার থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে সুলাওয়েসি দ্বীপের অবস্থান।
মার্চে বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়। প্রবল বৃষ্টিতে শত শত বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে ও হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (এসিআই)। তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের একটি বিমানবন্দর।
এসিআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন যাত্রী উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছেন যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। জানিয়েছে এনডিটিভি।
i. হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে ১০৪ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন বা এখান থেকে যাত্রা শুরু করেছেন যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।
ii. দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর : তালিকার ২ নাম্বারে থাকা দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৮৬ মিলিয়ন।
iii. ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালে ৮১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে তালিকার তৃতীয় নাম্বারে উঠে এসেছে।
iv. হিথ্রো বিমানবন্দর- যুক্তরাজ্য: লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালে ৭৯ দশমিক ২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।
v. টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- জাপান: ৭৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে এশিয়ার দেশ জাপানের টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ২০২৩ সালে সবচেয়ে উন্নত বিমানবন্দরের পুরস্কারও অর্জন করে নিয়েছে। এর যাত্রী সংখ্যা ২০২২ এর তুলনায় বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।
vi. ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত বছর ৭৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে।
vii. ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর- তুরস্ক: ৭৬ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।
viii. লস এঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দরটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭৫ মিলিয়ন।
ix. ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত বছর ৭৪ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে যা বিমানবন্দরটিকে তালিকার নবম স্থানে নিয়ে এসেছে।
x. ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- ভারত: তালিকার দশম স্থানে আছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে বিশ্বের ৭২ দশমিক ২ মিলিয়ন যাত্রী।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী নজিরবিহীন আক্রমণের জেরে এবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। অন্তত ৩২ দেশকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি।
এক্স পোস্টে ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘আজ সকালে আমি ৩২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
ইরানকে প্রতিহত এবং দুর্বল করে দিতে দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আর দেরি নয়। ইরানকে এখনই থামাতে হবে।
এদিকে, এই হামলাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য ভীষন প্রয়োজন ছিল। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল এবং ইরান পরস্পর ভাইয়ের মতো, যাদের অভিভাবক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ঝগড়া-বিবাদের ওপর নজর রাখছে ওয়াশিংটন। কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করবে যখন তারা একে অন্যের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে উঠবে।
গত কয়েক মাস ধরে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতি অন্ধ সমর্থনের কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি সহ্য করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের মতো দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন এবং এর যুদ্ধাপরাধের প্রতি ন্যায্যতা অব্যাহত রাখতে একটি নতুন অজুহাত খুঁজে ফিরছিল যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় চলমান গণহত্যার মতো অপরাধ লুকাতে এবং বিশ্ববাসীর মনোযোগ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে ইরানের হামলা পরোক্ষভাবে উপকারে এসেছে তেল আবিবের। সেই সঙ্গে আরব দেশগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ইসরায়েলই নয় তাদের প্রচ্ছন্ন শত্রু হচ্ছে ইরান। তেহরানের বড় ধরনের সামরিক শক্তি যেকোন আরব রাষ্ট্রকেও অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিতে পারে।
এ প্রসঙ্গে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার সরকার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করছে।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘সীমিত’ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ইসরায়েল। ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।
সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।
মন্তব্য করুন
গত শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহায়তা করে জর্ডান। এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে দেশটির নাগরিকরা।
হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি৷
তিনি আরও বলেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। এজন্য ইরানকে আমরা সমর্থন করি না। তবে গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে-কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।
মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই৷ কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি৷
আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, জর্ডান যা করেছে তা ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য নয় বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে। কারণ ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়৷
ইরান হামলা ইসরায়েল সহায়তা জর্ডান বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী নজিরবিহীন আক্রমণের জেরে এবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। অন্তত ৩২ দেশকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি।