যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্রে সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। আজ বুধবার (২৬ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে দেশটির একটি আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর চূড়ান্তভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন অ্যাসাঞ্জ।
অ্যাসাঞ্জ যে মার্কিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করবেন, তা গতকাল মঙ্গলবারই জানা গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁসের যে ফৌজদারি অভিযোগ অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, আদালতে তা স্বীকার করবেন।
২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ। পাঁচ বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যের কারাগারে আটক ছিলেন। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
দোষ স্বীকার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সোমবার বেলামার্শ কারাগার থেকে ছাড়া পান অ্যাসাঞ্জ। এরপর তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে উদ্দেশে পাড়ি দেন। আজ সকালের দ্বীপটিতে অবস্থিত মার্কিন আদালতে পৌঁছান তিনি। সেখানে শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জের সাজা ঘোষণা করবেন বিচারকেরা। তাঁর পাঁচ বছর দুই মাস কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে একই সময় কারাভোগ করেছেন তিনি। মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, কারাগারে থাকা ওই সময়কে তাঁর সাজাভোগের সময় হিসেবে ধরা হবে। ফলে তাঁকে নতুন করে আর কারাগারে থাকতে হবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে উইকিলিকস জানিয়েছে, শুনানি শেষে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন অ্যাসাঞ্জ।
(তথ্যসূত্র:রয়টার্স)
যুক্তরাষ্ট্র আদালত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বিভিন্ন সময় আটক হওয়া ১২ জন বাংলাদেশিসহ মোট ১৯১ বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। জোহর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশে পাঠানো হয়েছে।
৫ জুলাই রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, ২ এবং ৪ জুলাই পেকান নেনাস অভিবাসন বিভাগের বন্দিশিবির থেকে ৯৫ জন ইন্দোনেশিয়ান, ৮৪ জন মিয়ানমারের এবং ১২ জন বাংলাদেশি বন্দিকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ-১) এবং স্টুলাং লাউট ফেরি টার্মিনালের মাধ্যমে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং অভিবাসন প্রবিধান ১৯৬৩-এর পাশাপাশি অন্যান্য এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সাজা শেষে এই বন্দিদের নিজ নিজ দেশের দূতাবাস থেকে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর আকাশ ও স্থলপথে নিজ খরচে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এই বন্দিদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যাতে তারা পুনরায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে না পারে।
মন্তব্য করুন
যুদ্ধ আক্রান্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি দেশটির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খুবই অল্প পরিমাণ খাবার-পানি নিয়েই তাদেরকে আসতে হয়েছে। এমনকি স্টেডিয়ামের বসার জায়গায় তারা অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়েছেন আর সেখানে বেশ ধুলোবালির মধ্যেই তাদের সময় পার করতে হচ্ছে।
এদিকে স্টেডিয়ামে আশ্রয়ের পর শুকনো মাঠে তাদের কাপড় ঝুলতে দেখা গেছে। আহ্রয় নেওয়া এক বাস্তুচ্যুত উম্মে বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, তাদেরকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। অতি সম্প্রতি গাজা সিটির শিজাইয়াহ এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে।
উম্মে আরও বলেন, ‘আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজার সামনে ট্যাংক। আমরা সঙ্গে করে কিছু নিয়ে আসতে পারিনি, তোষক নয়, বালিশও না, জামাকাপড় নয়, একটা জিনিসও না। এমনকি খাবারও নয়।’
তিনি আরও ৭০ জনের একটি দলের সঙ্গে শিজাইয়াহ থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়ারমুক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে পালিয়ে আসেন। স্টেডিয়ামে যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, তাদের ফিরে যাবার কোনো জায়গা নেই।
আশ্রয় নেওয়া হাজেম আবু থোরাইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। এবং আমাদের সমস্ত বাড়িঘর বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের চারপাশের সবারই একই অবস্থা।’
এদিকে ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেললেও লাখ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনও অবস্থান করছেন গেছেন। তবে সম্প্রতি সেখানে ত্রাণ প্রবাহের উন্নতি হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ক্রমেই এ অঞ্চলে বঞ্চনা ও নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে।
জাতিসংঘ এই সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছে যে তারা এখন উত্তরাঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
অন্যদিকে ইসরায়েল এর ভাষ্যমতে জানা গেছে যে তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং এটি সরানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে দোষারোপ করেছে।
গাজা বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম বাস্তুচ্যুত আশ্রয়স্থল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেবার পার্টি বিপুল জয় পেয়েছে। দলের নেতা কিয়ার স্টারমার ইতোমধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, যার ফলে কনজারভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই স্টারমার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন। প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন একজন মুসলিম নারী, শাবানা মাহমুদ।
শাবানা মাহমুদের জন্ম বার্মিংহামে হলেও তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ-কাশ্মীর বংশোদ্ভূত । তার বাবা-মা আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শাবানা তার শৈশব সৌদি আরবের তায়েফে কাটিয়েছেন। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু এবং মিরপুরি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। ২০১০ সালে, তিনি প্রথম অ-ব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন। ওই বছর আরও দু’জন নারী (বাংলাদেশি রুশনারা আলী এবং পাকিস্তানি ইয়াসমিন কুরেশি) সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
শাবানা মাহমুদ যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী। এছাড়া, তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী হিসেবে ‘লর্ড চ্যান্সেলর’ পদটি গ্রহণ করেছেন।
নতুন সরকারে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। র্যাচেল রিভস অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন, কারণ তিনি যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ ডেভিড ল্যামি এবং ইভেত্তে কুপার নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টি ৪১২টি আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন।
বিচারমন্ত্রী মুসলিম লেবার পার্টি কনজারভেটিভ পার্টি
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। আজ শনিবার তার প্রথম কার্যদিবস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার সকালে নতুন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন স্টারমার।
তবে নতুন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ পদগুলো পূর্ণ হলেও মন্ত্রী পর্যায়ে কনিষ্ঠ পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার কাজটি আজও চলবে।
যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কিছু চমকও দেখা গেছে। করোনা মহামারীর সময়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা প্যাট্রিক ভ্যালান্সকে বিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। আর টিম্পসন গ্রুপের মালিক জেমস টিম্পসনকে কারামন্ত্রী করা হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন স্টারমার। আগামী মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলন শুরু হবে।
এটি হবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টারমারের প্রথম বিদেশ সফর। লন্ডন এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত হবে এটি।
প্রথম কার্যদিবস যুক্তরাজ্য নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
মন্তব্য করুন
মিশরের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দেল লতিফের পিএইচডি ডিগ্রিটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। আর এবিষয়ে দেশটির একজন সাংবাদিক ও অনলাইন ফ্যাক্টচেকার সরকারকে জানিয়েছে বলে মিডেল ইস্ট আইয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।
গত
বুধবার মিসরের নতুন সরকার শপথ
গ্রহণ করে। আর এই
সরকারে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাদে বাকি
সব মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনার আওতায় শিক্ষামন্ত্রীর
দায়িত্ব পান মোহাম্মদ আব্দেল
লতিফ।
এদিকে নতুন শিক্ষামন্ত্রীর ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি প্রকাশের পর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকে তার বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
সরকারি ওয়েবসাইট এবং মিসরের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে আব্দেল লতিফের জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যার মধ্যে কার্ডিফ সিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন আব্দেল লতিফ।
এ
প্রসঙ্গে মিসরীয় সাংবাদিক এবং ফ্যাক্টচেকার হোসেম
এল-হেন্দি খুঁজে বের করেছেন, কার্ডিফ
সিটি বিশ্ববিদ্যালয় নামক যে বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষামন্ত্রী আব্দেল লতিফ পিএইচডি করার
তথ্য জানিয়েছেন সেটি একটি ‘ভুয়া
বিশ্ববিদ্যালয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো
ক্যাম্পাস নেই এবং এটি
ভুয়া সনদপত্র প্রদান করে থাকে এবং
এটি যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়েরও কোনো অংশ নয়।’
ভূয়া ডিগ্রি শিক্ষামন্ত্রী মিশর
মন্তব্য করুন