ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাহসা আমিনির মৃত্যু: প্রতিবাদের ঢেউ সামলাতে পারবে ইরান?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০২ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail মাহসা আমিনির মৃত্যু: প্রতিবাদের ঢেউ সামলাতে পারবে ইরান?

বিক্ষোভ চলাকালে আগুনের সামনে স্কার্ফ খুলে হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করছেন এক তরুণী। একাকী এক বৃদ্ধা, তার সাদা চুল খুলে, ‘খামেনির মৃত্যু!’ শব্দধ্বনি শুনতে শুনতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এবং তার শাসনের বিরুদ্ধে এই তীব্র প্রতিবাদ।

ইরানে জনসম্মুখে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরাসহ কঠোর পর্দা পালনের নিয়ম রয়েছে। এই বিধিগুলো তদারক করার জন্য রয়েছে দেশটির ‘নৈতিকতা বিষয়ক’ পুলিশ। এই পুলিশের একটি দল গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে। আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে তেহরানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলন-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ইরানের ডজন খানেকের বেশি শহরে। নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বব্যাপী। বহু বছর ধরে আয়াতুল্লাহ খামেনির ‘স্বৈরাচারী’ শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী আন্দোলন হচ্ছে এবার। বিক্ষোভ চলাকালে ইরানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে অন্তত ৮৩ জনের।

ব্যক্তিগত সাহস সম্মিলিতভাবে বিপ্লবের সূচনা করে। ২০১০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২, আলোচিত আরব বসন্তের কয়েক বছর কেটে গেছে। পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১০ সালে তিউনিসিয়ার সিদি বাওজিদ এলাকার ফুটপাতের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাওয়াজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। সেই ঘটনা থেকে হয় জন্ম আরব বসন্তের। ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের আত্মাহুতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশটিতে। আন্দোলনে ফেটে পড়ে পুরো দেশ। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বেন আলী। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বেন আলীর শাসনের সমাপ্তি ঘটে।

তিউনিসিয়ার বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন থাকা শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে বাহরাইন, মিশর, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে। বেশ কিছু বছর ধরে কয়েকবার ইরানিরা তাদের দেশের শাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরিত হয়েছে। এবারও দমন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জন্ম হলো। তবে এখনকার আন্দোলনের সময়টা কি ভিন্ন হতে পারে?

এটা ভবিষ্যৎ বাণী করা প্রায় অসম্ভব। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার বিক্ষোভ বেশি ছড়িয়ে পড়েছে ইরানে। তরুণদের সঙ্গে বয়স্করাও অংশ নিয়েছেন আন্দোলনে। কুর্দিসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও অংশ নিচ্ছেন এতে। তবে এখন পর্যন্ত নারীরাই সবচেয়ে সাহসিকতা দেখিয়েছেন এবারের আন্দোলনে। তবে ইরানের পুরুষরা যদি সমান মাঠে নামে তাহলে একটি ‘জঘন্য’ ব্যবস্থাকে অপসারণ করা, যদিও স্বল্পমেয়াদে এখনো অসম্ভব তবে অকল্পনীয় নয়।

চলমান বিক্ষোভে নারীদের ভূমিকা নতুন। আরেকটি পার্থক্য হলো দাবির বিষয়গুলোও বাস্তবে কঠিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সমসাময়িক তরুণরাও সামিল হচ্ছে আন্দোলনে। ২০১২ সাল থেকে মাথাপিছু আয় স্থবির হয়ে পড়েছে ইরানের। ফলে ৮৫ মিলিয়নের বেশি লোক কঠিন জীবনযাপন করছে দেশটিতে। ইরানে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রাকৃতিক কারণে। নদীগুলোর পানি শুকিয়ে গেছে। চাষের জমি শুকিয়ে গেছে। অনেক ইরানির কাছে এখন একটি বিকল্প হতে পারে দেশ ছাড়া যাওয়া।

ইরানের শাসনব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। অভিযোগ আছে, ইরানের সমস্যা বিদেশিদের ওপর দোষ চাপানো। নিশ্চিতভাবেই, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞাগুলো অর্থনৈতিক দুরাবস্থাকে আরও গভীর করেছে, কিন্তু জনগণের দারিদ্র্যের জন্য প্রধান দায়ী দেশটির শাসন ব্যবস্থাই। অর্থনীতির কিছু অংশে সামরিক লোক এবং আয়াতুল্লাহদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নীতিগুলো একরোখা। ইরানের পার্লামেন্টে কট্টরপন্থিরা আধিপত্য বিস্তার করে, এবং তুলনামূলকভাবে সংস্কারমনা রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়।

তা ছাড়া, কয়েক দশকের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতির কারণে ইরান আইসোলেটেড হয়ে পড়েছে। দেশটি ইরাক ও লেবাননে মিলিশিয়া ও সিরিয়া, ইয়েমেনে নৃশংস নেতাদের সমর্থন করে। ইরান উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য হুমকি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি পারমাণবিক পরিকল্পনার সঙ্গে টিকে থাকে যা ইসরায়েলকে আতঙ্কিত করে এবং এই অঞ্চলকে বিচলিত করে এমনটাও বলা হচ্ছে। বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের এতে মাথা ঘামানোর ঝুঁকি নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মনে করছেন অনেকে।

স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, বিদ্রোহকে উত্সাহিত করার জন্য পশ্চিমারা খুব কমই আগ্রহী হতে পারে কারণ বিশ্বের অন্যত্র যুদ্ধ চলছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের শাসনকে দুর্বল করেছে, তবে পরিবর্তন আনতে স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছে। বলা হচ্ছে, তেল সমৃদ্ধ ইরান মানবাধিকার নিয়ে পরোয়া করে না, বিশেষ করে চীনের মতো। ইরানের সঙ্গে চীনের ভালো অর্থনৈতিক সখ্যতা রয়েছে।

ইরানের সাহসীদের জন্য পশ্চিমা সরকারগুলো যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতে পারে তা হলো তাদের সেন্সরশিপ এবং নজরদারি এড়াতে সহায়তা করা। দেশটির ইন্টারনেট সেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের কঠোর শাসন থেকে মুক্তি পেতে তাদেরকেই লড়াই করতে হবে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হচ্ছে। কোনো সম্ভাব্য নেতার আবির্ভাব হয়নি। তবে সবশেষ বিদ্রোহও শেষ পর্যন্ত ম্লান হতে পারে, যেমনটি আগেরগুলো হয়েছিল।

মাহসা আমিনি   ইরান   হিজাব ইস্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, গুগলের আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

‘প্রজেক্টি নিম্বাস’ নামের ১২০ কোটি ডলারের এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড সেবা প্রদান করবে গুগল।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গুগলের কার্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইড’ শীর্ষক এই গোষ্ঠীর প্রতিবাদকারীরা। গত সোমবার তারা এক বিবৃতিতে জানান, গুগল আরও ২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর আগের সপ্তাহে আরও ৩০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।

নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেননি, বরং তারা পাশে দাঁড়িয়ে এই সমাবেশ দেখেছেন। কর্মক্ষেত্রের এসব তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণও তেমন একটা নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে গুগলের মতো মহিরুহ প্রযুক্তি কোম্পানি আগ্রাসী ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, সেদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণ আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি গেছে, তা ঠিক। তবে ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেননি, এ দফায় কতজন চাকরি হারিয়েছেন।

গুগলের সিইইউ সুন্দর পিচাই এই ঘটনার পর কর্মীদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জায়গা গুগল নয়। তিনি কর্মীদের আরও বলেন, তারা হলেন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা নীতি অনুযায়ী সবই করবেন।


ইসরায়েল   চুক্তি   বিরোধিতা   গুগল   ২০ কর্মী   ছাঁটাই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার অর্ধেক মানুষের দিন কাটছে অনাহারে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘অনাহারে’দিন কাটছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অর্ধেক জনসংখ্যার। আর চরম এই খাদ্য সংকটের মাঝে তাদের যে সাহায্যটুকু দেওয়া হচ্ছে তা বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএফপি বলেছে- গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক, আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ অনাহারে রয়েছে।

সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছে, ডব্লিউএফপি যখন প্রতি মাসে গাজায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে, তখন প্রয়োজন এতটাই তীব্র যে- এই ধরনের প্রচেষ্টা ‘প্রয়োজনের তুলনায় সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো’।

এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ত্রাণ সংস্থাও বলেছে, অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।


গাজা   অর্ধেক মানুষ   অনাহার   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক ১৩৩

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। আদালতের সমন জারির পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।


গাজা   যুদ্ধ   প্রতিবাদ   নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়   আটক ১৩৩  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমেরিকায় কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দু’জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডগলাস ডিসি-৪ নামের ওই কার্গো প্লেনটি মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল )  ফেয়ারব্যাঙ্কস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়।

আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে উড্ডয়ন করে এবং এর কিছুক্ষণ পরেই তানানা নদীর কাছে এটি বিধ্বস্ত হয়।

ওই অঙ্গরাজ্যের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি নদীর তীরে একটি খাড়া পাহাড়ের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।

কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)।

উল্লেখ্য, ডগলাস ডিসি-৪ মডেলের এই প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। বিশ্বে এ ধরনের অল্প কিছু প্লেন রয়েছে।


আমেরিকা   কার্গো প্লেন   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় এক কবরে শত শত লাশ

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই কবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ এখনো চলছে। এতগুলো মরদেহ দেখে হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। খবর সিএনএনের।

খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল।

গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।


গাজা   কবর   শত শত লাশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন