ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হোয়াইট হাউসের কাছে গাজা যুদ্ধবিরোধী 'রেড লাইন' বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ০৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতর হোয়াইট হাউসের কাছে হাজার হাজার লোক গাজায় চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে 'রেড লাইন' বিক্ষোভ করেছে। 

স্থানীয় সময় শনিবার (৮ জুন) 'রেড লাইন' নামের এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম লেখা দীর্ঘ ব্যানার বহন করছিলেন বিক্ষোভকারীরা। 

গাজা যুদ্ধ নিয়ে দ্বিমুখী-নীতির জন্য সমালোচিত হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কেননা, বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী হামলার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সহনশীলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গত মে মাসে হোয়াইট হাউস বলেছিল, রাফায় ইসরায়েলি হামলা 'রেড লাইন' বা চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেনি।এর দুই মাস আগে বাইডেন রাফায় 'রেড লাইন' অতিক্রম না করতে ইসায়েলকে সতর্ক করেছিল। ভার্জিনিয়ার ২৫ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী জায়েদ মাহদাবি বলেছেন, 'আমি বাইডেনের কোন কথাই আর বিশ্বাস করি না। বাইডেনের রেড লাইনের বিষয়টি তার ভন্ডামি ও কাপুরুষতা।'

নার্সিং সহকারী তালা ম্যাককিনি (২৫) বলেন, আমরা সবাই আশা করি এটি শিগগিরই বন্ধ হবে। তবে স্পষ্টত আমাদের প্রেসিডেন্ট দেশের সাথে যেসব কথা বলেছেন তা মেনে চলছেন না। এটা আপত্তিজনক।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সকলেই প্রায় লাল পোশাক পরেছিল। তাদের হাতে ছিল ফিলিস্তিনি পতাকা। তাদের দাবি, বাইডেনের 'রেড লাইন' মিথ্যা এবং শিশুদের ওপর বোমা হামলা চালানো আত্মরক্ষা নয়।

এদিকে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর পাঁচ মাস বাকি। নির্বাচনে বাইডেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হচ্ছেন। মুসলিম ও তরুণ ভোটারদের কারণে চাপে রয়েছেন বাইডেন। তাই এবারের মার্কিন নির্বাচনকে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা।

ম্যাককিনি বলেন, এটি খুবই হতাশাজনক যে আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট যিনি কথা রাখেন না। আমি তৃতীয় পক্ষকে ভোট দিব।


হোয়াইট হাউস   গাজা   রেড লাইন   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিদেশিদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব, কারা পাবেন সুযোগ?

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ ও বৃহৎ আয়তনের দেশ সৌদি আরব। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির নাগরিকত্ব নেওয়ার। কেউ বসবাসের জন্য কেউ আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য। পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের মুকতার আলিমকে ২০২১ সালে নাগরিকত্ব দিয়েছিল সৌদি সরকার। এর পর বাংলাদেশ থেকে আর কেউ এই নাগরিকত্ব পায়নি।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা গ্রহণের সময় থেকে নানা পরিবর্তন আসছে অভ্যন্তরীণ নিয়ম-নীতিতে। ভিশন ২০৩০ নামে এক নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে একে একে পেট্রো ডলার থেকে নির্ভরতা কমিয়ে সৌদি আরব এখন পশ্চিমাদের আদলে নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বিদেশিদের জন্য। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দেশটিতে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।

সৌদির রাজকীয় আদেশের অংশ হিসেবে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে ডিক্রি জারি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুবরাজ সালমান তার ভিশনে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে। যাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুরের মানুষ।

দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা মনে করছেন অদূর ভবিষ্যতে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এমন সুযোগ পেতে পারেন।

২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সেসময় পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের মুকতার আলিমকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।


নাগরিকত্ব   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১২, নিখোঁজ ১৮

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এক অবৈধ সোনার খনিতে ভূমিধসে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

আজ সোমবার ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলোতে অনিবন্ধিত ও অবৈধ খনন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এসব জায়গায় স্থানীয়রা প্রায়ই উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া সোনা খুঁড়ে বের করার কাজে অংশ নেন।

শনিবার দিনের শেষভাগে গরনতালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। এর আগে বেশ কয়েক দফা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে স্থানীয়রা। আরও অনেকেই নিখোঁজ আছেন।

স্থানীয় উদ্ধার কর্মকর্তা হেরিয়ান্তো বলেন, 'আটজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকেই হালকা থেকে ভারি আঘাতের শিকার হয়েছেন।'

তিনি আরও জানান, তিন জনের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং আরও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

হেরিয়ান্তো (তিনি দ্বিতীয় কোনো নাম ব্যবহার করেন না) আরও জানান, এ এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এবড়োখেবড়ো ভূমির কারণে উদ্ধারকর্মীরা পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যসহ মোট ১৮০ জন উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন, যোগ করেন তিনি।

নভেম্বর থেকে এপ্রিলে বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে জুলাই মাসটি শুষ্ক মৌসুমের অন্তর্ভুক্ত এবং এই মাসে ভারি বৃষ্টিপাত খুবই বিরল।

মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভূমিধসে ১৫ জন মারা যান। সেসময় অনেক বাড়ি পানিতে ভেসে যায় এবং সড়কের ক্ষতি হয়।

এপ্রিলে একই প্রদেশে ভূমিধসে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।


ইন্দোনেশিয়া   ভূমিধস   নিহত   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেখ হাসিনার সফর নিয়ে যা ভাবছে চীন

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে শেখ হাসিনার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে রোববার (৭ জুলাই) একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সফর চলাকালেই আরও দুটি দেশের সরকারপ্রধান চীন সফর করবেন। তারা হলেন- প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলে।

একসঙ্গে একাধিক বিদেশি সরকারপ্রধানের চীন সফরকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে গ্লোবাল টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এবং গ্লোবাল সাউথের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত ফলপ্রসূ সাফল্যের প্রমাণ হলো এসব সফর। এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষকরা।

চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইডংয়ের মতে, তিন দেশের নেতাদের চীন সফর পশ্চিমের ‘অপ্রচলিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার’ বিপরীতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সমর্থনের বাস্তবতা প্রদর্শন করবে।

সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং বলেছেন, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ‘ধোঁকা বা বাধা’ দেওয়ার লক্ষ্যে পশ্চিমারা যেসব ‘হয়রানিমূলক কৌশল’ অবলম্বন করে থাকে, সেগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে এসব কূটনৈতিক ব্যস্ততা।

ঐতিহাসিক মুহূর্ত

শেখ হাসিনার চীন সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম। তার মতে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন পথ তৈরি করবে এবং পারস্পরিক সুবিধার বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করতে পারে।

তিনি গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা কোনো রাজনৈতিক সূত্রে যুক্ত বা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দাবি করে না।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে নতুন সহযোগিতা ব্যবস্থা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে নতুন সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং জ্বালানি সরবরাহ ক্ষমতার উন্নতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হবে।

সতর্ক নজর ভারতের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রতিবেশী ভারত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর টানা তৃতীয় মেয়াদের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত জুন মাসে ভারত গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এর কয়েকদিন পরে আবারও রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি যান তিনি। পরপর দু’বার ভারত সফরের পর শেখ হাসিনা এবার চীনে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

তবে চীনা পর্যবেক্ষক কিয়ান ফেং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার এটি পঞ্চম চীন সফর এবং এ বছরের শুরুতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম। এটি চীনা ও বাংলাদেশি নেতাদের মধ্যে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের ইঙ্গিত দেয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় পক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরে।

কিয়ানের মতে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির প্রয়োজন।


বাংলাদেশ   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা   সফর   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পদত্যাগ করছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল। পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে তার পদত্যাগের প্রস্তাব দেবেন তিনি। খবর এএফপির।

তিনি বলেন, যদি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না হয় তবে যত দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে প্রয়োজন হবে তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই দেশটিতে প্যারিস অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে।

তবে দেশটির নতুন সরকার নিয়ে বেশ জটিলতা দেখা দিয়েছে কারণ কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। দেশটিতে প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দফার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন)। আনুষ্ঠানিক ফলাফল থেকে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দফার ভোটে বামপন্থীদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই) জয়ী হয়েছে এবং পার্লামেন্টে তারাই সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে।

নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী এসেম্বল জোট দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এবং আরএন পার্টি এখন তৃতীয় অবস্থানে সরে গেছে। রোববারের এই ভোটে কট্টর-ডানপন্থি ন্যাশনাল ব়্যালিকে ঠেকাতে একজোট হয়ে লড়েছে বামপন্থি জোট দলগুলো।

প্রথম দফার ভোটে ডানপন্থিদের জয়ে উদার ও মধ্যপন্থীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। আরএন যেন দ্বিতীয় দফায় জয়ী হতে না পারে সেজন্য বামপন্থী জোট এবং ম্যাক্রোঁর জোটের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই দুই জোট মিলে দুই শতাধিক প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নেয়। আরএনের বিরুদ্ধে পড়া ভোটগুলো যেন একজনই পান সেজন্যই বাম ও মধ্যপন্থিদের এই কৌশলই শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে।

তবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। কারণ দেশটিতে তিন দলের একসঙ্গে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন নিয়ে এখনো কোনো কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

গত ৩০ জুন দেশটির প্রথম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থিরা প্রথম ধাপের নির্বাচনে কখনোই জয়লাভ করতে পারেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম কোনো ডানপন্থি দল প্রথম দফার ভোটে জয় পেয়েছে। সরকার গঠনের ব্যাপারেও তারা বেশ আশাবাদী ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফার নির্বাচন সবকিছু উল্টে গেছে।


পদত্যাগ   ফ্রান্স   প্রধানমন্ত্রী   গ্যাব্রিয়েল আটাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সম্রাট নেপোলিয়নের ২ পিস্তলের দাম ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের নিজের দুইটি পিস্তল নিলামে বিক্রি হয়েছে। দাম উঠেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ইউরো (১৪ লাখ পাউন্ড)। আজ সোমবার (৮ জুলাই) এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া বিনিময় মূল্য ১ ইউরো = ১২৭ টাকা ৮৬ পয়সা হিসেবমতে বাংলাদেশি মুদ্রায় পিস্তল দুইটির দাম দাঁড়ায় প্রায় ২১ কোটি ৬০ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ টাকা।   

জানা গেছে, এই দু'টির একটি পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন নেপোলিয়ন।

ফরাসি বন্দুকনির্মাতা লুই-মারিন গসেত এই পিস্তল দুইটি তৈরি করেছিলেন। আশা করা হয়েছিল, ১২ থেকে ১৫ লাখ ইউরোতে বিক্রি হতে পারে এই পিস্তল দুইটি।

বিবিসি জানায়, রবিবার ওসেনাত নিলামকেন্দ্রে এই পিস্তলগুলো বিক্রি হয়েছে। এই নিলামকেন্দ্রটি ফন্তেনব্ল্যু প্রাসাদের পাশেই অবস্থিত। ১৮১৪ সালে রাজসিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার অল্প কিছু সময় পর এই প্রাসাদেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালান নেপোলিয়ন। ১৮১৪ সালের ১২ এপ্রিল রাতে তিনি এই পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করতে উদ্যত হন। এর অল্প সময়য় আগে বিদেশি সেনার হাতে পরাজিত হয়ে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়।

নিলামের অল্প সময়য় আগে ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই পিস্তলগুলোকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এর রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পিস্তলগুলো নিয়ে কেউ ফ্রান্স থেকে বের হতে পারবেন না। আর হলেও, তা অল্প সময় পর আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। পরবর্তী ৩০ মাসের মধ্যে ফরাসি সরকারকে নতুন মালিকের কাছ থেকে এই পিস্তল কিনে নিতে হবে।

পিস্তলগুলোতে সোনা ও রুপার আস্তরণ রয়েছে। আর এক পাশে নেপোলিয়নের ছবিও খোদাই করা আছে। তবে তার সহকারী আরমান্দ দ্য কলেনকোর্ত পিস্তল থেকে বারুদ সরিয়ে রাখেন। এরপর নেপোলিয়ন বিষপান করলেও প্রাণে বেঁচে যান।

পরবর্তীতে তিনি কলেনকোর্তকে পিস্তল দুইটি উপহার দিয়ে গেলে তার বংশধরদের কাছে এগুলো রেখে যান।

নিলাম প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাঁ-পিয়েরে ওসেনাত জানান, এই পিস্তল ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণের সঙ্গে 'নেপোলিয়নের জীবনের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়' জড়িয়ে আছে।

সম্রাট নেপোলিয়নের ব্যবহৃত যেকোনো ব্যক্তিগত উপকরণ নিলামে মহামূল্যবান হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এর আগে গত নভেম্বরে তার ব্যবহার করা একটি তিন কোণা টুপি ১৯ লাখ ইউরোতে বিক্রি হয়।


নেপোলিয়ন   পিস্তল   নিলাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন