ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনের নেতৃত্বে বৈঠকে বাংলাদেশসহ ১৯ দেশ, নেই ভারত

প্রকাশ: ০৭:১৬ পিএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

ভারত মহাসাগর ঘিরে বাণিজ্য এবং এই অঞ্চলের বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠকের আয়োজন করে চীন। ভারত মহাসাগরের আশপাশের ১৯টি দেশকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে ওই তালিকায় ছিল না ভারত।

গত ২১ নভেম্বর চীনের ইউনান প্রদেশের কানমিং প্রদেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে অংশগ্রহণ করে।

ভারত মহাসাগর সংক্রান্ত বৈঠক অথচ আমন্ত্রিতদের তালিকায় নয়াদিল্লি নেই- বিষয়টি আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

রোববার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এই সপ্তাহে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ১৯টি দেশের সাথে একটি বৈঠক করেছে। যেখানে লক্ষণীয়ভাবে অনুপস্থিত ছিল ভারত।

পিটিআই বলছে, চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (সিআইডিসিএ) নামে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত একটি সংস্থা গত ২১ নভেম্বর চায়না-ইন্ডিয়ান ওশ্যান রিজিওন ফোরাম অন ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন বিষয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে।

এতে ভারত ছাড়া ১৯টি দেশ অংশ নেয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সিআইডিসিএ। এতে আরও বলা হয়, ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে ‘শেয়ারড ডেভেলপমেন্ট: থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস ফ্রম দ্য পারস্পেক্টিভ অব দ্য ব্লু ইকোনমি’ থিমের অধীনে মিশ্র পদ্ধতিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

আমন্ত্রিত দেশগুলোর তালিকায় ছিল- ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল, আফগানিস্তান, ইরান, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, সিসিলিস, মাদাগাস্কার, মরিসাস, জিবুতি, অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া আরও তিনটি আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিও এই বৈঠকে অংশ নেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে এই প্রথমবার নয়। করোনা মহামারির মধ্যেও ভারতকে বাদ দিয়ে এশিয়ার অন্য দেশগুলোকে নিয়ে কোভিড টিকার বিষয়ে একটি বৈঠক সম্পন্ন করেছিল বেইজিং।

পিটিআই বলছে, গত বছর ভারতের অংশগ্রহণ ছাড়াই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সহযোগিতার বিষয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের সাথে একটি বৈঠক করেছিল চীন।

এদিকে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির (সিআইডিসিএ) নেতৃত্বে রয়েছেন লুও ঝাওহুই। তিনি চীনের সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি ভারতেও তিনি চীনা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।

সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, সিআইডিসিএ-এর লুও ঝাওহুই সিপিসি’র (চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি) লিডারশিপ গ্রুপের সচিব।

সিআইডিসিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বলছে, বিদেশি সাহায্যের জন্য কৌশলগত নির্দেশিকা, পরিকল্পনা এবং নীতি প্রণয়ন করা, প্রধান প্রধান বৈদেশিক সাহায্য সংক্রান্ত বিষয়ে সমন্বয় করা এবং পরামর্শ দেওয়া, বিদশি সাহায্য সম্পর্কিত বিষয়ে দেশের সংস্কারকে এগিয়ে নেওয়া এবং প্রধান প্রধান কর্মসূচি চিহ্নিত করা, তত্ত্বাবধান ও মূল্যায়ন করা ও তাদের বাস্তবায়ন করাই সংস্থার লক্ষ্য।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সফরের সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ‘ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশগুলোর উন্নয়নে একটি ফোরাম’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন। সিআইডিসিএ বৈঠকটি ওয়াংয়ের সেই প্রস্তাবিত ফোরাম কি না জানতে চাওয়া হলে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিডিয়াকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, গত ২১ নভেম্বরের বৈঠকটি তাদের কোনো অংশ ছিল না।

সিআইডিসিএ-এর দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২১ নভেম্বরের বৈঠকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীন এবং দেশগুলোর মধ্যে একটি সামুদ্রিক দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং প্রশমনে সহযোগিতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছে বেইজিং। এছাড়া চীন এই অঞ্চলের দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় আর্থিক, উপাদান এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও এতে বলা হয়েছে।

এদিকে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশে বন্দর এবং অবকাঠামোগত খাতে যথেষ্ট বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে পিটিআই।

এছাড়া চীন দেশের বাইরে প্রথম বারের মতো জিবুতিতে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌ ঘাঁটি স্থাপন করেছে। একইসঙ্গে ভারতের পশ্চিম উপকূলের বিপরীতে আরব সাগরে পাকিস্তানের গোয়াদরে বন্দর নির্মাণের পাশাপাশি ৯৯ বছরের লিজে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর অধিগ্রহণ করেছে বেইজিং।

এর পাশাপাশি মালদ্বীপে অবকাঠামো বিনিয়োগও করছে চীন।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আজ রাতেই দেখা মিলবে গোলাপী চাঁদের

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।

বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।


গোলাপী   চাঁদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভার প্রথম এমপি বিজেপির মুকেশ দালাল

প্রকাশ: ০১:৫৬ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। 

এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়। 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস। 


লোকসভা   বিজেপি   মুকেশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার এক গণকবরে মিলল ৩০০ লাশ

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনি বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।

খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান সোমবার সিএনএনকে বলেছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি লাশের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার সিএনএনকে বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের লাশের সন্ধান করছেন।

গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।


ফিলিস্তিন   লাশ   গণকবর   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, সবাই নিহত

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হেলিকপ্টার দুটির সব আরোহী নিহত হয়েছে। রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানের মহড়ায় হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হেলিকপ্টার দুটি বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় মিডিয়ার খবরে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মহড়ার জন্য বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার উড্ডয়নের পরই এদের মধ্যে দুটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এরপরই হেলিকপ্টার দুটি মাটিতে পড়ে যায়।

মালয়েলিয়ার লুমাত শহরে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, ওই দুটি হেলিকপ্টারে অন্তত ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের সকলেই নিহত হয়েছেন।

হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে এইচওএম এম৫০৩-৩ মডেলটিতে সাতজন ব্যক্তি ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে এটি বিধ্বস্ত হয়ে রানওয়েতে পড়েছে। এছাড়া ফেননেক এম৫০২-৬ মডেলের হেলিকপ্টারটিতে তিনজন ব্যক্তি ছিলেন। এটি বিধ্বস্ত হয়ে কাছাকাছি একটি সুইমিং পুলে পড়েছে।

দেশটির ফায়ার এন্ড রেসকিউ বিভাগ জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় ৯টা ৫০ মিনিটে দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পায়।


মালয়েশিয়া   মাঝ   আকাশ   দুই হেলিকপ্টার   সংঘর্ষ   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি: মার্কিন প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক  প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বৈশ্বিক মানবাধিকার  প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, কঠোর ও জীবনের জন্য হুমকি এমন কারাগার পরিস্থিতি।

এছাড়া নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা আটক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক ও অন্যান্য বন্দি, সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা ও অযৌক্তিক গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ সীমিত করার জন্য ফৌজদারি মানহানি আইনের ব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ইন্টারনেট ক্ষেত্রে স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধের কথা বলা হয়েছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপক দায়মুক্তির অসংখ্য তথ্য পাওয়া গেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করতে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বাংলাদেশে মানবাধিকারের সমস্যা হিসেবে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং সংস্থার স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য হস্তক্ষেপের কথা বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

এছাড়া সংগঠন, অর্থায়ন বা বেসরকারি ও নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলো পরিচালনায় সুযোগ অত্যন্ত সীমিত করে আইন প্রণয়নসহ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ; অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তন করতে নাগরিকদের অক্ষমতার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর গুরুতর ও অযৌক্তিক বিধি-নিষেধ, সরকারি খাতে বড় ধরনের দুর্নীতি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ওপর গুরুতর বিধি-নিষেধকেও সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাল্যবিবাহ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন সহিংসতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ওপর সহিংসতার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার, কুয়ার বা ইন্টারসেক্স (এলজিবিটিকিউআই) ব্যক্তি, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধি-নিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


বাংলাদেশে   মানবাধিকার   পরিস্থিতির   উন্নতি হয়নি   মার্কিন প্রতিবেদন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন