ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ব ক্যামেরা দিবস আজ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মধুর কিংবা বেদনার স্মৃতি ধরে রাখতে ক্যামেরার আদর্শ বিকল্প নেই। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ—ত্রিকাল সংযোজনের অনন্য এক সাঁকো আলোকচিত্র। আর আলোকচিত্র মানেই যে যন্ত্রটির কারিগরি, তা হলো এই ক্যামেরা। বহমান সময়কে থামিয়ে দেওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এই যন্ত্রটির। ক্যামেরায় ধরে রাখা স্মৃতিগুলোর বয়স বাড়ে না। কেবল স্মৃতি কিংবা সময় বেঁধে রাখাই নয়, শত-সহস্র প্রয়োজনে ক্যামেরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনিবার্য অনুষঙ্গ।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, ঘটনার সাক্ষী-প্রমাণ হিসেবে, বিভিন্ন তদন্তে-গবেষণায় ক্যামেরায় তুলে রাখা একটি ছবি খুলে দিতে পারে অনেক কিছুর জট। এখন তো মোবাইল ফোনের দৌলতে ক্যামেরা মানুষের হাতে হাতে। এ পর্যায়ে আসতে বস্তুটিকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু বছর।

ইতিহাস বলছে, ৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চীনে প্রথম প্রচলন ঘটে ক্যামেরা অবস্কিউরার। ১৮২৫ খ্রিষ্টাব্দে আধুনিক যুগে প্রবেশ করে ক্যামেরা। তখন ক্যামেরা অবস্কিউরা ব্যবহার করে ফরাসি বিজ্ঞানী জোসেফ নিসেফোর নিপ্সে প্রথম ছবি সংরক্ষণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এরপর নানা বিবর্তনের পথ ধরে ক্যামেরা পেয়েছে বর্তমান রূপ।

মাঝে স্থিরচিত্র থেকে চলচ্চিত্র হয়েছে, নির্বাক থেকে সবাক, সাদা-কালো থেকে রঙিন। একক ও পৃথক যন্ত্র থেকে মোবাইল ফোন কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটে সমন্বিত হয়েছে এখন। এসবের প্রতিটি ধাপেই আছে অনেক বিজ্ঞানীর স্পর্শ।

যাহোক, আজ ২৯ জুন, ক্যামেরা দিবস। কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছে, তা সঠিকভাবে  জানা  না গেলেও দিনটি কিন্তু পালন করা যেতে পারে। ক্যামেরা কিংবা মোবাইল ফোন নিয়ে ছবি তুলতে বেরিয়ে পড়তে পারেন। এর পাশাপাশি শিখে নিতে পারেন ফটোগ্রাফির দুর্দান্ত কিছু কৌশল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন আপনার প্রিয় ক্যামেরা কিংবা প্রথম ক্যামেরার গল্প।


ক্যামেরা   দিবস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বজনের কফিন সামনে রেখেই বড় পর্দায় খেলা উপভোগ পরিবারের সদস্যদের

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যান্ত্রিক সভ্যতার এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানা বিচিত্র ঘটনা। আর এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত  কখনও জন্ম দিচ্ছে আলোচনা আবার কখনও সমালোচনার। আবার বিশ্বের বর্তমান সময়টাকে অনেক বিশ্লেষক আধুনিকতার শীর্ষে অবস্থান করছে বলেও তাদের মত প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু চলমান অস্থির এই সময়টাতে মানুষের মধ্য থেকে মানবতাও অনেকটাই হয়ে গেছে উধাও। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে আপন স্বজনদের মৃত্যুর খবরেও অনেকে বিচলিত হন না। আবার এমনও ঘটনা ঘটছে যা কারো কারো অস্বাভাবিক মনে হলেও কারো কারো কাছে সেটাই স্বাভাবিক।

বিশ্বজুড়ে ফুটবল এক উন্মাদনার নাম। আর এই উন্মাদনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে প্রায় সময়ই ঘটে বিচিত্র রকমের সব কাণ্ড। ঠিক এমনই এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল চিলিতে।

দেশটির একটি পরিবার তাদের সদ্য মৃত স্বজনের শেষকৃত্যানুষ্ঠান থামিয়ে খেলা উপভোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই অদ্ভুত কাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মৃত স্বজনের কফিনটি পাশে রেখেই পরিবারটি প্রজেক্টরের সাহায্যে একটি বড় পর্দায় চিলি বনাম পেরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার একটি খেলা দেখছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভিডিওটি শেয়ার করেন টম ভ্যালেন্টিনো নামে এক ইনফ্লুয়েন্সার। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘কোপা আমেরিকায় চিলি বনাম পেরুর ম্যাচের সময় বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য পরিবারটি একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিরতি দিয়েছিল। এমনকি সৌভাগ্যের জন্য কফিনটিকে তাঁরা খেলোয়াড়দের জার্সি দিয়ে সাজিয়েছিল।’
ভিডিওতে দেখা যায়, কফিনটিকে স্বজনরা ফুল আর ফুটবল খেলোয়াড়দের জার্সি দিয়ে সজ্জিত করে ও কফিনটির কাছেই প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত স্থানে একটি পোস্টার নিয়ে হাজির হন। আর তাতে লিখা—‘আংকেল ফেনা, আপনি আমাদের যে আনন্দময় মুহূর্ত দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনাকে এবং আপনার কন্ডোরিয়ান পরিবারকে সব সময় মনে রাখব।’

ইতিমধ্যে গত ২৩ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওটি বর্তমানে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।


ফুটবল   আন্তর্জাতিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রুলিং, ট্রাম্পের আংশিক দায়মুক্তি ও প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতার রুপান্তর

প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টগণ ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি লাভের সুযোগ পেতে পারেন এ মর্মে সদ্য ঘোষিত দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে "পরিবর্তন" করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি এমন সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আইনের শাসন ব্যবস্থা নিয়েও উঠতে পারে প্রশ্ন।

সোমবার, মার্কিন শীর্ষ আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধের বিষয়ে জানান, তিনি সেসময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ফলে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে ফৌজদারি অপরাধ থেকে মুক্ত ছিলেন। এদিকে ট্রাম্প তার শাসনামলের শেষ দিনগুলিতে বিতর্কিত নানা আচরণের জন্য ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়ার মত গুরুতর চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আদালত ট্রাম্পকে গতকালকের রায়ের মধ্যদিয়ে আংশিক বিজয় এনে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। রায়ে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টগণ সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় সেটার বিচার করা যাবে না।

আর এদিকে সোমবারের রায় ঘোষণার ফলে ট্রাম্পের অন্য দুটি ফৌজদারি মামলা বিলম্বিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ডেভিড সুপার এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রভাবের বাইরে হলেও, এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ওপর "উল্লেখযোগ্য" প্রভাব ফেলবে।

সুপার আল জাজিরাকে বলেন, “এটি মৌলিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলি অবশ্যই এমন বিশেষ শক্তি যা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের চেয়ে স্বৈরশাসকদের কাছে বেশি সুপরিচিত।”

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ছয়জন রক্ষণশীল বিচারপতি সোমবার এ রায় অনুমোদন করে তাদের মত প্রকাশ করেন। পক্ষান্তরে তিনজন বিচারপতি এই রায়ের বিরুদ্ধে তাদের মত জানান।

রুলিং
সংখ্যাগরিষ্ঠদের যুক্তি ছিল সরকারী পদক্ষেপগুলোকে যদি আইনি প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা না করা হয় তবে একজন প্রেসিডেন্ট অফিস ছেড়ে যাওয়ার পরে রাজনৈতিক বিরোধীদের কাছ থেকে প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ব্যাখ্যা করেছেন যে একজন প্রেসিডেন্টের অনাক্রম্যতার সীমা রয়েছে।

রায়ে রবার্টস লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট তার অনানুষ্ঠানিক কাজের জন্য কোনো অনাক্রম্যতা ভোগ করেন না এবং রাষ্ট্রপতি যা করেন তা সরকারি নয়।”

তিনি লিখেন, “একজন প্রেসিডেন্ট আইনের উর্ধ্বে নন। তবে কংগ্রেস সংবিধানের অধীনে নির্বাহী শাখার দায়িত্ব পালনের সময় একজন প্রেসিডেন্টের আচরণের ওপর ভিত্তি করে তাকে অপরাধী করতে পারে না।”

অন্যদিকে ফেডারেল প্রসিকিউটররা তাদের যুক্তিতে দেখিয়েছিলেন যে, ২০২০ সালে ট্রাম্প গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়লাভের বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিচার বিভাগের কাছে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। প্রসিকিউটরদের ভাষ্য, এমনকি ট্রাম্প প্রতারণামূলক নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত পরিচালনার জন্য বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে ব্যবহার করেছেন।

‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা নাকি দায়মুক্তি?

তবে সোমবারের রায় ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলাকর ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে এ বিষয়ে নিম্ন আদালত সিদ্ধান্ত নিবে। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও দর্শনের অধ্যাপক ক্লেয়ার ফিঙ্কেলস্টেইন বলেন, এমন সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে এটি রাষ্ট্রপতিদের দায়মুক্তির সাথে কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।

তিনি বলেন, “এই রায়ের দীর্ঘমেয়াদী তাৎপর্যকে এ মুহুর্তেই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।” ফিঙ্কেলস্টেইন আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব জানান।

তিনি আরো বলেন, "এ রায়ের ফলে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে তিনি তার অফিসিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আইনের অবমাননা করে নিজেকে ফৌজদারি দায় থেকে রক্ষা করতে ন্যায়বিচারকে বিকৃতের মধ্যদিয়ে আইন অমান্যের সম্ভাবনা রয়েছে।"

রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাট ডালেকও বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত "ভয়ঙ্কর"। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, "ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে রক্ষার জন্য এই রায়টি সাংবিধানিক ক্ষমতার ওপর একটি আক্রমণ।"

ট্রাম্পের আগে কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি। অথচ সাবেক এই প্রেসিডেন্ট চারটি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। আর যেগুলোর মধ্যে দুটি নির্বাচনী নাশকতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্কের একটি আদালত ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একজন পর্ন তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানের মতো ভয়ংকর ঘটনায় অভিযুক্ত করে।

অতীতে সাবেক প্রেসিডেন্টদের নানা কেলেঙ্কারি
ট্রাম্প অবশ্য প্রথম প্রেসিডেন্ট নন যিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে আংশিক দায়মুক্তি পেয়েছেন। এর আগেও রিচার্ড নিক্সন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারতেন- যখন তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য সরকারী সম্পদের ব্যবহার করে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তার উত্তরসূরি জেরাল্ড ফোর্ড তাকে ক্ষমা করে এ দায় থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে নিক্সনের বিরুদ্ধেও দায়ের করা এক মামলায় তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির কারণ হলেও সেই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি লাভ করেন।

রোনাল্ড রিগান প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিকারাগুয়ায় একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অর্থায়নের জন্য ইরানের কাছে অবৈধভাবে অস্ত্র বিক্রি করেছে এমন অভিযোগের সাথে রিগ্যান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জড়িতের অভিযোগ এলেও প্রেসিডেন্ট কিন্তু রিগান আনুষ্ঠানিকভাবে তা অসীকার করেন ও এবিষয়ে তাকে অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়নি।


মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট   জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক ধর্মগুরু, কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া ভোলে বাবার আদি-অন্ত

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে ভারতের হাথরস জেলার রতি ভানপুর গ্রামে ভোলে বাবা নামক এক কথিত ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণ হারান ১২ জন। কিন্তু এখন জনতার কাছে প্রশ্ন এসেছে এই ভোলে বাবা যিনি নারায়ণ সরকার হরি নামেও পরিচিত তিনি আসলে নিজেকে ধর্মগুরু হিসাবে ঘোষণা দিয়ে এতো বড় দূর্ঘটনার পর কেন পলাতক রয়েছেন। মুলত তাকে কেন্দ্র করেই পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন এই ধর্মীয় আচার পালনে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকালে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় আহত অনেককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে এক আয়োজনে পদদলিত হয়ে এত মানুষ কীভাবে মারা গেলেন, সেই প্রশ্নের বিষয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং বলেন, পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পেছনে বড় একটি কারণ অধিক ভিড়। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে অনেকেই ভোলে বাবার গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন। ভোলে বাবা যে পথে যান, পূজা করার জন্য সেই পথের ধুলোমাটি সংগ্রহ করেন অনেকে। এসব কারণে একের পর এক মানুষ পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।’

এ ঘটনায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ আছে, ধর্মীয় ওই আয়োজনে ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হওয়ার অনুমতি থাকলেও জমায়েত হয়েছিল আড়াই লাখের বেশি মানুষের।

প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে মানুষ একপর্যায়ে সেখানকার মাঠে পূণ্যার্থীরা ঢোকার চেষ্টা করলে ওই সময় ভোলে বাবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে এতে মানুষের চাপ আরও বেড়ে যায়। পরে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে মাটিতে পড়ে পদদলিত হয়ে মারা যান। আর এমনটাই এফআইআরে।

প্রত্যক্ষদর্শী শকুন্তলা দেবী বলেন, ধর্মীয় আয়োজন শেষ হওয়ার পরপর একসঙ্গে অনেক মানুষ বের হয়ে আসছিলেন। রাস্তায় বেরিয়েই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্য পড়ে পদদলিত হয় মানুষ।

সুরেশ নামের আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমি এখানে এসেছিলাম। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মাইকে ঘোষণা দিলেও কোনো লাভ হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভোলে বাবা প্রায়ই তার ভক্তদের কাছে দাবি করে থাকেন তিনি গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি ভক্তদের আরও বলে থাকেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়ই আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং ১৯৯০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সুরাজ একসময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হেড কনস্টেবল ছিলেন। পরে ১৯৯৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধর্মীয় বাণী প্রচারে মন দেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে নারয়ণ সাকার হরি রাখেন।

পুলিশের চাকরি ছাড়ার পর সুরজ নিজের নামও বদলে ফেলেন। নতুন নাম নারায়ণ সাকার হরি। এই নামেই এখন তিনি পরিচিত। ভক্তরা তাকে এই নামে অথবা ভোলে বাবা বলে সম্বোধন করেন।

ভারতে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার বাবাজির থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলাদা এই এই ব্য়ক্তি। তার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী প্রেমবতী।

ভক্তদের অবশ্য বাবাজি বলেন, তিনি এখনো মাটির ঘরে থাকেন। পায়ে হেঁটে গোটা উত্তরপ্রদেশ ঘুরে প্রচার করেন তিনি।

গণমাধ্য়মের সামনে খুব বেশি আসতে দেখা যায় না এই বাবাজিকে। তবে ২০২২ সালে কোভিডের সময় বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন এই ব্য়ক্তি। উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে একটি সৎসঙ্গ সভা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তখন কোভিডের ভরা সময়।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ভোলে বাবা উত্তরপ্রদেশের ইতাহ বিভাগের বাহাদুর নগরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি দাবি করেন, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ শুরু করেন।

ভোলে বাবার অন্যতম একটি আলাদা দিক হলো তিনি ভারতের অন্যান্য ধর্মগুরুর মতো জাফরান রঙের পোশাক পরেন না। এর বদলে সাদা স্যুট এবং টাই পরেন। আর তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুর্তা-পায়জামা।

ভক্তদের কাছে কথিত এই ধর্মগুরু বলে থাকেন, তারা তাকে যেসব অর্থ দেয় তার কিছুই নিজের জন্য রাখেন না। এসব জমাকৃত অর্থ ভক্তদের পেছনেই সব ব্যয় করে থাকেন।

তিনি জানিয়েছেন, কাজ করতে করতেই আধ্য়াত্মিক জীবনে ঢুকে পড়েন তিনি। এবং সে কারণেই পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন। বস্তুত, ভক্তদের তিনি বলেন, হরি অর্থাৎ, ঈশ্বরের সন্তান তিনি।

অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম ও আদ্র ছিল। এরমধ্যে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে সেখানে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল। ওই তাঁবুর ভেতর থাকা মানুষ একটা সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এরপর অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দ্রুত বের হয়ে গেলে অনেকে পদদলিত হয়ে নিহত হন।

এদিকে তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল সিকান্দাররাউয়ের ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং অপর একটি দল গিয়েছে বাবা নারায়ণ হরির মূল আশ্রম ফুলর রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ভবনে। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, ‘আমরা তার সার্বক্ষণিক গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছি। বর্তমানে তিনি তিনি মাইনপুরি গ্রামের একটি আশ্রমে অবস্থান করছেন। এই আশ্রমটির সিকান্দাররাউ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।’

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সিকান্দাররাউয়ের ফুলরাই গ্রামে বাবা নারায়ণ হরির ‘সৎসঙ্গ’ বা ধর্মীয় সভা ছিল। লক্ষাধিক ভক্ত তার বাণী শুনতে সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সভা শেষে লোকজন বেরিয়ে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে নিহত হন অন্তত ১১৬ জন।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সভার আয়োজক সংস্থা মানব মঙ্গল সদ্ভাবনা অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।


ধর্মগুরু   পলাতক   ধর্মীয় আচার   পুণ্যার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় শিশুদের মধ্য ছড়িয়ে পড়ছে চর্মরোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৪:০২ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার একটি আশ্রয়শিবিরে সাত সন্তান নিয়ে থাকেন ওয়াফ এলওয়ান। তিনি জানালেন তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলেটি ঘুমাতে পারছে না। তবে গোলাগুলির শব্দের কারণে ঘুমাতে পারছে না, ব্যাপারটি এমন নয়। এর পেছনে রয়েছে অন্য একটি কারণ। উদ্বিগ্ন মা এলওয়ান বললেন, ‘আমার ছেলেটি কখনোই তার শরীরে আঁচড় কাটা বন্ধ করতে পারছে না, আর এ কারণেই সে সারা রাত জেগে থাকে, ঘুমাতে পারে না।’

ছেলেটির পায়ের পাতাসহ সমস্ত পায়ে সাদা ও লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া তার গায়ের টিশার্টের নিচে রয়েছে আরও অনেক দাগ। পাঁচড়া থেকে শুরু করে জলবস্ত, উকুন, ফুসকুড়ি, ঘা এবং চামড়ার আরও বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকা অনেক শিশুর মধ্যে এই শিশুটি একজন।


ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজার বাড়িঘর হারানো লোকজন নোংরা দুর্গন্ধময় পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আর এমন পরিবেশে থাকতে গিয়ে সেখানকার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ মারাত্মক সব চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এলওয়ান জানান, ‘আমরা মাটিতে বা বালিতে ঘুমাই আর এ সময় আমাদের শরীরের নিচ দিয়ে নানা রকম পোকামাকড় বের হয়ে আসে।’ গাজা শহরের মধ্যাঞ্চলের সাগরের কাছে দেইর এল-বালাহ এলাকার বেলাভূমিতে হাজার হাজার পরিবারের মাঝে আশ্রয় নিয়েছে তাদের পরিবারটি। 

এলওয়ান মনে করেন এ ধরনের সংক্রমণ অবধারিত। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের গোসল করাতে পারি না। বসবাসের জায়গা ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য কোনো স্বাস্থ্যকর উপাদানও নেই আমাদের কাছে। আমাদের কাছে কিছুই নেই।’

বাবা-মায়েরা তাদের ছেলে-মেয়েদের ভূমধ্যসাগরে গোসল করতে বলে থকেন। তবে যুদ্ধের কারণে দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে সেখান থেকেও রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলওয়ান বলেন, ‘সাগরটি এখন নর্দমায় পরিণত হয়েছে। এখন ময়লা আবর্জনাও ফেলা হচ্ছে এই সাগরে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু পর থেকে ৯৬ হাজার ৪১৭টি পাঁচড়া ও উকুনের সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ৯ হাজার ২৭৪টি জলবসন্ত, ৬০ হাজার ১৩০টি বিভিন্ন র‌্যাশ এবং ১০ হাজার ৩৮টি ঘায়ের সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

দেইর আল-বালাহ শিবিরের একটি অস্থায়ী ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট সামি হামাদ জানান, উপকূলীয় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পাঁচড়া এবং জলবসন্ত সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।


গাজা   যুদ্ধবিধ্বস্ত   চর্মরোগ   শিশু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের লাহোর হাইকোর্টে শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি আলিয়া নীলম। তার এই নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নারী শীর্ষ বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) পাকিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণলয়ের অধীন সংস্থা জুডিশিয়ালি কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপি) বৈঠকে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে আলিয়া নীলমকে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসা। খবর জিও টিভি।

বৈঠকে আলিয়া নীলমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন কাজী ফায়েজ ইসা নিজেই। তার চেয়ে যোগ্য অপর কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রধান বিচারপতির এই প্রস্তাব মেনে নেন জেসিপির অন্যান্য সদস্যরা।

লাহোর হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের তালিকায় আলিয়া নীলম তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তার সামনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিচারপতি মালিক শেহজাদ আহমেদ খান এবং বিচারপতি শহীদ বিলাল হাসান। দুজনই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আলিয়ার আগে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি ছিলেন মালিক শেহজাদ আহমেদ খান।

বিচারপতি আলিয়া নীলমের জন্ম পাঞ্জাবে, ১৯৬৬ সালের ১২ নভেম্বর। ১৯৯৫ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাসের পরের বছর থেকে লাহোর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।

২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন বিচারপতি আলিয়া। কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে ২০১৩ সালে ফের লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।

এলএলবি’র পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং আইন ও বিচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে তার। ২০১৩ সালে লাহোর হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফৌজাদি, দেওয়ানি ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বহু মামলার বিচার পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়া নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার বিচারকাজে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব তার রয়েছে।


লাহোর হাইকোর্ট   নারী বিচারপতি   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন