ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অর্থনৈতিক সংকট সমাধানই কী মোদির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ১১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর এর মধ্য দিয়েই ভারতে সরকার গঠন করছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। কিন্তু এবারের মোদি সরকার কতদিন টিকবে তা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে নানা মহলে।   

কেননা টানা ১০ বছর মোদি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বেহাল দশায় পড়েছে দেশের অর্থনীতি।  সেইসঙ্গে, বেড়েছে বেকারত্বের হারও। যদিও এবারের নির্বাচনের আগে মোদি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেছিলেন মোদি সরকার ভারতের অর্থনীতির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।   

কিন্তু ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল আসতে শুরু করার পরপরই মোদির জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সবার ধারণা বদলে যেতে থাকে। এরপর যখন বিজেপি এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পেতে ব্যর্থ হয়, তখনই সবার কাছে স্পষ্ট হতে থাকে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে মোদির। যদিও, শেষ পর্যস্ত জোট সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতায় বিজেপি। কিন্তু এবার সরকারে টিকে থাকতে  মোদিকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এক্ষেত্রে মোদির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু মোদি কী আদৌ পারবেন কর্মসংস্থান তৈরি করে ভারতের অর্থনীতিতে গতি আনতে? 

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, মোদির কর্তৃত্ব এবার জোট শরিকদের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। কেননা, গত ১০ বছরে তিনি একচেটিয়াভাবে ক্ষমতায় থেকেও ভারতের গভীর অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। হাজারও বাঁধা ডিঙ্গিয়ে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনাও তার সামনে নেই। 

এদিকে, মোদি প্রশাসনের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান বলেছেন, 'গত চার, পাঁচ বছরে কর্মসংস্থানের গতি দুর্বল হয়েছে। এর মধ্যে আপনি কীভাবে আরও চাকরি তৈরি করবেন? এটি সত্যিই ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, আমি মনে করি সরকারের সামনে সমাধানের বড় কোনো সুযোগ নেই।' 

মুম্বাইয়ের একটি স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি অনুসারে, ভারতের কর্মজীবী জনসংখ্যার সংখ্যা প্রায় একশ কোটি। কিন্তু ভারতে চাকরি রয়েছে মাত্র ৪৩ কোটি। আর বাদবাকি যাদেরকে কর্মরত হিসাবে গণনা করা হয় তাদের বেশিরভাগই দিনমজুর এবং খামারের শ্রমিক। নির্ভরযোগ্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার অভাবে তাদের জীবন দিনদিন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। 

দেশের এমন পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো করে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য মোদি সরকার যদি কোন পদক্ষেপ নেয়ও, তা জনগণ ও দেশের জন্য কতটা কল্যাণকর হবে তা নিয়েও শঙ্কা থেকে যায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


অর্থনৈতিক সংকট   ভারত   প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ান নারী এমপি বরখাস্ত

প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার গ্রিন পার্টির প্রস্তাবকে সমর্থনের জন্য তার সিনেট গ্রুপ সিনেটর ফাতিমা পেম্যানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছে। এবিসি নিউজ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৫ জুন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টায় পেম্যানের সমর্থন লেবার পার্টির মধ্যে বিতর্কের জন্ম দেয়।

এমনকি পার্টির পক্ষ হতে দলের কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণের অধিকার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতও  করা হয়েছে। 

জবাবে পেম্যান সাংবাদিকদের বলেন, সিনেটের ফ্লোর পেরিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ অতিক্রম করতে এই ধাপগুলি আমি একা হাঁটিনি। 

পেম্যান আরো বলেন, আমি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছি। তবে তারা আমাকে হাল না ছাড়তে বলেছে। আমি লেবার পার্টির মূল মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করছি যা সমতা, ন্যায়বিচার, নায্যতা এবং কণ্ঠহীন ও নিপীড়িতদের সমর্থনে কাজ করে থাকে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পেম্যান অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিজাব-পরা সিনেটর হিসাবে পার্লামেন্টে বসেন। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন যোগাতে লেবার পার্টির একমাত্র সদস্য পেম্যান। 

সূত্র: মিডিল ইস্ট মনিটর


ফিলিস্তিন   অস্ট্রেলিয়া   নারী এমপি   বরখাস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সে বিমান চালিয়ে বাংলাদেশি কিশোরের ইতিহাস সৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

১৬ বছর বয়সী আহনাফ আবিদ মাহির প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এককভাবে বিমান ওড়ানোর মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ৩০শে জুন সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের হোয়াইটম্যান বিমানবন্দরে মাহির তার বিমানটি নিয়ে আকাশে উড্ডয়ন করে নিরাপদে মাটিতে ফিরে আসেন।

নয় বছর আগে মাহির তার বাবা মইনুল হক এবং মা আয়েশা রুমার সাথে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। পরে তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ফ্লাইট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করানো হলে সেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফ্লাইট প্রশিক্ষক ইলিয়াস খানের অধীনে কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রেগুলেশন অনুযায়ী, মাহির ১৬ বছর বয়সে ফ্লাইট প্রশিক্ষকের বিশেষ লিখিত অনুমোদন নিয়ে বিমান উড্ডয়নের অনুমতি পান। 

মাহিরের ঐতিহাসিক ফ্লাইটের দিন তার বাবা-মা ও শুভানুধ্যায়ীরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাদা মেঘের মধ্যে দিয়ে বিমান চালিয়ে নিরাপদে অবতরণ করে তাদের অপরিসীম গর্ব ও আনন্দে ভরিয়ে দেয় মাহির।

মাহিরের বাবা মইনুল হক এই অর্জনের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে বলেন, "এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন।" তার মা আয়েশা রুমা মাহির ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

প্রশিক্ষক ইলিয়াস খান এ সফলতার বিষয়ে জানান, "মাহির তার ১৬তম জন্মদিনের ছয় মাস আগেই একা উড়তে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু বিধি অনুযায়ী ১৬ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আগামী বছর মাহির তার ফ্লাইট প্রশিক্ষকের বিশেষ লিখিত অনুমোদনের অধীনে যাত্রী ছাড়াই শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত বিমান উড়ানোর অনুমতি পাবেন।"

উল্লেখ্য, মাহির ১৭ বছর বয়সে একটি প্রাইভেট পাইলট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত  হবেন আর এর মধ্যদিয়ে মাহির অ-বাণিজ্যিক একক-ইঞ্জিন বিমান চালানোর অনুমতি পাবেন। এই সার্টিফিকেট তাকে দক্ষ পাইলট হওয়ার লক্ষ্যের আরও এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

এবিষয়ে উচ্ছ্বাস নিয়ে মাহির বলেন, "আমি খুবই উত্তেজিত। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।"


ইতিহাস   বাংলাদেশি   বিমান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ বাইডেন পরিবারের সদস্যদের

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে প্রথম প্রসিডেন্সিয়াল ডিবেট। বলা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে হেরে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে নিজ দলের কাছেই এখন সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন মুল্লুকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ৮১ বছর বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠ এ নেতাকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা যায় কি না, তা নিয়েও দলের ভেতরে চলছে আলোচনা। তবে রাজনীতির এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে  বাইডেন অবশ্য তার পরিবারকে ঠিকই পাশে পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিবার চায়, বাইডেন যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ বিতর্কে খেই হারানোর জন্য বাইডেন নন বরং তার উপদেষ্টারাই দায়ী।

রোববার ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিত এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাইডেনের ভবিষ্যত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। সদ্য হয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের পর থেকেই এমন প্রশ্ন জেগেছে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এসময় পরিবারের ওই অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী, সন্তান ও তার নাতিরা উপস্থিত ছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিবৃতি দিয়ে জানা যায়, তার পরিবারের সদস্যরা আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বাইডেনের সক্ষমতার বিষয়ে এখনও পুরোপুরি আস্থাশীল।

এমনকি প্রথম বিতর্কে কীভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা, সে বিষয়েও জানেন পরিবারের সদস্যরা। তা সত্ত্বেও তাদের বিশ্বাস ট্রাম্পকে হারানোর জন্য এ মুহুর্তে বাইডেনই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।

বার্তা সংস্থা এপি’র খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনের মাঠে চাপ সামলে শেষ পর্যন্ত বাইডেনকে লড়াইয়ে টিকে থাকার বিষয়ে সবচেয়ে জোরালো সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী জিল ও পুত্র হান্টার। অবশ্য প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা আরও দাবি করেন, বিতর্কের জন্য বাইডেনকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করেননি উপদেষ্টারা।

গত সপ্তাহে বিতর্কের সময় ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের বিরুদ্ধে কর্কশ ও কম্পিত কণ্ঠে কথা বলতে শোনা যায় মার্কিন এ প্রেসিডেন্টকে। কিছু কিছু সময় পুরো বাক্যও শেষ করতে পারেননি তিনি। বিপরীতে ট্রাম্পের ধারাবাহিক মিথ্যা দাবির কাছে বাইডেনকে দেখা যায় বেশ অপ্রস্তুত। এসময় ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া বা এমন দাবির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করতে পারেননি বয়োবৃদ্ধ বাইডেন।

ফ্লোরিডাভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম জন মরগান বলেন, আমার বিশ্বাস, তাকে (প্রেসিডেন্ট) অতিরিক্ত শেখানো হয়েছিল, তিনি অতিরিক্ত অনুশীলন করেছিলেন।

অন্যদিকে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উপদেষ্টাদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছিলেন, বিতর্কের আগে যেন প্রেসিডেন্টের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় ও এবিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বাস্তবিকে সেটি হয়নি। বাইডেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার কথায়, অসুস্থ ও ক্লান্ত দেখানো প্রেসিডেন্টকে বাইরে পাঠানো খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।

ক্যাম্প ডেভিডের ওই অনুষ্ঠানটিতে মূলত আসন্ন জাতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে এক ফটোশুটের আয়োজন করা হয়েছিল। 

এদিকে ডিবেট পরবর্তী সময়ে ৪৬ শতাংশ মার্কিন জনগণ মনে করছেন বাইডেনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। যদিওবা এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তার পক্ষে জনমত ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   জো বাইডেন   ডেমোক্র্যাট   ডোনাল্ড ট্রাম্প   রিপাবলিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিকম্পে কাঁপল ইকুয়েডর

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইকুয়েডরের রাজধানী কিতোতে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার ফলে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর না মিললেও ভূমিকম্পটি গভীরতা ছিল ৫.৬ কিলোমিটার এবং উৎপত্তিস্থল ছিল কিতো থেকে ৮.৪৯ কিলোমিটার দূরে, জানিয়েছে দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা। খবর আল আরাবিয়া।

সোমবার (১ জুলাই) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ফলে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। ইকুয়েডর জরুরি সেবা বিভাগ ভূমিকম্পের ভিডিও প্রকাশ করেছে। কিতোর মেয়র পাবেল মনোজ জানান, ভূমিকম্পের ফলে কিতোর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তবে এয়ারপোর্ট, মেট্রো, ল্যান্ডফল এবং পানি উৎপাদন প্ল্যান্টে কোনো ক্ষতি হয়নি। 

রাজধানীর বাসিন্দারা জানান, ভূমিকম্পের ফলে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় এবং কয়েকটি এলাকার দেয়ালে ফাটল দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ইকুয়েডরে ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।


ভূমিকম্প   ইকুয়েডর   ক্ষয়ক্ষতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে শক্তিশালী হারিকেন 'বেরিল', ধেয়ে আসছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

আরও শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ–পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে হারিকেন বেরিল। ক্যাটাগরি–৩ থেকে ক্যাটাগরি–৪–এ রূপান্তরিত হবার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া বিভাগ। স্থানীয় সময় সোমবার (১ জুলাই) ভোরে হারিকেনটি এ অঞ্চলের জনবহুল দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানতে পারে।

হারিকেনের প্রভাবে ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বড় বিপর্যয় এড়াতে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের দ্রুত সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলেছে, বর্তমানে হারিকেনটি আটলান্টিক মহাসাগরে বার্বাডোজের ২৫০ মাইল (৪০০ কিলোমিটার) দক্ষিণ–পূর্বে অবস্থান করছে। সোমবার দিনের শুরুতে এটি দক্ষিণ–পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের জনবহুল দ্বীপগুলোতে অতি বিপজ্জনক (ক্যাটাগরি–৪) হারিকেন হিসেবে আঘাত হানতে পারে।

এনএইচসি বলছে, হারিকেন মোকাবিলায় দ্রুত সব প্রস্তুতি শেষ করা দরকার। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্থানীয় সরকার ও জরুরি পরিস্থিতিতে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মার্টিনিক, সেন্ট লুসিয়া, গ্রানাডাসহ বেশ কিছু দ্বীপ নিয়ে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। এ দ্বীপপুঞ্জে বেরিলের প্রভাবে প্রবল বাতাস, উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও সামুদ্রিক ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে। শুরুতে এ ঝড়ের কেন্দ্রভাগে পড়ার বেশি ঝুঁকিতে আছে সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস ও গ্রানাডা দ্বীপ।

বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রানাডাইনস, গ্রানাডা ও টোবাগোয় হারিকেনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

চলতি বছরের আটলান্টিক হারিকেন মৌসুমের প্রথম হারিকেন এটি। গত শনিবার ভোরে আটলান্টিক মহাসাগরে এটির সৃষ্টি হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে এটি শক্তি সঞ্চার করে ক্যাটাগরি–৪ মাত্রার হারিকেনে রূপ নেবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  

সাধারণত জুনের শুরু থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলে আটলান্টিক হারিকেন মৌসুম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটলান্টিক হারিকেন মৌসুমের শুরুতে এ ধরনের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়া ব্যতিক্রম।


হারিকেন   ভূমিধস   বেরিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন