ইউক্রেইনের
আক্রমণ চালানোর দায়ে রাশিয়াকে ‘ন্যায্য সাজা’ দিতে বিশেষ জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনাল গঠনের
দাবি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
অর্থনৈতিক শাস্তি
এবং নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়ার ভিটো ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়াসহ মস্কোকে নানা ধরণের সাজা
দিতে বৈশ্বিক এ সংস্থাটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা
রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে
দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
রুশ প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো মস্কোকে যুদ্ধকালীন সৈন্য
সমাবেশের নির্দেশ এবং রাশিয়াকে রক্ষায় প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেওয়ার
পর জেলনস্কির রেকর্ড করা এ ভাষণ এল।
ফেব্রুয়ারিতে
ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর সাত মাস পর যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মস্কো এখন ৩ লাখ
রিজার্ভ সেনা সদস্যকে নিয়মিত বাহিনীতে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।
এরই মধ্যে দুই
পক্ষের এই সংঘাত লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে অসংখ্য শহরকে,
লাখ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।
“ইউক্রেইনের
বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, আমরা এর ন্যায্য সাজা চাইছি। আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে
আগ্রাসনমূলক অপরাধের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দিতে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত।
“এই যুদ্ধের
জন্য রাশিয়াকে নিজের সম্পদ থেকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে,” নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য
হিসেবে ভিটো প্রয়োগের যে ক্ষমতা রাশিয়ার আছে, তা তুলে নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান
জানিয়ে বলেন জেলনস্কি।
শান্তির জন্য
দরকষাকষি বহির্ভূত ৫টি শর্তেরও উল্লেখ করেন তিনি। এগুলোর মধ্যে আছে রাশিয়ার আগ্রাসনের
সাজা, ইউক্রেইনের সুরক্ষা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।
ইউক্রেইনের
প্রেসিডেন্টের ভাষণ শেষে জাতিসংঘে উপস্থিত অনেক দেশের প্রতিনিধিই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান
তাকে।
জেলনস্কির ভাষণের
আগে বুধবার পুতিন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ‘আংশিক সৈন্য সমাবেশে’ নির্দেশের
পাশাপাশি ইউক্রেইনের যে ৪টি প্রদেশ এখন রুশপন্থিদের দখলে আছে তা রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত
করতে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
রাশিয়াকে রক্ষায়
প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি, বলেছেন, ‘এটা ধাপ্পা নয়’।
এই ‘আংশিক সৈন্য
সমাবেশের’জন্য রিজার্ভ থেকে যাদের ডাকা হচ্ছে তাদের মূল কাজ হবে ইউক্রেইনে এক হাজার
কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অবস্থান শক্তিশালী করা, বলেছেন রুশ
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
তবে রিজার্ভ
থেকে ডাকা ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে আর তা শেষ করে তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে
কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে বলে ধারণা পশ্চিমা সমর বিশেষজ্ঞদের।
ইউক্রেন রাশিয়া ভিটো ক্ষমতা জতিসংঘ বিশ্ব সংবাদ ভলোদিমির জেলেনস্কি
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন