ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পিকারের বিবৃতি নিয়ে হট্টগোল

প্রকাশ: ১০:৪৪ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই স্পিকার ওম বিড়লার একটি বিবৃতি নিয়ে হট্টগোল করেছেন বিরোধীরা। এই হট্টগোলের পর বুধবার (২৬ জুন) লোকসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। লোকসভার বৈঠক আবার বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বসবে।

বিড়লা তার বিবৃতিতে বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।

সেই সঙ্গে যারা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন তাদের প্রশংসা করি।’ তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, ভারত সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের মা হিসেবে পরিচিত।

ভারতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সবসময়ই সমর্থন করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সবসময় রক্ষা করা হয়েছে। আর ইন্দিরা গান্ধী এমন একটি দেশে একনায়কত্ব চাপিয়েছিলেন। সে সময় ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে চূর্ণ করা হয়েছিল।

আট মিনিটের দীর্ঘ বিবৃতি পাঠ শেষে জরুরি অবস্থা জারির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণের পর স্পিকার সেই সময় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দুই মিনিট নীরবতা পালনের ডাক দেন। তার পরেই সারা দিনের মতো মুলতবি করে দেন লোকসভা।

সোমবার ১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থার কথা বলেছিলেন। জরুরি অবস্থার কথা স্মরণ করার জন্য এই সপ্তাহে সারা দেশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে বিজেপি।

বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীকে সেই ঘটনার জন্য দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন।

লোকসভা   স্পিকার   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৮৩০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে মায়ের কাছে ছেলে

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মায়ের জন্য সন্তানের ভালোবাসা অপরিমেয়। ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে ১৬টি দেশ পাড়ি দিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করে সেটির আবারও প্রমাণ দিলেন এক ভারতীয় যুবক।

বীরজিৎ মুঙ্গাল থাকেন লন্ডনে। তার বাড়ি ভারতের মহারাষ্ট্র। মা থাকেন ভারতে। তাই সেই সুদূর ব্রিটেন থেকে প্রতিকূল প্রকৃতির চ্যালেঞ্জ সামলে গাড়ি চালালেন ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। লক্ষ্য মায়ের সঙ্গে দেখা করা। 

সম্প্রতি একসঙ্গে দুই সংকল্প নেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় যুবক। মায়ের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিখ্যাত সিল্ক রুটে গাড়ি চালানোর ইচ্ছাপূরণে খানিক ঝুঁকি নিয়েই বেরিয়ে পড়েন তিনি। সেই সূত্রেই ডিঙাতে হয় লন্ডন থেকে ১৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ। এযাত্রায় ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, চীন, তিব্বত, নেপাল, ভারত-সহ মোট ১৬টি দেশ অতিক্রম করেন বীরজিৎ।

এই যাত্রার জন্য অফিস থেকে দুই মাসের ছুটি নেন ভারতীয় যুবক। সঙ্গী হন তার বন্ধু রোশন শ্রেষ্ঠ। যদিও তিনি লন্ডন থেকে নেপাল পর্যন্ত ছিলেন। বাকি পথ একাই পাড়ি দেন বীরজিৎ।

বীরজিৎ জানান, দিনে গড়ে ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার গাড়ি চালাতেন। কোনো কোনো দিন পরিস্থিতি বুঝে ১০০০ কিলোমিটার পথও গাড়ি চালিয়েছেন। তবে নিরাপত্তার কারণে রাতে গাড়ি চালাতেন না। 

তিনি আরও জানান, সহজ ছিল না এই যাত্রা। বরফ, শীত, কোথাও কোথাও আবহাওয়া ছিল ভীষণই খারাপ। 

যদিও দুর্গম পথে থমকে যাননি তিনি। ঠিক পৌঁছে গিয়েছেন মায়ের কাছে। ফিরবেনও কী এভাবেই? এবিষয়ে বীরজিৎ জানান, বিমানে লন্ডনে ফিরবেন তিনি। যে গাড়ি চালিয়ে তিনি এসেছেন, তা জাহাজের মাধ্যমে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেবেন।


বীরজিৎ মুঙ্গাল   লন্ডন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রোবটে জীবন্ত ত্বক, মানুষের মতো যা করতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রোবট তৈরির প্রচেষ্টায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বিশ্ব। এবার রোবটে ‘জীবন্ত ত্বক’ বসিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যান্ত্রিক রোবটের মুখমণ্ডল তৈরি করা হয়েছে জীবন্ত ত্বক দিয়ে। ত্বকটি হাস্যোজ্জ্বল অভিব্যক্তি দিতে সক্ষম, যা অবাক করার মতো সাফল্য।

সাফল্যটি পেয়েছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্সের অধ্যাপক শওজি টেকুচের নেতৃত্বে একদল গবেষক।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, রোবটটি বেশ ছোট। কিন্তু নরম ও গোলাপি রঙের জ্বলজ্বলে চোখ বিস্ময় জাগায়। রোবটটি যখন ক্যামেরা বা কারও দিকে তাকায় তখন সে তার চেহারায় হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারে। এ হাসি অনেকটা মানুষের মতো। মানুষের মতো চেহারার ত্বক সামান্য বিকশিত ও সংকুচিত করতে পারে এটি। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের মতো দেখতে রোবট তৈরির যেন ধুম পড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে হিউম্যানয়েড প্রথম নারী রোবট ‘সারা’ নিয়ে আলোচনা উঠে। রোবটটি তৈরি করে সৌদি আরব। এ নারী হিউম্যানয়েড রোবটটি যৌনতা ও রাজনীতি ছাড়া আর যে কোনো বিষয়ে কথা বলতে পারবে।

রিয়াদভিত্তিক কিউএসএস এআই অ্যান্ড রোবটসের প্রধান নির্বাহী এলি মেট্রি বলেন, ‘সারা জানে যে সে একজন মেয়ে, তার বয়স ২৫ বছর, তার উচ্চতা ১.৬২ সেন্টিমিটার, সে সৌদি পোশাক পরে। তার আচরণ ও ব্যবহার সুন্দর হওয়া উচিত। সৌদি আরবে তৈরি রোবট হওয়ায় তার রাজনীতি ও যৌনতা নিয়ে কথা বলা উচিত না।’

ঐতিহ্যবাহী সৌদি আবায়া পরিহিত সারা, সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যে ডিজাইন করা প্রথম হিউম্যানয়েড রোবট। সে আরবি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় কথা বলতে পারে। মেট্রি জানান, সারা তার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভাষা শেখার মডেল ব্যবহার করে। এটি একটি এআই প্রোগ্রাম, যা টেক্সট, স্পিচ শনাক্ত এবং তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলোকে (এলএলএম) বিস্তৃত ডেটাসেটগুলোতে মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়।

এই প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চলাকালীন, মডেলগুলো ডেটার মধ্যে নিদর্শন, কাঠামো এবং সম্পর্কগুলো শেখে, তাদের মানুষের মতো পাঠ্য তৈরি করতে এবং বিভিন্ন ভাষার কার্য সম্পাদন করতে সক্ষম করে। মেট্রি বলেন, ‘আমরা অন্য কারও লাইব্রেরির ওপর নির্ভর করি না, এমনকি চ্যাটজিপিটিও নয়।’


রোবট   বিশ্ব   জীবন্ত ত্বক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ব ক্যামেরা দিবস আজ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মধুর কিংবা বেদনার স্মৃতি ধরে রাখতে ক্যামেরার আদর্শ বিকল্প নেই। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ—ত্রিকাল সংযোজনের অনন্য এক সাঁকো আলোকচিত্র। আর আলোকচিত্র মানেই যে যন্ত্রটির কারিগরি, তা হলো এই ক্যামেরা। বহমান সময়কে থামিয়ে দেওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এই যন্ত্রটির। ক্যামেরায় ধরে রাখা স্মৃতিগুলোর বয়স বাড়ে না। কেবল স্মৃতি কিংবা সময় বেঁধে রাখাই নয়, শত-সহস্র প্রয়োজনে ক্যামেরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনিবার্য অনুষঙ্গ।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, ঘটনার সাক্ষী-প্রমাণ হিসেবে, বিভিন্ন তদন্তে-গবেষণায় ক্যামেরায় তুলে রাখা একটি ছবি খুলে দিতে পারে অনেক কিছুর জট। এখন তো মোবাইল ফোনের দৌলতে ক্যামেরা মানুষের হাতে হাতে। এ পর্যায়ে আসতে বস্তুটিকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু বছর।

ইতিহাস বলছে, ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনে প্রথম প্রচলন ঘটে ক্যামেরা অবস্কিউরার। ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দে আধুনিক যুগে প্রবেশ করে ক্যামেরা। তখন ক্যামেরা অবস্কিউরা ব্যবহার করে ফরাসি বিজ্ঞানী জোসেফ নিসেফোর নিপ্সে প্রথম ছবি সংরক্ষণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এরপর নানা বিবর্তনের পথ ধরে ক্যামেরা পেয়েছে বর্তমান রূপ।

মাঝে স্থিরচিত্র থেকে চলচ্চিত্র হয়েছে, নির্বাক থেকে সবাক, সাদা-কালো থেকে রঙিন। একক ও পৃথক যন্ত্র থেকে মোবাইল ফোন কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটে সমন্বিত হয়েছে এখন। এসবের প্রতিটি ধাপেই আছে অনেক বিজ্ঞানীর স্পর্শ।

যাহোক, আজ ২৯ জুন, ক্যামেরা দিবস। কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছে, তা সঠিকভাবে  জানা  না গেলেও দিনটি কিন্তু পালন করা যেতে পারে। ক্যামেরা কিংবা মোবাইল ফোন নিয়ে ছবি তুলতে বেরিয়ে পড়তে পারেন। এর পাশাপাশি শিখে নিতে পারেন ফটোগ্রাফির দুর্দান্ত কিছু কৌশল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন আপনার প্রিয় ক্যামেরা কিংবা প্রথম ক্যামেরার গল্প।


ক্যামেরা   দিবস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেপালে ভূমিধসে ৩ শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির মধ্যে ভূমিধসে তিন শিশুসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম টইমস অফ ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।

ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসকিউ অ্যান্ড রিডাকশন ম্যানেজমেন্ট অথরিটির মুখপাত্র ডিজান ভাট্টরাই জানিয়েছেন, কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে গুলমি জেলার মালিকা গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি পরিবারের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন। ভূমিধসের সময় তারা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, ৫ জনের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে।

গুলমির পার্শ্ববর্তী স্যায়াংজা জেলার এক এলাকাতেও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে একটি পরিবারের বাড়িঘর পুরোপুরি ধসে গেছে। এ সময় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে এক নারী ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছেন।

এছাড়া গুলমির সীমান্ত লাগোয়া বাগলুং জেলায় আরেক ভূমিধসের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন।

চলতি জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে নেপালে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। তখন থেকে দেশটিতে ভূমিধস, বন্যা এবং বজ্রপাতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নেপালে বর্ষা মৌসুমে সাধারণত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে।

তবে বর্ষা মৌসুমে বেশিরভাগ পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা প্রায়ই দেখা যায়। আর প্রাকৃতিক এসব দুর্যোগে দেশটিতে প্রত্যেক বছর শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটে।



নেপাল   ভূমিধস   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘জয় ফিলিস্তিন’ বলায় ওয়াইসি কি লোকসভার সদস্যপদ হারাবেন?

প্রকাশ: ০৫:০২ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গত মঙ্গলবার শপথবাক্য পড়ে ওয়াইসি বলে ওঠেন ‘জয় ফিলিস্তিন’ আর এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। 

ভারতের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সংসদ সদস্য হিসেবে ৫৪২ জনের সঙ্গে শপথ নেন ওয়াইসিও। সংসদ সদস্যদের অনেকে এ সময় করতালি দেন। সাদা কুর্তা পরে ওয়াইসি শপথ মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। উর্দু ভাষায় পাঠ করেন শপথবাক্য।

শপথ পড়তে গিয়ে ওয়াইসি বলেন, ‘আমি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, লোকসভা (ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ) সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি, আল্লাহর নামে শপথ করছি যে আমি ভারতের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকব। আমি ভারতের আধিপত্য ও অখণ্ডতা রক্ষা করব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্বগুলো আনুগত্যের সঙ্গে পালন করব।’

এরপর শপথ পাঠ শেষে মঞ্চ থেকে নামার আগে তিনি ‘জয় ভীম’, ‘জয় মীম’, ‘জয় তেলেঙ্গানা’, ‘জয় ফিলিস্তিন’ বলে স্লোগান দেন।

ওয়াইসির কি শাস্তি হবে

বিজেপি সদস্যদের দাবি, ওয়াইসি ভারতীয় সংবিধানবিরোধী কাজ করেছেন। দলটির তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রধান অমিত মালভিয়া মঙ্গলবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ফিলিস্তিনের মতো বিদেশি একটি দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের কারণে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী আসাদউদ্দিন ওয়াইসি লোকসভার সদস্যপদের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।

অমিত মালভিয়া তার এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের ছবি তুলে পোস্ট করেন। তাতে বলা আছে, অন্য  দেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করলে সংসদে সদস্য পদের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার বিধানটি তিনি চিহ্নিত করে দেন তিনি।

তবে অন্য এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ওই অধিবেশনে তিনি যদি প্রচলিত প্রথার বাইরে কোনো কথা বলেন থাকেন, তাতেও কোনো আইন ভঙ্গ হয়নি। কারণ, অনেক রাজনৈতিক নেতাই এমনটা করেছেন।

রাজনীতিক বিশ্লেষক ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি ভাষার শিক্ষক অপূর্বানন্দ আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আমার  মনে হয় না ওয়াইসি লোকসভার সদস্য হিসেবে অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন। কারণ শপথ নেওয়ার সময় প্রায় সব সদস্যই ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন।’

এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ওয়াইসি তার শপথ পাঠ শেষ করেই ফিলিস্তিনের সমর্থনে স্লোগান দেন। শপথবাক্যে তিনি ভারতের প্রতিই আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছেন। ফিলিস্তিনের সমর্থনে স্লোগান দিলে ভারতীয় সংবিধানের লঙ্ঘন হয় না। 


ভারত   লোকসভা   এআইএমআইএম   ওয়াইসিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন