ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুরস্কের মন্ত্রিসভায় রদবদল

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এরদোয়ান দুজন মন্ত্রী নিয়োগের পর এই রদবদল ঘোষণা করা হয়। 

তুর্কি সরকারি গেজেট অনুসারে, মুরাত কুরুমকে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি মেহমেত ওজাসেকির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মেহমেত সম্প্রতি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক কামাল মেমিওলুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ইস্তাম্বুল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

মেহমেতের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মেহমেতের আগে পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুরাত কুরুম। তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচনে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির প্রার্থীও ছিলেন।

তাদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে হতে পারে। একই সময়ে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।


তুরস্ক   মন্ত্রিসভা   রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এবার ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের রেশ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনেও। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে অবস্থিত সংসদ ভবনের ছাদে উঠে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করছে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ছাদে একটি ব্যানার টাঙিয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, ‘নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই’। খবর আল জাজিরা  

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতিদানে অস্ট্রেলিয়ার একজন মুসলিম সিনেটর সম্মতি প্রদান করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ তাকে বহিষ্কার করেছে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে বিক্ষোভ করে।  

রেনেগার্ড দলের চারজন বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরিধান করে পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল। এ সময় তারা সাদা কালো রঙের বড় একটি ব্যানার ছাদে ঝুলিয়ে রাখে। এতে লেখা ছিল ‘চুরি করা জমিতে কোনো শান্তি নেই।’

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন উচ্চ কণ্ঠে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল সরকার পুরোপুরি যুদ্ধাপরাধ করছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারও এর সঙ্গে জড়িত। 

বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে আরও বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে ঘোষণা করছি যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবিস্তার এবং পুঁজিবাদের মুখোশ উন্মোচন করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। 


অস্ট্রেলিয়া   পার্লামেন্ট   ফিলিস্তিন   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন: বিপুল ভোটে জয়ের প্রত্যাশা টিউলিপ সিদ্দিকের

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবারই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এবার সে সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকেছে ৩৪ জনে। তবে তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষ আছেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। অবস্থান সুসংহত হওয়ায় এবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে তার সংসদ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই নির্বাচনে বৃটেনের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়লাভ করলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে প্রথম ব্রিটিশ মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন টিউলিপ যা যুক্তরাজ্যে ইতিহাস হয়ে দাঁড়াবে।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে টিউলিপ সিদ্দিক এমপি এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। এরই মাঝে টিউলিপ পাচ্ছেন মানুষের ভালোবাসা সমর্থন। সম্প্রতি অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী এমা থম্পসনসহ অনেকেই তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ব্রিটেনের প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন রাচেল রিভস। টিউলিপ সিদ্দিক এমপি ট্রেজারিতে রাচেল রিভসের টিমের অংশ। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস তৈরি করায় বর্তমানে সকলের দৃষ্টি এখন টিউলিপ সিদ্দিক রাচেল রিভসের দিকে।

টিউলিপ সিদ্দিক শেখ রেহানার কন্যা। যিনি ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্টিড কিলবার্নে বসবাস করছেন। ওই এলাকায় স্কুলে পড়েছেন কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি গভর্নমেন্ট বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। তিনি ২০১৫ সালের মে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন নির্বাচনী এলাকায় লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।

২০১৫ সালে এমপি হওয়ার আগে তিনি রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্য ছিলেন।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর টিউলিপ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত হন। পরে তিনি পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণপূর্বক লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের মধ্যবর্তী নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন নির্বাচনী এলাকায় লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

রাজনৈতিক জীবনে তাঁর এই সাফল্যের কারণ পরিশ্রম আদর্শবাদী কাঠামোর মধ্যে নিজেকে তৈরি করা। তিনি ২০১৫ সালে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে প্রথমবারের মত বক্তব্য রাখেন এবং প্রথম ভাষণেই নজর কাড়েন। ওই ভাষণে শরণার্থী আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি ব্রিটেনের সহৃদয়তার ওপর আলোকপাত করেন টিউলিপ সিদ্দিক। বিবিসির তৈরি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সবচেয়ে স্মরণীয় নবনির্বাচিতদের ভাষণের তালিকায়ও স্থান পায় তাঁর ওই ভাষণ।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। তখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনও এমপি সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যোজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে  ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকতেন, যাকেপেয়ারবলা হতো। কিন্তু ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ব্রান্ডন লুইস ওই প্রথা লঙ্ঘন করে ভোট দিয়েছিলেন। অতীতের এই ঘটনার কারণে ওই ব্যবস্থায় তাঁর আর আস্থা নেই জানিয়ে টিউলিপ সশরীরে পার্লামেন্টে গিয়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে সন্তান-প্রত্যাশী নবজাতকদের মা-বাবার জন্য ঐতিহাসিক প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি চালু করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার।

এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মর্মে মূল্যায়ন করেছিলইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডপত্রিকা। আর এজন্যই লন্ডনের স্বনামধন্য সংবাদপত্রইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকর্তৃক প্রকাশিত ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, টিউলিপের সঙ্গে ছিলেন লন্ডনের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদগণ। 

টিউলিপের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, সমাজের মূলধারায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণের উদ্যোগ, রাজনৈতিক মহলে সমাজের সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা এবং সাধারণ্যে জনপ্রিয়তা বাঙালি জাতিকে আরও গৌরবান্বিত করেছে।

তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার রয়েছেন। ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ কথা বলতে বা প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না কেনো? সরকারের কাছে এমন প্রশ্নও রেখেছেন তিনি। ফিলিস্তিনের গাজায় মাসের পর মাস ধরে চলছে মানবিক বিপর্যয়। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঝড় উঠেছে খোদ ব্রিটেনেও।

তারই রেশ ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখে আলোচনায় উঠে আসেন বিরোধী লেবারদলীয় সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকী। তিনি তার বক্তব্যে তার মাতৃত্ব কালীন অভিজ্ঞতার আলোকে গাজার সন্তান সম্ভবা নারীদের অসহায়ত্ব এবং দুর্দশার কথা তুলে ধরে শিশু নারীদের রক্ষায় ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

টিউলিপ মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে ব্রিটিশ রাজনীতিতে যুক্ত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।তিনিই ছিলেন ক্যামডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর।


যুক্তরাজ্য   নির্বাচন   বিপুল   ভোট   জয়   প্রত্যাশা   টিউলিপ   সিদ্দিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মহাকাশ স্টেশনে থাকা দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার নভোচারীদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে নাসার মহাকাশযান ‘স্টারলাইনার’। মহাকাশযানের নামের সাথে মিল রেখে অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘মিশন স্টারলাইনার’। কিন্তু মিশন শুরুর ৮ দিন পরই পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না তাদের।

নির্ধারিত মহাকাশযানে জটিলতাকে কেন্দ্র করেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মহাকাশযানটি দুই নভোচারীকে নিয়ে ঠিক কবে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরবে সে নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা গত শুক্রবার জানিয়েছিল, এই অভিযানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আরও কিছুদিন মহাকাশ স্টেশনে থাকতে হতে পারে।

গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানটি দুই নভোচারীকে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা করে। কিছুদিন পরই এ যানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যানটিতে হিলিয়াম গ্যাস লিকেজ এবং থ্রাস্টার বিভ্রাট হওয়ায় এটি পৃথিবীতে ফিরতে পারছে না। এতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করতে হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বারবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্টারলাইনারে করেই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।

নাসার কমার্শিয়াল ক্রুর প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ শুক্রবার বলেছেন, স্টারলাইনারের মিশন ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত করার কথা ভাবছে মহাকাশ সংস্থা। তবে মহাকাশযানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলা হয়নি।

স্টারলাইনারের কিছু থ্রাস্টার কেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অকার্যকর হয়েছে, তা এখন স্থলভাগে পরীক্ষা করে দেখার পরিকল্পনা করছে বোয়িং এবং নাসা কর্তৃপক্ষ। নিউ মেক্সিকোতে এ পরীক্ষা চালানো হবে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্টিচ বলেছেন, নিউ মেক্সিকোতে পরীক্ষা চালানোর পর পাওয়া তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই মহাকাশযানটি কবে পৃথিবীতে অবতরণ করবে, তার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্ক নাপ্পি এবং নাসার কমার্শিয়াল ক্রুর প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ শুক্রবার বলেছেন, স্টারলাইনারের মূল সমস্যা কী, তা প্রকৌশলীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি।

নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়াম স্টারলাইনারের প্রথম যাত্রী হিসেবে মহাকাশে ভ্রমণ করছেন। তাঁরা এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে অবস্থানকারী অন্য নভোচারীদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নিয়মিত কাজকর্মগুলো করছেন। স্টারলাইনার পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করার আগেই জানা গিয়েছিল এর থেকে হিলিয়াম গ্যাস নির্গত হচ্ছে। তবে এরপরও এ অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এটিকে খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করেননি।

কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাইলে শুক্রবার মার্ক নাপ্পি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশযানটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন। তিনি আরও বলেন, নাসা ও বোয়িং সব সময়ই এ অভিযান যে পরীক্ষামূলক, তার ওপর জোর দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে অভিযান চালানোর জন্য স্টারলাইনারকে উন্নত করে গড়ে তুলতে তথ্য সংগ্রহ করাই এ পরীক্ষামূলক অভিযানের লক্ষ্য।

নাসা তাদের এ অভিযানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়াবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। স্টিচ বলেছেন, স্টারলাইনারের ব্যাটারির মেয়াদ থাকবে কি না, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের নিশ্চিত হতে হবে। তবে স্টিচ বলেছেন, মহাকাশ স্টেশনে ব্যাটারিগুলো রিচার্জ করা হচ্ছে। ৯০ দিন পার হয়ে গেলেও এগুলো প্রথম ৪৫ দিনের মতোই কার্যক্ষম থাকার কথা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই দুই নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকা পড়েছেন।নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই মহাকাশচারীর ক্ষেত্রে ‘আটকে পড়া’ কথাটি ব্যবহার না করার জন্য শুক্রবার সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তা নাপ্পি। দুই মহাকাশচারীর অবস্থা বিপজ্জনক নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নাসার কর্মকর্তা স্টিভ স্টিচও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, বুচ এবং সুনি মহাকাশে আটকে নেই। তাঁদের স্টারলাইনারে ফিরিয়ে আনা এবং সঠিক সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের পরিকল্পনা চলছে।’

এদিকে নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছে তারা। সেখানে নভোচারী বুচ এবং সুনিতাও যুক্ত হবেন। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে যোগ দেবেন তাঁরা।অপ্রত্যাশিতভাবে মহাকাশে নভোচারীদের অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়। কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাসও মহাকাশ স্টেশনে থাকার নজির আছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে অভিযানে গিয়ে নাসার নভোচারী ফ্রাঙ্ক রুবিওকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। তিনি রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুলে করে সেখানে গিয়েছিলেন। এটিতে কুল্যান্ট লিক হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে ৩৭১ দিন সেখানে থাকতে হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময় তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে কাটিয়েছেন।

এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পৃথিবীতে ফেরার ক্ষেত্রে নভোচারীদের নিয়মিতই কিছুদিন করে দেরি করতে দেখা যায়।


নভোচারী   মহাকাশ স্টেশন   মহাকাশ সংস্থা   নাসা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু, ভরাডুবির শঙ্কায় ক্ষমতাসীনরা

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭ টায় শুরু হয়েছে। ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রে এবার ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। তবে বুথের ভিতরে ভোটাররা ছবি তুলতে পারবেন না। যদিও  ভোট প্রদান যুক্তরাজ্যে বাধ্যতামূলক নয়। ভোট গ্রহণ চলবে রাত ১০ টা পর্যন্ত।

ভোট গ্রহণ শেষে এক ঘন্টা পর থেকেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হবে। শুক্রবার (৫ জুলাই) এর মধ্যে অধিকাংশ আসনে বিজয়ীদের নাম জানা যাবে। ৩২৬ টি আসনে জয়ী হলে সে দল সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে।

এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে ১৪ বছর পর আবারও বিরোধী দল লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারে বলে বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে জরিপের ফলকে পাত্তা দিতে রাজি নন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী

প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে আগেই যুক্তরাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২২ মে আচমকা আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

প্রায় দেড় মাসের নির্বাচনি প্রচারণা শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে যুক্তরাজ্যে। নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টিসহ অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। হাউজ অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ রেকর্ডসংখ্যক হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার নারীসহ ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক লড়াই করছেন, যার মধ্যে একক দল হিসেবে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সর্বোচ্চ আট জন। বর্তমান এমপি রুশনারা আলি, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক, আপসানা বেগমসহ লেবার পার্টি মনোনীত প্রত্যেক প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। লেবার পার্টি সরকার গঠন করলে প্রথম বার মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেতে পারেন কোনো কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপিও।

২০১০ সাল থেকে টানা তিন বার ক্ষমতায় আছে কনজারভেটিভ পার্টি। এবার দলটির অবস্থা নড়বড়ে। আর মে মাসে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকা আত্মবিশ্বাসী লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী।

লেবার পার্টির পরিবর্তনের ডাকের সঙ্গে জনগণও যে পরিবর্তন চান, সেটির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচনি জনমত জরিপগুলোতে। সবশেষ জরিপের ফল অনুযায়ী ৪০ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে লেবার পার্টি। ২১ পয়েন্টে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বর্তমান ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ভালো ফলাফল করলেও নির্বাচনি জরিপে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে রিফর্ম ইউকে।

সার্ভেশনের পোলিং বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেবার পার্টি ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪৮৪টি আসন জিততে পারে, যা পার্টির সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের ১৯৯৭ সালের ভূমিধস বিজয়ে ৪১৮টি আসনের চেয়ে অনেক বেশি। আর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেতে পারে ৬৪টি আসন। ১৮৩৪ সালে পার্টি প্রতিষ্ঠার পর এবার সবচেয়ে কম আসনে জিততে পারে তারা।

বর্তমানে যে দুই দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, তারা হলো, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি বিরোধী লেবার পার্টি। ৪৪ বছরের ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক সময়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সের প্রধানমন্ত্রী তিনি। শুধু তাই নয়, তার হাত ধরেই প্রথম বার কোনো ব্রিটিশ-ভারতীয় ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনের পর দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত হন তিনি।

নির্বাচনে প্রধান দলগুলো জনমত নিজেদের দিকে টানতে চলমান সমস্যার সমাধানে সুসংহত যুক্তরাজ্য গড়ে তুলতে নির্বাচনি ইশতেহারে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ঋষি সুনাক এবং লেবার প্রধান স্টারমার প্রচারণা চালান। তারা দেশের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। দুই জনই দাবি করেন যদি তাদের প্রতিপক্ষ জয় পায়, তাহলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, লেবার পার্টি রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দল কনজারভেটিভ পার্টির এক মন্ত্রী। এর মাধ্যমে নির্বাচনের একদিন আগেই কার্যত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।

পাঁচ বছর আগে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সটের পক্ষে প্রচারে বিপুল সাড়া মিলেছিল।গেট ব্রেক্সিট ডানস্লোগানে ভর করেহাউস অফ কমন্স’-এর ৩৬৫টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন বরিস জনসন। কিন্তু ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সরকারি বাসভবনে আড়াই বছরের বেশি কাটাতে পারেননি তিনি। দলের অন্দরে বিদ্রোহ এবং কোভিভবিধি ভেঙে পানভোজনের আসর বসানোর অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০২২ সালে জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন।

এর পর লিজ ট্রাসের ৪৯ দিনের প্রধানমন্ত্রিত্ব পর্বের শেষে দলের অন্দরে ভোটাভুটির মাধ্যমে ওয়েস্টমিনিস্টারে আসীন হয়েছিলেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই সুনাক। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনে ভোট করাতে হবে। সুনক আগে বলেছিলেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে হবে ভোট। কিন্তু গত ২২ জুন হঠাতই রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে দেখা করে তাকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আর্জি জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। এরপর জুলাই ভোটের দিন ঘোষিত হয়েছিল।

ভারতের মতোই ব্রিটেনেও বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ফল অতীতে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভারতের মতোই বহুদলীয় গণতন্ত্র, জটিল এবং মিশ্র জনবিন্যাস, প্রধান শত্রুকে হারাতেট্যাকটিক্যাল ভোট’, সবই নানাভাবে কঠিন করে তোলে নির্বাচনী ফলাফলের অনুমান। প্রচারপর্বের শেষবেলায় লেবার পার্টির প্রধান স্টার্মারের একটি বক্তব্যের জেরে বাংলাদেশীসহ এশীয় বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীতে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে।অভিবাসনবিরোধীহিসেবে পরিচিত এই নেতা গত সপ্তাহে ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ।

প্রতিবাদে প্রচারের শেষ পর্বে সে দেশের বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এলাকাগুলোতে দেখা গিয়েছে লেবারবিরোধী ভোটদানের আহ্বান। সম্প্রতি গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইল সেনাবাহিনীর হানাদারির প্রসঙ্গে বেনিয়ামিনন নেতানিয়াহু সরকারের পক্ষ নিতে দেখা গিয়েছিল স্টার্মারকে। লেবার পার্টির বেশ কিছু মুসলিম নেতা তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়েছিলেন। এবার একটি সাক্ষাৎকারে স্টার্মারেরবাংলাদেশী অভিবাসনবিরোধীমন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছেড়েছেন লেবার পার্টির নেত্রী সাবিনা ইসলাম। উত্তর, মধ্য এবং পূর্ব লন্ডনে লেবার পার্টিরশক্ত ঘাঁটিহিসেবে পরিচিত এলাকায় প্রায় ৭০টি আসন রয়েছে। সেখানে এশীয় জনগোষ্ঠীর ভোটারদের সংখ্যা নির্ণায়ক। ফলে শেষবেলায় কিছুটা চিন্তায় লেবাররা।


যুক্তরাজ্য   সাধারণ   নির্বাচন   ভোট   গ্রহণ   শুরু   ভরাডুবি   শঙ্কা   ক্ষমতাসীনরা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত আরও ২৮, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭,৯৫৩

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৮ হাজারে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৭ হাজারের বেশি। সারাদিনই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিমান হামলার পাশাপাশি নুসেইরাত শরণার্থী ক্যাম্প ও গাজা সিটিতে স্থল অভিযান চালিয়ে গেছে। খবর আল জাজিরা ও বিবিসির।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু মানুষ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে।

গাজা উপত্যকাজুড়েই গত কয়েকদিন ধরে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। গাজা সিটির দুটি আবাসিক বাড়ি লক্ষ্য করে বুধবার দিনের বেলায় দুটি পৃথক হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুজাইয়া পাড়ায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯৫৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৮৭ হাজার ২৬৬ জন। এসব হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

সর্বশেষ বুধবার নিহতদের মধ্যে গাজার খান ইউনিস ছেড়ে আসা উদ্বাস্তু রয়েছে। কথিত নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নেওয়া সত্ত্বেও তাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে শিশুসহ এক পরিবারের ৯ জন রয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী খান ইউনিস শহরের পূর্বাঞ্চল ও রাফাহ শহর খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আনুমানিক আড়াই লাখ মানুষ দুইদিনে শহর দুটি ছেড়েছে। তাদের নিয়ে গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন ছাড়িয়েছে ২০ লাখ।


গাজা   মৃত্যু   আহত   ফিলিস্তিনি   ইসরায়েলি বাহিনী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন