ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মধ্যবর্তী নির্বাচনে এগিয়ে ট্রাম্প; কি আছে বাইডেনের ভবিষ্যতে?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ১০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পালা শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। সব শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কংগ্রেসের দুই কক্ষেই এগিয়ে রয়েছে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে রিপাবলিকান দল পেয়েছে ২০৭ আসন ও বাইডেনের দল ডেমোক্রেট পেয়েছে ১৮৮। অন্যদিকে সিনেটে রিপাবলিকানরা পেয়েছে ৪৯ আসন ও ডেমোক্রেটরা পেয়েছে ৪৮ আসন। খবর সিএনএনের।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবেন ৫৩৫ জন আইন প্রণেতা, যারা কংগ্রেস সদস্য হিসেবে পরিচিত। কংগ্রেসের দুটি কক্ষ- সেনেট এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। আইন তৈরির জন্য কংগ্রেসের এই দুটি কক্ষ এক সঙ্গে কাজ করে।

সেনেট হচ্ছে কংগ্রেসের ১০০ সদস্যের উচ্চ কক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য, তাদের আকার যাই হোক, দুজন করে সেনেট সদস্য নির্বাচিত করে। সেনেটররা নির্বাচিত হন ছয় বছর মেয়াদের জন্য। প্রতি দু'বছর পর পর সেনেটের এক তৃতীয়াংশ আসনের জন্য নির্বাচন হয়।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদে (যাকে সংক্ষেপে হাউজ বলে ডাকা হয়) সদস্য আছেন ৪৩৫ জন। প্রত্যেক সদস্য তাদের অঙ্গরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট ডিস্ট্রিক্ট বা জেলার প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা দু'বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। কাজেই দু'বছর পর পর হাউজের সবগুলো আসনের জন্যই নির্বাচন হয়। 

এবারের নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বর্তমানে কংগ্রেসের সব সদস্য হয় ডেমোক্রেটিক পার্টি বা রিপাবলিকান পার্টি থেকে আসা। ডেমোক্রেটরা এখন কংগ্রেসের দুটি কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণে, তবে তাদের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই অল্প ভোটে।

সে কারণে এ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষে কাজ করতে তেমন কোন অসুবিধা হয়নি।

কিন্তু মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের কোন একটি কক্ষে বা উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায়, তখন তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে কোন পরিকল্পনা বানচাল করে দিতে পারবেন।

নভেম্বরে যে নির্বাচন হবে, সেখানে রিপাবলিকানরা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাদের পাঁচটি অতিরিক্ত আসন জিততে হবে।

সেনেটে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আরও তীব্র। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সেনেটে দুই দলেরই ৫০ জন করে সদস্য।

কিন্তু ডেমোক্রেটরা সেনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কারণ কোন ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে সমান সমান ভোট পড়লে তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস হারজিত নির্ধারণের জন্য তার ভোট প্রয়োগ করতে পারেন।

মূলত এবারে মধ্যবর্তী নির্বাচনে দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। পার্লামেন্টের প্রতিনিধি ছাড়াও এদিন বেশ কয়েকটি রাজ্যে গভর্নরেরও নির্বাচন হয়েছে। ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলোতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে।

বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী, এবারের ভোটে মূলত দুইটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। এক, মূল্যস্ফীতি ও দুই, গর্ভপাত। ভোটের জরিপ বলছে, রিপাবলিকানদের দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। ফলে মার্কিন কংগ্রেসে ডেমোক্রেটদের একাধিপত্য এবার কমতে পারে।

বেশ কিছু রাজ্যে ভোটের হার উল্লেখযোগ্য। বলা হচ্ছে, ডেমোক্রেটরা খুব শান্তিতে নেই। এবারের ভোটে তাদের ফলাফল ভালো হবে না বলে আগেই অনেকে ধরে নিয়েছেন। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট দুই কক্ষেই এবার রিপাবলিকানদের একাধিপত্য হবে বলে মনে করছেন অনেকে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে আগামী কয়েকবছর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে কাজ করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

এতদিন কংগ্রেসে বিরাট সমর্থন পেয়েছেন বাইডেন। উচ্চকক্ষ সেনেটে গিয়ে তাকে বার বার হোঁটচ খেতে হয়েছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানের সংখ্যা বেড়ে গেলে নিম্নকক্ষেও বাইডেনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে।

তবে এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তুলনায় এই সংখ্যা দ্বিগুণ। তবে এই ভোটার সংখ্যা পূর্বের প্রজন্মের তুলনায় আবার কম।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য এসবের মানে কী দাঁড়াবে

কংগ্রেসে এখনই যে কোন বিল পাশ করাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সব ডেমোক্রেট আইন প্রণেতার সমর্থন দরকার হয়। অনেক সময় সেটাও যথেষ্ট হয় না।

রক্ষণশীল ডেমোক্রেটরা এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ঠেকিয়ে দিয়েছে। এর একটি ছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ট্রিলিয়ন ডলারের 'বিল্ড ব্যাক বেটার' প্রকল্প, যেটিতে নানা রকম সামাজিক কর্মসূচী এবং জলবায়ুর পরিবর্তন প্রতিরোধে কার্যক্রম গ্রহণের কথা ছিল।

মধ্যবর্তী নির্বাচনে যদি ডেমোক্রেটরা বিপুল পরাজয়ের মুখে পড়ে, তখন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পক্ষে নতুন আইন পাশ করানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

কয়েকজন রিপাবলিকান এরই মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের কাজ-কর্ম গভীরভাবে তদন্ত করে দেখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

এর মানে হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে যে বিপর্যয় তৈরি হয়েছিল, সেই ঘটনা থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের নানা কথিত কেলেঙ্কারি নিয়েও তদন্ত শুরু হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে ৬ই জানুয়ারি যে হামলা হয়েছিল, তারপর থেকে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের নাটকীয় অবনতি ঘটে।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা ব্যবস্থা, মাস্ক পরার বিধি- এসব নিয়ে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে বিভেদ আরও বেড়েছে।

ওয়াশিংটনে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ যদি ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়, তখন সেখানে আরও শত্রুতা এবং নাটকীয়তা তৈরি হতে পারে।

তাহলে এরপর কী ঘটবে?

মধ্যবর্তী নির্বাচন যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন সবার নজর ঘুরে যাবে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিকে।

এটা হয়তো ২০২০ সালের লড়াইয়ের পুনরাবৃত্তি হতে পারে, কারণ প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প- দুজনেই বলছেন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ভাবছেন। ২০২৪ সালে কি আবারও ট্রাম্প এবং বাইডেনের মধ্যেই লড়াই হবে? যদিও নতুন কিছু প্রার্থীও এবার মাঠে নামবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   মধ্যবর্তি নির্বাচন   কংগ্রেস   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবুধাবির রাস্তায় পানিতে তলালো গাড়ি

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গেল কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইতিহাসে। দুর্যোগের দুঃসময়ে অনেকেই বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত। তেমনি এক খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। তারা জানায়, রাস্তায় প্লাবিত একটি গাড়ি ভেঙে ভেতর থেকে একজনকে উদ্ধার করে কয়েকজন যুবক।

খবরে ৫০ সেকেন্ডের ভিডিও সংযুক্ত করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পানির মাঝ দিয়ে একটি গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে। যখনই গাড়িটি সেই ঢেউ আকৃতির রাস্তার সবচেয়ে নিচে পৌঁছাল, তখন গাড়িটির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। এক কথায় চালক সেখানে গাড়িটি নিয়ে আটকে পড়েন। এটি দেখে আশেপাশের কয়েকজন যুবক গাড়িটির ছাদের অংশের কাচ ভেঙে ভেতরে থাকা এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকারী যুবকদের মতো আমিরাতের প্লাবিত অনেক এলাকাতেই স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করছেন অনেকে। তাদেরই একজন মুনির আল ওয়াফা। তিনি একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছেন। যেটির মাধ্যেম বৈরী আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের নানা ধরনের সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বৃষ্টি, তীব্র বাতাস ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। দেশটিতে গত মঙ্গলবার ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে রেকর্ড করা হয় ২৫৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি।


আবুধাবি   রাস্তা   পানি   তলালো   গাড়ি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ: বরখাস্ত ২৮ গুগল কর্মী

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচিত চুক্তি প্রজেক্ট নিম্বাস বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে গুগলের ২৮ জন কর্মীকে। আটক করা হয়েছে কমপক্ষে নয়জনকে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এমনটা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গণমাধ্যম সিএনবিসি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেয় ফিলিস্তিনপন্থী কর্মীরা। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে টানা নয় ঘণ্টা চলে অবস্থান কর্মসূচি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গে ধরপাকড় চালায় পুলিশ। গ্রেফতারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে গুগল কর্তৃপক্ষ। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ দিতে পারবেন না তারা।

গুগল ও অ্যামাজনের সঙ্গে ইসরায়েল সরকারের ১২০ কোটি ডলারের বিতর্কিত চুক্তিই হলো প্রজেক্ট নিম্বাস। এর মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে ক্লাউড পরিষেবাসহ উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   বরখাস্ত   ২৮ গুগল কর্মী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হিটলারকে ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েলের অপরাধ : এরদোয়ান

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আবারো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় ১৪ হাজার নিষ্পাপ শিশুসহ যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তা জার্মানির নাৎসিবাদী নেতা অ্যাডলফ হিটলারের অপরাধযজ্ঞকে ছাড়িয়ে গেছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গাজা এবং পশ্চিম তীর দুই জায়গায়ই গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল।  মানব ইতিহাসে শিশু হত্যা অন্যতম লজ্জাজনক ঘটনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোর কষ্টকর লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে তুরস্ক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়াই করেছে। ফলে আমরা জানি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মূল্য দিতে হয়।’ এরদোয়ান জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক সর্বাবস্থায় ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পাশে রয়েছে।


গাজা   ইসরায়েল   তুরস্ক   ইহুদিবাদী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তৈরি হচ্ছে এআই শিশু!

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমে নারী সঙ্গী ও পোষা প্রাণীর এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) সংস্করণ এসেছিল। এবার এআই শিশু সৃষ্টি করেছেন চীনের গবেষকরা। বেইজিং ইনস্টিটিউট ফর জেনারেল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেই ভার্চুয়াল চাইল্ড তৈরি করেছে। এটি যেমন স্বাভাবিক সংলাপ চালিয়ে যেতে পারে, তেমনি কনটেক্সট বা প্রেক্ষাপট বুঝতে এবং সংলাপের সময়ে সামঞ্জস্যও বজায় রাখতে পারে।

বলতে পারেন, চ্যাটজিপিটি-ও তো এসব কাজ করতে পারে। কিন্তু চীনের তৈরি টং টং’র বৈশিষ্ট্য হলো, সে শিখতে, মানিয়ে নিতে এবং নিজের ভার্চুয়াল পরিবেশের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারে। এমনকি মানুষের আবেগ শনাক্ত করে প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারে।

এক পরীক্ষায় টং টং’র সহজ কিছু ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া গেছে। যেমন- পড়ে যাওয়া তরল পরিষ্কার, বেঁকে যাওয়া ছবির ফ্রেম ঠিক করা কিংবা উঁচু জায়গায় চেয়ার নিয়ে যাওয়া তার জন্য কোনো সমস্যাই নয়। মানুষের নির্দেশ ছাড়াই স্বতন্ত্রভাবে এসব কাজ করতে পারে এটি।

কোনো একদিন সে হয়তো আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স বা এজিআই আয়ত্ত্ব করবে বলে আশা করছেন এর নির্মাতারা। অর্থাৎ সেই এআই শিশুর মধ্যে মানুষের সব বৈশিষ্ট্য থাকবে। যেমন- স্বতন্ত্রভাবে কগনিশন বা জ্ঞান গ্রহণ করা, সিদ্ধান্ত নেওয়া, সামাজিক স্তরে ভাবের আদানপ্রদান ও আবেগ প্রদর্শন।

শিশু হিসেবে তুলে ধরার কারনঃ ডেভেলপারদের মতে, পুরোপুরি উন্নত এজিআই যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো হয়, তাহলে টং টং’র ক্ষমতা চার বছর বয়সী শিশুর সঙ্গে তুলনীয়। তাছাড়া, মানুষ অতিবুদ্ধিমান এআই শুনলে ভয় পায়, কিন্তু শিশুদের ভালোবাসে। 

প্রথমদিকে এআই শিশু একটু অদ্ভুত লাগতে পারে বটে, কিন্তু যাদের নিজস্ব সন্তান পাওয়ার উপায় নেই, তাদের জন্য সেটি একটি পথ হতে পারে। অথবা যে বাবা-মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, তারা হয়তো এভাবে শোকের মাত্রা কিছুটা কমাতে পারেন। যথেষ্ট তথ্য থাকলে তারা হয়তো হারানো শিশুর ডিজিটাল সত্ত্বাও সৃষ্টি করতে পারেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে এআইর ভুলত্রুটি থেকে সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে। যেমন- আপনার এআই শিশু আচমকা নিজের ব্যক্তিত্ব বদলে ফেললে কেমন লাগবে? অথবা সে পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দিলেও আপনার আবেগ বড় ধাক্কা খেতে পারে। তাছাড়া স্বাধীনভাবে চিন্তা ও আবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম কোনো এআইর সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও নানা প্রশ্ন উঠে আসে।


এআই   শিশু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘ইউক্রেন হারলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে’

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সাথে সংঘাতে ইউক্রেন হেরে গেলে ‌‌‘‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’’ শুরু হয়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা একটি বিদেশি সহায়তা বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনের এই প্রধানমন্ত্রী বিলটি পাসের বিষয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজটির অনুমোদন দেবেন। আগামী শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে এই বিলের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক সহায়তার বিষয়টিও ওই বিলে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহাল যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার বিষয়ে বলেন, ‘‘এই অর্থ আমাদের গতকালই দরকার ছিল, আজ কিংবা আগামীকাল নয়।’’

তিনি বলেন, আমরা যদি এটা না পাই... তাহলে ইউক্রেনের পতন ঘটবে। আর তখন বিশ্ব, বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে...। আর এটা ঘটলে পুরো বিশ্বকে নিরাপত্তার একটি নতুন ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে।’’

‘‘অথবা বিশ্বজুড়ে অনেক সংঘাত দেখা দেবে। এই ধরনের অনেক যুদ্ধ বাধবে। দিনের শেষে এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াবে।’’

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে সম্ভাব্য পরাজয় নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এবারই প্রথম যে এভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়। কারণ এর আগে গত বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, সংঘাতে রাশিয়া যদি জিতে যায়, তাহলে তারা পরবর্তীতে পোল্যান্ডে আক্রমণ করবে; যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করবে।

তবে পশ্চিমাদের এই ধরনের যুদ্ধভীতির দাবিকে নিয়ে উপহাস করেছেন ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া পূর্ব ইউরোপে একদিন হামলা চালাতে পারে পশ্চিমাদের এমন আশঙ্কাকে ‘‘পুরোপুরি বাজে কথা’’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভেতরে কোনও দেশে রাশিয়া কখনই হামলা চালায়নি। ন্যাটোর সামষ্টিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, কোনও সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে তা জোটের সব সদস্যের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বুধবারের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহালকে রিপাবলিকান হাউসের পররাষ্ট্রবিষয়ক চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককালের নিজ দলের সদস্যরা রাশিয়ার প্রচারণায় ‘‘সংক্রমিত’’ হচ্ছেন’, সাম্প্রতিক এমন এক দাবির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বোঝা উচিত যে, মিথ্যা তথ্য এবং অপপ্রচার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক মানুষের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে ইউক্রেনেও ছড়ানো হচ্ছে।’’


ইউক্রেন   হারল   তৃতীয়   বিশ্বযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন