ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত থেকে বিদায় নিল ৪২০ ধারা

প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বদলে গেল ব্রিটিশ যুগের ভারতের দণ্ডবিধি আইন। আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না। জালিয়াতি বা প্রতারণার দণ্ড থাকলেও সেই দণ্ড আর দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় নেই। সেই ধারা বদলে গেছে নতুন করে কার্যকর হওয়া ভারতের ‘ন্যায় সংহিতা’ আইনে।

সোমবার (১ জুলাই) বিদায় হয়ে গেল ভারতের দণ্ডবিধির এই ধারা। 

ভারতে দণ্ডবিধি আইনকে আমূল পরিবর্তন করে চালু করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস। এই বিএনএস অনুযায়ী প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারা বদলে হয়েছে ৩১৮ (৪) ধারা। আবার গৃহবধূ নির্যাতনের ধারা ছিল দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ। নতুন কার্যকর হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সেই ধারা বদলে হয়েছে ৮৫। এছাড়া কিছু দণ্ডের ধারা বদলে গেছে ন্যায় সংহিতায়।

১৮৬০ সালে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)।

সোমবার ভারতে কার্যকর হয়েছে এই ন্যায় সংহিতা। তবে ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুয়ায়ী, আর রাত ১২টা পর সংগঠিত অপরাধের জন্য এই আইন কার্যকর হবে নতুন ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী।

যদিও এই আইনের বদলকে একদল আইনজীবীও মেনে নেয়নি। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ও শিয়ালদহের আদালতে আইনজীবীদের একাংশ এই আইনের প্রতিবাদ করে কালো ব্যাজ পরলেও আবার অনেকেই মামলায় শামিল হয়েছেন। তবে সোমবার বামফ্রন্ট, এসইউসিআইর ছাত্র সংগঠন ডিএসও, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর, সিপিআই (এমএল) এবং নতুনকরে কলকাতায় গড়া ‘সংগঠন বাঁচাও সমিতি’ কলকাতায় এই আইনের প্রতিবাদে সভা সমাবেশ করেছে। 

আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অনেকে আবার বলছেন, এই আইনে সংশোধন এনে বহু আইনকে আরও কড়া করা হয়েছে। দণ্ডের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।


ভারত   ৪২০ ধারা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হলেন যিনি

প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে সবচেয়ে কম বয়সে জয়ী হয়েছেন স্যাম কার্লিং। ২২ বছর বয়সী কার্লিং কনজারভেটিভ পার্টির একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে সামান্য ব্যবধানে হারিয়ে রীতিমতো আলোড়ন তুলেছেন। বয়স নয়, বরং তাঁর কাজ নিয়ে বেশি আলোচনা হবে—এমনটাই আশা করছেন ২০০২ সালে জন্ম নেওয়া এই তরুণ পার্লামেন্ট সদস্য।

যুক্তরাজ্যে সুস্থ-স্বাভাবিক যে কোনো নাগরিক ১৮ বছর বয়স হলে পার্লামেন্ট ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ২০০৬ সালের আগে এই বয়সসীমা ছিল ২১ বছর। ওই বছর নির্বাচনী আইন পরিবর্তন করে বয়স ১৮ বছর করা হয়। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্যকে অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘হাউসের শিশু’ বলে ডাকা হয়। এবারের ‘হাউসের শিশু’ কার্লিং নর্থ ওয়েস্ট কেমব্রিজশায়ার আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি মাত্র ৩৯ ভোটের ব্যবধানে কনজারভেটিভ পার্টির শৈলেশ ভারাকে পরাজিত করেছেন।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্নাতক নিজের বিজয়কে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কার্লিং আশা করেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি তরুণ নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ‘এতে তাঁরা পার্লামেন্ট ও স্থানীয় কাউন্সিলে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব দেখতে পাবেন। এটি তরুণদের প্রতি উদাসীনতা কমাতে সহায়তা করবে।’

আগের ‘হাউস শিশু’ ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্নাতক। কিয়ার মাথার নামের ওই পার্লামেন্ট সদস্যও লেবার পার্টির। ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে তিনি সেলবি অ্যান্ড অ্যানস্টি আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন।

কেমব্রিজের কাউন্সিলর কার্লিং বলেন, "আমি নির্বাচন করছি, এটা শুনে অনেক ভোটার অবাক হয়েছেন। কিন্তু শেষে তাঁরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, এটা বেশ ভালো। আমাদের আরও বেশি তরুণ দরকার।"

মাত্র ২২ বছর বয়সে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য নির্বাচিত হলেও বয়স নিয়ে বেশি ভাবতে চান না কার্লিং। তিনি বলেন, "আমি চাই, তরুণদের বয়স নিয়ে মানুষের অদ্ভুত মানসিকতা বদলাবে। আমরা অন্যদের মতোই সমান। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে চাই।"

রাজনীতির প্রতি নিজের সম্প্রতি আগ্রহ জন্মানোর কথা উল্লেখ করে কার্লিং বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের একটি গ্রামীণ শহরে বেড়ে ওঠা কার্লিং নিজের এলাকাকে ‘অত্যন্ত বঞ্চিত অঞ্চল’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার চারপাশে আমি অনেক কিছুর অবনতি হতে দেখেছি। আমার এলাকায় দোকান বন্ধ হতে দেখেছি, যা একসময় বেশ বিকাশমান ছিল। বর্তমানে তা পরিত্যক্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’

কার্লিং আশা করেন, তাঁর দল দাঁতের চিকিৎসকের সংকট, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার (এনএইচএস) কর্মীসংকট এবং গ্রামীণ পরিবহন সমস্যার সমাধানে কাজ করবে।

তরুণ এই পার্লামেন্ট সদস্যের আশা, "আমরা (লেবার পার্টি) বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারব এবং আরও বেশি তরুণকে রাজনীতিতে আকৃষ্ট করতে পারব।"


যুক্তরাজ্য   পার্লামেন্ট   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির ইউরোপ সফর: ইউক্রেন সহায়তায় কূটনৈতিক তৎপরতা

প্রকাশ: ০৫:৪৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর কাজ শুরু করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে তিনি জার্মানিতে যান। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে দুই নেতা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইংল্যান্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করেন।

জার্মানি থেকে ল্যামি পোল্যান্ডে যান এবং পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্লাভ সিকরস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ন্যাটোর নতুন সদস্য সুইডেনে পৌঁছান।

শুক্রবার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ল্যামির এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেন। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেন মিলে কিয়েভকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধে সহায়তা করে যাচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকার ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে চায়। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি ইতোমধ্যে ওদেসা সফর করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ইউক্রেনকে আরও কামান, গুলি এবং ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

জার্মানি সফরের সময় টুইটারে ছবি পোস্ট করে ডেভিড ল্যামি লিখেছেন, ‘এখন আমাদের ইউরোপিয়ান বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের সময়। সে কারণেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সফরে জার্মানিতে এসেছি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন একটি নিরাপত্তা চুক্তি করার বিষয়ে লেবার পার্টির আগ্রহ প্রকাশ করে ল্যামি বলেন, ‘আমি আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে চাই।’

এদিকে গতকাল এডিনবরায় গিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোন্নয়নের কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

ইইউর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পাশাপাশি রাশিয়া, চীন ও গাজা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। জার্মানিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের আকাশে ইরানের তৈরি ড্রোনের উপস্থিতি এবং উত্তর কোরিয়ার গোলা ইউরোপের মাটিতে আঘাত হানায় আমি উদ্বিগ্ন। এছাড়াও রাশিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে অংশীদারত্ব দেখে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।’

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিশ্বের আরও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করা প্রয়োজন।


ডেভিড ল্যামি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ইউক্রেন   ইসরায়েল   গাজা   ইউরোপীয় ইউনিয়ন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা, নিহত ২০

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনে আবারও হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। প্রধান প্রধান শহরে ব্যাপক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। সোমবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

পোল্যান্ডে সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ৪০ মাইল লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও জানান, "ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর, কিয়েভ, দিনিপ্রো, ক্রাইভ রিহ, স্লোভিয়ানস্ক শহরগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে রুশ বাহিনী। আবাসিক ভবন, অবকাঠামো এবং একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কিয়েভের ওখমাদিত শিশু হাসপাতালে আঘাত হেনেছে। হাসপাতালটি দেশের সবচেয়ে বড় শিশুদের চিকিৎসা কেন্দ্র। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাসপাতালটির ক্ষতি হয়েছে এবং সেখান থেকে শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।


ইউক্রেন   হামলা   নিহত   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা সিটিতে জাতিসংঘের কার্যালয়ে ইসরায়েলি সেনা অভিযান শুরু

প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গাজা সিটিতে অবস্থিত ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ'র সদর দপ্তরে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ইসরায়েলের দাবি, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কার্যালয়ের ভেতর সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এবং এই ভবনের কিছু কক্ষে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাস জিম্মিদের আটকে রাখে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এর আগে এই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন হামাস সদস্যকে তারা হত্যা করেছে এবং এই ভবনের নিচে একটি সুড়ঙ্গ পথ ধ্বংস করেছে।

আইডিএফ নিশ্চিত করেছে, তারা অভিযান শুরুর আগে সেখান থেকে লাউডস্পিকারে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া, নিরীহ মানুষের যাতায়াতের সুবিধায় তারা একটি করিডর চালু করার কথা জানিয়েছে।

ভোরে হঠাত করে ইসরায়েলি বাহিনী এগিয়ে এলে গাজা সিটির পশ্চিমে, তাল আল-হাওয়া মহল্লায় বড় আকারে বোমাবর্ষণ শুরু হয়। যার ফলে বেশ কিছু পরিবার নিজ বাড়িতে আটকা পড়ে।

এ ছাড়া, গাজা সিটির পশ্চিমে আর-রেমাল মহল্লায় সড়কের মোড়ে ফ্লোরিয়া বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের ওপরের তলাগুলোতেও বোমাহামলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ব্যাংক অব ফিলিস্তিনের ভবনেও হামলা হয়েছে।

সম্প্রতি ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এর আগে গত শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের আল–জাউনি বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭৫ জন আহত হন। নিহত হন অন্তত ১৬ জন।

এরপর রোববার অপর একটি স্কুলেও হামলা চালায় আইডিএফ।

হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজার বেসরকারি নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি সংস্থা জানিয়েছে, রোববার গাজা নগরীর হলি ফ্যামিলি বিদ্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, গাজা নগরীর ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হামাস যোদ্ধারা লুকিয়ে ছিলেন। সেই সঙ্গে ওই বিদ্যালয়ে হামাসের জন্য গোপনে অস্ত্র বানানো হতো।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজায় নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৯ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৮ হাজার ১৫৩। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ হাজার ৮২৮। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


জাতিসংঘ   অভিযান   ইউএনআরডব্লিউএ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকার করেছে ‘বোয়িং’, ২৪ কোটি ডলার জরিমানা

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আদালতে জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকার করতে রাজি হয়েছে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ জন যাত্রী ও ক্রু নিহত হওয়ার পর একটি নিষ্পত্তি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়ায় ফৌজদারি জালিয়াতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিবিসি'র।

ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (ডিওজে) জানিয়েছে, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটিকে ২৪৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ফৌজদারি জরিমানা করতে হবে।

বোয়িং-এর বিরুদ্ধে দুটি মারাত্মক দুর্ঘটনার সাথে সম্পর্কিত একটি নিষ্পত্তি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করার প্রমাণ পাওয়ায় মার্কিন বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছিলেন মার্কিন প্রসিকিউটররা। মার্কিন বিচার বিভাগকে বলা হয়েছিল ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বোয়িংকে বিচারের আওতায় আনা হবে কিনা।

ফৌজদারি জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় বোয়িংয়ের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল, হয় দোষ স্বীকার করা অথবা আদালতে ট্রায়াল বা বিচারের আওতায় আসা। শেষমেশ বোয়িং দোষ স্বীকার করতেই সম্মত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বোয়িং বলেছে, 'সুনির্দিষ্ট শর্তাবলী ও অনুমোদন সাপেক্ষে বিচার বিভাগের সঙ্গে একটি সমাধানের শর্তে আমরা নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছি'।

চুক্তি অনুযায়ী বোয়িংকে ২৪৩.৬ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে। একটি নিরপেক্ষ মনিটরিং টিম তিন বছরের জন্য বোয়িংকে পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখবে এবং বিমানের সেফটি প্রোগ্রামের জন্য (নিরাপত্তা কর্মসূচি) বোয়িংকে কমপক্ষে ৪৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় করতে হবে। এছাড়াও এই চুক্তিটি একজন ফেডারেল বিচারকের অনুমোদনের পরই কার্যকর হবে।

বোয়িং ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দুটি মারাত্মক ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান দুর্ঘটনায় ভুল তথ্য দিয়ে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এয়ার-সেফটি নিয়ন্ত্রকদের বিভ্রান্ত করেছে- এমন অভিযোগ আসার পর বোয়িং সেটি সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২১ সালে একটি নিষ্পত্তি চুক্তি করার পর ওইসময় ফৌজদারি অভিযোগ থেকে রক্ষা পায়।

চুক্তি অনুযায়ী, বিচার বিভাগ বোয়িং এর বিরুদ্ধে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাথে প্রতারণার অভিযোগে মামলা না করতে সম্মত হয়েছিল যদি সংস্থাটি বাহ্যিক নিয়ম ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ মেনে চলে এবং নিয়মিত প্রতিবেদন জমা দেয়।

কিন্তু এই বছরের জানুয়ারিতে আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের সময় বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের একটি দরজার প্যানেল খুলে যাওয়ার ঘটনায় বোয়িংয়ের প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করার বিষয়টি আবার ওঠে আসে এবং গত মে মাসে তদন্তের পর নিশ্চিত হন প্রসিকিউটররা।

বোয়িং ২০২১ সালে করা নিষ্পত্তি চুক্তির শর্তাবলি অনুসরণ করার দাবি জানিয়ে বিচার বিভাগের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল।

বোয়িং ধারণা করছে দোষ স্বীকারের পর সংস্থাটির ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে ও প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে তাদের সামরিক বিমান তৈরির চুক্তি থাকায়। সাধারণত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি রেকর্ড থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি চুক্তি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়, তবে বোয়িংয়ের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও হতে পারে।

এদিকে নিহতদের পরিবারের আইনজীবী পল ক্যাসেল বলেন, এই জরিমানা যথেষ্ট নয়, ৩৪৬ জন যাত্রীর মৃত্যু আরও ন্যায়বিচারের দাবি রাখে। গত জুনে সরকারকে লেখা এক চিঠিতে তিনি ডিওজেকে বোয়িংকে ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি জরিমানা করার আহ্বান জানান।

ফাউন্ডেশন ফর এভিয়েশন সেফটির নির্বাহী পরিচালক ও বোয়িংয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক এড পিয়েরসন এই রায়কে 'হতাশাজনক' এবং 'অন্যায্য' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, 'দোষী ব্যক্তিদের জবাবদিহি করার পরিবর্তে, তাদের জেল থেকে মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে'।

দুটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের পৃথক কিন্তু প্রায় একই রকম দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন্য নিহত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ১৩ মিনিট পরে জাভা সাগরে প্রথম বোয়িং বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরে লায়ন এয়ারের একটি ফ্লাইটে থাকা ১৮৯ জনের সবাই মারা যায়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে উড্ডয়নের ছয় মিনিট পরে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ১৫৭ জনের সবাই মারা যায়। দুটি দুর্ঘটনার জন্যই ত্রুটিপূর্ণ ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম দায়ী ছিল।


বোয়িং   জরিমানা   জালিয়াতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন