ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদৌ কি রাশিয়া পিছু হটছে?

প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail আদৌ কি রাশিয়া পিছু হটছে?

বিগত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। সম্প্রতি খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেনের সেনারা। ক্রেমলিনের সেনারা পিছু হটছে বলেও দাবি ক্রেমলিনের। গত ৬ সেপ্টেম্বর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। দেশটির উত্তর-পূর্বে রুশ প্রতিরক্ষা বেড়াজাল গুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

১১ সেপ্টেম্বর সকালে ইউক্রেনের সামরিক প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি ঘোষণা করেন যে দেশটির সেনা বাহিনী বিগত ১১ দিনে প্রায় ৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। গত এপ্রিল থেকে এই এলাকা রাশিয়ার দখলে ছিলো। অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে, ৯ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে ইউক্রেন, যেটি প্রায় সাইপ্রাসের আয়তনের সমান।

রাশিয়ার সেনারা আতঙ্কিত হয়ে পিছু হটছে। একই সঙ্গে ব্যাপক হারে সামরিক সরঞ্জাম পরিত্যক্ত অবস্থায় পপড়ে আছে এমন খবর ছড়িয়েছে সম্প্রতি। দুটি লজিস্টিক্যাল হাব, ইজিয়াম ও কুপিয়ানস্ক পুনরুদ্ধারের ফলে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সমগ্র ডনবাসের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য রাশিয়ার মহাপরিকল্পনা নস্যাৎ হয়েছে। এটি ইউক্রেনের সেভেরোডোনেটস্কের মতো শহর পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত করছে। যেখানে কয়েক মাস ধরে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পরে রাশিয়ার হাত থেকে একটি অংশ চলে যায় ইউক্রেনের দখলে।

রাশিয়ার রসনা ইউনিটের বিচ্যুতি, যাকে ক্রেমলিন অপ্রত্যাশিতভাবে ‘পুনরায় দলবদ্ধকরণ’ বলে অভিহিত করেছে। তারা বলছে, যে সাত মাস পুরোনো এই যুদ্ধ সম্ভবত একটি টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছেছে।



খারকিভ অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণ নিশ্চয়ই রাশিয়ান হাইকমান্ডকে আশ্চর্য করেছিল। বালাকলিয়া শহর ঘেরাও করার পর দুই দিনের তীব্র আর্টিলারি ফায়ার ব্যবহার করে ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয় আসল অভিযান। পরে তিন দিনের মধ্যে ইউনিটগুলো পূর্ব দিকে কুপিয়ানস্ক, একটি বড় রেল জংশন ও রাস্তা দখলে নেয়, যেগুলো দিয়ে রুশ সেনাবাহিনীর সামরিক সরঞ্জামাদি নেওয়া হতো।

১০ সেপ্টেম্বর ইজিয়াম যেটি কাছাকাছি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বেশিরভাগ রুশ সেনা পূর্ব থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে সেটি ঘেরাও করা হয়। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের তথ্য বলছে, এরই মধ্যে ইজিয়াম শহরটি পরিত্যক্ত করা হয়েছে। শুধু সেখানকার শহর থেকে নয়, অঞ্চল থেকেও সাধারণ রাশিয়ানরা পিছু হটছে বলে দাবি ইউক্রেনের।

১১ সেপ্টেম্বর সকাল পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত ছিল দু’পক্ষের মধ্যে। কিন্তু সেদিনের পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারা প্রকাশিত একটি মানচিত্র থেকে বোঝা যায় যে রুশ বাহিনী কার্যত খারকিভ প্রদেশের সম্পূর্ণ অংশ থেকে অসকিল নদীর ধারে একটি নতুন প্রতিরক্ষা লাইনে চলে গেছে। ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো এখনো পূর্ব দিকে অগ্রসর হলে এই নতুন লাইনটি কতক্ষণ স্থায়ী হতে পারে তা স্পষ্ট নয়।

ইউক্রেনের গোপন পাল্টা আক্রমণে রাশিয়ান বিমানের অবাধ চলাচল চিহ্নিত হতে পারে। একটি সামরিক সূত্র বলছে, আমেরিকার সরবরাহ করা নতুন অ্যান্টি-রাডার ক্ষেপণাস্ত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্রের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, তারা নিজেরাই ইজিয়াম ও কুপিয়ানস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দোনেৎস্কে লড়াইরত বাহিনীর শক্তি বাড়াতে বালাকলিয়া শহর থেকে সেখানে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথাও নিশ্চিত করে তারা। শুক্রবার বালাকলিয়া শহরে ১৫টি ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রবেশ করে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

প্রকৃতপক্ষে, এটি ইউক্রেনের এমন একটি কৌশল ছিল যে মনে হয়েছিল আক্রমণটি বিভ্রান্তিকর, যার উদ্দেশ্য ছিল শুধু রাশিয়ান বাহিনীকে প্রতিরোধ করা এবং খেরসন অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণের বিরুদ্ধে রুশ সেনা মোতায়েন বিরত রাখা।
একপর্যায়ে, ইউক্রেনীয় ইউনিটগুলো দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল যে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনিশ্চিত ছিলেন যে তারা কতদূর পৌঁছেছে। ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেনীয় সেনারা ডোনেট নদী পেরিয়ে লুহানস্ক অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলের স্যাতোভ, রুবিঝনে, লিসিচানস্ক এবং সেভেরোডোনেটস্ক শহরে চলে যাওয়ার আগে এটি কেবল ‘সময়ের ব্যাপার’ হবে। যা রাশিয়া জুলাইয়ের শুরুতে সম্পূর্ণরূপে দখল করার গর্ব করেছিল।

তিনি বলেন, রাশিয়ান সেনারা এরই মধ্যে পিছু হটছে। তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ক্ষতি এড়াতে হিসেব কষে নিতে হবে।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফের এক সাবেক অপারেশনাল অফিসার ওলেহ ঝদানভ বলেন, ইউক্রেনের সামরিক নেতৃত্ব ধীর গতিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করবে। ‘আমাদের পেছনে সমর্থন লাইন একত্রিত করতে হবে। খুব দ্রুত যাওয়া বিপজ্জনক’।
ইউক্রেন এখন অন্য কোথাও আঘাত হানার জন্য রাশিয়ার অস্থিরতাকে কাজে লাগাতে পারে কিনা তা নিয়ে কিছু জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। হয় খেরসনে পাল্টা আক্রমণ জোরদার করতে পারে, যদিও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে, অথবা অন্য কোথাও আক্রমণের তৃতীয় পথ খোলার মাধ্যমে।

ইউক্রেনের তৃতীয় সম্পূর্ণরূপে গঠিত সেনা ইউনিট প্রস্তুত আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিচালনার করার জন্য শুরুতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমারা পর্যাপ্ত সরঞ্জাম দিয়েছে কিনা তা এখন খোলামেলা প্রশ্ন।
কেউ কেউ অনুমান করছেন যে ইউক্রেন জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আরেকটি যুদ্ধফ্রন্ট খুলতে পারে। কিছু ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা শেষ পর্যন্ত খেরসন আক্রমণের জন্য আগে চাপ দিয়েছিলেন।

যুদ্ধপন্থী রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা রাশিয়ার অপমানে ক্ষুব্ধ। তারা রাশিয়ার জেনারেলদের দোষ দিচ্ছে এমন পরিস্থিতির জন্য। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং পুতিন নিজেও দায়ী এতে বলছেন তারা। কারণ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীর পিছু হটার হওয়ার পরেও নিশ্চুপ রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইগর গিরকিন, একজন অতি-জাতীয়তাবাদী যিনি ২০১৪ সালে ডনবাসে রাশিয়ার আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, রাশিয়ান সেনাদের সম্পূর্ণ পরাজয়ের পূর্বাভাস দিয়েছেন।

‘আমরা ইতিমধ্যে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি, বাকিটা সময়ের ব্যাপার’। তিনি টেলিগ্রামে তার প্রায় অর্ধ মিলিয়ন গ্রাহককে এমনটি বলেছিলেন। রাশিয়ান সামরিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এটি।

সিএনএ, একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের একজন বিশেষজ্ঞ মাইকেল কফম্যান উল্লেখ করেছেন যে ‘রাশিয়ান বাহিনীর গুণমান হ্রাস পাচ্ছে এবং যারা যুদ্ধে রয়েছে তাদের ক্লান্তি এড়াতে প্রায়শই ঘোরানো হচ্ছে না। তাদের এই যুদ্ধ টিকিয়ে রাখার মতো জনবল নেই’।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে উদাসীন বলে মনে হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর ইউক্রেনীয়রা ইজিয়ামে যাওয়ার পথে লড়াই করার সময়, তিনি মস্কোতে স্তালিন-যুগের থিম পার্ক এ একটি গ্র্যান্ড ফেরিস হুইল খোলার পরিকল্পনা চালিয়ে যান। ফেরিস হুইলটি ছিল ইউরোপে সবচেয়ে বড়, পুতিন বলেন, পারিবারিক অবসরের জন্য উপযুক্ত জায়গা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার আশা মস্কো কখনও পরিত্যাগ করেনি। তবে রাশিয়া বিশ্বাস করে আলোচনায় বসতে যত দেরি হবে তা থেকে সুফল পাওয়া তত বেশি দুরূহ হয়ে পড়বে। রাশিয়ার একটি নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আপাতত, ইউক্রেনের নেতারা বিশ্বাস করেন যে যুদ্ধক্ষেত্রে আলোচনা সর্বোত্তমভাবে পরিচালিত হয়। তবে ১০ সেপ্টেম্বর ইয়াল্টা ইউরোপীয়ান নিরাপত্তা ফোরামে এক বক্তব্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বিরক্ত প্রকাশ করেন যে ‘কিছু পশ্চিমা নেতা আমাদের অতিরিক্ত আলিঙ্গনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন’। তিনি আরও বলেন, না, আমরা নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারি না’।

রাশিয়া   ইউক্রেন   সামরিক অভিযান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরবি ভাষার মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন-এ তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে ১৮ বছর মর্যাদাপূর্ণ সেবা প্রদান করার পর আমি এপ্রিল ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেছি’।

প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
 
দেশটির শিক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, তারিক হাবাশ, যিনি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন। 
  
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজা নীতি   মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচন: মোদির ম্যাজিক কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ ধাপে। আজ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল জানা যাবে। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। 

নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে তার সবগুলোতেই নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের ভোটপ্রাপ্তি সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ভোট প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি হলে ৪২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হলে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আসনের হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অবস্থান ৪১১ থেকে ৩৭৩ এর মধ্যে এবং ইন্ডিয়া জোট ১৫৫ থেকে ১০৫ এর মধ্যে উঠানামা করবে বলে বিভিন্ন জরিপের হিসেবে বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর অনেকেই ভারতের এই জরিপ শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

অনেকেই মনে করছেন যে, এই নির্বাচনে কতগুলি ইস্যু বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ভারতের মুসলমান ভোটারদেরকে একাট্টা করেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। আর এ কারণে এবার মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ট্রেন বন্ধ রেখে মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়াকে যে ক্ষমতাবান এবং উন্নয়নের রোল মডেলের নীতি নিয়ে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন সেটি এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নাজুক পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদি ম্যাজিককে ফিকে করে দিয়েছে। অনেকেই এই নির্বাচনে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

অনেকে মনে করছেন যে, ২০০৪ সালে ভারতের চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ম্যাজিক দেখিয়েছিল। সে সময় বিজেপির ইন্ডিয়ার সাইনিং স্লোগানের আড়ালে সকলে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের। কিন্তু সেই নির্বাচনে সকল জরিপকে মিথ্যে প্রমাণ করে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছিল। এবার নির্বাচনে তেমন কোন ফলাফল হবে কিনা তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, ভারতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটই বিজয়ী হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বে জোট যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট আশা করেছিল সে সংখ্যাগরিষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। তবে এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট বিজয়ী হলেও নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে যাকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   ইন্ডিয়া জোট   এনডিএ জোট   লোকসভা ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারত-ভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হল জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্ক জাকারবার্গকে টপকে তৃতীয় শীর্ষ ধনীর আসনে ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্ক জাকারবার্গ টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফলে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীর জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার শেয়ার বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে কমতে পারে এমন পূর্বাভাসের পর এ পতন হয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, মেটার শেয়ার পতনের ফলে মার্ক জাকারবার্গের সম্পত্তি কমে এখন ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সম্পদ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে এ দুই বিলিয়নিয়ার নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে যান। গত তিন মাসে টেসলার গাড়ি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো জাকারবার্গ মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।

এর আগে ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। গত বছরের তুলনায় এবার তার সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদমূল্য ১৯৪ বিলিয়ন ডলার।

১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গতবার সম্পদমূল্য ছিল ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।


মার্ক জাকারবার্গ   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন