ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ‘বিশ্বের কঠিনতম’ ভর্তি পরীক্ষায়

প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ০৮ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চীনের শিক্ষার্থীদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নাম ‘গাওকাও’। এই পরীক্ষা ‘বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা’ বা ‘সব পরীক্ষার মা’ হিসেবেও পরিচিত। এটা মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। ১২ বছরের পড়াশোনা শেষে উচ্চবিদ্যালয় পাশ করা শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। এ বছর এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী।   

‘গাওকাও’ পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের মান্দারিন, ইংরেজি ও গণিত এই তিন বিষয়ে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা দিতে হয়। এছাড়াও পদার্থ, ইতিহাস ও রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় থেকেও প্রশ্ন করা হয় এই পরীক্ষায়।

বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের এক থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে হয়। এ সময়ের মধ্যে তাদের কয়েকটি রচনা, এমসিকিউ ও শূন্যস্থান পূরণ বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।

এ পরীক্ষা মোট ৭৫০ নম্বরের । ভর্তির ক্ষেত্রে এই নম্বর বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। চীনের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিতে ৬০০-এর বেশি নম্বর দরকার হয়।

গত বছরের রেকর্ড ভেঙে চলতি বছর এ পরীক্ষার জন্য ১৩.৪ মিলিয়নের বেশি শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। অর্থাৎ চীনে এর আগে এত বড় 'গাওকাও' আর কখনোই আয়োজিত হয়নি। গত বছর ১২.৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছিল।

শুক্রবার (৭ জুন) পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষার হলের বাইরে ছাত্রছাত্রীদের বাবা-মাকে উদ্বিগ্ন চেহারায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।


পরীক্ষা   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানালেন পুতিন

প্রকাশ: ০৫:৪৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।

শনিবার পেজেশকিয়ানকে পাঠানো এক বার্তায় পুতিন বলেন, 'আমি আশা করি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার মেয়াদ আমাদের বন্ধুপ্রতিম জনগণের মধ্যে গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারে অবদান রাখবে।

বার্তায় বলা হয়, কঠোর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু দুই দেশ আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো গঠনমূলক উপায়ে সমাধানের চেষ্টা করতে পারে।

দ্বিতীয় দফায় প্রায় তিন কোটি ভোটের মধ্যে পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। শতাংশের হিসেবে যা প্রায় ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টরপন্থি সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট, যা প্রায় ৪৪ শতাংশ।

২০২৫ সালের আগে নির্বাচন হওয়ার কথা না থাকলেও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন এগিয়ে আনা হয়।

গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে কেউ এককভাবে শতকরা ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়ায়।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়া সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান শনিবার বলেছেন, তিনি সবার প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা সবার কাছে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবো। আমরা সবাই এই দেশের মানুষ, আমাদের দেশের অগ্রগতির জন্য সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা প্রয়োজন।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   ভ্লাদিমির পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২, বিপৎসীমার ওপরে ব্রহ্মপুত্র

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের আসাম রাজ্যে টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছে আরও ২ জন। বন্যায় ২৪ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। 

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পরিস্থিতিও শোচনীয়। উদ্যানের অন্তত ৭০ শতাংশ জমি প্লাবিত হয়েছে। আতঙ্কে উদ্যান ছেড়ে পালাচ্ছে পশুরা।

সরকারি হিসাব বলছে, কাজিরাঙায় চলতি মৌসুমে গণ্ডার, হরিণসহ ৭৭টি পশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৬২টি হগ ডিয়ার (পারা হরিণ)। এ ছাড়া উদ্যানে ১৫ হাজারের বেশি পশু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ৯৪টি পশু।

তার মধ্যে ৫০টি নিরাপদে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১১টি পশু চিকিৎসা চলাকালীন মারা গেছে।

অন্যদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আসামের ৩৫টি জেলার মধ্যে ৩০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি গুরুতর আকার নিয়েছে। এক মাস ধরে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রসহ একাধিক বড় নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।

এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অনেক ফসলও।

আসামের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম ধুবড়ি, ডারাং, কছাড়, বরপেটা ও মরিগাঁও। এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার মানুষকে স্থানান্তর করে ত্রাণশিবিরে পাঠানো গেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তর। তবে এখনো হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া।

রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলোও ৯ দিন ধরে পানির নিচে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ডিব্রুগড়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে পরিস্থিতি তত্ত্বাবধানের জন্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ক্ষতির মোকাবেলা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। মানুষের সমস্যার কথা শুনে সবাই মিলে তার সমাধানের চেষ্টা করছি।’

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসামের রাস্তাঘাট, সেতু ও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ। নিয়ামতিঘাট, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া, ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্র ও তার উপনদীগুলো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বরাক নদীর পানিও ফুঁসছে। বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় প্রশাসনের।


আসাম   বন্যা   ব্রহ্মপুত্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জিম্মিদের মুক্তিতে বাইডেনের প্রস্তাবে রাজি হামাস

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস তাদের কব্জায় থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। 

শনিবার (৬ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাসের একটি সূত্র।

সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা বা শান্তি সংলাপ ফের শুরুর জন্য চুড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে হামাস। এই আলোচনার একটি অপরিহার্য অংশ গোষ্ঠীটির কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্তি। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হামাস।

গত ১ জুন গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি তিন স্তরবিশিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন জো বাইডেন। তার প্রস্তাব অনুসারে, প্রথম স্তরে গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। এই পর্বে রাফাসহ গাজার অন্যান্য জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি কয়েক শ’ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে নিজেদের কব্জায় থাকা কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এই দফায় যেসব জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে বয়স্ক এবং নারীরা প্রাধান্য পাবেন।

সেই সঙ্গে এ ছয় সপ্তাহের প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করবে অন্তত ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। হামাস এবং ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ও প্রতিরক্ষাবাহিনী এই পর্যায়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাবে। যদি এই আলোচনা ৬ সপ্তাহ সময়সীমার মধ্যে শেষ না হয়, তাহলে পরিকল্পনার প্রথম পর্ব বা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।

এই পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্বে নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেবে হামাস এবং তার বিনিময়ে গাজার বাসিন্দারা পাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।

পরিকল্পনার তৃতীয় পর্যায়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভবন-রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

হামাসের সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তাবের প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার ১৬ দিন পর থেকে নিজেদের কব্জায় থাকা সব ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষ জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করবে গোষ্ঠীটি।

গত ৭ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

অতর্কিত সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই ফিলিস্তিনিদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

এই যুদ্ধের শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার। গত মার্চ মাসে কাতারের মাধ্যমে ইসরায়েলের সরকারের কাছে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল হামাস। তবে তখন এই প্রস্তাবকে ‘বাস্তবসম্মত নয়’ বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। তবে সম্প্রতি তিনি এই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে তার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছেন, শান্তি সংলাপ ফের শুরু করতে কাতারে শিগগিরই প্রতিনিধিদল পাঠাবেন তিনি।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ট এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আশা করছি, এবারের আলোচনা জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে আমরা একটি চুড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব।”


ফিলিস্তিন   গাজা   ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষমতায় লেবার পার্টি, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রনীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে কী?

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৃহষ্পতিবার (৪ জুলাই) যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভের ১৪ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটিয়ে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের চালক হিসাবে জনগণের রায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন কিয়ার স্টারমার। ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪১২টি আসন পেয়ে ভূমিধস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে লেবার পার্টি। অর্থনৈতিক সমস্যাসহ নানান রকমের সমস্যা জর্জরিত দেশটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দেশীয় ও পররাষ্ট্রনীতিতে কোন রকমের পরিকল্পনা নিয়ে আগায় সেটি এখন দেখার বিষয়। আর এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা রকম আলোচনা।  তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় জয় হয়েছে গণতন্ত্রের বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত। সংসদীয় গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর বলে খ্যাত ব্রিটেন বিশ্ব গণতন্ত্রের মঞ্চে যখন হতাশাজনক অবস্থায় রয়েছে ঠিক সেইসময় পথ স্টারমারের বিজয় নতুন আশার আলো সঞ্চয় করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ব্রিটেনে নির্বাচন শুধু ব্রিটেনের জন্য নয়, পুরো বিশ্বে গণতন্ত্রের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে পারে বলেও অনেকের অভিমত।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

একসময় শ্রমবাজারকে সুসংগঠিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো লেবার পার্টি। ব্রিটেন ইইউ-এর বাইরে থাকবে এবং একক শ্রমবাজার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বলেও আট বছর আগে তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে জানিয়েছিল। কিন্তু ব্রেক্সিট ইস্যুর পর ফের ইইউ’র সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে তারা আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছে। এমনকি বাণিজ্যে অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সম্পর্ক আরও গভীরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় চেকিং বন্ধের পাশপাশি যোগ্যতাসম্পন্ন পেশাদারদের জন্য একটি পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি সুরক্ষিত করতে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও অভিমত বিশ্লেষকদের। ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ মূল ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে সহযোগিতা জোরদার এবং সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য নতুন করে ইউকে-ইইউ নিরাপত্তা চুক্তি হবার পরিকল্পনা রয়েছে নতুন এই সরকারের। এর আগে স্টারমার ফ্রান্সের অতি-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল আরএন’র সাথে একসাথে কাজের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন স্টারমার।

তিনি বলেছিলেন, "আমরা নির্বাচিত হলে আমি ইউরোপে এবং সারা বিশ্বের যেকোনো সরকারের সাথে কাজ করব... আমার জন্য, এটিই গুরুতর।" এমনকি ফ্রান্স-ইউকে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে অভিবাসী সমস্যা সমাধানের একটি পথ হতে পারে স্টারমারের আমলে।

ইউরোপীয় মানবাধিকার সংস্থা (ইএইচসিআর) 

ইইউ অন্তর্ভূক্ত মানবাধিকার সংস্থা ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস এর সঙ্গে একযোগে কাজ করার পক্ষে লেবার পার্টি তাদের একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

ন্যাটো

ইউরোপ ও বিশ্বের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ন্যাটো কাজ করে চলেছে। আর তাই এই সংস্থাটির প্রতি লেবার পার্টি তাদের অবস্থান অনড় থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। ন্যাটোকে আরো শক্তিশালী ও সুসংহত করার পাশপাশি অন্যান্য গুরুত্বপুর্ণ সস্থা বিশেষত ইউএন, জি৭, জি২০ এর মতো সংস্থাগুলোকে কিভাবে আরো সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে চালানো যায় সে বিষয়ে কাজ করবে নতুন এই সরকার।

রাশিয়া-ইউক্রেন

ইউক্রেনের প্রতি সুনাক সরকারের আমলে নেওয়া সমর্থনের প্রতি আস্থা রেখে স্টারমার সরকার সামরিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ইস্যুগুলোতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে লেবার পার্টির পক্ষ থেকেও এমনটাই জানানো হয়েছিল ইউক্রেন ইস্যুতে। একইসঙ্গে ন্যাটোর সদস্য দেশ হিসেবে ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্তির বিষয়েও স্টারমার সরকার কাজ করবে বলে প্রস্তুতি নিতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

স্টারমারের দল যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের দেশের জন্য অপরিহার্য বন্ধু আখ্যা দিয়ে উভয় দেশের নিরাপত্তা ও উন্নতির লক্ষ্যে তাদের কাজের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। পাশপাশি অভিন্ন স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়েও উভয় দেশ কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও লেবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আউকাস

যুক্তরাজ্য ছাড়াও নিরাপত্তা ইস্যুতে আউকাস এর অন্তর্ভূক্ত অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একযোগে কাজ করবে। এক্ষেত্রে কনজারভেটিভের পথকেই অনুসরণ করবে দলটি। এছাড়াও ব্রিটেন জুড়ে অধিক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের দিকেও নজর দিকে লেবার সরকার।

ফকল্যান্ড ও জিব্রাল্টার

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ফকল্যান্ড ও জিব্রাল্টারের ওপর নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্টারমার সরকার।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যু

‘টু স্টেট সলিউশনের’আওতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে লেবার পার্টি। তবে ঠিক কেমন সময় লাগতে পারে সে বিষয়য়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেয়নি দলটি। একইসঙ্গে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও গাজায় শরণার্থীদের জন্য নতুন করে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারেও তাদের দৃঢ় পরিকল্পনার কথা নির্বাচনের আগে জানিয়েছিল। পাশপাশি দ্রুততার সঙ্গে হামসের কাছ থেকে ইসরায়েলি বন্দিদের ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারেও স্টারমার সরকার কাজ করবে। অন্যদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যু ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা স্থাপনের বিষয়টিও তাদের জন্য অতি জরুরি পদক্ষেপ হবে বলেও দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

চীন

চীনের প্রসঙ্গে লেবারের সোজাসাপ্টা অভিমত এই যে, দেশটির সঙ্গে যুক্তরাজ্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অবলম্বনের মধ্যদিয়ে কাজ করতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়য়ে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘’যেখানে দরকার সেখানে সহযোগিতা, যেখানে দরকার সেখানে প্রতিযোগিতা-এমন দর্শনে আমরা কাজ করব।’’

সম্ভাব্য নানান চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উভয় দেশ কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করবে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার। অন্যদিকে হংকংয়ের প্রতি স্টারমার সরকারের সমর্থনও বজায় থাকবে।

ভারত

ভারতের সঙ্গে নতুন কৌশলগত অংশীদারত্বের মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্যের প্রসারকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে লেবার সরকার কাজ করবে বলে তাদের মত প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও কাজ করতে প্রস্তুত বলেও একাধিকবার দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন

জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন খাতে খরচের ঘোষণাও দিয়েছে নতুন এই সরকার।

বাণিজ্য

মুক্ত বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে প্রসারিত করা ও সার্ভিস রপ্তানির বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্টারমার সরকারের। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন চুক্তির আওতায় বাণিজ্যে আধুনিকরনের পাশপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর করার পরিকল্পনাও রয়েছে যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত নতুন সরকারের। নতুন এই সরকার ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের কার্যক্রমকেও বেগবান করতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এছাড়াও কর্পোরেট ট্যাক্সেশনের OECD গ্লোবালের ন্যূনতম ট্যাক্সেশন হার বাস্তবায়নের পাশপাশি বহুজাতিক প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে করে ন্যায্য ট্যাক্স প্রদান করে সেটির প্রতিও তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট বলে জানিয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মহলের সাথে একযোগে কাজ করবে যুক্তরাজ্যের নতুন এই সরকার।

প্রতিরক্ষা ব্যয়

এ খাতে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রথম বছরে মোট জিডিপির ২.৫ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে স্টারমার সরকার।

অভিবাসন নীতি

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সাল জুড়ে অর্থাৎ কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় থাকা কালে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক অভিবাসী  যুক্তরাজ্যে ঢুকেছে। যাদের অনেকেই উন্নত জীবন ও শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।  এর বাইরেও একটি বড় অংশ অবৈধভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্যই অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যে। ঋষি সুনাক ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাজ্যে বেশি সংখ্যক অভিবাসী প্রবেশ করতে দেখা যায়। এমনকি অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতেও চেয়েছিল কনজারভেটিভ সরকার। এমনকি, বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল পাস করে এর পেছনে ২৪ কোটি পাউন্ড ইতোমধ্যে খরচও করে ফেলেছিলেন তারা।  এমন অবস্থায় আগাম নির্বাচনের ডাক দেন ঋষি সুনাক। আর সেই নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন লেবার পার্টি। যারা বরাবরই অভিবাসন নীতিতে কঠোর।

এদিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির সদস্যরা অভিবাসন নীতিতে এখনও পর্যন্ত তাদের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, কোন দণ্ডিত ব্যক্তি যেন যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবে না। যে সমস্ত দেশ থেকে তারা অপরাধ করে এসেছেন সেই সমস্ত দেশের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর নীতিতে কাজ করবে লেবার পার্টি।  এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশসহ ও অন্যান্য দেশের যেসব অভিবাসী যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তাদের জন্য ঠিক কি অপেক্ষা করছে সেটিই এখন দেখাবার বিষয়।


যুক্তরাজ্য নির্বাচন   লেবার পার্টি   পররাষ্ট্রনীতি   পরিবর্তন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সবাইকে বন্ধু করতে চান ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

দেশের অগ্রগতির জন্য আমরা সবার প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিবো, দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী ঘোষণার পর প্রথম ভাষণে এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। 

শনিবার (৬ জুলাই) ইরানের নির্বাচন কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিতীয় দফায় ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান। তিনি দেশটির নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা সবার প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেব। আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। দেশের অগ্রগতির জন্য আমাদের সবার একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’

ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হলে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। গত ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়।

প্রথম দফায় চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী ছিলেন পেজেশকিয়ান। তবে নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় গত শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। প্রথম দফায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং অতি রক্ষণশীল সাইদ জালিলির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

ইরানের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, তিন কোটির বেশি ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ভোট। আর সাইদ জালিলি পেয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি ভোট।

কয়েক বছর ধরে ইরানে রক্ষণশীল ও অতি রক্ষণশীল শিবিরের আধিপত্যের পর পেজেশকিয়ানের জয় দেশটির সংস্কারপন্থীদের আশাবাদী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছিল। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্‌রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   নির্বাচন   মাসুদ পেজেশকিয়ান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন