ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুখোমুখি বাইডেন-ট্রাম্প: নির্বাচনী ফলাফলে কতটা প্রভাব ফেলে টেলিভিশন বিতর্ক?

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় এই দুই নেতার মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। এই বিতর্কের আয়োজক সিএনএন ও এবিসি। 

জানা গেছে, বর্তমান ও সাবেক এই প্রেসিডেন্টদের মধ্যে ৯০ মিনিটের টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। যা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শুরু হবে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল ৭টা)।

এদিন বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের নজর থাকবে এই বিতর্কে। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম বিতর্ক দেখেছিলেন প্রায় সাড়ে ৮ কোটি মানুষ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দর্শকদের জন্য বেশ আগ্রহোদ্দীপক বিষয়। গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ, গুরুগম্ভীর কথা, হাসিঠাট্টা, তির্যক মন্তব্য, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ, গোলমাল, বিশৃঙ্খলা, এমনকি কেলেঙ্কারির নজিরও আছে এসব বিতর্কে। বিগত ৬০ বছরের বেশি সময়ের এমন বিতর্কের কিছু স্মরণীয় ঘটনা দেখে নেওয়া যাক।

কেনেডি-নিক্সন

১৯৬০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন জন এফ কেনেডি ও রিচার্ড নিক্সন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বিতর্ক টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। ভোটারদের মধ্যে রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি গড়তে এই বিতর্ক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তা তখন প্রতিষ্ঠিত হয়।

দেশটির দুবারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক্সন নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে বিতর্কের আগে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিতর্ক তাঁর জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি।

টেলিভিশনের পর্দায় আসার আগে নিক্সন মেকআপ নিতে অস্বীকৃতি জানান। ৬ কোটি ৬০ লাখ দর্শকের সামনে তাঁকে বেশ ফ্যাকাশে ও ঘর্মাক্ত দেখায়।

নিক্সনের বিপরীতে টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাসাচুসেটসের তরুণ সিনেটর কেনেডিকে বেশ ঝাঁ–চকচকে ও ফুরফুরে দেখা যায়। নিক্সন বারবার উপস্থাপকের দিকে তাকাচ্ছিলেন। তাঁকে উদ্দেশ করে কথা বলছিলেন। কিন্তু কেনেডির দৃষ্টি ছিল সরাসরি ক্যামেরার দিকে। ক্যামেরায় ভোটারদের দিকে তাকিয়ে তিনি নিজের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছিলেন।

বিতর্কের প্রভাব পড়েছিল ব্যালট বাক্সে। রিপাবলিকান নিক্সনকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের কেনেডি।

ফোর্ড-কার্টার

রিপাবলিকান দলের জেরাল্ড ফোর্ড ও ডেমোক্র্যাট দলের জিমি কার্টার প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ১৯৭৬ সালের ৬ অক্টোবর। এই বিতর্কে ২৭ মিনিট অডিও ছিল না।

দ্বিতীয় বিতর্ক তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের পক্ষে যায়নি। তিনি একটি বড় ভুল করে বসেন, যার মাশুল তাঁকে দিতে হয় নির্বাচনে। বিতর্কে ফোর্ড বলেছিলেন, পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়নের কোনো আধিপত্য নেই আর ফোর্ড প্রশাসনের অধীন তা কখনোই হবে না।

তখন স্নায়ুযুদ্ধ চরমে। আর পূর্ব ব্লকে সোভিয়েত সেনা মোতায়েন ছিল। দিন কয়েক পরে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ফোর্ড। তবে তত দিনে যা ঘটার ঘটে গেছে। ভোটারদের মন জয় করে ফেলেছেন কার্টার। নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন কার্টার।

রিগ্যান-মন্ডেল

১৯৮৪ সালের ২১ অক্টোবর বিতর্কে মুখোমুখি হন রিপাবলিকান রোনাল্ড রিগ্যান ও ডেমোক্র্যাট ওয়াল্টার মন্ডেল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিগ্যানের বয়স তখন ৭৩ বছর আর মন্ডেলের ৫৬। বয়স নিয়ে মজার উত্তর দিয়ে বিতর্কের মোড় নিজের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন রিগ্যান।

বয়সের কথা উল্লেখ করে রিগ্যানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য তিনি পুরোপুরি উপযুক্ত কি না? জবাবে মজার ছলে রিগ্যান বলেছিলেন, তিনি তাঁর প্রতিপক্ষের তারুণ্য ও অনভিজ্ঞতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন না। এমন উত্তর ভোটারদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রিগ্যান।

বুশ-ক্লিনটন-পেরোট

১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর। দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হন জর্জ বুশ, বিল ক্লিনটন ও রস পেরোট। বুশ রিপাবলিকান প্রার্থী, ক্লিনটন ডেমোক্র্যাট, আর পেরোট নির্দলীয়।

ক্লিনটন যখন একজন দর্শকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন বুশ তাঁর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। এই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ভোটারেরা বুশের এমন আচরণ ভালো চোখে দেখেননি। নির্বাচনে জয় পান ক্লিনটন। বছরখানেক বাদে বুশ বলেছিলেন, তিনি এমন বিতর্ক ঘৃণা করেন।

ওবামা-রমনি

বারাক ওবামা ও মিট রমনি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন ২০১২ সালের ২২ অক্টোবর। এতে রিপাবলিকান রমনি বলেছিলেন, ১৯১৬ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর যত জাহাজ ছিল, এখন তার চেয়ে কম আছে।

রমনির এই বক্তব্য লুফে নেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে ঘোড়া ও বেয়নেটও কম আছে। কেননা, আমাদের সামরিক বাহিনীর ধরনই বদলে গেছে। আমাদের আছে বিমানবাহী রণতরি। এতে উড়োজাহাজ অবতরণ করে। আছে জলের তলে চলাচলকারী পারমাণবিক সাবমেরিন।’

ওবামার এ বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায় আর নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন ওবামা।

ট্রাম্প-হিলারি

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটন দ্বিতীয় বিতর্কে মুখোমুখি হন ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর।

হিলারির স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। বিতর্কে তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি, হিলারির নিজের ই-মেইল কেলেঙ্কারিসহ নানা বিষয় সামনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানেন ট্রাম্প।

জবাব দিতে গিয়ে হিলারি বলেন, এটা খুবই ভালো দিক যে ট্রাম্পের মতো মেজাজের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগের দায়িত্বে নেই।

ট্রাম্পও চটজলদি জবাব দেন, ‘তাহলে আপনি কারাগারে থাকতেন।’

২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হন।

বাইডেন-ট্রাম্প

জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েন। সে বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁরা প্রথম বিতর্কে অংশ নেন। বিতর্কে তাঁরা একে অপরকে নিয়ে অপমানসূচক কথা বলেন। এমনকি চিৎকার করেও কথা বলেন।

বিতর্কে বাইডেন যখন কথা বলছিলেন তখন বারবার তাঁকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বাইডেন মেজাজ হারান। তিনি বলেন, ‘আপনি কি চুপ করবেন?’

ট্রাম্পকে ‘ভাঁড়’ ও ‘পুতিনের কুকুরছানা’ বলেও কটূক্তি করেন বাইডেন।

নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, মেনে নেবেন কি—এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান ট্রাম্প।

বাইডেন-ট্রাম্পের এ বিতর্ক সঞ্চালনায় ছিলেন ফক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেস। পরে তিনি বিতর্কে দুই নেতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেন।

নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হন বাইডেন। তবে এই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। তিনি তাঁর পরাজয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেননি।


আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বজুড়ে নানা সংকটের মধ্যেই এবার নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেশটিতে।

এরই মধ্যে মার্কিন রাজনীতি নিয়ে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক মার্কিন ভোটারেরই আশঙ্কা নির্বাচনের পরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়াতে পারে।

এদিকে নোবেলজয়ী ১৬ অর্থনীতিবিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

তারা বলেন, আমরা মনে করি ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য এলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ও যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।


বিতর্ক   বাইডেন   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরব লীগের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ লেবাননের যোদ্ধা গোষ্ঠী

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে লেবাননভিত্তিক ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নাম। 

শনিবার (২৯ জুন) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আরব বিশ্বের দেশগুলো নিয়ে গঠিত আরব লীগ। টেলিভিশনে এক ভাষণে জোটের সেক্রেটারি জেনারেল হোসসাম জাকি বলেন, হিজবুল্লাহ এখন থেকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। লীগের আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এ সিদ্ধান্তের কারণেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈরুতে সফর শেষ করার পরদিন মিশরীয় আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেলে এ কথা বলেন জাকি। তিনি বলেন, ‘আরব লীগের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলোতে হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল এবং (হিজবুল্লাহর সঙ্গে) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। তবে হিজবুল্লাহ এখন থেকে আর সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।’ 

এ ঘোষণা এমন এক সময়ে এল, যখন হিজবুল্লাহ ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছে। আরব লীগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ‘লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সম্মত হয়েছে যে, হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আর বিবেচনা করা উচিত নয়।’ 

এ সময় তিনি জানান, আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্র ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের শর্তগুলোও পূরণ করা হয়েছে। 

২০১৬ সালের ১১ মার্চ হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে আরবলীগ। ইসরায়েলের মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের ফলে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, হিজবুল্লাহ যেভাবে ইসরায়েল ও গাজায় গণহত্যা বন্ধে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছে তা আরব দেশগুলোর জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ বিষয়টিই হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জোটকে উদ্বুদ্ধ করেছে।


আরব লীগ   লেবানন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের, নিজ নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার নির্দেশ সৌদি আরবের

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননে সৌদি আরবের দূতাবাস শনিবার বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবানন পরিস্থিতির ওপর ঘনিষ্ঠ নজরদারি রাখছে ও নিজেদের নাগরিকদের দেশটি ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সৌদি প্রেস এজেন্সি এ তথ্য জানায়। 

তেল আবিবকে সতর্ক করে ইরান বলেছে, ইসরায়েল যদি লেবাননে আক্রমণ করে তবে ইরান ও এর আঞ্চলিক মিত্রদের গ্রুপ ‘অল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টস’ (সব প্রতিরোধ ফ্রন্ট) তার (ইসরায়েল) সঙ্গে লড়াইয়ে নামবে।

এদিকে সৌদি আরবের নাগরিকদের প্রতি লেবানন সফর এড়িয়ে চলতে এর আগে জানানোর আহ্বানের ওপর জোর দিয়েছে দূতাবাস। একই সঙ্গে লেবাননে অবস্থানরত নিজ নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ছাড়ার অনুরোধও জানিয়েছে তারা। পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছে, যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে নাগরিকদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের।

নিউইয়র্কে ইরান মিশনের এ হুঁশিয়ারিতে ইসরায়েল ও লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাতকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এর আগে গত বুধবার জার্মানিও তার নাগরিকদের যত শিগগির সম্ভব লেবানন ত্যাগ করার অনুরোধ জানায়। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে এ অনুরোধ জানায় দেশটি।


যুদ্ধ   ইরান   লেবানন   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কোন অগ্রগতি নেই: হামাস

প্রকাশ: ০২:৩৮ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এছাড়া সংঘাতের অবসানে হামাস আলোচনা করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির এক সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা হামদান।

অন্যদিকে লাখো ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী আবারও দেশটির তেল আবিবের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা সরকারের কাছে গাজায় আটক থাকা বন্দিদের বাঁচানোর এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার দাবি জানায়। খবর রয়টার্স।


সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আরব মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা এ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতি আলোচনার অচলাবস্থার জন্য ইসরায়েল ও হামাস একে অপরকে দায়ী করছে।

এ বিষয়ে বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে হামদান বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এ গোষ্ঠী প্রায় নয় মাসের সংঘাতের অবসান ঘটায় এমন যেকোনো যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে এখনও প্রস্তুত।

তিনি বলেন, যেকোনো চুক্তির জন্য অবশ্যই গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।

ইসরায়েল বলেছে, ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসনকারী হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধে তারা কেবল সাময়িক বিরতি গ্রহণ করবে। ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও অভিযুক্ত করেন হামদান।


এদিকে গাজায় আটক থাকা বন্দিদের বাঁচাতে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার দাবিতে হাজার হাজার ইসরায়েলি বিক্ষোভকারী আবারও দেশটির তেল আবিবের রাজপথে নেমে বিক্ষোভ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।গাজায়  ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েলি আক্রমণের ফলে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো এরই মধ্যে  ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।


গাজা   যুদ্ধবিরতি   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফ্রান্সে জাতীয় পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সে জাতীয় পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে রোববার (৩০ জুন)। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। ছোট শহরে ভোটগ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা আর বড় শহরে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপের পর ৭ জুলাই দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এবারের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) দলের নেতা মেরিন লে পেন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দলটি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে বেশ পরিচিত। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা।

ভোটগ্রহণের আগে শুক্রবার (২৮ জুন) মধ্যরাত পর্যন্ত আরএন প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তবে নির্বাচনে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর রেনেসাঁ দল অর্ধেকের বেশি আসন হারাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে করা জরিপে দেখা গেছে, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট ২০ থেকে ২১ শতাংশ ভোট পেতে পারে।

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদে রয়েছে ৫৭৭ টি আসন। এক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন ২৮৯ আসন। সেখানে বিদায়ী সরকারে ম্যাক্রোঁর জোটের আসন ছিল ২৫০টি। তাই ক্ষমতায় থাকাকালে আইন পাস করার জন্য অন্যান্য দলের সমর্থন প্রয়োজন পড়েছে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচনে খারাপ ফলের জেরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন মাখোঁ। একইসঙ্গে দেশটিতে আগাম নির্বাচনের ঘোষণাও দেন। তাঁর এ ঘোষণায় দেশটির অনেকেই হতবাক হন। এ ছাড়া ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

সিএনএন জানায়, দুই সপ্তাহের মধ্যে ফ্রান্সে একটি কট্টর-বাম বা কট্টর-ডানপন্থী সরকার গঠিত হতে পারে অথবা কোনো ব্লক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। এতে দেশে এবং দেশের বাইরে নানা সমস্যায় পড়বে ফ্রান্স।


ফ্রান্স   জাতীয় পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

প্রকাশ: ০১:৩০ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে রেকর্ড বৃষ্টিতে শহরটির বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর দিল্লিতে রোববার ও সোমবার (১ জুলাই) ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করেছে।

রোববার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির বাসিন্দারা গত শুক্রবারের রেকর্ড-ব্রেকিং বৃষ্টিপাতের প্রভাব থেকে এখনও পুরোপুরি বের হতে না পারলেও তাদেরকে আরও বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত হতে হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস রোববার এবং সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে ভারতের জাতীয় এই রাজধানীতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের রঙ-ভিত্তিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থা অনুসারে, কমলা সতর্কতা জারির অর্থ হচ্ছে- মানুষকে ভারী বৃষ্টির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা।

দিল্লিতে বর্ষার প্রথম দুই দিন বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার শহরটিতে ২২৮.১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১৯৩৬ সালের পর থেকে জুন মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর তথা আইএমডি বিজ্ঞানী সোমা সেন এনডিটিভিকে বলেছেন, মৌসুমী বায়ু অগ্রসর হচ্ছে এবং উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

মূলত আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে শঙ্কিত দিল্লিবাসী। বৃষ্টি বিপর্যস্ত রাজধানীতে প্রাণ হারানো ১১ জনের মধ্যে মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানিতে ডুবে। মৃতদের মধ্যে কয়েক জন শিশুও রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বসন্ত বিহারে দেয়াল ধসের ঘটনায়ও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে শনিবারের বৃষ্টিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে রোহিণী, বুরারি এবং মধ্য দিল্লির বহু এলাকা। সফদরজংয়ে শনিবার বৃষ্টি হয়েছে ৮.৯ মিলিমিটার। লোদি রোডে বৃষ্টি হয়েছে ১২.৬ মিলিমিটার। রোববার এবং সোমবারও ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আগামী চার দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সাত দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। মূলত বর্ষার মৌসুমে দিল্লিতে ৬৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। কিন্তু শুধু শুক্রবারই গোটা মৌসুমের এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়েছে। সেদিন ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে গোটা দিল্লি।


বৃষ্টি   দিল্লি   আবহাওয়া অফিস   ভারত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন