ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা

প্রকাশ: ০৭:৪১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে সহিংসতা ও গণ্ডগোল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। 

অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। 

নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভারত জুড়েই একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে ছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়াও নির্বাচন কেন্দ্রিক যেকোনো অশান্তি রুখতে প্রস্তুত রাখা ছিল কুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড, ভিডিও সার্ভেলেন্স টিম, স্ট্যাটিক সার্ভেলেন্স টিমের সদস্যরা। কিন্তু ঠেকানো গেলো না সহিংসতা। ঝরলো রক্ত, প্রাণ গেল। গণমাধ্যমের গাড়িও হামলার শিকার হয়েছে।

সোমবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হয়। এই কেন্দ্রগুলি হল- অন্ধ্রপ্রদেশের (২৫), তেলেঙ্গানা (১৭), উত্তরপ্রদেশ (১৩), মহারাষ্ট্র (১১), পশ্চিমবঙ্গ (৮), মধ্য প্রদেশ (৮), বিহার (৫), ঝাড়খন্ড (৪), ওড়িশা (৪) এবং  জম্মু-কাশ্মীর (১)। 

লোকসভার পাশাপাশি এদিন অন্ধপ্রদেশের ১৭৫ আসনে এবং উড়িষ্যার ২৮টি আসনে বিধানসভার ভোট নেওয়া হয়। 

গোটা ভারতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় তা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। কিন্তু ভোট শুরুর আগে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসাতায় প্রাণ যায় এক তৃণমূল কর্মীর। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেতুগ্রামের চেঁচুড়ি গ্রামে তাকে হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে মিন্টু শেখ নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি বোমা মেরে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর মিন্টু শেখ যখন তার এক সঙ্গীকে নিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, সে সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার বাইক আটকায়। তিনি বাইক থামাতেই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। 

এদিন সকালের দিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বর ব্লকের টুললা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। দিলীপ ঘোষের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এক গ্রামবাসী। এ সময় দিলীপ ঘোষকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগানও দেওয়া হয়। এই সংবাদসংগ্রহ করতে গিয়ে গণমাধ্যমের গাড়িও ভাংচুর করা হয়। বেলা গড়াতেই বিকেলে ফের দিলীপ ঘোষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান-উত্তর ২০৪ নম্বর বুথের দলীয় এজেন্টকে বের করে দেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দিলীপ ঘোষ। এই হামলায় আহত হন দিলীপ ঘোষের দুই নিরাপত্তারক্ষী। এর মধ্যে একজনের মাথা ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি বহরেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। 

দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টের রামজীবনপুরের কয়েকটি বুথে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভোট দিতে আসার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমুলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 

ভোট পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের মুখে পড়েন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। 

বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের নানুর বিধানসভার অধীন আট গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকেই ইভিএম বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে, ফলে সেইসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হতে দেরী হয় কিভাবে সেসব কেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। 

দুর্গাপুরে তানসেন রোডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ তারা যখন মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য গিয়েছিলেন সেই সুযোগে বিজেপির বহিরাগতরা বাইক বাহিনী নিয়ে এসে তাদের নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় এবং ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি লেগে গেলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

এ দফায় ভারতে মোট ভোটার ছিল ১৭ কোটি ৭০ লাখ। ভাগ্য নির্ধারণ হয় মোট ১৭১৭ জন প্রার্থীর। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (বেগুসারাই), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (কুন্তী), সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব (কনৌজ), সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর), ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র (কৃষ্ণনগর), তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা (আসানসোল), তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (বীরভূম), তৃণমূল নেত্রী সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (বর্ধমান-দুর্গাপুর), ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রার্থী ওমর আব্দুল্লাহ (জম্মু-কাশ্মীর), অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি (হায়দরাবাদ)। 

ভোটের পরবর্তী ধাপে পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   চতুর্থ দফা. পশ্চিমবঙ্গ   সহিংসতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় লেবার পার্টি, বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভবিষ্যত কী?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অর্থনৈতিক সমস্যার পর যুক্তরাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় হলো অভিবাসন ইস্যু। এবারের নির্বাচন অভিবাসীদের জন্য কতটা কঠোর হতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা রকম আলোচনা। 

ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছে কিয়ার স্টারমার। এবারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজর্নের পাশাপাশি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। আর এই নির্বাচনী ফলাফলে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা হাতছাড়া হলো কনজারভেটিভ পার্টির।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সাল জুড়ে অর্থাৎ, কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় থাকা কালে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক অভিবাসী  যুক্তরাজ্যে ঢুকেছে। যাদের অনেকেই গিয়েছে তাদের ক্যারিয়ার ও শিক্ষার জন্য। এছাড়াও, একটি বড় অংশ অবৈধভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্যই অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যে। 

ঋষি সুনাক ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাজ্যে এত অভিবাসী ঢুকে পরে যে,  অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে চেয়েছিল তার সরকার। এমনকি, বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল পাস করে এর পেছনে ২৪ কোটি পাউন্ড ইতোমধ্যে খরচও করে ফেলেছিলেন তারা।  

এমন অবস্থায় আগাম নির্বাচনের ডাক দেন ঋষি সুনাক। আর সেই নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন লেবার পার্টি। যারা বরাবরই অভিবাসন নীতিতে কঠোর। 

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির সদস্যরা অভিবাসন নীতিতে এখনও পর্যন্ত তাদের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, কোন দণ্ডিত ব্যক্তি যেন যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবে না। যে সমস্ত দেশ থেকে তারা অপরাধ করে এসেছেন সেই সমস্ত দেশের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত তাদেরকে  দেশে ফেরত পাঠানোর নীতিতে বিশ্বাসী লেবার পার্টি।  

এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশের যারা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তারা কি করবেন? আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে অবৈধ ভাবে জড়িত থাকা কিছু মানুষের জন্য সাধারণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর কোন প্রভাব পরবে কিনা সেটিই এখন চিন্তার বিষয়।   


বাংলাদেশি   অভিবাসী   যুক্তরাজ্য   প্রধানমন্ত্রী   লেবার পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গাজাপন্থীদের কাছে হেরেছেন লেবার প্রার্থীরাও

প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতলেও দলটির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বেশ কিছু এলাকায় তাদের প্রার্থীরা গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছেন ।আরও অনেকে পড়েছেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এর মধ্যে দলটির জন্য বড় আঘাত হলো শ্যাডো মিনিস্টার জনাথন অ্যাশওয়ার্থ লেস্টারের সাউথ আসনে হেরে যাওয়া। যেখানে আগে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেছিলেন তিনি।

১০ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোট আছে এমন আসনগুলোতে লেবার পার্টির ভোট কমেছে গড়ে ১১ শতাংশ।

ইলফোর্ড নর্থে শ্যাডো স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং আগে জয়লাভ করেছিলেন নয় হাজার ভোটের ব্যবধানে। এবার তার জয়ের পার্থক্য মাত্র ৫২৮ ভোট। তবে জর্জ গ্যালাওয়ের কাছ থেকে রোচডেলের আসন পুনরুদ্ধার করেছে লেবার প্রার্থী পল ওয়াহ। যেখানে মুসলিম ভোটার বেশি সেখানেই দলটি খারাপ করেছে। যতটুকু জানা যাচ্ছে লেবার অধিক মুসলিম জনগোষ্ঠী আছে এমন পাঁচটি আসনে হেরে গেছে। এর মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র আর একটিতে কনজারভেটিভ প্রার্থী জয়ী হয়েছে।

লেস্টার সাউথ আসনে শোকাত অ্যাডাম ৯৭৯ ভোটে জয়ের পর ঘোষণা করেছেন ‘এটা গাজার জন্য’। এই আসনে ৩০ শতাংশ ভোটার মুসলিম। ১৩ বছর ধরে অ্যাশওয়ার্থ আসনটি ধরে রেখেছিলেন।

কাছেই লেস্টার ইস্ট আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কয়েক হাজার ভোট পাওয়ায় সুবিধা পেয়েছেন কনজারভেটিভ প্রার্থী। বিশেষ করে সাবেক লেবার এমপি ক্লাউডিয়া ওয়েব্বের এলাকায়।

ওয়েব্বে হয়রানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। তবে তিনি ফিলিস্তিনপন্থী হিসেবে সোচ্চার কণ্ঠ। তার সাবেক আসনে টোরি প্রার্থী জয় পেয়েছে ৪৪২৬ ভোটে, যা মিস ওয়েব্বের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে কম।

বার্মিংহামের পেরি বার এলাকা লেবারের খালিদ মাহমুদ ৫৭০ ভোটে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়ুব খানের কাছে।

অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যারা গাজাকেই তাদের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন তারা ডিউজবুরি, বাটলে, ব্ল্যাকবার্ন এলাকায় জয়ী হয়েছেন, যেখানে আগে লেবার পার্টির ভালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।

মুসলিম জনগোষ্ঠী বেশ বড় এমন আরও কিছু এলাকায় সিনিয়র লেবার নেতারা খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পেরেছেন।

ইলফোর্ড নর্থে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়ানে মোহামাদ, যিনি একজন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নাতি, স্ট্রিটিংয়ের চেয়ে ৫২৮ ভোট পেছনে ছিলেন।

বার্মিংহাম লেডিউডে ছায়া বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আইনজীবী আহমেদ ইয়াকুব। টিকটকে ইয়াকুবের অনুসারীর সংখ্যা অনেক। তবে শাবানা মাহমুদের জয়ের পার্থক্য ৩২ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৩৪২১ ভোট।

একইভাবে জেস ফিলিপস পার্লামেন্টে গাজার যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য লেবার পার্টির সামনের সারি ছাড়তে হয়েছিল। ভোটে নির্বাচিত হলেও এবার তিনি জয়লাভ করেছেন ৬৯৩ ভোটের ব্যবধানে।

ফিলিপিস জয়ের পর যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন অনেকে চিৎকার করেছে। তিনি বলেছেন ‘আমি যত নির্বাচন করেছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে খারাপ’। তিনি দাবি করেন তার প্রচারকর্মীরা বাধা ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

পূর্ব লন্ডনের বেথানল গ্রিন অ্যান্ড স্টেফনি আসনে ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী আগে ৩১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুরকে তিনি হারিয়েছেন ১৬৯৮ ভোটের ব্যবধানে।

এমনকি নির্বাচনি প্রচারণার সময় লেবার নেতা স্যার কিয়ের স্টারমার নিজেও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ডের মুখোমুখি হয়েছেন এবং তার ভোটের ব্যবধান কমেছে। গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী এন্ড্রু ফেইনস্টেইন পেয়েছেন ৭৩১২ ভোট।

ইসলিংটন নর্থ আসনে সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তিনি লেবার প্রার্থীর চেয়ে সাত হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এন্টিসেমিটিজম বিষয়ক এক রিপোর্টে প্রতিক্রিয়ার কারণে দলে তার সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিলো।

রোচডেইলে লেবার পার্টির পল ওয়াহর কাছে হেরেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গ্যালাওয়ে। কয়েক মাস আগেই এক উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন।

গাজা দ্বন্দ্বের বিষয়ে অবস্থানের জন্য লেবার পার্টির ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। ইসরায়েলে গত সাতই অক্টোবরে হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল লেবার। কিন্তু সমালোচকদের মতে পার্টির এই অবস্থানে পৌঁছার গতি ছিল খুবই ধীর। নির্বাচনি ইশতেহারে লেবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। গত বছর স্যার কিয়েরের বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন ইসরায়েলের গাজায় পানি ও জ্বালানি বিচ্ছিন্ন করার ‘অধিকার’ আছে।

পরে তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দেশটির আত্মরক্ষার অধিকার আছে।

(তথ্যসূত্র: বিবিসি, ৫ জুলাই ২০২৪)


গাজাপন্থী   যু্ক্তরাজ্য নির্বাচন   লেবার পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কি গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের সূচনা?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। লেবার পার্টি দীর্ঘ ১৪ বছর পর ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে৷ লেবার পার্টির নেতা স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪০৯টি আসন পেয়ে লেবার পার্টি ভূমিধস বিজয় পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। সংসদীয় গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর ব্রিটেন। বিশ্বে গণতন্ত্রের যখন হতাশাজনক অবস্থা। গণতন্ত্র যখন মুখ থুবড়ে পড়ার মতো পরিস্থিতিতে উপনীত হচ্ছে ঠিক সেইসময় পথ দেখাল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ব্রিটেনে নির্বাচন শুধু ব্রিটেনের জন্য নয়, পুরো বিশ্বে গণতন্ত্রের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলো বলেই অনেকে মনে করছেন। এর আগে বিশ্বে যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল, সেই নির্বাচনগুলো ছিল হতাশাজনক। ভোটার উপস্থিতি ছিল কম, নির্বাচন নিয়ে নানা রকম অভিযোগ এবং এই সমস্ত অভিযোগ এবং সংকটের মধ্যেই গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল।

অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন যে, শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র কী বিশেষ গোটা বিশ্বে হুমকির মধ্যে পড়বে কি না? বিশেষ করে ভারতের নির্বাচনের পর এই বক্তব্যটি আরও প্রবল ভাবে উঠে এসেছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। সেখানে নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাব বিস্তৃত বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। উঠেছিল বিরোধী পক্ষকে দমন করা এবং হয়রানি করার অভিযোগও। তবে সবকিছু পাশ কাটিয়ে ভারতে নরেন্দ্র মোদী টানা তৃতীয় বারের মতো জয়ী হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের সংকট সেখানে কাটেনি। সেদিক থেকে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন আশ্চর্য ব্যতিক্রম বটে।

গণতন্ত্রের আর একটি বড় কেন্দ্রস্থল হল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া যুক্তরাষ্ট্র নিজেই যেন এখন নেতা খুঁজে পাচ্ছেন না। জো বাইডেন আদৌ প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কি না সেই বিতর্ক যেমন উঠেছে তেমনই জো বাইডেনের প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক, অস্বস্তি। সবকিছু মিলিয়ে ট্রাম্প বাইডেন যিনি বিজয়ী হন না কেন বিশ্ব নেতা হিসেবে তিনি কতটুকু আস্থাভাজন হবেন। বিশ্বের গণতন্ত্রের নেতৃত্ব৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতটা দিতে পারবে সেই প্রশ্ন ক্রমশ বড়ো হয়ে উঠছে৷

এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে নির্বাচন যেন আশার আলো দেখাল। এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ভোটার উপস্থিতির হার ছিল বেশ ভালো। ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন এবং নির্বাচনের যে নাটকীয় ফলাফল তা গণতন্ত্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে যেমন গণতন্ত্রের নবজাগরণের সূচনা হল তেমনই স্টারমারের সামনে বিশ্ব নেতা হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।

মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন যে টলটলায়মান অবস্থা তাতে নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্ব নেতা হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। সেদিক থেকে স্টারমারের ব্যক্তিত্ব, তাঁর যে নীতি এবং কৌশল তা তাকে অবলীলায় বিশ্ব নেতার আসনে আসীন করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের জন্য গণতন্ত্রের সুবাতাসের একটি বার্তা বয়ে গেল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই যে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর এবং জনগণের সিদ্ধান্তই যে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত তা ব্রিটেনের নির্বাচন নতুন করে প্রমাণ করে দিলো। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাজ্যের নির্বাচন বিশ্বের গণতন্ত্রের ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ দেখায় কিনা।


যুক্তরাজ্য নির্বাচন   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালেন বিশ্ব নেতারা

প্রকাশ: ০৭:০৬ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দীর্ঘদিন পর ক্ষমতায় ফিরল মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি।

বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনে টানা ১৪ বছরের ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হয়েছে; পরাজয় মেনে নিয়েছেন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৩২৬টি। সেখানে লেবার পার্টি পেয়েছে ৪১২টি। আর ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি।

ভোটে ‘পরিবর্তনের’ ডাক দিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা পাঠাচ্ছেন বিশ্ব নেতারা।

ভারত

ভোটের ফল ঘোষণার পর কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এক্সে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “সাধারণ নির্বাচনে অসাধারণ জয়ের জন্য কিয়ার স্টারমারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। সবক্ষেত্রে আমি পারস্পরিক উন্নতি ও সমৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে ভারত-ইউকে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে আমাদের ইতিবাচক ও গঠনমূলক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।”

ভোটে পরাজিত ঋষি সুনাকের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্যে প্রশংসনীয় নেতৃত্ব ও আপনার মেয়াদে ভারত ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করতে সক্রিয় অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।”

আয়ারল্যান্ড

আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। সেই সম্পর্কে পুনঃস্থাপনের এখনই সময়। আজ (শুক্রবার) সকালে ডাবলিন থেকে আমি লন্ডনে একটি বার্তা পাঠাতে চাই, আমাদের শান্তি প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার জন্য আমি কিয়ার স্টারমারের প্রতিশ্রুতি ও উদ্যমের সঙ্গে একাত্ম হব।”

ইউক্রেইন

যুক্তরাজ্যে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টির জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুদ্ধের মধ্যে থাকা ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এক্সে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ইউক্রেইন ও যুক্তরাজ্য নির্ভরযোগ্য মিত্র হিসেবে আছে। সর্বাবস্থায় সেটিই থাকবে। আমরা আমাদের জীবন, স্বাধীনতা, নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সাধারণ মূল্যবোধকে রক্ষা ও এগিয়ে নিতে যাব।”

কনজারভেটিভ সরকারের মেয়াদে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ফ্রান্স

প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এক্সে লিখেছেন, “ভোটের জয়ে স্যার কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, ইউরোপের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করে যাব।”

নরওয়ে

এনটিবি নিউজ এজেন্সিকে নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ার বলেন, “লেবার পার্টিকে তার গতিপথ পরিবর্তন, গ্রেট ব্রিটেনের আয় সমৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ও জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসেবাকে শক্তিশালী করার জন্য ঐতিহাসিকভাবে ভোটররা শক্তিশালী মেন্ডেট দিয়েছে। আমি স্টারমারের সাফল্য কামনা করি।”

ইউ কমিশন

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক্সে লিখেছেন, নির্বাচনি জয়ে কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন। সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলো ও ইউরোপীয় নিরাত্তার বিষয়গুলোতে গঠনমূলক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”

ইউ কাউন্সিল

ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “নাগরিকদের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়ার সব বিষয়গুলোতে কাজ করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আপনি ও আপনার সরকার সঙ্গে কাজ করতে আমি আগ্রহী।”

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্‌ক। কিন্তু আমি স্যার কিয়ার স্টারমারসহ লেবার পার্টির অন্যদের সঙ্গে বেশ পরিচিত। তাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই।

“আমি নিশ্চিত, এইউকেইউএস (অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) এর সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব, যেমনটি আগের সরকারের সময়ে করেছি।”

কানাডা

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক্সে লিখেছেন, “যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ে কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন। আটলান্টিকের উভয় তীরের মানুষের জন্য আরও প্রগতিশীল, সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য সামনে প্রচুর কাজ রয়েছে। চলো বন্ধু, শুরু করি।”

নিউ জিল্যান্ড

নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন এক্সে লিখেছেন, “ভোটের জয়ে কিয়ার স্টারমার আপনাকে অভিনন্দন। নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য বড় ব্ন্ধু এবং একসঙ্গে অনেক কিছু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি সবক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।”

মাল্টা

ভূমধ্যসাগরের মাঝে দ্বীপ দেশ মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা এক্সে লিখেছেন, “যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দারুণ জয়ে কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন।

“প্রগতিশীল ও আকর্ষণীয় প্রচারের জন্য লেবার পার্টিকে অভিনন্দন, যা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করেছে। মাল্টা ও যুক্তরাজ্জ্যের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদারের অপেক্ষায় আছি।”


যুক্তরাজ্য   প্রধানমন্ত্রী   কিয়ার স্টারমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যাদেরকে নাগরিকত্ব দেবেন সৌদি আরব

প্রকাশ: ০৬:২৬ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরব বিদেশি বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা এবং অনন্য দক্ষতা ও বিশেষত্বের অধিকারী প্রতিভাবানদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

এসপিএ অনুসারে, বৃহস্পতিবার একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা সৌদি আরবের বৈশ্বিক প্রতিভা অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে। দেশটি তার ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে। ভিশন ২০৩০ উদ্যোগটি ব্যতিক্রমী সৃজনশীল মনন আকর্ষণ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের গভীর আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। 

ভিশন ২০৩০ হল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনা, যা সৌদি আরবের তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার একটি মাস্টারপ্ল্যান। ম্যাকেঞ্জির সহযোগিতায় ৩৭ বছর বয়স্ক যুবরাজ এই পরিকল্পনা তৈরি করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো 'নিওম', যেখানে ‘দ্য লাইন’ নামে অত্যাধুনিক মেগাসিটি নির্মাণ করা হবে। মরুভূমিতে কাচের কাঠামোর এই শহরের প্রস্থ হবে ৬৫০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১০০ মাইল। এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হবে এবং ৯০ লাখ মানুষ বসবাস করবে।

ভিশন ২০৩০-এর আওতায় ২০টির বেশি প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে লোহিত সাগরের তীরে অবকাশযাপন কেন্দ্র এবং কিদিয়া নামে একটি বিনোদন ও শিল্পকলার শহর অন্তর্ভুক্ত। এই কর্মযজ্ঞের অর্থায়ন করা হচ্ছে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে, যার মূল্যমান ৭০ হাজার কোটি ডলার। এই তহবিল থেকে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যেমন সফটব্যাংক, নিউ ক্যাসল ফুটবল ক্লাব, এবং টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী লুসিড।

সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তেল বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য তেল বহির্ভূত রপ্তানি জিডিপির ১৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।


সৌদি আরব   নাগরিকত্ব  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন