গত ৯ মাস ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে।
এখন যুদ্ধ বন্ধের কোনো চুক্তি হলে তা একপ্রকার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্যই
বিজয় হবে। রাশিয়া যেভাবে সহজে যুদ্ধজয়ের আশা করেছিল, শেষ পর্যন্ত সেভাবে না হলেও জলাভ
তারই হবে।
যদিও সামরিক পরাশক্তি রাশিয়াকে সেই
সুযোগ দেয়নি ইউক্রেন। ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ৬০০ মাইল এলাকাজুড়ে ইউক্রেনীয়
বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চলছে রুশ বাহিনীর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রুশ বাহিনী এখন রক্ষণাত্মক
অবস্থান নিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি বা আলোচনা ছাড়া আপাতত এই
যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বিকল্প কোনো পথ নেই প্রেসিডেন্ট পুতিনের। অন্তত এই মুহূর্তে। রুশ
বাহিনীও এখন ক্লান্ত। অস্ত্রের সরবরাহ কমে গেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো
চাইছে ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসুক। পুতিনের যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা আর পশ্চিমা দেশগুলোর
পক্ষ থেকে কিয়েভকে আলোচনার পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টিতে ইউক্রেন সাড়া দিচ্ছে না। পশ্চিমা
মিত্রদের পরামর্শে কিয়েভ আলোচনায় আসুক পুতিনও সেটাই চাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সিএনএর
রাশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিষয়ে নেতৃস্থানীয় একজন বিশেষজ্ঞ
মাইকেল কফম্যান। তিনি বলছেন, ‘একটি আগাম অস্ত্রবিরতি হলে দুই পক্ষ পুনরায় শক্তি সঞ্চয়ের
সুযোগ পাবে।
আর যুদ্ধে রাশিয়া এখন পিছিয়ে পড়ায় এর
সবচেয়ে বড় সুফল পাবে রাশিয়া। এরপর নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে পারবে। তাই যুদ্ধবিরতি
হলেও যুদ্ধ চলবেই। এই যুদ্ধবিরতি যুদ্ধের অন্তর্নিহিত কারণগুলোর একটিরও সমাধান আনবে
না।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া ইতিমধ্যে
নতুন করে অস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার কাজ শুরু করেছে। কফম্যান বলেন, ‘এই যুদ্ধের ফলাফল কী
হবে, তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটি হচ্ছে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ
সরবরাহ নিশ্চিত করা। আপনি যদি ৯০ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ ব্যবহার করেন, তাহলে এক মাসের
মধ্যে তা তৈরি করা সম্ভব নয়। ফলে এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে,
কী হারে গোলাবারুদ তৈরি হচ্ছে এবং উৎপাদিত এসব গোলাবারুদের মধ্যে কী পরিমাণ যুদ্ধের
ময়দানে সেনাদের কাছে পাঠানো যাচ্ছে।’
প্রকাশিত তথ্যের বরাতে কফম্যান বলেন,
যুদ্ধক্ষেত্রে গোলাবারুদ সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য এখন রাশিয়ার কোনো কোনো কারখানায় দুই
থেকে তিন পালায়ও কাজ হচ্ছে। এতে বোঝা যায়, তাদের গোলাবারুদ তৈরি করার পর্যাপ্ত উপকরণ
রয়েছে। আর তা না হলে দু–তিন পালায় কাজ হতো না।
এরপরও আমেরিকা ও পশ্চিমের কিছু জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তা একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি বা সমঝোতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। তাঁরা এ বিষয়ে
কিয়েভকে চাপ দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট
চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলে সম্প্রতি বলেছেন, ‘যখন সমঝোতার একটি সুযোগ আসবে, যখন শান্তি
প্রতিষ্ঠা করা যাবে, সেই সুযোগটা নিতে হবে। ওই সময়টাকে ধরতে হবে।’
অবশ্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির
জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতা নিয়ে তাঁদের কথায় সায় দিচ্ছেন না। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার
বালিতে জি–২০ জোটের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়াকে সময়ক্ষেপণ করে নতুন
করে তাদের বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেব না।’ এদিকে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ
ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর হামলায় আসন্ন শীত নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কিয়েভ।
এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয়দের পরিস্থিতি
তুলে ধরে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সে ইউক্রেনের
সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেন, ‘ইউক্রেনীয়দের কাছে সমঝোতার বিষয়টি কেমন
মনে হচ্ছে, সেটা একবার ভেবে দেখুন। কল্পনা করুন, আপনি নিজের ঘরে বসে আছেন। ঘাতকেরা
আপনার বাড়িতে এসে আপনার স্ত্রীকে হত্যা করছে, আপনার মেয়েকে ধর্ষণ করছে, এরপর আপনাকে
দ্বিতীয় তলায় ডেকে নিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আপনাদের সামনে বলছে, আসুন আলোচনা করি।
তখন আপনার প্রতিক্রিয়াটা কেমন হবে?’
ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো
পোরোশেঙ্কোর এই কথায় বোঝা যায়, ইউক্রেনে এখন বাস্তবে যা ঘটছে, তাতে যুদ্ধবিরতি করে
প্রকৃতই কোনো লাভ নেই, তা আলোচনার মাধ্যমে হোক বা না হোক। যুদ্ধবিরতি হলে বরং রাশিয়া
এর ফসল ঘরে তুলবে। হাঁসফাঁস করতে থাকা রাশিয়ার জন্য এখনা যুদ্ধবিরতি গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সেন্টার
ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ফেলো জেনারেল মাইক রায়ান বলছেন,
‘যুদ্ধবিরতি রাশিয়াকে যেমন নতুন করে সংগঠিত ও অস্ত্রে সজ্জিত হওয়ার সুযোগ করে দেবে,
একই সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত রুশ সেনাদের
বিশ্রাম নেওয়ারও একটি সুযোগ তৈরি করে দেবে এটা। গত ৯ মাসের যুদ্ধে রুশ সেনারা সবচেয়ে
কঠিন সময় পার করছেন। যুদ্ধ করতে করতে তাঁরা ক্লান্ত-অবসন্ন হয়ে পড়েছেন।’
যুদ্ধের শুরু থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী
সম্পর্কে সবচেয়ে বিশ্বস্ত তথ্য দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। গত সোমবার
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দক্ষ সেনা ও গোলাবারুদ–সংকটে
পড়েছে রুশ বাহিনী। এতে তাদের আক্রমণ করার ও প্রতিরক্ষার ক্ষমতা অনেক কমতে থাকবে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিরক্ষা গবেষণা
প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির ক্রিস ডোয়াটি বলছেন, ‘এই যুদ্ধে রাশিয়া
আরও অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করবে এবং সেনা মোতায়েন করতে থাকবে। অন্যদিকে রাশিয়ার
ধারণা, ন্যাটো, পশ্চিমা মিত্র ও ইউক্রেনীয়রা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা আর এভাবে চালিয়ে
নিতে চাইবে না। আর এতে কিয়েভ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হবে। আমার পূর্ণ
বিশ্বাস, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিন এটাকেই তাঁর বাজি হিসেবে ধরেছেন।’
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।