ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সর্বোচ্চ খরার রেকর্ড হবে ২০২২ সালে?

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সর্বোচ্চ খরার রেকর্ড হবে ২০২২ সালে?

গোটা ইউরোপ ও চীনের কিছু অংশে এবারের গ্রীষ্মের তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। খরার কারণে আফ্রিকায় লাখ লাখ লোক খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি নেই বললেই চলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার উষ্ণ ও শুষ্ক ঋতু রেকর্ড করতে পারে, কিন্তু গত কয়েক মাস কি রেকর্ড পরিমাণে শুষ্ক আবহাওয়া ছিল? বা পৃথিবী আসলে কতটা শুষ্ক? এসব বিষয় নিয়ে এক ধরনের উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

বিজ্ঞানীদের খরা পরিস্থিতির একটি পরিমাপ মাটির আর্দ্রতার স্তরের উপর ভিত্তি করে করা হয়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও খরার চিত্র ফুটে উঠে।

সম্প্রতি আবহাওয়ার ধরণ কতটা চরম হয়েছে তার একটি চিত্র তৈরি করতে গত তিন মাসের এই শুষ্ক অবস্থাকে এই শতাব্দীর শুরু থেকে গড় অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়। যেখানে মাটির অবস্থা ও তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত উভয়ের ওপর ভিত্তি করে মাটির আর্দ্রতার অসঙ্গতি তথ্য তুলে ধরা হয়।

দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ ইউরোপ এই গ্রীষ্মে ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সালের এই সময়ে গড় আবহাওয়ার তুলনায় অনেক বেশি শুষ্ক ছিল। অন্যত্র, চীনের পশ্চিমে আবহাওয়া খুব শুষ্ক হয়েছে, অনেক অঞ্চল আবার চরম খরার সম্মুখীন হয়েছে। সাব-সাহারান আফ্রিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশেও শুষ্ক অবস্থা বিরাজমান ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে ৫০০ বছরে খরার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে এবার। আগস্টের শেষের দিকে ইউরোপের প্রায় অর্ধেকে চরম শুষ্কতা দেখা দেয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তন মানে ইউরোপ আরো ঘন ঘন ও ক্রমাগত খরার মুখে পড়তে থাকবে। এ বছরের শুষ্ক পরিস্থিতি এরই মধ্যে কৃষি, পরিবহন ও জ্বালানি উৎপাদনকে ব্যাহত করছে। রাইন, একটি প্রধান নদী ও কার্গো রুট। এবারের গ্রীষ্মে নদীটির পানি নিম্ন স্তরে নেমে গেছে, যার ফলে শিপিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত জুন থেকে আগস্টের মধ্যে সময়কাল ছিল রেকর্ডে সর্বোচ্চ উষ্ণতম। আগস্টে ইইউর একটি প্রতিবেদনে আরও অন্তত তিন মাস ‘উষ্ণ ও শুষ্ক’ অবস্থার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। ইউরোপে অতীতেও খরার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে, যেটি সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। রাইনে খরার কারণে ৩০ সেন্টিমিটার পানি শুকাতে বাকি আছে মাত্র।

পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক ড. ফ্রেড হ্যাটারম্যান বলেছেন, ‘আমরা গত পাঁচ বছর ধরে একটানা খরার সম্মুখীন হচ্ছি এবং এ বছরে শত শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি শুধু কম বৃষ্টি হওয়া নয়, আরও বেশি উষ্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাই সামগ্রিক মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পেয়েছে’।

চীনে খরা আবার বন্যা দুই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার। এই গ্রীষ্মে, চীনে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দুই মাসেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। ৬০-র দশকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এটির স্থায়ীত্ব বেশি বলছে, চীনের আবহাওয়াবিষয়ক প্রশাসন।

চরম তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের অভাবে চীনের বৃহত্তম নদী ইয়াংজি সংকুচিত হয়ে গেছে। চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে নদী সংলগ্ন এলাকায় ৬০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ চীনের বিশাল এলাকা খরার সঙ্গে লড়াই করলেও, উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে। উত্তর চীনের লিয়াও নদী ১৯৬১ সাল থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে জল নিচে নামার দিক থেকে।

চীনের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সমীক্ষা বলছে, দেশজুড়ে ২০১২ সাল থেকে বৃষ্টিপাত ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই মাসে, চীন সরকার ৮টি খরা সতর্কতা এবং ১৩ হাজার ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে। ২০১৯ সালের একই সময়ে ২৮টির বেশি খরা সতর্কতা এবং ১০ হাজার ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি ছিল দেশটিতে।

চরম ভেজা ও শুষ্ক উভয় অবস্থাই বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।ইউএস ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর জল বিশেষজ্ঞ পিটার গ্লিক বলেছেন,‘সাইবেরিয়া ও পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো যখন খরার অঞ্চল বৃদ্ধি পায়, তখন সেই জল একটি ছোট এলাকায় অন্যত্র পড়ে, বন্যার মতো অবস্থা সৃষ্টি করে’।
আফ্রিকায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্ব ইথিওপিয়া, উত্তর কেনিয়া ও সোমালিয়ায় খরা পরিস্থিতির কারণে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

অক্সফাম বলছে, ‘আমরা এখন মহাদেশের সেই অংশে উচ্চ তাপমাত্রাসহ খুব কম বৃষ্টিপাতের তৃতীয় বছরে আছি’।
সোমালিয়ায় গত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই মৌসুমে বৃষ্টিপাত গত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে। কঙ্গো ও উগান্ডার বড় অংশ গড়ে বেশি শুষ্ক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ সুদান, মৌরিতানিয়া ও সেনেগালের মতো কিছু দেশে কীভাবে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে এবার। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক অংশে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
২০২১ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সামগ্রিকভাবে ‘১৯৭০-৭৯ সালের তুলনায়, খরা ও বন্যার সংখ্যা ২০১০-১৯ সালের মধ্যে যথাক্রমে প্রায় তিনগুণ এবং দশগুণ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে খরা পরিস্থিতিও প্রকট আকার ধারণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে খরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অঞ্চলে বছরের পর বছর শুষ্ক ও উত্তপ্ত আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, বিজ্ঞানীরা বলেন আমেরিকার পশ্চিমে গত দুই দশকে ১২শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে চরম খরা পরিস্থিতি দেখা গেছে। এই গ্রীষ্মে, গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বনে আগুন লেগেছে এবং জল সঞ্চয়ের মাত্রা কমে গেছে।
নাসার তথ্য বলছে, লেক পাওয়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার যা অ্যারিজোনা ও উটাহকে ঘিরে রয়েছে। এটি ৬০ এর দশকের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। জলবায়ু মডেলগুলো আভাস দেয় যে আগামী দশকগুলোতেও এই অঞ্চলে গড় হিসাব থেকে অনেক কম বৃষ্টিপাত হবে।

তাপমাত্রা   বিশ্ব খরা   জলবায়ু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানিদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর মতো জাপানেও রমজান মাসকে ঘিরে এক ধরণের আমেজ বিরাজ করে। রমজান এলেই জামাতের সাথে তারাবিহ আদায় করা ও ইফতার নিয়ে এক ধরণের উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় মুসল্লিদের ঘরে ঘরে। 

রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। মুসল্লিরা যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই রমজান মাসকে পালন করে থাকেন। আর রোজাদারদের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। তাদের বিশ্বাস, এ সময় আল্লাহ তাআলা তার রোজাদার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। 

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো জাপানের মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি- 

ইফতার মূলত খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করা হয়। কিন্তু অঞ্চলভেদে নানা ধরণের খাবার যুক্ত হয় এই ইফতারে।  

জাপানে মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম। আর বাংলাদেশিদের আনাগোনা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায় দেশটিতে। এ কারণেই হয়তো তাদের ইফতারের তালিকায় কিছু বাঙালি খাবার যুক্ত হয়েছে।    

জাপানিরা তাদের ইফতারে মূলত, জুস, স্যুপ ও বিভিন্ন ধরণের ফল-মূল রাখেন। এছাড়াও থাকে মাশি মালফুফ নামের এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী খাবার। যা আঙুর, বাঁধাকপি ও চাল মিশিয়ে বানানো হয়।  

এছাড়াও রয়েছে, মটরশুঁটি ও গরুর কলিজা মিশ্রিত কিবদা, রুটিতে মোড়ানো মাংসের কিমা ইত্যাদি।


জাপান   রমজান   ইফতার   সংস্কৃতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দ্বন্দ্ব: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রকাশ্য কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারতের। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের সমালোচনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লি আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার ভারতের দমন নীতির সমালোচনা করে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দেয় ভারত। সব মিলিয়ে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে অবস্থান করছে। 

উল্লেখ্য যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হয়। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। এদিকে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক বাকবিতণ্ডা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করেছে এবং নয়াদিল্লিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে ভারত। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুপ্রতিম কৌশলগত সম্পর্কে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছিল যে, যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয় তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে আগে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি অবস্থান গ্রহণ করে। ভারতের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোন দল অংশগ্রহণ করল, না করল সেটা বড় বিষয় নয়। সাংবিধানিক ধারায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটাই ভারত প্রত্যাশা করে এবং ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেছিলেন অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ভারতের কথা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুনে সে নিয়ে দু দেশের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। এই কূটনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত একটা নমনীয় অবস্থানে আসে। এই নমনীয় অবস্থান থেকেই নির্বাচনের পরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

অনেকেই মনে করেন যে, ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন যখন ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে তখন তার প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়বে?

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেটি পড়বে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন বাংলাদেশকে নিয়ে পৃথক এজেন্ডা তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশের বাজারে যেতে চায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য বিস্তার করতে চায়। কাজেই ভারতের সঙ্গে যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সেটির প্রভাব বাংলাদেশ সম্পর্কে পড়বে না। তাছাড়া ভারতের এই কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দুদেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে। বিশেষ করে ভারত একটি বড় দেশ। ভারতের সঙ্গে এর আগেও অনেক বিষয় নিয়ে মতদৈত্যতা ছিল। সেটি কাটিয়ে উঠে বৃহত্তর পরিসরে দু দেশ এক সাথে কাজ করেছে। এক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত   বাংলাদেশ   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার কেজরিওয়াল বিতর্কে জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার দেশ জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করার পর এবার বিতর্কে এলো জাতিসংঘ। 

বৃহস্পতিবার(২৯ মার্চ) রাতে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকও জানান, তাদের আশা, ভোটের সময় অন্য দেশের মতো ভারতেও রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রত্যেকের অধিকার রক্ষিত হবে, যাতে সবাই সুষ্ঠুভাবে, মুক্ত মনে ভোট দিতে পারেন।  

কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার এবং তাকে হেফাজতে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, ভারতকে তা বিব্রত করলেও কূটনৈতিক পর্যায়ে তার জবাব দেয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিকদের ডেকে এ ধরনের মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র থেমে থাকেনি। দ্বিতীয়বারও তারা এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে, মন্তব্য করেছে। তাদের সঙ্গে এবার বিতর্কে যুক্ত হলো জাতিসংঘও। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে স্টিফেন ডুজারিককে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রশ্নে কংগ্রেস দলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভোটের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীরা মনে করছেন, এভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘ কীভাবে দেখছে?  

এমন প্রশ্নে, তিনি মুক্ত মনে ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কথাটি ভারতের পক্ষে অবশ্যই বিব্রতকর।   

প্রথম দফায় সাত দিন হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে দিল্লির নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর দাবি জানায়। বিচারক চার দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। তবে তার আগে কেজরিওয়ালকে অনুমতি দেন এজলাসে নিজের হয়ে সওয়াল করার। অনুমতি পেয়ে কেজরিওয়াল বলেন, তাকে ফাসানোই ইডির একমাত্র লক্ষ্য।


কেজরিওয়াল   বিতর্ক   জাতিসংঘ   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিরা এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   যুদ্ধ   ইসরায়েল   হামাস   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। 

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। পরে জম্মু ও কাশ্মীরের রমবান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী-সহ ট্যাক্সিটি আচমকা রাস্তার পাশে থাকা গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও যোগ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেজা থাকায় উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে।


কাশ্মীর   ট্যাক্সি   এসডিআরএফ   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন