যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে গত
সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে প্রথম প্রসিডেন্সিয়াল ডিবেট। বলা যায়, সাবেক
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে হেরে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে নিজ দলের কাছেই এখন সমালোচনার
মুখে পড়েছেন মার্কিন মুল্লুকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনকি ৮১ বছর বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠ এ নেতাকে
সরিয়ে
অন্য
কাউকে
প্রার্থী করা
যায়
কি
না,
তা
নিয়েও
দলের ভেতরে চলছে আলোচনা। তবে রাজনীতির এমন
টালমাটাল পরিস্থিতিতে বাইডেন অবশ্য তার পরিবারকে ঠিকই পাশে পেয়েছেন। মার্কিন
প্রেসিডেন্টের পরিবার চায়, বাইডেন যেন
শেষ
পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে
থাকেন।
একইসঙ্গে তার পরিবারের পক্ষ থেকে
অভিযোগ বিতর্কে খেই হারানোর জন্য
বাইডেন
নন বরং তার উপদেষ্টারাই দায়ী।
রোববার ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিত এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে
বাইডেনের ভবিষ্যত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার পরিবারের
সদস্যরা। সদ্য হয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের পর থেকেই এমন প্রশ্ন জেগেছে তার
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এসময় পরিবারের ওই অনুষ্ঠানে তার স্ত্রী, সন্তান ও তার
নাতিরা উপস্থিত ছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিবৃতি দিয়ে জানা যায়, তার পরিবারের সদস্যরা
আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে বাইডেনের সক্ষমতার
বিষয়ে এখনও পুরোপুরি আস্থাশীল।
এমনকি প্রথম বিতর্কে কীভাবে
নাস্তানাবুদ হয়েছেন
এ ডেমোক্র্যাট নেতা, সে
বিষয়েও জানেন পরিবারের সদস্যরা। তা সত্ত্বেও তাদের বিশ্বাস ট্রাম্পকে হারানোর জন্য এ মুহুর্তে বাইডেনই সবচেয়ে
যোগ্য
ব্যক্তি।
বার্তা
সংস্থা
এপি’র খবরে বলা
হয়েছে,
নির্বাচনের মাঠে চাপ সামলে
শেষ
পর্যন্ত বাইডেনকে লড়াইয়ে টিকে থাকার বিষয়ে
সবচেয়ে
জোরালো
সমর্থন
যুগিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী
জিল
ও পুত্র হান্টার।
অবশ্য প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠরা আরও
দাবি
করেন,
বিতর্কের জন্য
বাইডেনকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করেননি
উপদেষ্টারা।
গত
সপ্তাহে বিতর্কের সময়
ট্রাম্পের ঝাঁঝালো আক্রমণের বিরুদ্ধে কর্কশ
ও কম্পিত কণ্ঠে কথা বলতে শোনা
যায়
মার্কিন এ প্রেসিডেন্টকে। কিছু
কিছু
সময়
পুরো
বাক্যও
শেষ
করতে
পারেননি তিনি।
বিপরীতে ট্রাম্পের ধারাবাহিক মিথ্যা দাবির কাছে বাইডেনকে দেখা যায় বেশ
অপ্রস্তুত। এসময় ট্রাম্প বলেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনিই
জিতেছিলেন। কিন্তু
সেই
ভুলগুলো ধরিয়ে
দেওয়া
বা
এমন দাবির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ করতে
পারেননি বয়োবৃদ্ধ বাইডেন।
ফ্লোরিডাভিত্তিক অ্যাটর্নি এবং
বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের
দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম জন মরগান বলেন,
আমার
বিশ্বাস, তাকে
(প্রেসিডেন্ট) অতিরিক্ত শেখানো
হয়েছিল,
তিনি
অতিরিক্ত অনুশীলন করেছিলেন।
অন্যদিকে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আরেক
ব্যক্তি বার্তা
সংস্থা
রয়টার্সকে জানিয়েছেন, উপদেষ্টাদের কাছে
তিনি
অনুরোধ
করেছিলেন, বিতর্কের আগে
যেন
প্রেসিডেন্টের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় ও এবিষয়টি নিশ্চিত করা
হয়।
বাস্তবিকে সেটি হয়নি।
বাইডেন
ক্লান্ত হয়ে
পড়েছিলেন। তার
কথায়,
অসুস্থ
ও ক্লান্ত দেখানো প্রেসিডেন্টকে বাইরে
পাঠানো
খুবই
খারাপ
সিদ্ধান্ত ছিল।
ক্যাম্প ডেভিডের ওই অনুষ্ঠানটিতে মূলত আসন্ন জাতীয় গণতন্ত্র
সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে এক ফটোশুটের আয়োজন করা হয়েছিল।
এদিকে ডিবেট পরবর্তী সময়ে ৪৬ শতাংশ মার্কিন জনগণ মনে করছেন
বাইডেনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত। যদিওবা এর আগে গত
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে তার পক্ষে জনমত ছিল মাত্র ৩৬ শতাংশ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিক
মন্তব্য করুন
যুদ্ধ আক্রান্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি দেশটির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে খুবই অল্প পরিমাণ খাবার-পানি নিয়েই তাদেরকে আসতে হয়েছে। এমনকি স্টেডিয়ামের বসার জায়গায় তারা অস্থায়ী তাঁবু টাঙিয়েছেন আর সেখানে বেশ ধুলোবালির মধ্যেই তাদের সময় পার করতে হচ্ছে।
এদিকে স্টেডিয়ামে আশ্রয়ের পর শুকনো মাঠে তাদের কাপড় ঝুলতে দেখা গেছে। আহ্রয় নেওয়া এক বাস্তুচ্যুত উম্মে বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, তাদেরকে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। অতি সম্প্রতি গাজা সিটির শিজাইয়াহ এলাকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে।
উম্মে আরও বলেন, ‘আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি দরজার সামনে ট্যাংক। আমরা সঙ্গে করে কিছু নিয়ে আসতে পারিনি, তোষক নয়, বালিশও না, জামাকাপড় নয়, একটা জিনিসও না। এমনকি খাবারও নয়।’
তিনি আরও ৭০ জনের একটি দলের সঙ্গে শিজাইয়াহ থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ইয়ারমুক স্পোর্টস স্টেডিয়ামে পালিয়ে আসেন। স্টেডিয়ামে যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অনেকেই বলছেন, তাদের ফিরে যাবার কোনো জায়গা নেই।
আশ্রয় নেওয়া হাজেম আবু থোরাইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। এবং আমাদের সমস্ত বাড়িঘর বোমা মেরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের চারপাশের সবারই একই অবস্থা।’
এদিকে ইসরায়েলি সেনারা গাজার উত্তরাঞ্চল ঘিরে ফেললেও লাখ লাখ মানুষ গাজার উত্তরাঞ্চলে এখনও অবস্থান করছেন গেছেন। তবে সম্প্রতি সেখানে ত্রাণ প্রবাহের উন্নতি হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ক্রমেই এ অঞ্চলে বঞ্চনা ও নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে।
জাতিসংঘ এই সপ্তাহের শুরুতে জানিয়েছে যে তারা এখন উত্তরাঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম।
অন্যদিকে ইসরায়েল এর ভাষ্যমতে জানা গেছে যে তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং এটি সরানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য জাতিসংঘকে দোষারোপ করেছে।
গাজা বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম বাস্তুচ্যুত আশ্রয়স্থল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেবার পার্টি বিপুল জয় পেয়েছে। দলের নেতা কিয়ার স্টারমার ইতোমধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, যার ফলে কনজারভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ১৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই স্টারমার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন। প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন একজন মুসলিম নারী, শাবানা মাহমুদ।
শাবানা মাহমুদের জন্ম বার্মিংহামে হলেও তিনি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ-কাশ্মীর বংশোদ্ভূত । তার বাবা-মা আজাদ কাশ্মীরের মিরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শাবানা তার শৈশব সৌদি আরবের তায়েফে কাটিয়েছেন। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু এবং মিরপুরি ভাষায় সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন। ২০১০ সালে, তিনি প্রথম অ-ব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন। ওই বছর আরও দু’জন নারী (বাংলাদেশি রুশনারা আলী এবং পাকিস্তানি ইয়াসমিন কুরেশি) সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
শাবানা মাহমুদ যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী বিচারমন্ত্রী। এছাড়া, তিনি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী হিসেবে ‘লর্ড চ্যান্সেলর’ পদটি গ্রহণ করেছেন।
নতুন সরকারে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। র্যাচেল রিভস অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন, কারণ তিনি যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ ডেভিড ল্যামি এবং ইভেত্তে কুপার নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টি ৪১২টি আসনে জয়লাভ করেছে, যেখানে কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন।
বিচারমন্ত্রী মুসলিম লেবার পার্টি কনজারভেটিভ পার্টি
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। আজ শনিবার তার প্রথম কার্যদিবস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার সকালে নতুন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করবেন স্টারমার।
তবে নতুন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ পদগুলো পূর্ণ হলেও মন্ত্রী পর্যায়ে কনিষ্ঠ পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়ার কাজটি আজও চলবে।
যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় কিছু চমকও দেখা গেছে। করোনা মহামারীর সময়ে ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা প্যাট্রিক ভ্যালান্সকে বিজ্ঞানবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। আর টিম্পসন গ্রুপের মালিক জেমস টিম্পসনকে কারামন্ত্রী করা হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ন্যাটোর ৭৫তম বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন স্টারমার। আগামী মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এ সম্মেলন শুরু হবে।
এটি হবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্টারমারের প্রথম বিদেশ সফর। লন্ডন এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত হবে এটি।
প্রথম কার্যদিবস যুক্তরাজ্য নতুন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
মন্তব্য করুন
মিশরের নতুন শিক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দেল লতিফের পিএইচডি ডিগ্রিটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। আর এবিষয়ে দেশটির একজন সাংবাদিক ও অনলাইন ফ্যাক্টচেকার সরকারকে জানিয়েছে বলে মিডেল ইস্ট আইয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।
গত
বুধবার মিসরের নতুন সরকার শপথ
গ্রহণ করে। আর এই
সরকারে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাদে বাকি
সব মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনার আওতায় শিক্ষামন্ত্রীর
দায়িত্ব পান মোহাম্মদ আব্দেল
লতিফ।
এদিকে নতুন শিক্ষামন্ত্রীর ভুয়া পিএইচডি ডিগ্রির বিষয়টি প্রকাশের পর এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকে তার বিরুদ্ধে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
সরকারি ওয়েবসাইট এবং মিসরের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে আব্দেল লতিফের জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। যার মধ্যে কার্ডিফ সিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লরেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন আব্দেল লতিফ।
এ
প্রসঙ্গে মিসরীয় সাংবাদিক এবং ফ্যাক্টচেকার হোসেম
এল-হেন্দি খুঁজে বের করেছেন, কার্ডিফ
সিটি বিশ্ববিদ্যালয় নামক যে বিশ্ববিদ্যালয়ে
শিক্ষামন্ত্রী আব্দেল লতিফ পিএইচডি করার
তথ্য জানিয়েছেন সেটি একটি ‘ভুয়া
বিশ্ববিদ্যালয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো
ক্যাম্পাস নেই এবং এটি
ভুয়া সনদপত্র প্রদান করে থাকে এবং
এটি যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়েরও কোনো অংশ নয়।’
ভূয়া ডিগ্রি শিক্ষামন্ত্রী মিশর
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন নিজেকে প্রচারমাধ্যম থেকে দূরে সরিয়ে কাজ করে আসছেন ভিক্টোরিয়া স্টারমার। বলা যায়, জনসম্মুখে একেবারে দেখাই যায় না তাকে। এবারের নির্বাচনী প্রচারণায়ও তিনি ছিলেন প্রায় অদৃশ্য।
কিন্তু এখন যুক্তরাজ্যের মানুষ ধীরে ধীরে পরিচিত হতে চলেছেন ৫০ বছর বয়সী এই নারীর সঙ্গে, যিনি লেবার পার্টির প্রধান এবং ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছেন।
২০২০ সালে কিয়ার স্টারমার লেবার পার্টির নেতা হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় পর্যন্ত ভিক্টোরিয়া স্টারমার জনসমক্ষে আসা থেকে বিরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনও সাক্ষাৎকার দেননি এবং রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও খুব কম অংশ নিয়েছেন।
তার জনসমক্ষে আসার ঘটনা হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র। এর মধ্যে রয়েছে- নির্বাচনের দিনে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া, উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টের স্ট্যান্ডে, টেলর সুইফটের লন্ডন কনসার্টে এবং বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে ও অভ্যর্থনায় অংশ নেওয়া।
এর মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল ২০২৩ সালে লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলন। ওই সময় তিনি লেবার পার্টির দলীয় রঙের সঙ্গে মিল রেখে লাল পোশাক পরে স্বামীর সঙ্গে মঞ্চে যোগ দেন।
ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করার পরও সাবেক আইনজীবী ভিক্টোরিয়া স্টারমার এনএইচএস-এ কর্মজীবন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ডার উত্তর লন্ডনে বড় হয়েছেন। তার বাবা একজন সাবেক হিসাবরক্ষক এবং পোলিশ-ইহুদি বংশোদ্ভূত এবং মা ছিলেন একজন কমিউনিটি ডাক্তার।
তিনি ওয়েলসের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের প্রধান ছিলেন। এরপর তিনি টনি ব্লেয়ারের অধীনে লেবার দলের প্রচারণা কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন। পরে একটি আইন সংস্থায় সলিসিটার হন। এরপর তিনি এনএইচএস-এ যোগ দেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রথম সাক্ষাতের গল্প বহুবার বলেছেন। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে একটি মামলা নিয়ে কাজ করার সময় তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। ওই সময় কিয়ার স্টারমার প্রথমবার তাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তার প্রস্তুত করা সব নথি সঠিক কি না। এরপর তিনি ক্যামডেনে একটি পাব-এ ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
২০০৭ সালে এই দম্পতি বিয়ে করেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে-১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৩ বছর বয়সী একটি কন্যা। গোপনীয়তা রক্ষার জন্য কিয়ার স্টারমার জনসমক্ষে কখনও তাদের নাম উল্লেখ করেন না। তারা উত্তর লন্ডনের ক্যান্টিশ টাউনে বসবাস করেন।
যুক্তরাজ্য নতুন ফার্স্ট লেডি ইহুদি বংশোদ্ভূত ভিক্টোরিয়া
মন্তব্য করুন