ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ দমনে চড়াও পুলিশ, হার্ভার্ডে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) শিক্ষার্থীরা।

গত শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামী প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে তারা।

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসাসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ চলছে ইউরোপের অন্তত এক ডজন দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে এমআইটিতে ঢোকে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল। সেখানে তারা শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাবু ছেড়ে দিতে ১৫ মিনিট সময় দেয়। তাঁবু না ছাড়লে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। তাবু গুঁড়িয়ে দেয় এবং অন্তত ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে। এদিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাবু গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ।

এর আগে গত সোমবার এমআইটিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটে।

শিক্ষার্থীদের তাবু গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বিক্ষোভকারী কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে এমআইটি কর্তৃপক্ষ। তারা শিক্ষা কার্যক্রম ও স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না।

তবে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এমআইটির সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে তারা অনড়। এভাবে তাদের বিক্ষোভ দমন করা যাবে না।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির হিসাবে, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

চড়াও মার্কিন পুলিশ

এমআইটি ছাড়াও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের তাবু ভেঙে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।

পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরতদের ওপর চড়াও হয়েছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ অন্তত ৩৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁবু ছেড়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাতে সাড়া না দেওয়ায় পুলিশ জোরপূর্বক তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এর কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়েও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের কয়েক ডজন অস্থায়ী তাঁবু।

হার্ভার্ডে বহিষ্কার শুরু

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। শুক্রবার থেকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি নামে হার্ভার্ডের একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে যারা আবাসিক শিক্ষার্থী, তাদের আবাসন বাতিল করা হবে। বিক্ষোভে অংশ নিলে বহিষ্কার করার হুমকি এর আগেই দিয়েছিলেন হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট (অন্তর্বর্তীকালীন) অ্যালান গার্বার।

সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে তাবু গেড়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করার কারণে সামগ্রিক শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। তবে কত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

হার্ভার্ডের এক মুখপাত্র শুক্রবার বিবৃতিতে বলেন, শৃঙ্খলাজনিত সমস্যায় বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিক্ষোভ   হার্ভার্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৫ বছর পর রাশিয়া সফরে মোদি

প্রকাশ: ০২:৩৩ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পাঁচ বছর পর রাশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মস্কোতে তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া সোমবার রাতে পুতিনের সঙ্গে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে।

রাশিয়া থেকে মোদি অস্ট্রিয়াতেও যাবেন যা হবে গত ৪১ বছরে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সফর। অস্ট্রিয়ায় মোদি দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান দের বেলেন এবং চ্যান্সেলর কার্ল নেহামেরের সঙ্গে।

দিল্লির বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে মোদি এক বিবৃতিতে জানান, ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমি রাশিয়ায় যাচ্ছি। এছাড়া, আগামী তিনদিনে আমি অস্ট্রিয়াতেও যাবো যা আমার প্রথম অস্ট্রিয়া সফর। তিনি আরও বলেন, গত দশ বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, শক্তি, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো।

অস্ট্রিয়া সফর নিয়ে মোদি তার বিবৃতিতে লেখেন, অস্ট্রিয়া আমাদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার। আমরা উভয়েই গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের সমর্থক। প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার এবং চ্যান্সেলর কার্লের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি আনন্দিত। এই সফরটি গত ৪০ বছরে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম অস্ট্রিয়া সফর।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির ভিত্তিতে প্রতি বছর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা একবার করে বৈঠক করবেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই চুক্তির ভিত্তিতে বৈঠক হয়ে এসেছে। কিন্তু কোভিড মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বৈঠক বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে পুতিন ভারতে আসে। কিন্তু এরপর থেকে এই বৈঠক আর হয়নি। অবশেষে ২০২৪ সালে মোদি ও পুতিন আবারও বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকে গোটা বিশ্বের নজরে রয়েছে।


রাশিয়া   সফর   ভারত   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব, কারা পাবেন সুযোগ?

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ ও বৃহৎ আয়তনের দেশ সৌদি আরব। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির নাগরিকত্ব নেওয়ার। কেউ বসবাসের জন্য কেউ আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য। পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের মুকতার আলিমকে ২০২১ সালে নাগরিকত্ব দিয়েছিল সৌদি সরকার। এর পর বাংলাদেশ থেকে আর কেউ এই নাগরিকত্ব পায়নি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা গ্রহণের সময় থেকে নানা পরিবর্তন আসছে অভ্যন্তরীণ নিয়ম-নীতিতে। ভিশন ২০৩০ নামে এক নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে একে একে পেট্রো ডলার থেকে নির্ভরতা কমিয়ে সৌদি আরব এখন পশ্চিমাদের আদলে নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বিদেশিদের জন্য। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দেশটিতে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।

সৌদির রাজকীয় আদেশের অংশ হিসেবে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে ডিক্রি জারি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুবরাজ সালমান তার ভিশনে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে। যাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুরের মানুষ।

দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা মনে করছেন অদূর ভবিষ্যতে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এমন সুযোগ পেতে পারেন।

২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সেসময় পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের মুকতার আলিমকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।


নাগরিকত্ব   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১২, নিখোঁজ ১৮

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এক অবৈধ সোনার খনিতে ভূমিধসে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ সোমবার ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলোতে অনিবন্ধিত ও অবৈধ খনন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এসব জায়গায় স্থানীয়রা প্রায়ই উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া সোনা খুঁড়ে বের করার কাজে অংশ নেন।

শনিবার দিনের শেষভাগে গরনতালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। এর আগে বেশ কয়েক দফা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে স্থানীয়রা। আরও অনেকেই নিখোঁজ আছেন।

স্থানীয় উদ্ধার কর্মকর্তা হেরিয়ান্তো বলেন, 'আটজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকেই হালকা থেকে ভারি আঘাতের শিকার হয়েছেন।'

তিনি আরও জানান, তিন জনের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং আরও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

হেরিয়ান্তো (তিনি দ্বিতীয় কোনো নাম ব্যবহার করেন না) আরও জানান, এ এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এবড়োখেবড়ো ভূমির কারণে উদ্ধারকর্মীরা পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যসহ মোট ১৮০ জন উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন, যোগ করেন তিনি।

নভেম্বর থেকে এপ্রিলে বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে জুলাই মাসটি শুষ্ক মৌসুমের অন্তর্ভুক্ত এবং এই মাসে ভারি বৃষ্টিপাত খুবই বিরল।

মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভূমিধসে ১৫ জন মারা যান। সেসময় অনেক বাড়ি পানিতে ভেসে যায় এবং সড়কের ক্ষতি হয়।

এপ্রিলে একই প্রদেশে ভূমিধসে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।


ইন্দোনেশিয়া   ভূমিধস   নিহত   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেখ হাসিনার সফর নিয়ে যা ভাবছে চীন

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে শেখ হাসিনার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে রোববার (৭ জুলাই) একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সফর চলাকালেই আরও দুটি দেশের সরকারপ্রধান চীন সফর করবেন। তারা হলেন- প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলে।

একসঙ্গে একাধিক বিদেশি সরকারপ্রধানের চীন সফরকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে গ্লোবাল টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এবং গ্লোবাল সাউথের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত ফলপ্রসূ সাফল্যের প্রমাণ হলো এসব সফর। এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষকরা।

চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইডংয়ের মতে, তিন দেশের নেতাদের চীন সফর পশ্চিমের ‘অপ্রচলিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার’ বিপরীতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সমর্থনের বাস্তবতা প্রদর্শন করবে।

সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং বলেছেন, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ‘ধোঁকা বা বাধা’ দেওয়ার লক্ষ্যে পশ্চিমারা যেসব ‘হয়রানিমূলক কৌশল’ অবলম্বন করে থাকে, সেগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে এসব কূটনৈতিক ব্যস্ততা।

ঐতিহাসিক মুহূর্ত

শেখ হাসিনার চীন সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম। তার মতে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন পথ তৈরি করবে এবং পারস্পরিক সুবিধার বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করতে পারে।

তিনি গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা কোনো রাজনৈতিক সূত্রে যুক্ত বা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দাবি করে না।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে নতুন সহযোগিতা ব্যবস্থা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে নতুন সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং জ্বালানি সরবরাহ ক্ষমতার উন্নতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হবে।

সতর্ক নজর ভারতের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রতিবেশী ভারত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর টানা তৃতীয় মেয়াদের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত জুন মাসে ভারত গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এর কয়েকদিন পরে আবারও রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি যান তিনি। পরপর দু’বার ভারত সফরের পর শেখ হাসিনা এবার চীনে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

তবে চীনা পর্যবেক্ষক কিয়ান ফেং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার এটি পঞ্চম চীন সফর এবং এ বছরের শুরুতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম। এটি চীনা ও বাংলাদেশি নেতাদের মধ্যে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের ইঙ্গিত দেয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় পক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরে।

কিয়ানের মতে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির প্রয়োজন।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   সফর   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পদত্যাগ করছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল। পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগের প্রস্তাব দেবেন তিনি। খবর এএফপির।

তিনি বলেন, যদি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হয় তবে যত দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে প্রয়োজন হবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই দেশটিতে প্যারিস অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।

তবে দেশটির নতুন সরকার নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছে কারণ কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। দেশটিতে প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন)। আনুষ্ঠানিক ফলাফল থেকে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থীদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই) জয়ী হয়েছে এবং পার্লামেন্টে তারাই সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে।

নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী এসেম্বল জোট দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এবং আরএন পার্টি এখন তৃতীয় অবস্থানে সরে গেছে। রোববারের এই ভোটে কট্টর-ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালিকে ঠেকাতে একজোট হয়ে লড়েছে বামপন্থি জোট দলগুলো।

প্রথম দফার ভোটে ডানপন্থিদের জয়ে উদার ও মধ্যপন্থীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। আরএন যেন দ্বিতীয় দফায় জয়ী হতে না পারে সেজন্য বামপন্থী জোট এবং ম্যাক্রোঁর জোটের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই দুই জোট মিলে দুই শতাধিক প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নেয়। আরএনের বিরুদ্ধে পড়া ভোটগুলো যেন একজনই পান সেজন্যই বাম ও মধ্যপন্থিদের এই কৌশলই শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে।

তবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ দেশটিতে তিন দলের একসঙ্গে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

গত ৩০ জুন দেশটির প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থিরা প্রথম ধাপের নির্বাচনে কখনোই জয়লাভ করতে পারেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম কোনো ডানপন্থি দল প্রথম দফার ভোটে জয় পেয়েছে। সরকার গঠনের ব্যাপারেও তারা বেশ আশাবাদী ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফার নির্বাচন সবকিছু উল্টে গেছে।


পদত্যাগ   ফ্রান্স   প্রধানমন্ত্রী   গ্যাব্রিয়েল আটাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন