ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পরবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের পথে বাধা কারা?

প্রকাশ: ১১:০৭ এএম, ১১ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়েই মূলত ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। আর সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতায় নাম লেখাতে অপেক্ষায় রয়েছেন বেশ কিছু রাজনীতিবিদ।

রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নের ক্ষেত্রে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তিনি যেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সেই সুযোগ আবারও পেতে পারেন।

কিন্তু এ সপ্তাহের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল ট্রাম্পের জন্য খুব একটা সুখকর হয়নি। কারণ, তার সমর্থিত বেশ কয়েকজন প্রার্থী হেরে গেছেন। এটি রিপাবলিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সাবেক প্রেসিডেন্টের ফের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

পরবর্তী নির্বাচনের সময় ট্রাম্পের বয়স হবে ৭৮ বছর। সম্ভবত তিনি দলের মধ্যেই মনোনয়নপ্রত্যাশী একটি অংশের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। আর এই মনোয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এমন নেতারাও রয়েছেন, যারা একসময় তার অনুসারী ছিলেন।

রন ডিসান্টিস

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস নিজেকে ট্রাম্পের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি ১৫ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

৪৪ বছর বয়সী ডিসান্টিস হার্ভার্ড ও ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তিনি এখনো তুলনামূলক নতুন।

একসময় নৌবাহিনীতে কাজ করেছেন ডিসান্টিস। ইরাকেও গিয়েছিলেন। ২০১৩-১৮ সালের দিকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের স্বল্প পরিচিত সদস্য ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে গভর্নর হওয়ার পর থেকে ক্রমশ তারকা হয়ে ওঠেন এ নেতা। বিশেষ করে, তার রক্ষণশীল অবস্থানের কারণে।

তার সময়েই প্রথমবারের মতো রাজ্যে রিপাবলিকান ভোটার ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে তিনি মাস্ক ও ভ্যাকসিন বিষয়ক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছেন। দাঙ্গাবিরোধী আইন করেছেন এবং স্কুলে সমকামী শিক্ষা সীমিত করতে আইনে সমর্থন জুগিয়েছেন।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ডিসান্টিসের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন। এমনকি, ২০২৪ সালে নির্বাচনে দাঁড়াতে চাইলে তার তথ্য ফাঁস করার হুমকিও দিয়েছেন।

মাইক পেন্স

গত বছরের শুরুতে মার্কিন পার্লামেন্টে দাঙ্গার আগপর্যন্ত ট্রাম্পের খুবই অনুগত ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাইক পেন্স।

তার পিতা ছিলেন কোরিয়া যুদ্ধের একজন নায়ক। তবে পেন্সের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো রেডিও উপস্থাপক হিসেবে।

কংগ্রেস সদস্য হিসেবে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ১৩ বছর তিনি নিজেকে একজন আদর্শ রক্ষণশীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং টি পার্টি মুভমেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

২০১৩ সাল থেকে পরবর্তী চার বছর ছিলেন ইন্ডিয়ানার গভর্নর। সে সময় রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কর ছাড় দিয়েছিলেন এবং গর্ভপাত সীমিত করতে ও ধর্মীয় স্বাধীনতার সুরক্ষা বিলে সই করেছিলেন তিনি।

৬৩ বছর বয়সী এ নেতা তার ধর্মবিশ্বাসের কারণে আলাদা সুবিধা পাবেন। কারণ খ্রিস্টানদের মধ্যে তিনি যে অংশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তার আলাদা একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিল।

শান্ত ও স্থির প্রকৃতির পেন্সকে দেখা হয় উচ্চকণ্ঠের ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যকর প্রতিনিধি হিসেবে। যদিও গত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে রাজি না হওয়ায় পেন্সের সাহসের অভাবকেই দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পপন্থিরা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেছিল এবং পেন্সের ফাঁসি দাবি করেছিল। একপর্যায়ে তারা তৎকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্টের ৪০ ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল।

এরপর থেকেই ট্রাম্প ও পেন্সের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তাছাড়া, পেন্স এবারের নির্বাচনে এমন কয়েকজন প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, যার বিরোধীকে সমর্থন দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে পেন্স কখনো তার সাবেক বসের সরাসরি সমালোচনা করেননি।

লিজ চেনি

সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির কন্যা লিজ চেনিকে একসময় রিপাবলিকান পার্টির উঠতি তারকা মনে করা হতো। ২০১৭ সালে পিতার আসনে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করায় দলের ভেতর সমর্থন হারান লিজ।

কংগ্রেস ভবনে হামলার পর ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষেও ভোট দিয়েছিলেন তিনি। তবে এই ভূমিকার জন্যেও মূল্য দিতে হয়েছে তাকে। উওমিং প্রাইমারিতে লিজ ট্রাম্প-সমর্থিত প্রার্থীর বিপক্ষে ৪০ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান।

ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় কংগ্রেস যে তদন্ত করছে, সেখানে রিপাবলিকান দলের দুজন সদস্যের মধ্যে লিজ একজন। কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

তবে লিজ চেনি এখনো নিজেকে রিপাবলিকান ভাবেন ও দলের পুনরুজ্জীবনের জন্য যা দরকার তাই করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মাইক পম্পেও

কানসাস থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য মাইক পম্পেও ২০১৬ সালেই সতর্ক করেছিলেন, ট্রাম্প কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন এবং সংবিধানকে উপেক্ষা করবেন।

মর্যাদাপূর্ণ ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমিতে গ্রাজুয়েশন করেছেন তিনি। হার্ভাডে পড়ালেখা করা এই আইনজীবী সিআইএ পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুরোনো নীতি থেকে সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছেন পম্পেও। তবে তাকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে। তিক্ততায় জড়িয়েছেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গেও।

গ্লেন ইয়াংকিন

গত বছর ভার্জিনিয়ায় গভর্নর পদে জিতে রিপাবলিকানদের রীতিমতো বিস্মিত করেছিলেন গ্লেন। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের এক প্রভাবশালী প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি। তার রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ডেমোক্র্যাটদের ভোট বাড়ছিল।

বিভাজনের রাজনীতিকে ‘খুবই তিক্ত’ বলে সমালোচনা করেছেন গ্লেন। তবে ৫৫ বছর বয়সী এই নেতা আলোচনায় আসেন দায়িত্ব গ্রহণের দিনই কোভিড বিধিনিষেধ তুলে ফেলা ও স্কুলে ক্রিটিক্যাল রেস থিওরি শেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর।

এবার মধ্যবর্তী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে তিনি কাজ করেছেন। তবে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামীর ওপর হামলার বিষয়ে মন্তব্য করে সমালোচিত হয়ে পরে ক্ষমা চেয়েছেন গ্লেন।

নিক্কি হ্যালি

একসময় তাকে রিপাবলিকান পার্টির সবচেয়ে উজ্জ্বল তারকা মনে করা হতো। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিক্কির অবস্থা কিছুটা মলিন হয়েছে।

সাউথ ক্যারোলাইনায় পাঞ্জাবি শিখ অভিবাসী পরিবারে জন্ম নেওয়া নিক্কি ২০০৯ সালে সর্বকনিষ্ঠ গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নিজেকে ট্রাম্পের ভক্ত নন বললেও ট্রাম্প প্রশাসনের তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধির বক্তব্যের সময় তিনি বিতর্কিতভাবে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

অনেক সমালোচনাও কুড়িয়েছেন ৫০ বছর বয়সী এই নেতা। ট্রাম্প গত বছর নিক্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বলে খবর ছড়িয়েছিল।

রিক স্কট

ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত আইনপ্রণেতা রিক স্কট। এবার সিনেটে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। দেশজুড়ে প্রার্থীদের তহবিল সংগ্রহে কাজ করেছেন।

এর বাইরে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে টেক্সাসের সিনেটর ট্রেড ক্রুজ, ম্যারিল্যান্ডের সাবেক গভর্নর ল্যারি হোগান, টেক্সাসের সাবেক গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট ও সাউথ ডাকোটার প্রথম নারী গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েমের নামও শোনা যাচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে বড় আকারের রকেট হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ১০:৩৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে বড় আকারে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। দক্ষিণ লেবাননের গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার জবাবে উত্তর ইসরায়েলের সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইসরায়েলের একটি সেনা সদর দপ্তর লক্ষ্য করে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খোদ হিজবুল্লাহ। তারা বলছে, দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন গ্রাম লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

এ হামলা প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলের আইন জেইটিম ঘাঁটিতে ৯১ তম ডিভিশনের তৃতীয় পদাতিক ব্রিগেডের সদর দপ্তরে কয়েক ডজন কাতিউশা রকেট দিয়ে বোমাবর্ষণ করেছে। অতি সম্প্রতি শ্রীফা, ওদাইসেহ এবং রাব তলাতিনে হামলাসহ লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্রাম এবং বেসামরিক বাড়িঘরে ইসরায়েলি আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ওই তিনটি গ্রামে ইসরায়েলি হামলার খবর দিয়েছে লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সিও (এনএনএ)।

এদিকে সবশেষ হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের আইন জেইটিম এলাকায় নিক্ষেপ করা আনুমানিক ৩৫টি রকেট চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সৈন্যরা এর প্রতিক্রিয়ায় রকেট নিক্ষেপের উৎস স্থানগুলোতে পাল্টা হামলা করেছে বলেও জানিয়েছে তারা।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের ওপর প্রতিশোধস্বরূপ গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে।

সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই লেবাননের সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠীটি সীমান্তের ওপারে ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে।

বার্তাসংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের এই লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত লেবাননে কমপক্ষে ৩৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ১০ জন সৈন্য ও ৮ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ১৮ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল   রকেট হামলা   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্যে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা সাময়িকভাবে প্রশমিত হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২৯ সেন্ট কমায় প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ ডলারে।

অন্যদিকে, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাজারে এই তেল প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয় ৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে।

বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক ইয়েপ জুন এ বিষয়ে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বর্তমানে বিক্রির ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত সপ্তাহের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডাটা থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ২৭ লাখ ব্যারেল বেড়েছে, যা বিশ্লেষকদের ১৪ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বিশ্লেষকরামনে করছেন, সম্প্রতি ইসরায়েলের জন্য বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হতে পারে। ফলে ইরানের জ্বালানি তেল উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারেও।

বিশ্ববাজার   জ্বালানি তেল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অতিরিক্ত তাপে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত তাপের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। 

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)—এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে ‘পেশাগত রোগ’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আইএলও   আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আজ রাতেই দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদের

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।

বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।


গোলাপী   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভার প্রথম এমপি বিজেপির মুকেশ দালাল

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। 

এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস। 


লোকসভা   বিজেপি   মুকেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন