ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেন-ট্রাম্প, আলোচনায় পররাষ্ট্রনীতি

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আজ প্রথমবারের মতো মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিচ্ছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এ বিতর্কে বৈশ্বিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে দুই নেতার অবস্থানের ওপর নজর থাকবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। 

আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুটি মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন বাইডেন ও ট্রাম্প। দুটি বিতর্কের আয়োজক সিএনএন ও এবিসি। 

আজ বৃহস্পতিবার(২৭ জুন) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথমবারের মত বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘটনা বিরল। ‘সবার আগে আমেরিকা’ প্রচার চালিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প তার ২০১৭-২১ মেয়াদে অনেকটাই বিশ্বব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার নীতি নেন। অন্যদিকে বৈশ্বিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করে ‘আমেরিকার প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসেন বাইডেন।

এদিকে, আটলান্টায় অনুষ্ঠেয় ওই ৯০ মিনিটের বিতর্কে কোনও দর্শক উপস্থিত থাকবেন না। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর বক্তৃতার ক্ষেত্রেও ‘কড়া সময়সীমা’ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

কিছু মৌলিক বিষয়ে বাইডেন ও ট্রাম্প দুজনেরই অবস্থান অভিন্ন। যেমন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে দুই প্রেসিডেন্টেরই অবস্থান ছিল অনমনীয়। তারা মনে করছিলেন যে দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে মার্কিনদের রক্তক্ষয় ও অর্থ ব্যয়ের কোনো মানে নেই।

দুই নেতার বিতর্কে আলোচনায় আসতে পারে যে বিষয়গুলো-

ইউক্রেন-ইসরায়েল ইস্যু

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেনের উদ্যোগে অস্ত্র ও বাজেট–সহায়তা হিসেবে কিয়েভের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।

তবে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, এই যুদ্ধে রাশিয়া জিতবে। তাঁর সমর্থকেরা ইউক্রেনের জন্য প্রস্তাবিত শেষ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ কয়েক মাস কংগ্রেসে আটকে রাখে। প্রেসিডেন্ট হলে এ যুদ্ধ ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্ধ করার সামর্থ্য রাখেন’ বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।

অর্থনীতি

ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ও মূল্যস্ফীতি ফিরে আসবে বলে সতর্ক করেছেন ১৬ জন নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ। এক চিঠিতে এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন তারা। গত মঙ্গলবার এ চিঠি প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে ওই অর্থনীতিবিদেরা বলেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জিতলে তিনি ‘আর্থিকভাবে দায়িত্বহীন বাজেটের’ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা উস্কে দিতে ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ফিরিয়ে আনতে পারেন।

আইনের শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

অর্থনীতিবিদদের মতে, অর্থনৈতিক সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের মধ্যে রয়েছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিশ্চয়তা। অন্যান্য দেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে আবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মতো কোনো দেশের জন্য আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করা এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখাও অপরিহার্য।

ইউক্রেন ও ইসরায়েল ইস্যু

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকাল ইসরায়েলকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যান ট্রাম্প। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং মার্কিন দূতাবাস সেখানে সরিয়ে নেন। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চান ফিলিস্তিনিরাও।

বাইডেনও নিজেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে দাবি করে আসছেন। তবে গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি হত্যার ঘটনায় দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমার একটি চালান আটকে দেওয়া নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেয়।

এছাড়াও, চীন, উত্তর কোরিয়া ও তাদের মিত্রদের বিষয়ে ট্রাম্প ও বাইডেনের অবস্থান অভিন্ন। দুজনই বেইজিংকে ওয়াশিংটনের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেন। তবে চীনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসনের মাত্রাগত কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।


জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   পররাষ্ট্রনীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাহুলের মন্তব্যের জেরে উত্তাল লোকসভা

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তাল ভারতের লোকসভা। সোমবার অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির প্রারম্ভিক ভাষণ নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার বক্তব্য রাখতে ওঠেন রাহুল। সাংসদদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা নিজেদের হিন্দু বলেন, তারা শুধু হিংসার কথা বলেন, ঘৃণার কথা এবং অসত্য কথা বলেন। তার পরই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে হইচই শুরু হয়ে যায়। 

সোমবার (১ জুলাই) অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা। ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, তারা যা করছে তা হিন্দু ধর্ম নয়। বিজেপি ধর্মের নামে হিংসা, ঘৃণা ও অসত্য ছড়ায়। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন

লোকসভায় বক্তব্যের শুরুতেই রাহুল দাবি করেন, ভারত নামক ধারণার উপরে আঘাত নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি তাকে হেনস্থা করেছে। রাহুল বলেন, আমি ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আক্রমণের শিকার হয়েছি। আমার সবচেয়ে উপভোগযোগ্য মুহূর্ত হলো ৫৫ ঘণ্টা ধরে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হওয়া।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে কংগ্রেস নেতা বলেন, দেবতা শিব বলেছেন ভয় করো না, ভয় পেয়ো না। তিনি অহিংসার কথা বলেছেন। আর যারা নিজেদের হিন্দু বলে, তারা ২৪ ঘণ্টা হিংসা, ঘৃণা অসত্যের কথা বলে। আপনারা হিন্দু হতেই পারেন না। হিন্দু ধর্মে সাফ লেখা আছে। সত্যের পক্ষে থাকতে হবে। সত্য থেকে পিছু হটা যাবে না।

রাহুলের এই বক্তব্যের মাঝেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে এ ধরনেরর মন্তব্য বিপজ্জনক।

বিরোধী নেতার মন্তব্যের সমালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাহুলকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেস আমলের হিংসাত্মক সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন তিনি। অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতেও বলেন অমিত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি জানেন না এই দেশে কোটি কোটি মানুষ নিজেদের গর্বের সঙ্গে হিন্দু বলেন। তারা কি সবাই হিংসার কথা বলে, হিংসা করে। তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।

তবে ক্ষমার প্রশ্নে রাহুল গান্ধী ঘোষণা দেন, লোকসভায় স্পিকার ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করবেন না তিনি।


রাহুল গান্ধী   লোকসভা   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডায়ানার জন্মদিনে হ্যারিকে মিস করলেন প্রিন্স উইলিয়াম

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সোমবার পহেলা জুলাই ছিল প্রিন্সেস ডায়ানার ৬৩তম জন্মদিন। ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় জন্মদিন। তবে এবারের জন্মদিনে তার দুই ছেলে একসঙ্গে অর্থাৎ ব্রিটেনে ছিলেন না। বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামই ব্রিটেনে প্রিয় মায়ের জন্মদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারিকে ভুলে যাননি প্রিন্স উইলিয়াম। তার বক্তব্যেই তার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রিন্স উইলিয়াম একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, মায়ের জন্মদিনে তিনি ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারির অনুপস্থিতি অনুভব করছেন। প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবার ছেড়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী মেগান মার্কেল ও সন্তানকে নিয়ে বাস করছেন।

১৯৬১ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন ডায়ানা। বেঁচে থাকলে এখন তার বয়স হতো ৬৩ বছর। হয়তো ঘটা করে পরিবার নিয়ে জন্মদিনও পালন করতেন। কিন্তু সবকিছুই এখন শুধুই স্মৃতি। মৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও ডায়ানাকে নিয়ে এখনো মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। 

প্রিন্স চার্লস এবং প্রিন্সেস ডায়ানা দম্পতির প্রথম সন্তান প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম ১৯৮২ সালে। পরে ১৯৮৪ সালে জন্ম হয় প্রিন্স হ্যারির। ১৯৯৭ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানা নিহত হন। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন মিসরের ধনকুবের দোদি আল ফায়েদ। তিনিও প্রাণ হারান। 


ডায়ানা   জন্মদিন   হ্যারি   প্রিন্স উইলিয়াম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ৩৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ৬৫০টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করবেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অনেকেই। আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ২ জন এবং লেবার পার্টি থেকে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ৬ জন, রিফর্ম পার্টি থেকে ১ জন, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস থেকে ১ জন, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট থেকে ১ জন, গ্রিন পার্টি থেকে ৩ জন, সোশ্যালিস্ট পার্টি থেকে ১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন:

প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন। বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং আবার মনোনয়ন পেয়েছেন—এমন চারজন হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আফসানা বেগম। রুশনারা বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনিগ্রিন, রুপা ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন, টিউলিপ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এবং আফসানা পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে লড়ছেন। অপর চার প্রার্থীর মধ্যে রুমী চৌধুরী উইথহাম, রুফিয়া আশরাফ সাউথ নর্থাম্পটনশায়ার, নুরুল হক আলী গর্ডন অ্যান্ড বোচান এবং নাজমুল হোসাইন ব্রিগ অ্যান্ড ইমিংহাম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মনোনয়নে নির্বাচনী লড়াইয়ে আছেন দুজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তাদের মধ্যে দক্ষিণ লন্ডনের টটেনহাম আসনে আতিক রহমান এবং ইলফোর্ড সাউথ আসনে সৈয়দ সাইদুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে ছয়জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন। ইলফোর্ড সাউথে গোলাম টিপু, বেডফোর্ডে প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, হেকনি সাউথে মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, আলট্রিচহাম অ্যান্ড সেল ওয়েস্টে ফয়সাল কবির, ম্যানচেস্টার রসলমোতে মোহাম্মদ বিলাল এবং স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বো আসনে হালিমা খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রিফর্ম পার্টি থেকে ইলফোর্ড সাউথ আসনে রিফর্ম পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ ফরহাদ। লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের মনোনয়নে রাবিনা খান বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে নাজ আনিস মিয়া ডুনফারমলাইন অ্যান্ড ডলার আসনে লড়ছেন।

গ্রিন পার্টির মনোনয়নে ইলফোর্ড সাউথে সাইদ সিদ্দিকী, ওল্ডহাম ওয়েস্ট অ্যান্ড রয়টনে সাইদ শামসুজ্জামান শামস এবং লেস্টার সাউথ আসনে শারমিন রাহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোশ্যালিস্ট পার্টির হয়ে ফোকস্টোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতাজ খানম।

দলীয় মনোনয়নে বাহিরে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ১১ ব্রিটিশ নাগরিক। হলবর্ন অ্যান্ড প্যানক্রাসে লড়ছেন ওয়েইছ ইসলাম। বেথনালগ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি গ্রিনে আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ ও সাম উদ্দিন। পপলার অ্যান্ড লাইমহাউসে এহতেশামুল হক। স্টার্টফোর্ড অ্যান্ড বোতে ওমর ফারুক ও নিজাম আলী। ইলফোর্ড সাউথে নূরজাহান বেগম। নিউক্যাসল সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্টে হাবিব রহমান। বেক্সিল অ্যান্ড ব্যাটেলে আবুল কালাম আজাদ। ওল্ডহাম ওয়েস্ট, চেটারটন অ্যান্ড রয়স্টোনে রাজা মিয়া।

যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে ছোট-বড় প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। হাউস অব কমন্সের ৬৫০ আসনের বিপরীতে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে শামিল হয়েছেন। এবারের নির্বাচনে কোনো আসনে পাঁচজনের কম প্রার্থী নেই। এ ছাড়া একটি আসনে সর্বোচ্চ ১৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে ৩১৭টি আসনে মোট ৪৫৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ৩৫টি দল থেকে ১ জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংসদ ভেঙে দিয়ে যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দেশটিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সুনাক এ বছরের ৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেন।এবারের নির্বাচনে ১৪ বছর পর ক্ষমতায় আসতে পারে লেবার পার্টি এমনটাই উঠে এসেছে জনমত জরিপে।


যুক্তরাজ্য   পার্লামেন্ট নির্বাচন   বাংলাদেশ   প্রার্থী   লেবার পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুরস্কের মন্ত্রিসভায় রদবদল

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এরদোয়ান দুজন মন্ত্রী নিয়োগের পর এই রদবদল ঘোষণা করা হয়। 

তুর্কি সরকারি গেজেট অনুসারে, মুরাত কুরুমকে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি মেহমেত ওজাসেকির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মেহমেত সম্প্রতি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক কামাল মেমিওলুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেহমেতের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মেহমেতের আগে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুরাত কুরুম। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থীও ছিলেন।

তাদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হতে পারে। একই সময়ে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।


তুরস্ক   মন্ত্রিসভা   রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের গ্রেপ্তার বিধিবহির্ভূত, আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন: ওয়ার্কিং গ্রুপ

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিধিবহির্ভূত ভাবে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ। একইসঙ্গে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারের গ্রেপ্তারকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। 

এছাড়া ইমরানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নির্বিচারে কারারুদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংস্থার ওয়ার্কিং গ্রুপ।

সোমবার প্রকাশ্যে আসা এক মতামতে জেনেভা-ভিত্তিক ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন বলেছে, ‘(এই অবিচারের) উপযুক্ত প্রতিকার হবে ইমরান খানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাকে ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য বিষয়াদির পাশাপাশি একটি কার্যকর অধিকার প্রদান করা।’

আল জাজিরা বলছে, জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ চলতি বছরের ২৫ মার্চ এই মতামত প্রকাশ করে। তবে এটি জনসমক্ষে আসে গতকাল সোমবার। জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ তাদের মতামতে বলেছে, ‘ইমরান খানকে আটকের কোনও আইনি ভিত্তি ছিল না এবং মনে হচ্ছে রাজনৈতিক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করার উদ্দেশ্যে আটক করা হয়েছিল বলে (ওয়ার্কিং গ্রুপ) সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। 

সুতরাং, শুরু থেকেই, সেই প্রসিকিউশনটি আইনের ভিত্তিতে ছিল না এবং কথিত একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছে।’

পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামত শোনা বাধ্যতামূলক নয়। তবে তাদের এই মতামত বেশ গুরুত্ব বহন করে। ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে, ইমরান খানকে যে আইনি সমস্যার মধ্যে ফেলা হয়েছে সেটি মূলত তার এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির বিরুদ্ধে ‘অনেক বৃহত্তর দমন অভিযানের’ অংশ।

এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে ইমরান খানের দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাদের নির্বাচনী সমাবেশগুলোকেও বাধাগ্রস্ত করা হয়েছিল। এছাড়া ‘নির্বাচনের দিনে ব্যাপক জালিয়াতি ও (কারচুপির মাধ্যমে) কয়েক ডজন সংসদীয় আসন চুরি’ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপ।

অবশ্য পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির নির্বাচন কমিশন গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোনও ধরনের কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এর আগে গত বুধবার মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়া সাধারণ নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে একটি প্রস্তাব পাস করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘হস্তক্ষেপ’ করার চেষ্টা করার অভিযোগ করে পাকিস্তান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটিতে পাকিস্তানের নির্বাচনে কথিত অনিয়মের বিষয়ে ‘পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন’ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টিও নির্বাচনে তাদের জয়কে নস্যাৎ করার জন্য কারচুপি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে।

‘পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ’ শিরোনামে এই প্রস্তাবটি গত ২৫ জুন কংগ্রেসে পেশ করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবে ‘গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমুন্নত রাখতে’ এবং পাকিস্তানি জনগণের ‘মানবিক, নাগরিক বা রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের যেকোনও প্রচেষ্টার নিন্দা করার জন্য’ পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।’

প্রস্তাবটি কংগ্রেসের ৩৬৮ সদস্যের অপ্রতিরোধ্য সমর্থনে পাস হয় এবং এর বিপক্ষে মাত্র সাতটি ভোট পড়ে।


ইমরান খানের দল পিটিআই মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাস হওয়া এই প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানায়। দলটি দাবি করে থাকে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তাদের ম্যান্ডেট চুরি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন মাস পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ইমরানের দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ৯৩টি আসন জয়লাভ করে, যা অন্য যেকোনও দলের চেয়ে বেশি। তবুও এই ফলাফল সংখ্যাগরিষ্ঠতার মানদণ্ডে কম ছিল এবং পিটিআই দাবি করে, তাদের ম্যান্ডেট চুরি করা হয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) যথাক্রমে ৭৫ এবং ৫৪টি আসনে জয়লাভ করে। সরকার গঠনের জন্য তারা অন্য আরও ছোট দলগুলোর সাথে পরে জোট গঠন করে।


ইমরান খান   গ্রেপ্তার   পাকিস্তান   জাতিসংঘ   মানবাধিকার সংস্থা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন