ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত থেকে বিদায় নিল ৪২০ ধারা

প্রকাশ: ০২:৩৪ পিএম, ০২ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বদলে গেল ব্রিটিশ যুগের ভারতের দণ্ডবিধি আইন। আর কেউ প্রতারণা ও জালিয়াতি ঘটনার জেরে ‘ফোর টোয়েন্টি’ বা ‘৪২০’ বলতে পারবে না। জালিয়াতি বা প্রতারণার দণ্ড থাকলেও সেই দণ্ড আর দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় নেই। সেই ধারা বদলে গেছে নতুন করে কার্যকর হওয়া ভারতের ‘ন্যায় সংহিতা’ আইনে।

সোমবার (১ জুলাই) বিদায় হয়ে গেল ভারতের দণ্ডবিধির এই ধারা। 

ভারতে দণ্ডবিধি আইনকে আমূল পরিবর্তন করে চালু করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস। এই বিএনএস অনুযায়ী প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারা বদলে হয়েছে ৩১৮ (৪) ধারা। আবার গৃহবধূ নির্যাতনের ধারা ছিল দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ। নতুন কার্যকর হওয়া ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সেই ধারা বদলে হয়েছে ৮৫। এছাড়া কিছু দণ্ডের ধারা বদলে গেছে ন্যায় সংহিতায়।

১৮৬০ সালে তৈরি হয় ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)।

সোমবার ভারতে কার্যকর হয়েছে এই ন্যায় সংহিতা। তবে ৩০ জুন রাত ১২টার আগে সংগঠিত অপরাধের বিচার হবে ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুয়ায়ী, আর রাত ১২টা পর সংগঠিত অপরাধের জন্য এই আইন কার্যকর হবে নতুন ন্যায় সংহিতার ধারা অনুযায়ী।

যদিও এই আইনের বদলকে একদল আইনজীবীও মেনে নেয়নি। আলিপুর, কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ও শিয়ালদহের আদালতে আইনজীবীদের একাংশ এই আইনের প্রতিবাদ করে কালো ব্যাজ পরলেও আবার অনেকেই মামলায় শামিল হয়েছেন। তবে সোমবার বামফ্রন্ট, এসইউসিআইর ছাত্র সংগঠন ডিএসও, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর, সিপিআই (এমএল) এবং নতুনকরে কলকাতায় গড়া ‘সংগঠন বাঁচাও সমিতি’ কলকাতায় এই আইনের প্রতিবাদে সভা সমাবেশ করেছে। 

আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হওয়ায় অনেক আইনজীবী ও মক্কেল সমস্যায় পড়বেন। অনেকে আবার বলছেন, এই আইনে সংশোধন এনে বহু আইনকে আরও কড়া করা হয়েছে। দণ্ডের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। গণপিটুনির মতো অপরাধের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত করার বিধান রাখা হয়েছে।


ভারত   ৪২০ ধারা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার নিকাব নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম নারীদের হিজাব ও নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা হয়তো সবারই জানা। এসবের বিপরীতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে প্রায়ই মুখ খুলতে দেখা যায় রাশিয়াকে। এবার সেই রাশিয়াই নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এমন ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার দাগেস্তান রিপাবলিক অঞ্চলে। স্থানীয় সেক্যুলার সরকারের আপত্তি ওঠার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাগেস্তানের বিভিন্ন সিনাগগ ও চার্চে সন্ত্রাসী হামলার মুখে সাময়িকভাবে নিকাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, দাগেস্তানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা বলেছে, এ নিকাব বিদ্যমান হুমকি দূর না হওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ।

এর আগে, গত জুনে সন্ত্রাসবাদীরা দাগেস্তানের দুটি শহরে একযোগে দুটি গির্জা, দুটি সিনাগগ ও একটি পুলিশ চৌকিতে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে। এসব হামলার তিন মাস আগে, মস্কোর উপকণ্ঠের একটি কনসার্ট হলে ইসলামিক স্টেটসে (আইএস) জঙ্গিদের হামলায় ১৪০ জনের বেশি নিহত হয়। যা রাশিয়ায় প্রায় দুই দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা। 

অবশ্য দাগেস্তানে গত মাসে যেসব হামলা হয়েছে, সেসব হামলার উদ্দেশ্য, হামলাকারীদের পরিচয় খুব একটা প্রকাশ পায়নি এখনো। তবে ১৯৯০–এর দশক থেকে ২০০০–এর দশক পর্যন্ত উত্তর ককেশাসে অবস্থিত এ রাজ্যটিতে যে ধরনের বিদ্রোহী তৎপরতা ছিল, তার সঙ্গে এসব হামলার কিছুটা মিল আছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন দাগেস্তানে নতুন করে বিদ্রোহের আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে।

এর আগে, ১৯৯০–এর দশকে মস্কো দাগেস্তানের মুসলিম প্রতিবেশী রাজ্য চেচনিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দুটি যুদ্ধ করেছে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে সময় প্রথমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেই যুদ্ধে বিদ্রোহ দমনের দাবি করেছিলেন। 


নিকাব   নিষিদ্ধ   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন: স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দিলেন ঋষি সুনাক

প্রকাশ: ০২:৪৫ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ নির্বাচনে যুক্তরাজ্যের ভোটগ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৭টায় শুরু হয়, ভোটগ্রহণ চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত।

এরইমধ্যে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। অনেকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমেই ভোট দিয়েছেন। কিরবি সিগস্টোন কেন্দ্রে স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে সাথে নিয়ে ভোট দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋষি সুনাক স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নর্থালারটনের একটি গ্রামের ভোটকেন্দ্রে আসেন। এ সময় তারা দুজন বেশ উৎফুল্ল ছিলেন। ফুরফুরা মেজাজে তারা একে অপরের হাত ধরে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন এবং ভোট দিয়ে একইভাবে বেরিয়ে যান। 

এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি (টোরি) ও প্রধান বিরোধী লেবার পার্টিসহ ছোট-বড় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির মধ্যে।

ভোটকেন্দ্রে ঋষি সুনাককে বেশ ফুরফুরা মনে হলেও জনমত জরিপ বলছে, ক্ষমতা হারানোর চাপে আছেন তিনি ও তার দল। জনমত জরিপের হিসাব ঠিক থাকলে লেবার পার্টির কিয়ার স্টারমারই হতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি নির্বাচনের আগেই হার মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা শক্তিশালী বিরোধী দল হতে চায় বলে আকার-ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবার ৯ নারীসহ রেকর্ড ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। লেবার পার্টি সরকার গঠন করলে প্রথমবার মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেতে পারেন কোনো কোনো ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি।

ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময় থেকে ভঙ্গুর অর্থনীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, অভিবাসন সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে গত ২২ মে আকস্মিক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যদিও ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনের পর লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল। ২০১০ সাল থেকে টানা তিনবার ক্ষমতায় আছে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। উল্লিখিত সমস্যার কারণে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি জনগণের হতাশা এখন দৃশ্যমান। তাই এ দলের অবস্থা বেশ নড়বড়ে। মে মাসে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে থাকা আত্মবিশ্বাসী লেবার পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। জাতীয় নির্বাচন-পূর্ববর্তী সব জরিপেও লেবার পার্টির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার জরিপ কোম্পানি সার্ভেশন জানিয়েছে, কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৪৮৪ আসন পাবে।

বিবিসি বলছে, ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি বেছে নিতে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড জুড়ে ৪০ হাজার কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন। সকাল থেকে একযোগে সব অঞ্চলে ভোট শুরু হয়েছে। লোকজন উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে আসছেন। তারা সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দাদের সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।


সাধারণ নির্বাচন   যুক্তরাজ্য   ভোটগ্রহণ   ঋষি সুনাক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০১:৫০ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

এবার ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের রেশ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনেও। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাতে অবস্থিত সংসদ ভবনের ছাদে উঠে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করছে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ছাদে একটি ব্যানার টাঙিয়েছে। যাতে লেখা রয়েছে, ‘নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের মুক্তি চাই’। খবর আল জাজিরা  

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতিদানে অস্ট্রেলিয়ার একজন মুসলিম সিনেটর সম্মতি প্রদান করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ তাকে বহিষ্কার করেছে। এর প্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে বিক্ষোভ করে।  

রেনেগার্ড দলের চারজন বিক্ষোভকারী কালো পোশাক পরিধান করে পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েছিল। এ সময় তারা সাদা কালো রঙের বড় একটি ব্যানার ছাদে ঝুলিয়ে রাখে। এতে লেখা ছিল ‘চুরি করা জমিতে কোনো শান্তি নেই।’

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন উচ্চ কণ্ঠে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল সরকার পুরোপুরি যুদ্ধাপরাধ করছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারও এর সঙ্গে জড়িত। 

বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে আরও বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে ঘোষণা করছি যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবিস্তার এবং পুঁজিবাদের মুখোশ উন্মোচন করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। 


অস্ট্রেলিয়া   পার্লামেন্ট   ফিলিস্তিন   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন: বিপুল ভোটে জয়ের প্রত্যাশা টিউলিপ সিদ্দিকের

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবারই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এবার সে সংখ্যাটা গিয়ে ঠেকেছে ৩৪ জনে। তবে তাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষ আছেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। অবস্থান সুসংহত হওয়ায় এবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে তার সংসদ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই নির্বাচনে বৃটেনের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয়লাভ করলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে প্রথম ব্রিটিশ মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন টিউলিপ যা যুক্তরাজ্যে ইতিহাস হয়ে দাঁড়াবে।

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে টিউলিপ সিদ্দিক এমপি এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। এরই মাঝে টিউলিপ পাচ্ছেন মানুষের ভালোবাসা সমর্থন। সম্প্রতি অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী এমা থম্পসনসহ অনেকেই তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ব্রিটেনের প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন রাচেল রিভস। টিউলিপ সিদ্দিক এমপি ট্রেজারিতে রাচেল রিভসের টিমের অংশ। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাস তৈরি করায় বর্তমানে সকলের দৃষ্টি এখন টিউলিপ সিদ্দিক রাচেল রিভসের দিকে।

টিউলিপ সিদ্দিক শেখ রেহানার কন্যা। যিনি ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্টিড কিলবার্নে বসবাস করছেন। ওই এলাকায় স্কুলে পড়েছেন কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি গভর্নমেন্ট বিষয়ে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। তিনি ২০১৫ সালের মে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন নির্বাচনী এলাকায় লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন।

২০১৫ সালে এমপি হওয়ার আগে তিনি রিজেন্ট পার্কের কাউন্সিলর এবং ২০১০ সাল থেকে চার বছর ক্যামডেন কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড কমিউনিটির সদস্য ছিলেন।

এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর টিউলিপ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের ছায়া মন্ত্রিসভায় নিযুক্ত হন। পরে তিনি পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট বিলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণপূর্বক লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাজ্যের মধ্যবর্তী নির্বাচনে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন নির্বাচনী এলাকায় লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

রাজনৈতিক জীবনে তাঁর এই সাফল্যের কারণ পরিশ্রম আদর্শবাদী কাঠামোর মধ্যে নিজেকে তৈরি করা। তিনি ২০১৫ সালে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে প্রথমবারের মত বক্তব্য রাখেন এবং প্রথম ভাষণেই নজর কাড়েন। ওই ভাষণে শরণার্থী আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি ব্রিটেনের সহৃদয়তার ওপর আলোকপাত করেন টিউলিপ সিদ্দিক। বিবিসির তৈরি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সবচেয়ে স্মরণীয় নবনির্বাচিতদের ভাষণের তালিকায়ও স্থান পায় তাঁর ওই ভাষণ।

২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। তখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনও এমপি সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যোজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে  ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকতেন, যাকেপেয়ারবলা হতো। কিন্তু ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ব্রান্ডন লুইস ওই প্রথা লঙ্ঘন করে ভোট দিয়েছিলেন। অতীতের এই ঘটনার কারণে ওই ব্যবস্থায় তাঁর আর আস্থা নেই জানিয়ে টিউলিপ সশরীরে পার্লামেন্টে গিয়ে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে সন্তান-প্রত্যাশী নবজাতকদের মা-বাবার জন্য ঐতিহাসিক প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি চালু করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার।

এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মর্মে মূল্যায়ন করেছিলইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডপত্রিকা। আর এজন্যই লন্ডনের স্বনামধন্য সংবাদপত্রইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকর্তৃক প্রকাশিত ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, টিউলিপের সঙ্গে ছিলেন লন্ডনের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদগণ। 

টিউলিপের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, সমাজের মূলধারায় অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণের উদ্যোগ, রাজনৈতিক মহলে সমাজের সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা এবং সাধারণ্যে জনপ্রিয়তা বাঙালি জাতিকে আরও গৌরবান্বিত করেছে।

তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার রয়েছেন। ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ কথা বলতে বা প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না কেনো? সরকারের কাছে এমন প্রশ্নও রেখেছেন তিনি। ফিলিস্তিনের গাজায় মাসের পর মাস ধরে চলছে মানবিক বিপর্যয়। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ঝড় উঠেছে খোদ ব্রিটেনেও।

তারই রেশ ধরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখে আলোচনায় উঠে আসেন বিরোধী লেবারদলীয় সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকী। তিনি তার বক্তব্যে তার মাতৃত্ব কালীন অভিজ্ঞতার আলোকে গাজার সন্তান সম্ভবা নারীদের অসহায়ত্ব এবং দুর্দশার কথা তুলে ধরে শিশু নারীদের রক্ষায় ব্রিটিশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

টিউলিপ মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে ব্রিটিশ রাজনীতিতে যুক্ত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।তিনিই ছিলেন ক্যামডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর।


যুক্তরাজ্য   নির্বাচন   বিপুল   ভোট   জয়   প্রত্যাশা   টিউলিপ   সিদ্দিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মহাকাশ স্টেশনে থাকা দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ০৪ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার নভোচারীদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে নাসার মহাকাশযান ‘স্টারলাইনার’। মহাকাশযানের নামের সাথে মিল রেখে অভিযানের নাম দেয়া হয় ‘মিশন স্টারলাইনার’। কিন্তু মিশন শুরুর ৮ দিন পরই পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এখনই ঘরে ফেরা হচ্ছে না তাদের।

নির্ধারিত মহাকাশযানে জটিলতাকে কেন্দ্র করেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে মহাকাশযানটি দুই নভোচারীকে নিয়ে ঠিক কবে নিয়ে পৃথিবীতে ফিরবে সে নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা গত শুক্রবার জানিয়েছিল, এই অভিযানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন করার কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আরও কিছুদিন মহাকাশ স্টেশনে থাকতে হতে পারে।

গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানটি দুই নভোচারীকে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যাত্রা করে। কিছুদিন পরই এ যানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু যানটিতে হিলিয়াম গ্যাস লিকেজ এবং থ্রাস্টার বিভ্রাট হওয়ায় এটি পৃথিবীতে ফিরতে পারছে না। এতে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করতে হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বারবারই ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্টারলাইনারে করেই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে।

নাসার কমার্শিয়াল ক্রুর প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ শুক্রবার বলেছেন, স্টারলাইনারের মিশন ৪৫ দিন থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত করার কথা ভাবছে মহাকাশ সংস্থা। তবে মহাকাশযানটির পৃথিবীতে ফিরে আসার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলা হয়নি।

স্টারলাইনারের কিছু থ্রাস্টার কেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অকার্যকর হয়েছে, তা এখন স্থলভাগে পরীক্ষা করে দেখার পরিকল্পনা করছে বোয়িং এবং নাসা কর্তৃপক্ষ। নিউ মেক্সিকোতে এ পরীক্ষা চালানো হবে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্টিচ বলেছেন, নিউ মেক্সিকোতে পরীক্ষা চালানোর পর পাওয়া তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হবে। এরপরই মহাকাশযানটি কবে পৃথিবীতে অবতরণ করবে, তার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

বোয়িংয়ের কমার্শিয়াল ক্রু প্রোগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার মার্ক নাপ্পি এবং নাসার কমার্শিয়াল ক্রুর প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টিভ স্টিচ শুক্রবার বলেছেন, স্টারলাইনারের মূল সমস্যা কী, তা প্রকৌশলীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি।

নাসার নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়াম স্টারলাইনারের প্রথম যাত্রী হিসেবে মহাকাশে ভ্রমণ করছেন। তাঁরা এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে অবস্থানকারী অন্য নভোচারীদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নিয়মিত কাজকর্মগুলো করছেন। স্টারলাইনার পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করার আগেই জানা গিয়েছিল এর থেকে হিলিয়াম গ্যাস নির্গত হচ্ছে। তবে এরপরও এ অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এটিকে খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করেননি।

কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাইলে শুক্রবার মার্ক নাপ্পি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশযানটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন। তিনি আরও বলেন, নাসা ও বোয়িং সব সময়ই এ অভিযান যে পরীক্ষামূলক, তার ওপর জোর দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে অভিযান চালানোর জন্য স্টারলাইনারকে উন্নত করে গড়ে তুলতে তথ্য সংগ্রহ করাই এ পরীক্ষামূলক অভিযানের লক্ষ্য।

নাসা তাদের এ অভিযানের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়াবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। স্টিচ বলেছেন, স্টারলাইনারের ব্যাটারির মেয়াদ থাকবে কি না, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের নিশ্চিত হতে হবে। তবে স্টিচ বলেছেন, মহাকাশ স্টেশনে ব্যাটারিগুলো রিচার্জ করা হচ্ছে। ৯০ দিন পার হয়ে গেলেও এগুলো প্রথম ৪৫ দিনের মতোই কার্যক্ষম থাকার কথা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ওই দুই নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকা পড়েছেন।নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই দুই মহাকাশচারীর ক্ষেত্রে ‘আটকে পড়া’ কথাটি ব্যবহার না করার জন্য শুক্রবার সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তা নাপ্পি। দুই মহাকাশচারীর অবস্থা বিপজ্জনক নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

নাসার কর্মকর্তা স্টিভ স্টিচও একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, বুচ এবং সুনি মহাকাশে আটকে নেই। তাঁদের স্টারলাইনারে ফিরিয়ে আনা এবং সঠিক সময়ে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের পরিকল্পনা চলছে।’

এদিকে নাসার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছে তারা। সেখানে নভোচারী বুচ এবং সুনিতাও যুক্ত হবেন। পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে যোগ দেবেন তাঁরা।অপ্রত্যাশিতভাবে মহাকাশে নভোচারীদের অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়। কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ এমনকি কয়েক মাসও মহাকাশ স্টেশনে থাকার নজির আছে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে অভিযানে গিয়ে নাসার নভোচারী ফ্রাঙ্ক রুবিওকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। তিনি রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুলে করে সেখানে গিয়েছিলেন। এটিতে কুল্যান্ট লিক হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে ৩৭১ দিন সেখানে থাকতে হয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের বেশি সময় তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে কাটিয়েছেন।

এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে পৃথিবীতে ফেরার ক্ষেত্রে নভোচারীদের নিয়মিতই কিছুদিন করে দেরি করতে দেখা যায়।


নভোচারী   মহাকাশ স্টেশন   মহাকাশ সংস্থা   নাসা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন