ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ পাউন্ডের রেকর্ড ধসের পেছনে দায়ী একজন!

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail ব্রিটিশ পাউন্ডের রেকর্ড ধসের পেছনে দায়ী একজন!

চলতি সপ্তাহে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর সর্বনিন্মে নেমে গেছে। ইউকে বন্ড বিক্রয়ে ব্যাপক ধস নামায় এই পরিস্থিতিতে পড়েছে ব্রিটিশ পাউন্ড। আর এ জন্য কেবল একজন ব্যক্তিকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তিনি হলেন- ব্রিটেনের নতুন অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং। কেননা, সম্প্রতি তিনি কর কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই ব্রিটিশ পাউন্ডের দরে ধস নামে। তবে ব্রিটেন স্ব-প্ররোচিত অর্থনৈতিক এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছে।

প্রায় এক মাস হল ব্রিটেনের শীর্ষ অর্থনৈতিক পদ- চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার তথা অর্থমন্ত্রীর পদে আসীন হয়েছেন ৪৭ বছর বয়সী কোয়াসি কোয়ার্টেং। তিনি কোনওভাবেই অনভিজ্ঞ নন। ২০১০ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার আগে, তিনি বিনিয়োগ ব্যাংক এবং হেজ ফান্ডে কাজ করেন। তিনি কেমব্রিজের ইটন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং হার্ভার্ডে কেনেডি স্কলার ছিলেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ। তিনি অর্থনীতির ওপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন, যেগুলো ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং এসব বইয়ের জন্য বহু অনুদানও পেয়েছেন।

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে দেশটির অর্থনীতির এই ধসের জন্য এই অর্থনীতিবিদ দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবার কোয়াসি কোয়ার্টেং একটি ‘মিনি বাজেট’ ঘোষণা করেন। এতে দেড় লাখ পাউন্ডের বেশি আয় করা নাগরিকদের জন্য ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর বাতিল এবং ব্যাংকারদের বোনাসের উপর ‘ক্যাপ’ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এই পদক্ষেপগুলো যে নাটকীয়ভাবে সরকারের রাজস্ব হ্রাস করবে তা অনুমিতই ছিল। একই সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ বিল থেকে পরিত্রাণ দিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করার পরিকল্পনাও করেছে লিজ ট্রাস সরকার। এর অর্থ হল- যখন সব কিছুর দাম দ্রুত বাড়ছে, তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে বড় অংকের অর্থ ধার করছে সরকার। এই বিষয়গুলো একসঙ্গে মেলানো যায় না তা বুঝতে বা দেখতে কেমব্রিজের পিএইচডি লাগে না।

বাজারের প্রতিক্রিয়া কী?

বাজারে বর্তমানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত সোমবার প্রতি পাউন্ডের দর ছিল ১.০৩ মার্কিন ডলারের সমান, যা বিগত ছয় মাস আগের থেকে ২২ শতাংশ কম। সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, যাকে যুক্তরাজ্য ‘কস্ট অব লিভিং ক্রাইসিস’ বলে থাকে। এর দুই দিন পর, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ব্রিটেনের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মরিয়া প্রয়াস চালায় এবং জরুরি ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ বন্ড কিনে নেয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাধারণত টিনপট একনায়কত্ব এবং বানানা রিপাবলিকের মতো দেশগুলোকে এই ধরনের পদক্ষেপে তিরস্কারের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গভীর সমালোচনামূলক নোটে জাতিসংঘ-সমর্থিত তহবিল আইএমএফ বলেছে, “ব্রিটেনের এসব পদক্ষেপে দেশটিতে বৈষম্য বাড়াতে পারে।”

ব্রিটেনের এই ‘মিনি বাজেট’- ব্রিটিশ অর্থনৈতিক স্কেলের জন্য ব্রেক্সিট, মহামারী এবং ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়েও বড় বিপর্যয় বলে মনে হচ্ছে। তাহলে লিজ ট্রাস সরকার কেন এমন করল?

বিশ্লেষকরা মাথা চুলাচ্ছিলেন, বিশেষ করে যখন ট্রাস সরকার বাজেটের জন্য ‘অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটি’র মতো বিষয়টি মূল্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তা লঙ্ঘন করে।

অনেকেই মনে করেন- অর্থনীতি বিষয়ে কোয়ার্টেংর লেখায় এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা চরম মুক্ত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিতর্কিত- বলা যায় মৌলবাদী মতবাদ বা দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল- কোয়ার্টেং, ট্রাস ও অন্যান্য কনজারভেটিভ এমপি কর্তৃক  ২০১২ সালে প্রকাশিত একটি বই, যার নাম ‘ব্রিটানিয়া আনচেইন্ড’। বইটি যুক্তি দেখায় যে- ব্রিটেন ‘উচ্চ ট্যাক্স’ এবং ‘অত্যধিক আইন’ দ্বারা একটি ‘স্ফীত রাষ্ট্র’ হয়ে উঠেছে। কেবলমাত্র আক্রমণাত্মক প্রো-মার্কেট, স্বাধীনতাবাদী অবস্থান দেশটিকে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছে দিতে পারে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, দ্রুত বর্ধনশীল এশীয় অর্থনীতির তুলনায় যুক্তরাজ্যকে চরম দুর্দশাগ্রস্ত দেখাচ্ছে।

বইটিতে আরও বলা হয়, “ভারতীয় শিশুরা ডাক্তার বা ব্যবসায়ী হতে চায়, ব্রিটিশরা ফুটবল এবং পপ সঙ্গীতে বেশি আগ্রহী।”

ক্রেডিট সংকট ও অর্থনৈতিক পতন এড়াতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পদক্ষেপ

সেই সময়, ব্রিটানিয়া আনচেইনড’ এর লেখকদের এই নামের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ চলতি সপ্তাহে উল্লেখ করেছে, অর্থনৈতিক ইতিহাসের উপর কোয়ার্টেংয়ের অন্যান্য কাজ আর্থিক বাজার এবং ব্যাংকারদের একটি বর্ধিত অবিশ্বাসকেই তুলে ধরে, যা নতুন করে আবারও প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।

তার ডক্টরাল থিসিস- যা উইলিয়াম তৃতীয়-এর সিদ্ধান্তের শিরোনাম-দখলকারী বিষয়ের চেয়ে কম আলোকপাত করে। ১৬৯৫-৯৬ সালে ইংল্যান্ডের মুদ্রা পুনরায় জারি করার দিকে মনোনিবেশ করেন- যুক্তি দিয়েছিলেন যে ‘স্বর্ণকার এবং ব্যাংকারদের স্বার্থ জাতির সাধারণ কল্যাণের জন্য ক্ষতিকারক নয়।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে কিছু সংস্কার দরকার, এর কথার বিরুদ্ধে খুব কম মানুষই যুক্তি-তর্ক করবে। ১৪ বছর আগের আর্থিক বিপর্যয়ের পর থেকে অর্থনীতির শ্লথ হয়ে গেছে। এরপর থেকে গড় বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১ শতাংশ, যা ১৯৪৮ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যবর্তী বছরগুলোতে ছিল ২.৭ শতাংশ।

কোয়ার্টেংয়ের মিনি-বাজেট অর্থনীতিতে যুক্তরাজ্যের জন্য সাপ্লাই-সাইড অর্থনৈতিক শক থেরাপি বলেই মনে হচ্ছে। 

এই অনুপ্রেরণা হয়তো আমেরিকা থেকে এসেছে। বিশেষ করে ব্রিটিশ চ্যান্সেলর মার্গারেট থ্যাচারের আদর্শ- মার্কিন সমকক্ষ রাষ্ট্রপতি রেগান, যাকে ‘সরকারি রাজস্ব ও সরকারি সম্পদ কমানোর জন্য ‘স্টার্ভ দ্য বিস্ট’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়।’

কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম টুজ এই সপ্তাহে গার্ডিয়ানের জন্য লিখেছিলেন, বাজারের বিশৃঙ্খলা তাত্ত্বিকভাবে এই ধারণাটিকে উপকৃত করতে পারে: “কর কমানো এবং রাজস্ব কমে যাওয়ার সাথে সাথে সরকার ব্যয় কমানোর জন্য অপ্রতিরোধ্য চাপ তৈরি করবে। যখন আপনি আর্থিক বাজার থেকে চাপ নিতে পারবেন তখন যুক্তিটি আরও জরুরি।”

কিন্তু ব্রিটেন আমেরিকা নয়। "Reaganomics" শুধুমাত্র বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতিই নয়, এর প্রধান মুদ্রা, শক্তিশালী মার্কিন ডলার দ্বারাও সমর্থিত ছিল।

ট্রাস এবং কোয়ার্টেং নেতৃত্ব ব্রিটেনের তাও নেই। এর কিছু প্রবল সমর্থক এখনও স্বীকার করতে পারেনি যে ব্রিটেন একটি ক্ষয়প্রাপ্ত শক্তি, যা অর্থনৈতিকভাবে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে- কারণ এর প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়ছে।

দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের জনান গণেশ চলতি সপ্তাহে লিখেছেন, “সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটেন যা করেছে তার অনেক কিছু থেকেই বোঝা যায় যে- এটি ৩৩০ মিলিয়ন জনগণের একটি দেশ এবং এর বার্ষিক উৎপাদন ২০ ট্রিলিয়ন ডলারের।

মিনি-বাজেটের প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় নিয়ে- বাজারগুলোতে শুধু বন্ড বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংকাররা মনে করছেন না যে, কর কমানোর মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রবৃদ্ধি বাড়াবে। সত্যিকার অর্থেই অনেকে হতবাক হয়েছেন যে, অর্থনীতির সমস্যা বিবেচনায় নয়, শুধুমাত্র ঘাটতি কমানো ও রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাজ্য সরকার অর্থনীতির এই দুর্যোগকালে এমন সিদ্ধান্ত নেবে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে জেপি মরগান লিখেছেন, “যদিও এই প্যাকেজটি খবু একটা বড় নয়। কিন্তু সরকার এর প্রভাবকে কিছু মনেই করছে না। একই সঙ্গে এটি এমন বিতর্কিত কৌশলকে স্বাগত জানাচ্ছে যা অর্থোডক্সির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।”

কোয়ার্টেং ও তার সহযোগীরা বাজারের প্রতিক্রিয়া দেখে বিস্মিত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু তারা ব্যাংকারদের আশ্বস্ত করার জন্য প্রকাশ্যে খুব কম মন্তব্য করছেন। কর কমানোর প্রভাবের উপর তাকে খুব বেশি মনোযোগী বা খুব রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বলেও মনে হচ্ছে না- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এমপি ‘দ্য ইকোনমিস্টকে’ এসব কথা বলেন।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের রাজনীতির অধ্যাপক টনি ট্র্যাভার্স ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, “তারা অজনপ্রিয়তার এই ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক। কারণ তারা মনে করে এটি দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে।”

যদি এটি শেষ পর্যন্ত কাজ করে, তবে বেশিরভাগ প্রশংসা সম্ভবত ট্রাসের পরিবর্তে কোয়ার্টেংয়ে ঝুলিতে যাবে, যার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সময়ের সাথে সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে হয়। কোয়ার্টেংকে একজন সত্যিকারের সাপ্লাই-সাইড ইকোনমিস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যাকে অন্য একজন এমপির স্ত্রী ‘প্রয়োজনীয়ভাবে একাডেমিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ঘানার অভিবাসীপুত্র কোয়ার্টেংই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি, যিনি যুক্তরাজ্যের ‘চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার’ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

কিন্তু যদি এই কৌশল কাজ না করে? ইতোমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গেছে যে, পরবর্তী নির্বাচনের আগেই পতন ঘটবে লিজ ট্রাস সরকারের। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারির আগেই পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা। আর এর অর্থ হবে এক দশক বা তারও কম সময়ে পঞ্চম ব্রিটিশ নেতা হিসেবে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখোমুখি হবেন লিজ ট্রাস।

আর চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার তথা অর্থমন্ত্রী হিসেবে কোয়ার্টেং ইতিহাসের বইয়ে স্থান করে নেবেন, যিনি প্রমাণ করবেন যে তার নিজস্ব মতাদর্শ কাজ করেনি।


বিশ্ব   ব্রিটেন   ডলার মূল্য   ব্রিটিশ পাউন্ড   অর্থনীতি   যুক্তরাজ্য   পাউন্ডের দর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে। আমরা এই আক্রমণকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছি।

বাইডেন বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলা করতে সহায়তা করা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইরান সরকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উদপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নেতা এবং সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, হামলার পর আমি আমার সহকর্মী জি-৭ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের মিত্র এবং অংশীদাররা ইরানের অস্থিতিশীল সামরিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছে বা নেবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,যারা ইরানের হামলাকে সক্ষম বা সমর্থন করে তাদের সবার কাছে এটি পরিষ্কার হোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই অঞ্চলে আমাদের কর্মীদের এবং অংশীদারদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইরান   নিষেধাজ্ঞা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নন’

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যদি প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর  কোনো প্রেমিক আত্মহত্যা করেন, তার জন্য প্রেমিকা দায়ী থাকবেন না। তার বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা চাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে প্রেমিকার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা যাবে না। বুধবার এমনই এক রায় দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্ট।

আদালত বলেছে, দুর্বল ও ভঙ্গুর মানসিকতার জন্য যদি একজন পুরুষ এমন ভুল সিদ্ধান্ত নেন তাহলে প্রেমিকাকে দায়ী করা যাবে না।

আত্মহত্যার প্ররোচণায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারপূর্ব জামিন আবেদন নিয়ে শুনানিকালে এমন পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত। বিচারক অমিত মহাজন আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী যদি পরিক্ষায় খারাপ করার কারণে আত্মহত্যা করে তার জন্য তো কাউকে দোষারোপ করা যায় না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

এর আগে এমনই রায় দিয়েছিল ছত্রিশগড়ের একটি আদালত।

একজন নারী ও তার এক বন্ধুর জন্য আগাম জামিনের শুনানিকালে দিল্লি হাইকোর্ট আজ এই মন্তব্য করেন। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের উসকানিতে ২০২৩ সালে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ব্যক্তির পিতা থানায় অভিযোগে বলেছেন, আগে থেকেই তার ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুবতীর। একই সঙ্গে তিনি অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করতে থাকেন।

নিহত ব্যক্তির পিতা আরও অভিযোগ করেন, ওই যুবতীর দ্বিতীয় প্রেমিক প্রথম প্রেমিকের কাছে জানায়, যুবতীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক আছে এবং তারা খুব তাড়াতাড়িই বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এ কথা শুনে প্রথম প্রেমিক আত্মহত্যা করেন। তার মা তার রুম থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সেখানে একটি আত্মহত্যার চিরকুট পাওয়া যায়।

চিরকুটে তিনি লিখেন, ওই যুবতী ও তার দ্বিতীয় প্রেমিকের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। আদালত এটা আমলে নিয়ে বলেছে, চিরকুটে নাম উল্লেখ করে গেছেন মৃত ব্যক্তি। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, আত্মহত্যায় প্ররোচণা দিয়েছেন তিনি।

দিল্লি হাইকোর্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে ৩০ এপ্রিলের আগে হামলা চালাবে না ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েল ইরানে আগামী ৩০ এপ্রিলের আগে হামলা চালাবে না। জ্যেষ্ঠ একজন মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। এবিসি নিউজকে ওই কর্মকর্তা জানান, পাসওভার উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা চালাবে না ইসরায়েল। এই উৎসব শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিল। তবে এই সিদ্ধান্ত যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পাসওভার মূলত ইহুদি ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যা পেসেক বা নিস্তারপর্ব নামেও পরিচিত। প্রায় সপ্তাহজুড়ে চলা এই উৎসব ২২ এপ্রিল শুরু হয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। মিসরীয় শাসন থেকে ইহুদি জাতির মুক্তির সময়কে স্মরণীয় রাখতে এই উৎসব উদযাপন করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল পাসওভার উৎসবের আগে ইরানে হামলা চালাতে খুব একটা আগ্রহী নয়। তবে এই বিষয়টি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে।

এদিকে ইসরায়েলি একাধিক সূত্র এবিসি নিউজকে জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইসরায়েল অন্তত দুইবার ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে দুইবারই সে মিশন বাতিল করা হয়। সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি সমরবিদেরা দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সামনে একাধিক বিকল্প হাজির করলেও তারা এখনও খতিয়ে দেখছে কোন উপায়ে হামলা চালালে তা সবচেয়ে বেশি ফলপ্রসূ হবে।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে এক বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ অন্তত ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে। এই হামলার জবাবে শনিবার ইসরায়েল লক্ষ্য করে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সেই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।


ইরান   ৩০ এপ্রিল   হামলা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবুধাবির রাস্তায় পানিতে তলালো গাড়ি

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাসে। দুর্যোগের দুঃসময়ে অনেকেই বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত। তেমনি এক খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। তারা জানায়, রাস্তায় প্লাবিত একটি গাড়ি ভেঙে ভেতর থেকে একজনকে উদ্ধার করে কয়েকজন যুবক।

খবরে ৫০ সেকেন্ডের ভিডিও সংযুক্ত করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পানির মাঝ দিয়ে একটি গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে। যখনই গাড়িটি সেই ঢেউ আকৃতির রাস্তার সবচেয়ে নিচে পৌঁছাল, তখন গাড়িটির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। এক কথায় চালক সেখানে গাড়িটি নিয়ে আটকে পড়েন। এটি দেখে আশেপাশের কয়েকজন যুবক গাড়িটির ছাদের অংশের কাচ ভেঙে ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকারী যুবকদের মতো আমিরাতের প্লাবিত অনেক এলাকাতেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন অনেকে। তাদেরই একজন মুনির আল ওয়াফা। তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন। যেটির মাধ্যেম বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের নানা ধরনের সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টি, তীব্র বাতাস ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দেশটিতে গত মঙ্গলবার ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে রেকর্ড করা হয় ২৫৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি।


আবুধাবি   রাস্তা   পানি   তলালো   গাড়ি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ: বরখাস্ত ২৮ গুগল কর্মী

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচিত চুক্তি প্রজেক্ট নিম্বাস বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে গুগলের ২৮ জন কর্মীকে। আটক করা হয়েছে কমপক্ষে নয়জনকে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এমনটা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনবিসি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেয় ফিলিস্তিনপন্থী কর্মীরা। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টানা নয় ঘণ্টা চলে অবস্থান কর্মসূচি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গে ধরপাকড় চালায় পুলিশ। গ্রেফতারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে গুগল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারবেন না তারা।

গুগল ও অ্যামাজনের সঙ্গে ইসরায়েল সরকারের ১২০ কোটি ডলারের বিতর্কিত চুক্তিই হলো প্রজেক্ট নিম্বাস। এর মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে ক্লাউড পরিষেবাসহ উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   বরখাস্ত   ২৮ গুগল কর্মী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন