ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কলকাতায় একজনের মৃত্যু, রাজ্য জুড়ে ঝড়বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:১৮ এএম, ২৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় রেমাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতাসিহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও কলকাতার এন্টালি এলাকার বিবির বাগানে মাথায় সিমেন্টের চাঁই পড়ে একজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।

গতকাল রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কলকাতাসহ রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এতে সাগরদ্বীপসহ ক্যানিং, পাথর প্রতিমা, বকখালি, মৌসুন দ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে।

এছাড়াও অনেক জায়গায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিছু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি, মাটির ঘরবাড়ি, বাঁধ ভেঙে পড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘রেমালের আঘাতে কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার উড়ে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। কারণে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। সড়কে পানি জমেছে। গাছ ভেঙে পড়েছে।

এদিকে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে রেমাল।


ঘূর্ণিঝড়   রেমাল   পশ্চিমবঙ্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় রেকর্ড সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি

প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। দুপুর পর্যন্ত রেকর্ড ২৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। এই দফার ভোটেও অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেনের ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) জয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির। 

তবে অনেকে বলছেন অভিবাসনবিরোধী ইউরোসেপ্টিক পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এবং দেশটি ফের রাজনৈতিক স্থবিরতার মধ্যে পড়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। যাতে করে একটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট দ্বিধাবিভক্ত ফ্রান্সকে আরও বেশি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দেবে এবং দেশটির আন্তর্জাতিক অবস্থানকে দুর্বল করে দেবে। 

এর আগে দেশটিতে গত রোববার (৩০ জুন) অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর দলের ভরাডুবি হয়েছে। মাত্র ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে তার দল তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে  ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী মেরিন লে পেনের দল ন্যাশনাল র‍্যালি (এনআর)। আর ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ)। 

এ অবস্থায় পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ যাতে ডানপন্থীদের হাতে না যায় এজন্য ফ্রান্সের মধ্যপন্থী ও বামপন্থী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাক্রো। 

এদিকে মেরিন লা পেন ও জর্ডান বারডেলা’র নেতৃত্বাধীন দল এনআর-কে নির্বাচনের প্রথম দফায় জিতিয়ে দেয়ার মতো এত ভোট দেয়ার পেছনে কারণ কী তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। 

ভোট দেওয়ার আগে যেসব বিষয় ভোটাররা বিবেচনা করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জীবনযাত্রার ব্যয় সংক্রান্ত সংকট, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসুবিধা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ক্রমবর্ধমান অপরাধ। ফরাসিরা যেটিকে ‘নিরাপত্তাহীনতা’ বলে উল্লেখ করছে।

দেশটির অনেকের জন্য আবাসন ব্যবস্থা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। বরাদ্দ সংকুচিত করার কারণে কোনো কোনো এলাকার স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং স্থানীয় স্বাস্থসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বিরক্ত।

এছাড়া ভোটাররা প্রায়ই বলছেন যে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা কাজ কারছে না। তারা মনে করছেন, এনআর সরকারে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পায়নি। বিশ্রাম নেওয়ার মতো সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসাটাও ভালো মনে করছেন তারা।

এনআর সমর্থক ৬৪ বছর বয়সী জেন-ক্লড গ্যালেট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি সন্তুষ্ট, কারণ আমাদের পরিবর্তন প্রয়োজন।’

আরেক এনআর সমর্থক ৮০ বছর বয়সী মার্গারিট বলেন, ‘তারা (ন্যাশনাল র‍্যালি) উঠে আসতে পেরেছে, কারণ জনগণ বিরক্ত। তাই জনগণ এখন বলছে যে ‘উই ডোন্ট কেয়ার। আসুন ভোট দেই। দেখি কী হয়।’ 

এদিকে, অনেকেই দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চলমান সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো দায়ী করছেন। 


ফ্রান্স   পার্লামেন্ট নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের সামনে যত চ্যালেঞ্জ

প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। তার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ফলে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির ক্ষমতা রক্ষণশীলদের হাতে থাকার পর নতুন প্রেসিডেন্ট সংস্কারপন্থি হওয়ায় এ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। 

শনিবার (০৬ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্কারপন্থি প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় তার সামনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যদিও ইতোমধ্যে নাগরিকদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ঘোষণা দিয়েছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কারপন্থি প্রার্থীর জয়ের ফলে ইরানে বাস্তববাদী পররাষ্ট্রনীতি দেখা যেতে পারে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি নবায়ন করতে প্রধান প্রধান বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্থবির আলোচনা নিয়ে উত্তেজনা কমতে পারে। এ ছাড়া উন্নত হতে পারে সামাজিক উদারীকরণের সম্ভাবনা।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তোহিদ আসাদি বলেন, পেজেশকিয়ানের বিজয়ের ফলে ইরানের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে ইরানের রাজনীতি অত্যন্ত জটিল ও গতিশীল। এ রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট কেবল একজন খেলোয়াড়।

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, পশ্চিমা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোটে এখন বল। তবে এ জন্য ইরানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তাদের পুনরায় আস্থা অর্জন করতে হবে।

তেহরানভিত্তিক বিশ্লেষক ও ফারস মিডিয়া ফ্যাকাল্টির অধ্যাপক মোস্তফা খোশচেশম বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে কৌশলগত পরিবর্তন তেমন আসবে না।

তিনি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতির ভাগ্য নির্ধারণ করে পুরো সরকার ব্যবস্থা। এতে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও সংসদের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

অধ্যাপক মোস্তফা বলেন, নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ওপরও অনেককিছু নির্ভর করছে। যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন তাহলে দুপক্ষের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হবে এমনটা আমি আশা করি না।

জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সাবেক সংস্কারবাদী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ খাতামির সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান। এ ছাড়া ইরানের পার্লামেন্টে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তিনি।

সাবেক এ স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন স্বনামধন্য কার্ডিওলজিস্ট। তিনি তাবরিজ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সের সাবেক প্রধান ছিলেন। এটি ইরানের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান মেডিকেল প্রতিষ্ঠান।

পেজেশকিয়ান এর আগে ২০১৩ এবং ২০২১ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তিনি হাসেমি রাফসানজানিকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন এবং ২০২১ সালে গার্ডিয়ান কাউন্সিল তার প্রার্থিতা বাতিল করে।


ইরান   প্রধানমন্ত্রী   মাসুদ পেজেশকিয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডাউনিং স্ট্রিটে ক্ষমতার পালা বদল হলেও, ‘ল্যারি’ থেকেই যায়!

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনামলের অবসান শেষে লেবার পার্টির যুগে প্রবেশ করেছে দেশতির সরকার ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের চালকের আসনে বসেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। কিন্তু এত পরিবর্তনের মধ্যেও একজন যেন অনেকটা সাবেক আমলের চিরস্থায়ী জমিদারি বন্দোবস্ত প্রথার মতোই তার আসনে থেকে যায় বছরের পর বছর। দেশে নির্বাচনী লড়াই, রাজনৈতিক পালাবদলের নানা ঘটনা দেখেও তার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন নেই। বড়জোর হয়তো একটা হাই তুলে পাশ ফিরে আবার ঘুমিয়ে পড়ে সে।

হ্যাঁ বলছিলাম ল্যারির কথা। সে হলো ব্যাটারসি ডগস অ্যান্ড ক্যাটস হোম থেকে দত্তক নেওয়া একটি বাদামী-সাদা ট্যাবি বিড়াল। ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া বিড়ালটিকে ২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আনা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠে ল্যারি।

ব্রেক্সিট থেকে শুরু করে করোনা মহামারিতে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য। এমনকি একের পর এক প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষের আগেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে বিদায়ও জানিয়েছেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটকে। কিন্তু বহাল তবিয়াতে রয়ে গেছে ল্যারি। মন্ত্রিপরিষদ অফিসে ‘চিফ মাউসার’ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে সে।

যুক্তরাজ্যের গত ১৪ বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ডাউনিং স্ট্রিটে ল্যারির অবিচ্ছিন্ন উপস্থিতি রয়ে গেছে। ২০১১ সাল থেকে পাঁচজন রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কাজ করেছে ল্যারি। তাছাড়া মার্গারেট থ্যাচার, টনি ব্লেয়ার, উইনস্টন চার্চিল ও বেঞ্জামিন ডিসরেইলি-  এর চার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি সময় ধরে এখানে দায়িত্ব পালন করেছে।

হাজারো দায়িত্বের গুরুভার রয়েছে এই ছোট্ট চতুষ্পদী প্রাণীর উপর। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে ইদুরবাহিনীকে দূর করা থেকে দেশ-বিদেশের হেভিওয়েট অতিথিদের আপ্যায়ন- সব কাজেই ডাক পড়ে ল্যারির। তাছাড়া নিয়মিত ফটোগ্রাফারদের জন্য গম্ভীর মুখে ফটোজেনিক পোজও দিতে দেখা যায় ল্যারিকে।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় নেন ঋষি সুনাক। গত ১৪ বছরে ৫ জন প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেয়েছে যুক্তরাজ্য। আর নিজের কার্যমেয়াদে মোট ৬ জন প্রধানমন্ত্রীকে ডাউনিং স্ট্রিটে দেখবে বিখ্যাত এই বিড়াল। তবে হাফ ডজন প্রধানমন্ত্রী পেরিয়েও নিজের দায়িত্ব পালনে অবশ্য অবিচল এই ছোট্ট প্রাণী ‘ল্যারি’।


বিড়াল   যুক্তরাজ্য নির্বাচন   ঋষি সুনাক   স্টারমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান পরিষেবায় যাত্রী অসন্তোষ চরমে, বাড়ছে অভিযোগের সংখ্যা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে গেল বছর থেকে বিমানে ভ্রমণের বিষয়টি যাত্রীদের কাছে দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি আকাশপথে ভ্রমণের নানা বিড়ম্বনা নিয়ে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে অসংখ্য অভিযোগও জমা পড়েছে।

সরকারের পরিবহন বিভাগ শুক্রবার (৫ জুলাই) জানায়, ২০২৩ সালে প্রায় ৯৭ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। অন্যদিকে, আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ৮৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল।

এ বিষয়ে পরিবহন বিভাগ জানায়, অনেক বেশি অভিযোগ জমা থাকায় বাছাইয়ের ভিত্তিতে এগুলো পর্যালোচনা করতে জুলাই পর্যন্ত সময় লেগে যাবে।

রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোভিডের বছরের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্স ব্যবস্থাপনার ওপর গ্রাহকদের অভিযোগ আসতে থাকে। এসব অভিযোগের মধ্যে করোন মহামারী চলাকালীন বিমান ভ্রমণ বন্ধ থাকার প্রেক্ষিতে এয়ারলাইনসগুলো গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে বেশি সময় নেয়ার বিষয়টিও উঠে আসে।

ফ্লাইট অ্যাওয়্যার এর তথ্যানুসারে দেখা যায়, ২০২২ সালে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার ৫০০ ফ্লাইট বাতিলের ঘটনা ঘটে যা মোট সংখ্যার ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ গত বছর (২০২৩) এয়ারলাইনসগুলো এর চেয়েও অনেক কম ফ্লাইট বাতিলের পরও পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১ লাখ ১৬ হাজার ৭০০ টি ফ্লাইট বাতিল হয় ২০২৩ সালে। যা মোট বাতিলকৃত ফ্লাইটের প্রায় ২১ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২৩ সালে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি মার্কিন এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে উঠে আসে নানা অভিযোগ। প্রায় এক চতুর্থাংশ অভিযোগ জমা পড়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সেবার মান নিয়ে। এমনকি প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সাথেও যাত্রীসেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের নেতিবাচক আচরণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। যা ২০২২ সালের তুলনায় এক-চতুর্থাংশেরও বেশি বেড়েছে বলে তথ্য উঠে এসেছে।

এসব নিম্নমানের যাত্রীসেবার বিষয়ে অবশ্য মার্কিন পরিবহন বিভাগ বলছে, তারা অভিযোগ গ্রহণের পদ্ধতি আধুনিকীকরণ করেছে। ফলে এজেন্সিগুলোকে তদারকি করা সহজ হবে। অন্যদিকে এই শিল্পের তত্ত্বাবধানের জন্যও বিষয়টি আরও ভালোভাবে কাজ করতে সহায়ক হবে।

তবে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত যাত্রীদের কাছ থেকে মোট কতোগুলো অভিযোগ পরিবহন বিভাগ গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরা অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।


বিমান পরিষেবা   চরম অসন্তোষ   অভিযোগ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ২৮ ভারতীয় বংশোদ্ভূত নির্বাচিত

প্রকাশ: ০৫:৪৬ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এবারের নির্বাচনে নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ কমন্সে’ মোট ১০৭ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভোটে লড়াই করেছিলেন। নির্বাচনের পর দেখা যায় লেবার, কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্রেট ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ২৮ জন এমপি জয়লাভ করেছেন যারা সবাই ভারতীয় বনশদ্ভূত।

লেবার পার্টি থেকে ১৯ জন ও কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে জিতেছেন ছ’জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

অন্যদিকে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জিতেছেন লিবারেল ডেমোক্রেট হিসাবে। এছাড়াও দু’জন ভোটে জয়লাভ করেছেন স্বতন্ত্র হিসাবে।


যুক্তরাজ্য নির্বাচন   ঋষি সুনাক   স্টারমার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন