ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন দুই রেলপথে বদলে দিবে মধ্য এশিয়া!

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail নতুন দুই রেলপথে বদলে দিবে মধ্য এশিয়া!

মধ্য এশিয়ার প্রথম রেলপথটি তৈরি হয়েছিল সামরিক কারণে। ১৮৮০ সালে রাশিয়া যখন ট্র্যাক স্থাপনের কাজ শুরু করে, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল কারাকুম মরুভূমির চারপাশে (বর্তমান তুর্কমেনিস্তান) সৈন্য পরিবহন করা, যেন রুশ শাসনের বিরোধিতাকারীদের প্রতিরোধ চূর্ণ করা যায়। তাদের উদ্যোগে মাত্র আট বছরের মধ্যে ক্যাস্পিয়ান সাগর থেকে সমরখন্দ পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে ট্রেন চলাচল শুরু করে।

১৮৮৮ সালে তরুণ ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা (এবং ভারতের ভবিষ্যৎ ভাইসরয়) হিসেবে ওই রেলপথ পাড়ি দিয়েছিলেন জর্জ কার্জন। তিনি লিখে গেছেন, এটি রাশিয়াকে স্থানীয় বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা ও ভারতে আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা দ্বিগুণ করেছিল। সেই থেকে এ অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে রেলপথটি।

কিন্তু আজ ক্ষমতার ভারসাম্য বদলাতে শুরু করেছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনারা বিদায় নেওয়ায় একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া আবার ইউক্রেন নিয়ে ব্যস্ত। ফলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানো ও ইউরোপের বাণিজ্য রুটে বৈচিত্র্য আনার দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে চীনের সামনে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও চীনের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে আগ্রহী।
বর্তমানে এসব প্রচেষ্টার মধ্যমণি হয়ে উঠেছে দুটি নতুন অবিচ্ছেদ্য রেলপথ। আগামী ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর সমরখন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনে এগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে অগ্রগতির প্রথম লক্ষণ সামনে আসে গত মে মাসে। সেসময় কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ ঘোষণা দেন, চীন, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানকে সংযোগকারী একটি রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০২৩ সালে।

চীনা রেলপথ এরই মধ্যে কাজাখস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সেখান থেকে রাশিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপের সঙ্গে চীনের রেলপথ বাণিজ্যের সিংহভাগই হয় এই রুট দিয়ে। ২০১৬ সালে রেলপথটি দিয়ে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছিল, যা ২০২১ সালে বেড়ে সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে।

এ অবস্থায় তুর্কমেনিস্তান, ইরান ও তুরস্ক হয়ে চীন থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথ খুলে দেবে নতুন একটি রেলপথ। এর ফলে যাত্রাপথের দূরত্ব প্রায় ৯০০ কিলোমিটার ও সময় অন্তত আট দিন কমে যাবে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি যাবে রাশিয়াকে পাশ কাটিয়ে। ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া-নির্ভর রুট দিয়ে পণ্য পরিবহন এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

চায়না কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের ইয়াং জি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপীয় গ্রাহকদের জন্য ‘মহাঅনিশ্চয়তা’ সৃষ্টি করেছে। রাশিয়াকে পাশ কাটানোর জন্য তাদের কেউ কেউ জাহাজে করে ক্যাস্পিয়ান সাগর পার হয়ে তুলনামূলক ধীরগতির ও খরুচে রেলপথ ব্যবহার করছে। নতুন রেলপথটি রাশিয়াকে বাদ দিয়ে চীন ও ইউরোপের মধ্যে একটি বিকল্প রুট সৃষ্টি করবে।
কিরগিজস্তানের পরিবহনমন্ত্রী এরকিনবেক ওসোয়েভ বলেছেন, ট্রান্স-কিরগিজ সংযোগ রেলপথ দিয়ে বছরে ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ৩০ লাখ টন মালামাল পরিবহন হবে, যার সিংহভাগই যাবে অন্য জায়গায়। এ প্রকল্পের কর্মসংস্থান, কর ও ট্রানজিট ফি কিরগিজস্তানের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

পরিকল্পনাটি অবশ্য নতুন নয়। এটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ১৯৯৭ সালে। রাশিয়া একে কখনোই পছন্দ করেনি। খরচ ও রুট নিয়ে একমত হতে পারেনি চীন-কিরগিজস্তান। এটি কিরগিজ জনগণের বিস্তৃত অংশকে সেবা দেবে নাকি সরাসরি ইউরোপে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয় মতবিরোধ। আবার, রেলপথের গেজ ট্র্যাক চীন-ইউরোপে ব্যবহৃত ১ দশমিক ৪৩৫ মিটার থেকে কিরগিজস্তানের মানদণ্ড অনুসারে ১ দশমিক ৫২০ মিটারে কোথায় গিয়ে পরিবর্তন হবে সেটি নিয়েও দেখা দেয় বিতর্ক। ফলে পরিকল্পনাটি বারবার স্থগিত হতে থাকে।
ওসোয়েভ বলেছেন, চীন, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তান অবশেষে ২৮০ কিলোমিটার রেল রুটের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এতে খরচ হবে ৪১০ কোটি ডলার। সরাসরি বিনিয়োগ অথবা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে প্রকল্পটিতে। চীন সীমান্তের তুরুগার্ট পাস থেকে পশ্চিম কিরগিজস্তানের জালালাবাদ পর্যন্ত যাবে রেলপথটি। ১৯১৬ সালে রুশ নির্মিত একটি রেলপথ দিয়ে এরই মধ্যে উজবেকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত কিরগিজ শহরটি। আর গেজ ট্র্যাক পরিবর্তিত হবে মাকমালে। এ প্রকল্পের ভূতাত্ত্বিক জরিপ শিগগির শুরু হবে এবং সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হবে আগামী মার্চের মধ্যে।

এরই মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কাজাখস্তানে একদিনের সফর শেষে তিনি আসন্ন সমরখন্দ সম্মেলনে অংশ নেবেন। তাছাড়া গত আগস্টেই কিরগিজস্তানে পৌঁছেছেন চীনা বিশেষজ্ঞরা। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মিরজিওয়েভ বলেছেন, প্রকল্পটি আমাদের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সংযুক্ত করবে, যার ফলে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পথ প্রশস্ত হবে। আর কিরগিজ প্রেসিডেন্ট জাপারভ বলেছেন, এর জন্য তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সমর্থন পেয়েছেন। গত জুলাইয়ে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নেরও সমর্থন পেয়েছিল পরিকল্পনাটি।

সমরখন্দ সম্মেলনে আরেকটি রেলওয়ে প্রকল্প তুলে ধরবেন উজবেক প্রেসিডেন্ট মিরজিওয়েভ। আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান ও পাকিস্তানকে সংযুক্ত করবে এই রেলপথটি। উজবেক সীমান্ত থেকে উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ পর্যন্ত এরই মধ্যে একটি ছোট রেলপথ রয়েছে। নতুনটি যাবে কাবুল হয়ে পাকিস্তানের পেশোয়ার পর্যন্ত, দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৫৭৩ কিলোমিটার। এই রেলপথ তৈরির ফলে পাকিস্তানের বন্দর দিয়ে দ্রুত ও কম খরচে সমুদ্র সংযোগ পাবে স্থলবেষ্টিত উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উজবেকিস্তান থেকে পাকিস্তানে পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনীয় সময় ৩৫ দিন থেকে মাত্র চারদিনে নেমে আসবে। এর জন্য ট্রানজিট ফি পাবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।

তবে দুটি রেলপথের ভাগ্যই নির্ভর করছে, সেগুলো চীন ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে অর্থায়ন পায় কি না তার ওপর। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের সমস্যাগুলো বেইজিংকে একা কোনো অবকাঠামো প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক করে তুলেছে।

তাছাড়া ট্রান্স-কিরগিজ রেলপথের চেয়ে ট্রান্স-আফগান রেলপথের ভবিষ্যৎ বেশি অনিশ্চিত দেখাচ্ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা তালেবানের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্কে জড়াতে রাজি নয়। ফলে, উভয় পরিকল্পনাই ভেস্তে যাওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু যদি প্রকল্প দুটি শেষপর্যন্ত আলোর মুখ দেখে, তাহলে বিশ্বের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযুক্ত হওয়া এবং রাশিয়ার ওপর কম নির্ভরশীলতার দিকে এগিয়ে যাবে মধ্য এশিয়া।

নতুন দুই রেলপথ   বদলে দিবে   মধ্য এশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন এত দীর্ঘ সময় হয়

প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত। দেশটিতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। যা মোট সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৯ দিন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল আগের চেয়ে বেশি।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফার ভোট। বাকি দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৬ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা), ৭ মে (তৃতীয় দফা), ১৩ মে (চতুর্থ দফা), ২০ মে (পঞ্চম দফা), ২৫ মে (ষষ্ঠ দফা) ও ১ জুন (সপ্তম দফা)। ভোট গণনা ৪ জুন। অর্থাৎ এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছয় সপ্তাহের বেশি।

লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। আজ প্রথম ধাপে ১০২টি নির্বাচনী আসনে ভোট হচ্ছে। শেষ দফার দিন (১ জুন) ভোট হবে ৫৭টি আসনে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল এত দীর্ঘ কেন, তার ব্যাখ্যা এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভোটারসংখ্যা

ভারতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে এতটা সময় লাগার প্রধান কারণ দেশটির আকার ও বিপুল ভোটারসংখ্যা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারসংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ। এই সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি।

ভৌগোলিক বিস্তার

ভারত একটি বড় আয়তনের দেশ। দেশটির ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কয়েকটিতে এক ধাপে ভোট হয়। তবে বড় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ভোট হয়। উদাহরণস্বরূপ উত্তর প্রদেশের কথা বলা যায়। রাজ্যটির জনসংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এখানে সংসদীয় আসনসংখ্যা ৮০টি। এই রাজ্যের আসনগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভোট হবে।

নিরাপত্তাব্যবস্থা

ভোট যাতে সহিংসতা ও কারচুপিমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন লাখের বেশি সদস্য রাজ্য সরকারগুলোর অধীনে থাকা পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করবে। প্রতিটি দফার ভোটের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান আছে। এর ফলে এই মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপালনের জন্য যেতে পারেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটিং মেশিনগুলো ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোট গণনার দিন পর্যন্ত এগুলো সুরক্ষিত রাখেন।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেনি: ইরান

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের জাতীয় সাইবারস্পেস কেন্দ্রের মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন। 

এক এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‌ইসফাহান কিংবা দেশের অন্য কোনো স্থানে সীমান্ত পেরিয়ে আশা কোনো আকাশ হামলার ঘটনা ঘটেনি।' তিনি আরো বলেছেন, 'তারা কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) ওড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলো। এই ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।' 

এদিকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার খবরের পরই উড়োজাহাজ চলাচলে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ি ইস্পাহান, সিরাজ এবং তেহরানের ওপর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যই ইসফাহান শহরে কাছে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিলো। আর দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানায় ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

যদিও ইরানের প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলও অবশ্য এ হামলা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইরআইবি জানিয়েছে, ইসফাহান শহর নিরাপদ ও শান্ত রয়েছে। সেখানকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কয়েকটি  মিনি ড্রোন ইসফাহানের আকাশে ওড়ার সময় সেগুলোকে টার্গেট করা হয়। সেখান থেকেই এই শব্দ আসে।

ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টিও সরাসরি নাকচ করে দেয়া হয় ওই প্রতিবেদনে। জানানো হয় কোথাও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।


ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সবগুলো ইসরায়েলি ড্রোন গুঁড়িয়ে দিল ইরান

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহর ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এদিকে ইরান দাবি করছে, দেশটির ইস্ফাহানে ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করছিল যা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় থাকায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।

ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব।

এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

ইরানের ইস্ফাহান শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।


হামলা   ইসরায়েল   ড্রোন   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় রাজনৈতিক বক্তব্যযুক্ত পোস্ট ব্লক করলো এক্স

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য রাজনৈতিক বক্তব্য সম্পর্কিত পোস্ট ব্লক করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স। নির্বাচন চলাকালীন এমন পোস্ট ব্লক করতে এক্সকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।  

নির্দেশ মেনে পোস্ট ব্লক করলেও এক বিবৃতিতে এক্স ভারতের নির্বাচন কমিশনের ঐ নির্দেশের সঙ্গে একমত নয় বলে জানিয়েছে। তারা মনে করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।

ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে বলে মোদির সমালোচকেরা অভিযোগ করেছেন। গতবছর মোদি প্রশাসনের সমালোচনা করা টুইট ও অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার নির্দেশ শুরুতে না মানায় ভারতের একটি আদালত এক্সকে ৬১ হাজার ডলার জরিমানা করেছিল। 

২০১৪ সালে মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গণমাধ্যম সূচকে দেশটির অবস্থান ২১ ধাপ পিছিয়েছে। বর্তমানে ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৬১। 

আগামী সোমবার এক্স এর মালিক ইলন মাস্ক ভারতে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ভারতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। এদিকে আজ থেকে ভারতে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ফলাফল জানা যাবে আগামী ৪ জুন।


এক্স   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জেগে উঠেছে আগ্নেয়গিরি, ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি সতর্কতা

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় আবারও জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সে দেশের উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের মাউন্ট রুয়াং-এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ খুলে গিয়ে লাভাস্রোত ছড়িয়ে পড়েছে সংলগ্ন এলাকায়। আগ্নেয়গিরিটির কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে আকাশ। খবর রয়টার্স'র।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, প্রায় ১১ হাজার মানুষকে সংলগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বলা হয়েছে, তারা যেন মাউন্ট রুয়াং থেকে অন্তত ৬ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রাখেন। ইতোমধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার 'সেন্টার ফর ভলক্যানোলজি' এবং 'জিওলজিক্যাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট' অগ্নুৎপাত নিয়ে গোটা দেশে সতর্কতা জারি করেছে। গত বুধবার সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে সে দেশে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় মাউন্ট রুয়াং-এ। তার পর বুধবার পর্যন্ত মোট চার বার বিস্ফোরণ হয় সেখানে। প্রায় ১০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত লাভাস্রোত দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা অধিদফতর ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিকটবর্তী শহর মানাডোতে সরিয়ে নিয়ে আসে। 

তবে ভূতত্ত্ববিদদের একাংশ মনে করছেন, বিপদ এখনই কাটছে না। ইন্দোনেশিয়ায় সম্প্রতি দুটি ভূমিকম্প হয়। তার ফলে ভূগর্ভস্থ দুটি পাতের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হওয়াতেই এই অগ্ন্যুৎপাত বলে মনে করছেন তারা। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই ভূকম্পপ্রবণ। এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মোট ১২০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।


আগ্নেয়গিরি   ইন্দোনেশিয়া   সুনামি   সতর্কতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন