ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে মা হলেন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

প্রকাশ: ০২:৫৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৩


Thumbnail

থাইল্যান্ডে আর ১৩ দিন পরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে ফুটফুটে এক সন্তানের মা হয়েছেন এই নারী।  

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা একটি ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এক ইন্সটাগ্রাম বার্তায় নিজেই মা হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন সিনাওয়াত্রা। নবজাতকের ছবি যুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘আমার নাম প্রুথাসিন সুকসাওয়াস, ডাক নাম থাসিন। সকল সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। কয়েক দিনের মধ্যে আমি গণমাধ্যমের সাথে দেখা করব। তার আগে আমার মায়ের সুস্থ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।’ 

৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মা হলেন।  থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে সিনাওয়াত্রা পরিবারের ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। আগামী ১৪ মে থাইল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রায়ুথ চান ওচা। 

নির্বাচন   থাইল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাল্টাপাল্টি অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া, স্নায়ুযুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে রাশিয়া। আবারও মাঝারি এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এসব অস্ত্র বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের কারণে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ও স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন কর্মকাণ্ডের জবাবে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা জানিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিশ্বে ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি সীমিতকরণের যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছিল তা কার্যকর থাকার শেষ সম্ভাবনাও শেষ হতে যাচ্ছে। ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, চীনসহ এ দুই দেশ আবারও অস্ত্র প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতে পারে।

স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি করেছিল। ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান স্বাক্ষর করেছিলেন। ইন্টারমিডিয়েট-রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্স ট্রিটি বা আইএনএফ নামে পরিচিত এ চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন সীমিত করার কথা বলা হয়েছিল।

২০১৯ সালে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে মস্কো এ চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। যদিও ক্রেমলিন এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটির উৎপাদন ফের চালু করেছে। এগুলোকে ডেনমার্ক ও ফিলিপাইনে মহড়ার জন্যও নিয়ে এসেছে।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণকালে পুতিন বলেন, আমাদের এর জবাব দিতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ নেব তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের এ ধরনের আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্রের উৎপাদন শুরু করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৃত পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের নিরাপত্তা জন্য এগুলো কোথায় মোতায়েন করা হবে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।


যুক্তরাষ্ট্র   রাশিয়া   স্নায়ুযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেনকে বাদ দিয়ে শেষ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী মিশেল ওবামা?

প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্র তিন মাস। এমন সময়ে কি দৌড় থেকে ছিটকে পড়বেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন? তিনি বাদ পড়লে কে হবেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী? গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে বাইডেনের বাজে পারফরম্যান্সের পর এসব প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক মহলে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, প্রথম বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে কার্যত হেরে গেছেন জো বাইডেন।

দ্য পলিটিকোর খবর অনুসারে, বাইডেনকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা যায় কি না, তা নিয়ে একসময় ডেমোক্র্যাট শিবিরের কেউ টুঁ শব্দ করতেন না। কিন্তু প্রথম বিতর্কের পর এই বিষয়টি নিয়েই তাদের মধ্যে জোরেশোরে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বলা হচ্ছে, বাইডেনের ‘আটকে যাওয়া কণ্ঠস্বর’, ‘অস্পষ্ট’ উত্তর এবং পুরো কথা শেষ করতে ‘সংগ্রাম’ করার কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। এ অবস্থায় তার পরিবর্তে অন্য কাউকে প্রার্থী করার বিষয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছেন তারা। এমনকি, কেউ কেউ বাইডেনকে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন’ বলেও খবরে দাবি করা হয়েছে।

পলিটিকো জানিয়েছে, তিনজন সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ তিন উপদেষ্টা বলেছেন, বিতর্কের সময়জুড়ে তাদের কাছে অসংখ্য টেক্সট মেসেজ এসেছে। এক উপদেষ্টা বলেছেন, তারা বাইডেনের বিকল্প হিসেবে তাদের প্রার্থীকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ পেয়েছেন।

আরেকজন উপদেষ্টা বলেছেন, তারা অন্তত আধা ডজন প্রধান অর্থদাতার (ডোনার) কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন। তারা বলেছেন, এই ‘বিপর্যয়’ ঠেকাতে দলের পক্ষ থেকে কিছু করা দরকার।

তবে ওই উপদেষ্টা স্বীকার করেছেন, বাইডেন নিজ থেকে সরে না দাঁড়ালে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।

সরব রিপাবলিকানরা

বাইডেন শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন কি না তা নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে বেশি সরব প্রতিপক্ষ রিপাবলিকানরা।

প্রার্থিতার দৌড়ে ট্রাম্পের কাছে হেরে যাওয়া নিকি হ্যালি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন, আমার কথা লিখে রাখো... বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের মনোনীত প্রার্থী থাকবেন না। রিপাবলিকানরা সতর্ক থাকুন!

প্রার্থিতার দৌড় থেকে বাদ পড়া আরেক রিপাবলিকান নেতা বিবেক রামাস্বামী বাইডেনের বিতর্কের পারফরম্যান্স নিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন। তার দাবি, ‘বৃদ্ধ’ বাইডেনকে ‘বলির পাঠা’ করছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

বাইডেনের পরিবর্তে কে?

৮১ বছর বয়সী এ নেতা শেষ মুহূর্তে যদি সত্যিই বাদ পড়েন, তাহলে তার জায়গায় কে লড়বেন? কাকে দেখা যেতে পারে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে?

এই জল্পনায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামার নাম। সাবেক এই ফার্স্ট লেডিকে বাইডেনের চেয়ে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে একজন টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ।

রিপাবলিকান এই নেতা রীতিমতো ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আগামী আগস্টে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কনভেনশনেই বাইডেনকে প্রতিস্থাপন করা হবে।

ক্রুজ তার পডকাস্টে বলেছেন, ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জো বাইডেনকে সরিয়ে মিশেল ওবামাকে প্রার্থী করবে। কারণ, বিতর্কে বাইডেন এতটাই খারাপ করেছেন যে, সারাদেশের ডেমোক্র্যাটরা আতঙ্কে রয়েছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট   নির্বাচন   জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   মিশেল ওবামা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মহাসচিবের পদত্যাগ, ইমরানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিআই

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য ওমর আইয়ুব খান। তার সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খান। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি দলের অন্য সদস্যরা।

শুক্রবার দেশটির সংসদ ভবনে এক বৈঠকে ওমর ইস্যুতে ইমরান খানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন দলটির সংসদীয় শাখার কর্মকর্তারা। 

পাশাপাশি ওমর আইয়ুব খানের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার এবং তাকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে সর্বসম্মতিক্রমে পিটিআই-এর মহাসচিব হিসেবে ওমর আইয়ুব খানের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন তারা।

এর আগে কারাবন্দি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা ওমরের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং দলীয় অবস্থান থেকে তার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানান। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলটির সংসদীয় শাখার কর্মকর্তারা ওই দাবি জানান।

এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংসদীয় দলটি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ওমর আইয়ুব খানের পদত্যাগ গৃহীত হবে না এবং তাকে দলের মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।

এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওমরের পদত্যাগ নিয়ে পিটিআই-এর মধ্যে বিভ্রান্তি বিরাজ করছে। একদিকে তারা দলীয় প্রধানের মুক্তির জন্য সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে মহাসচিব দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিয়েছেন, যাতে তিনি সংসদীয় বিষয়ে মনোযোগ দিতে পারেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে নিজের ভূমিকায় মনোযোগ দিতে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওমর আইয়ুব খান।

এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা একটি পোস্টে তিনি বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে আমার ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার জন্য পিটিআই মহাসচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ।

এর আগে ইমরান খানকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক চিঠিতে ওমর আইয়ুব তার পদত্যাগ গ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি গত ২২ জুন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর আলীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। ’

জানা গেছে, পাকিস্তান সিনেটের বিরোধীদলীয় নেতা সিনেটর শিবলী ফারাজ গত ২৭ জুন আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান খানের কাছে ওমরের ওই চিঠি পৌঁছে দেন। 


পাকিস্তান   পিটিআই   পদত্যাগ   ওমর আইয়ুব খান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে কী হবে?

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের নভেম্বরে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।

সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী, এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিতর্কে জো বাইডেনের দুর্বল পারফর্ম্যান্সের পর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঘুরেফিরে নতুন একটি প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে শেষ পর্যন্ত জো বাইডেন সরে দাঁড়ালে কী হবে? এমন পরিস্থিতি তৈরি হলেও এবারই তা প্রথম নয়।

কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুসারে, ১৯৭২ সালে ডেমোক্র্যাট দলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিনেটর টমাস ইগলটন সরে যেতে বাধ্য হন। কারণ, তখন জানাজানি হয় যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। এজন্য চিকিৎসাও করিয়েছেন।

কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সরে দাঁড়ান বা মারা যান, তাহলে ২৫তম সংশোধনী ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদে উন্নীত করবে। তবে দলের নিয়মকানুনই নির্ধারণ করবে কে দলের পরবর্তী প্রার্থী হয়ে উঠবেন।

বিশ্লেষকরা জানান, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য শীর্ষ প্রতিযোগী হবেন। তবে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও আলোচনায় থাকবেন, যারা আগে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর প্রচার চালাতে পারবেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম নির্বাচনী বিতর্কের পর জো বাইডেনকে অযোগ্য ঘোষণার প্রস্তাব করেছেন। এ গ্যাভিন নিউজমও আলোচনায় থাকতে পারেন।

বিবেচনা করার মতো আরেকটি গ্রুপ রয়েছে, ‘সুপার ডেলিগেটস’। প্রায় ৭০০ জন সিনিয়র নেতা এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের একটি দল। এরা তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনভেনশনে প্রতিনিধি হয়। সাধারণত দলীয় নিয়মের অধীনে তারা প্রথম ব্যালটে ভোট দিতে পারেন না। তবে তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারেন। তারা পরবর্তী ব্যালটে ভোট দিতে পারেন।

তবে সত্যি যদি নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে। তবে এ সংকট কাটানোর জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের কিছুটা ভিন্ন কৌশল রয়েছে।

ডেমোক্র্যাটরা এক্ষেত্রে পার্টির চেয়ার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পার্টির নিয়ম অনুযায়ী কনভেনশনের পর শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষমতা ডেমোক্র্যাটিক জাতীয় কমিটিকে দেওয়া হয়।

রিপাবলিকানরা এক্ষেত্রে দলের জাতীয় কমিটির মাধ্যমে জাতীয় সম্মেলন পুনরায় আহ্বান করতে পারে। অথবা জাতীয় কমিটি চাইলে একজন নতুন প্রার্থী নির্বাচন করতে পারে। 


ডোনাল্ড ট্রাম্প   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৮৩০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে মায়ের কাছে ছেলে

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসা অপরিমেয়। ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে ১৬টি দেশ পাড়ি দিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করে সেটির আবারও প্রমাণ দিলেন এক ভারতীয় যুবক।

বীরজিৎ মুঙ্গাল থাকেন লন্ডনে। তার বাড়ি ভারতের মহারাষ্ট্র। মা থাকেন ভারতে। তাই সেই সুদূর ব্রিটেন থেকে প্রতিকূল প্রকৃতির চ্যালেঞ্জ সামলে গাড়ি চালালেন ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। লক্ষ্য মায়ের সঙ্গে দেখা করা। 

সম্প্রতি একসঙ্গে দুই সংকল্প নেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় যুবক। মায়ের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিখ্যাত সিল্ক রুটে গাড়ি চালানোর ইচ্ছাপূরণে খানিক ঝুঁকি নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। সেই সূত্রেই ডিঙাতে হয় লন্ডন থেকে ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ। এযাত্রায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, চীন, তিব্বত, নেপাল, ভারত-সহ মোট ১৬টি দেশ অতিক্রম করেন বীরজিৎ।

এই যাত্রার জন্য অফিস থেকে দুই মাসের ছুটি নেন ভারতীয় যুবক। সঙ্গী হন তার বন্ধু রোশন শ্রেষ্ঠ। যদিও তিনি লন্ডন থেকে নেপাল পর্যন্ত ছিলেন। বাকি পথ একাই পাড়ি দেন বীরজিৎ।

বীরজিৎ জানান, দিনে গড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার গাড়ি চালাতেন। কোনো কোনো দিন পরিস্থিতি বুঝে ১০০০ কিলোমিটার পথও গাড়ি চালিয়েছেন। তবে নিরাপত্তার কারণে রাতে গাড়ি চালাতেন না। 

তিনি আরও জানান, সহজ ছিল না এই যাত্রা। বরফ, শীত, কোথাও কোথাও আবহাওয়া ছিল ভীষণই খারাপ। 

যদিও দুর্গম পথে থমকে যাননি তিনি। ঠিক পৌঁছে গিয়েছেন মায়ের কাছে। ফিরবেনও কী এভাবেই? এবিষয়ে বীরজিৎ জানান, বিমানে লন্ডনে ফিরবেন তিনি। যে গাড়ি চালিয়ে তিনি এসেছেন, তা জাহাজের মাধ্যমে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেবেন।


বীরজিৎ মুঙ্গাল   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন