ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে কী হবে?

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ২৯ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের নভেম্বরে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বিতর্কে অংশ নেন তারা। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়।

সিএনএন এর জরিপ অনুযায়ী, এই বিতর্কে হেরে গেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বিতর্কে জো বাইডেনের দুর্বল পারফর্ম্যান্সের পর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঘুরেফিরে নতুন একটি প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে শেষ পর্যন্ত জো বাইডেন সরে দাঁড়ালে কী হবে? এমন পরিস্থিতি তৈরি হলেও এবারই তা প্রথম নয়।

কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুসারে, ১৯৭২ সালে ডেমোক্র্যাট দলে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিনেটর টমাস ইগলটন সরে যেতে বাধ্য হন। কারণ, তখন জানাজানি হয় যে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। এজন্য চিকিৎসাও করিয়েছেন।

কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিসে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সরে দাঁড়ান বা মারা যান, তাহলে ২৫তম সংশোধনী ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পদে উন্নীত করবে। তবে দলের নিয়মকানুনই নির্ধারণ করবে কে দলের পরবর্তী প্রার্থী হয়ে উঠবেন।

বিশ্লেষকরা জানান, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য শীর্ষ প্রতিযোগী হবেন। তবে অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও আলোচনায় থাকবেন, যারা আগে যুক্তি দিয়েছিলেন যে তারা সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর প্রচার চালাতে পারবেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম নির্বাচনী বিতর্কের পর জো বাইডেনকে অযোগ্য ঘোষণার প্রস্তাব করেছেন। এ গ্যাভিন নিউজমও আলোচনায় থাকতে পারেন।

বিবেচনা করার মতো আরেকটি গ্রুপ রয়েছে, ‘সুপার ডেলিগেটস’। প্রায় ৭০০ জন সিনিয়র নেতা এবং নির্বাচিত কর্মকর্তাদের একটি দল। এরা তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কনভেনশনে প্রতিনিধি হয়। সাধারণত দলীয় নিয়মের অধীনে তারা প্রথম ব্যালটে ভোট দিতে পারেন না। তবে তারা মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারেন। তারা পরবর্তী ব্যালটে ভোট দিতে পারেন।

তবে সত্যি যদি নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান, তাহলে এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করবে। তবে এ সংকট কাটানোর জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের কিছুটা ভিন্ন কৌশল রয়েছে।

ডেমোক্র্যাটরা এক্ষেত্রে পার্টির চেয়ার ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে পরামর্শ করেন। পার্টির নিয়ম অনুযায়ী কনভেনশনের পর শূন্যস্থান পূরণ করার ক্ষমতা ডেমোক্র্যাটিক জাতীয় কমিটিকে দেওয়া হয়।

রিপাবলিকানরা এক্ষেত্রে দলের জাতীয় কমিটির মাধ্যমে জাতীয় সম্মেলন পুনরায় আহ্বান করতে পারে। অথবা জাতীয় কমিটি চাইলে একজন নতুন প্রার্থী নির্বাচন করতে পারে। 


ডোনাল্ড ট্রাম্প   প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়: ৬ জানুয়ারির মামলায় ট্রাম্পের সীমিত আকারে অব্যাহতির সুযোগ রয়েছে

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রথমবারের মতো জানিয়েছেন যে, সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সাবেক প্রেসিডেন্টগণ বিশেষ কিছু বিষয়ে ফৌজদারি মামলা থেকে নিজেদের সুরক্ষার সুযোগ নিয়ে অব্যাহতি চাইতে পারেন। আর এর মধ্যদিয়ে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের হেরে যাওয়ার বিষয়ে  জড়িত ফৌজদারি অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য তার বিষয়ে নতুন করে এমন বিচারিক সিদ্ধান্ত নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আদালতের দেয়া ৬-৩ বিভক্ত রায়ে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্টগণ তাদের সাংবিধানিক কর্তৃত্বের মধ্যে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য অনাক্রম্যতা ভোগ করলেও ব্যক্তিগত ক্ষমতা বলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন না। এই রায়টি প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্টদের ফৌজদারি অভিযোগ থেকে রক্ষার জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞগণ।

প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এর নেতৃত্বে ৬ সদস্য বিশিষ্ট বিচারকগণ এ রায় প্রদান করেন। এসময় অন্য তিন বিচারক রায়ের বিরুদ্ধে তাদের মত প্রকাশ করেন। এদিকে রায়টি এমন সময়ে দেয়া হলো যখন ট্রাম্প নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। 

আসন্ন ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন চার বছর আগের নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলেও কারুচুপির মাধ্যমে তাকে হারানো হইয়েছিল। 

ট্রাম্প বলেন, ফৌজদারি অপরাধ থেকে তিনি মুক্তি চাচ্ছেন কারণ তৎকালীন সময়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

এর আগে ২৫ এপ্রিল আদালতের যুক্তি-তর্ক চলাকালীন সময়ে ট্রাম্পের আইনি দল বিচারকদেরকে সাবেক প্রেসিডেন্টদের ফৌজদারি অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণরূপে রক্ষার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ট্রাম্পের আইনজীবী বলেন, বর্তমান প্রেসিডেন্টগণ ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে পারেন এমন হুমকি থাকলে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বারা "ব্ল্যাকমেইল এবং চাঁদাবাজির" শিকার হতে পারেন। 

৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি প্রথমবারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। 

এর আগে ৪ মার্চ ট্রাম্পের বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। 

নিউইয়র্ক রাজ্যের আদালতে আনা আরেকটি পৃথক মামলায়, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে একটি যৌন কেলেঙ্কারি এড়াতে একজন পর্ন তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানের বিষয়েও তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় বলে অভিযোগ আনা হয়। এসময় ৩৪টি নথি জালের জন্য ম্যানহাটন আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। 

সূত্র রয়টার্স


ডোনাল্ড ট্রাম্প   বাইডেন   সুপ্রিম কোর্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ান নারী এমপি বরখাস্ত

প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার গ্রিন পার্টির প্রস্তাবকে সমর্থনের জন্য তার সিনেট গ্রুপ সিনেটর ফাতিমা পেম্যানকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছে। এবিসি নিউজ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৫ জুন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টায় পেম্যানের সমর্থন লেবার পার্টির মধ্যে বিতর্কের জন্ম দেয়।

এমনকি পার্টির পক্ষ হতে দলের কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণের অধিকার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতও  করা হয়েছে। 

জবাবে পেম্যান সাংবাদিকদের বলেন, সিনেটের ফ্লোর পেরিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপ অতিক্রম করতে এই ধাপগুলি আমি একা হাঁটিনি। 

পেম্যান আরো বলেন, আমি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছি। তবে তারা আমাকে হাল না ছাড়তে বলেছে। আমি লেবার পার্টির মূল মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করছি যা সমতা, ন্যায়বিচার, নায্যতা এবং কণ্ঠহীন ও নিপীড়িতদের সমর্থনে কাজ করে থাকে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পেম্যান অস্ট্রেলিয়ার প্রথম হিজাব-পরা সিনেটর হিসাবে পার্লামেন্টে বসেন। ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পক্ষে সমর্থন যোগাতে লেবার পার্টির একমাত্র সদস্য পেম্যান। 

সূত্র: মিডিল ইস্ট মনিটর


ফিলিস্তিন   অস্ট্রেলিয়া   নারী এমপি   বরখাস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সে বিমান চালিয়ে বাংলাদেশি কিশোরের ইতিহাস সৃষ্টি

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

১৬ বছর বয়সী আহনাফ আবিদ মাহির প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এককভাবে বিমান ওড়ানোর মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ৩০শে জুন সকালে লস অ্যাঞ্জেলেসের হোয়াইটম্যান বিমানবন্দরে মাহির তার বিমানটি নিয়ে আকাশে উড্ডয়ন করে নিরাপদে মাটিতে ফিরে আসেন।

নয় বছর আগে মাহির তার বাবা মইনুল হক এবং মা আয়েশা রুমার সাথে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। পরে তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ফ্লাইট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করানো হলে সেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফ্লাইট প্রশিক্ষক ইলিয়াস খানের অধীনে কঠোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রেগুলেশন অনুযায়ী, মাহির ১৬ বছর বয়সে ফ্লাইট প্রশিক্ষকের বিশেষ লিখিত অনুমোদন নিয়ে বিমান উড্ডয়নের অনুমতি পান। 

মাহিরের ঐতিহাসিক ফ্লাইটের দিন তার বাবা-মা ও শুভানুধ্যায়ীরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাদা মেঘের মধ্যে দিয়ে বিমান চালিয়ে নিরাপদে অবতরণ করে তাদের অপরিসীম গর্ব ও আনন্দে ভরিয়ে দেয় মাহির।

মাহিরের বাবা মইনুল হক এই অর্জনের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে বলেন, "এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন।" তার মা আয়েশা রুমা মাহির ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

প্রশিক্ষক ইলিয়াস খান এ সফলতার বিষয়ে জানান, "মাহির তার ১৬তম জন্মদিনের ছয় মাস আগেই একা উড়তে প্রস্তুত ছিলেন, কিন্তু বিধি অনুযায়ী ১৬ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আগামী বছর মাহির তার ফ্লাইট প্রশিক্ষকের বিশেষ লিখিত অনুমোদনের অধীনে যাত্রী ছাড়াই শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত বিমান উড়ানোর অনুমতি পাবেন।"

উল্লেখ্য, মাহির ১৭ বছর বয়সে একটি প্রাইভেট পাইলট সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত  হবেন আর এর মধ্যদিয়ে মাহির অ-বাণিজ্যিক একক-ইঞ্জিন বিমান চালানোর অনুমতি পাবেন। এই সার্টিফিকেট তাকে দক্ষ পাইলট হওয়ার লক্ষ্যের আরও এক ধাপ কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

এবিষয়ে উচ্ছ্বাস নিয়ে মাহির বলেন, "আমি খুবই উত্তেজিত। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।"


ইতিহাস   বাংলাদেশি   বিমান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ বাইডেন পরিবারের সদস্যদের

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে প্রথম প্রসিডেন্সিয়াল ডিবেট। বলা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে হেরে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে নিজ দলের কাছেই এখন সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন মুল্লুকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ৮১ বছর বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠ এ নেতাকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা যায় কি না, তা নিয়েও দলের ভেতরে চলছে আলোচনা। তবে রাজনীতির এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে  বাইডেন অবশ্য তার পরিবারকে ঠিকই পাশে পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিবার চায়, বাইডেন যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকেন। একইসঙ্গে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ বিতর্কে খেই হারানোর জন্য বাইডেন নন বরং তার উপদেষ্টারাই দায়ী।

রোববার ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিত এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাইডেনের ভবিষ্যত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার পরিবারের সদস্যরা। সদ্য হয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের পর থেকেই এমন প্রশ্ন জেগেছে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এসময় পরিবারের ওই অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী, সন্তান ও তার নাতিরা উপস্থিত ছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিবৃতি দিয়ে জানা যায়, তার পরিবারের সদস্যরা আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বাইডেনের সক্ষমতার বিষয়ে এখনও পুরোপুরি আস্থাশীল।

এমনকি প্রথম বিতর্কে কীভাবে নাস্তানাবুদ হয়েছেন এ ডেমোক্র্যাট নেতা, সে বিষয়েও জানেন পরিবারের সদস্যরা। তা সত্ত্বেও তাদের বিশ্বাস ট্রাম্পকে হারানোর জন্য এ মুহুর্তে বাইডেনই সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।

বার্তা সংস্থা এপি’র খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনের মাঠে চাপ সামলে শেষ পর্যন্ত বাইডেনকে লড়াইয়ে টিকে থাকার বিষয়ে সবচেয়ে জোরালো সমর্থন যুগিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী জিল ও পুত্র হান্টার। অবশ্য প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা আরও দাবি করেন, বিতর্কের জন্য বাইডেনকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করেননি উপদেষ্টারা।

গত সপ্তাহে বিতর্কের সময় ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের বিরুদ্ধে কর্কশ ও কম্পিত কণ্ঠে কথা বলতে শোনা যায় মার্কিন এ প্রেসিডেন্টকে। কিছু কিছু সময় পুরো বাক্যও শেষ করতে পারেননি তিনি। বিপরীতে ট্রাম্পের ধারাবাহিক মিথ্যা দাবির কাছে বাইডেনকে দেখা যায় বেশ অপ্রস্তুত। এসময় ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া বা এমন দাবির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করতে পারেননি বয়োবৃদ্ধ বাইডেন।

ফ্লোরিডাভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম জন মরগান বলেন, আমার বিশ্বাস, তাকে (প্রেসিডেন্ট) অতিরিক্ত শেখানো হয়েছিল, তিনি অতিরিক্ত অনুশীলন করেছিলেন।

অন্যদিকে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উপদেষ্টাদের কাছে তিনি অনুরোধ করেছিলেন, বিতর্কের আগে যেন প্রেসিডেন্টের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় ও এবিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বাস্তবিকে সেটি হয়নি। বাইডেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার কথায়, অসুস্থ ও ক্লান্ত দেখানো প্রেসিডেন্টকে বাইরে পাঠানো খুবই খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল।

ক্যাম্প ডেভিডের ওই অনুষ্ঠানটিতে মূলত আসন্ন জাতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে এক ফটোশুটের আয়োজন করা হয়েছিল। 

এদিকে ডিবেট পরবর্তী সময়ে ৪৬ শতাংশ মার্কিন জনগণ মনে করছেন বাইডেনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। যদিওবা এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তার পক্ষে জনমত ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   জো বাইডেন   ডেমোক্র্যাট   ডোনাল্ড ট্রাম্প   রিপাবলিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিকম্পে কাঁপল ইকুয়েডর

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ০১ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইকুয়েডরের রাজধানী কিতোতে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার ফলে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর না মিললেও ভূমিকম্পটি গভীরতা ছিল ৫.৬ কিলোমিটার এবং উৎপত্তিস্থল ছিল কিতো থেকে ৮.৪৯ কিলোমিটার দূরে, জানিয়েছে দেশটির ভূতাত্ত্বিক সংস্থা। খবর আল আরাবিয়া।

সোমবার (১ জুলাই) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ফলে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। ইকুয়েডর জরুরি সেবা বিভাগ ভূমিকম্পের ভিডিও প্রকাশ করেছে। কিতোর মেয়র পাবেল মনোজ জানান, ভূমিকম্পের ফলে কিতোর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তবে এয়ারপোর্ট, মেট্রো, ল্যান্ডফল এবং পানি উৎপাদন প্ল্যান্টে কোনো ক্ষতি হয়নি। 

রাজধানীর বাসিন্দারা জানান, ভূমিকম্পের ফলে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় এবং কয়েকটি এলাকার দেয়ালে ফাটল দেখা যায়।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ইকুয়েডরে ৬.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।


ভূমিকম্প   ইকুয়েডর   ক্ষয়ক্ষতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন