ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক ধর্মগুরু, কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া ভোলে বাবার আদি-অন্ত

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে ভারতের হাথরস জেলার রতি ভানপুর গ্রামে ভোলে বাবা নামক এক কথিত ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণ হারান ১২ জন। কিন্তু এখন জনতার কাছে প্রশ্ন এসেছে এই ভোলে বাবা যিনি নারায়ণ সরকার হরি নামেও পরিচিত তিনি আসলে নিজেকে ধর্মগুরু হিসাবে ঘোষণা দিয়ে এতো বড় দূর্ঘটনার পর কেন পলাতক রয়েছেন। মুলত তাকে কেন্দ্র করেই পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন এই ধর্মীয় আচার পালনে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) সকালে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় আহত অনেককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তবে এক আয়োজনে পদদলিত হয়ে এত মানুষ কীভাবে মারা গেলেন, সেই প্রশ্নের বিষয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং বলেন, পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পেছনে বড় একটি কারণ অধিক ভিড়। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে অনেকেই ভোলে বাবার গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন। ভোলে বাবা যে পথে যান, পূজা করার জন্য সেই পথের ধুলোমাটি সংগ্রহ করেন অনেকে। এসব কারণে একের পর এক মানুষ পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।’

এ ঘটনায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ আছে, ধর্মীয় ওই আয়োজনে ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হওয়ার অনুমতি থাকলেও জমায়েত হয়েছিল আড়াই লাখের বেশি মানুষের।

প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে মানুষ একপর্যায়ে সেখানকার মাঠে পূণ্যার্থীরা ঢোকার চেষ্টা করলে ওই সময় ভোলে বাবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলে এতে মানুষের চাপ আরও বেড়ে যায়। পরে ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে মাটিতে পড়ে পদদলিত হয়ে মারা যান। আর এমনটাই এফআইআরে।

প্রত্যক্ষদর্শী শকুন্তলা দেবী বলেন, ধর্মীয় আয়োজন শেষ হওয়ার পরপর একসঙ্গে অনেক মানুষ বের হয়ে আসছিলেন। রাস্তায় বেরিয়েই প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্য পড়ে পদদলিত হয় মানুষ।

সুরেশ নামের আরও একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমি এখানে এসেছিলাম। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। মাইকে ঘোষণা দিলেও কোনো লাভ হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভোলে বাবা প্রায়ই তার ভক্তদের কাছে দাবি করে থাকেন তিনি গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন। তিনি ভক্তদের আরও বলে থাকেন, গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়ই আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং ১৯৯০ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সাধারণ কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা সুরাজ একসময় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হেড কনস্টেবল ছিলেন। পরে ১৯৯৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ধর্মীয় বাণী প্রচারে মন দেন এবং নিজের নাম পরিবর্তন করে নারয়ণ সাকার হরি রাখেন।

পুলিশের চাকরি ছাড়ার পর সুরজ নিজের নামও বদলে ফেলেন। নতুন নাম নারায়ণ সাকার হরি। এই নামেই এখন তিনি পরিচিত। ভক্তরা তাকে এই নামে অথবা ভোলে বাবা বলে সম্বোধন করেন।

ভারতে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার বাবাজির থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আলাদা এই এই ব্য়ক্তি। তার সঙ্গে থাকেন স্ত্রী প্রেমবতী।

ভক্তদের অবশ্য বাবাজি বলেন, তিনি এখনো মাটির ঘরে থাকেন। পায়ে হেঁটে গোটা উত্তরপ্রদেশ ঘুরে প্রচার করেন তিনি।

গণমাধ্য়মের সামনে খুব বেশি আসতে দেখা যায় না এই বাবাজিকে। তবে ২০২২ সালে কোভিডের সময় বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন এই ব্য়ক্তি। উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদে একটি সৎসঙ্গ সভা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তখন কোভিডের ভরা সময়।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ভোলে বাবা উত্তরপ্রদেশের ইতাহ বিভাগের বাহাদুর নগরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি দাবি করেন, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ শুরু করেন।

ভোলে বাবার অন্যতম একটি আলাদা দিক হলো তিনি ভারতের অন্যান্য ধর্মগুরুর মতো জাফরান রঙের পোশাক পরেন না। এর বদলে সাদা স্যুট এবং টাই পরেন। আর তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুর্তা-পায়জামা।

ভক্তদের কাছে কথিত এই ধর্মগুরু বলে থাকেন, তারা তাকে যেসব অর্থ দেয় তার কিছুই নিজের জন্য রাখেন না। এসব জমাকৃত অর্থ ভক্তদের পেছনেই সব ব্যয় করে থাকেন।

তিনি জানিয়েছেন, কাজ করতে করতেই আধ্য়াত্মিক জীবনে ঢুকে পড়েন তিনি। এবং সে কারণেই পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন। বস্তুত, ভক্তদের তিনি বলেন, হরি অর্থাৎ, ঈশ্বরের সন্তান তিনি।

অন্যদিকে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যেখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড গরম ও আদ্র ছিল। এরমধ্যে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে সেখানে অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল। ওই তাঁবুর ভেতর থাকা মানুষ একটা সময় দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এরপর অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দ্রুত বের হয়ে গেলে অনেকে পদদলিত হয়ে নিহত হন।

এদিকে তার খোঁজে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল সিকান্দাররাউয়ের ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং অপর একটি দল গিয়েছে বাবা নারায়ণ হরির মূল আশ্রম ফুলর রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ভবনে। তবে তিনি সেখানে ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, ‘আমরা তার সার্বক্ষণিক গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছি। বর্তমানে তিনি তিনি মাইনপুরি গ্রামের একটি আশ্রমে অবস্থান করছেন। এই আশ্রমটির সিকান্দাররাউ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।’

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সিকান্দাররাউয়ের ফুলরাই গ্রামে বাবা নারায়ণ হরির ‘সৎসঙ্গ’ বা ধর্মীয় সভা ছিল। লক্ষাধিক ভক্ত তার বাণী শুনতে সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সভা শেষে লোকজন বেরিয়ে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে নিহত হন অন্তত ১১৬ জন।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সভার আয়োজক সংস্থা মানব মঙ্গল সদ্ভাবনা অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনার তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে।


ধর্মগুরু   পলাতক   ধর্মীয় আচার   পুণ্যার্থীর মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব

প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রথম সারির বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছে সৌদি প্রশাসন। ইতোমধ্যে গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্বের অনুমোদনও দিয়েছে সৌদি সরকার।

মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে দেশটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত

নাগরিকত্ব পেয়েছেন এমন পেশাদার মধ্যে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও আরো বেশ কয়েকটি পেশার ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। তবে, ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি। 

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশারক আল আওসাত বলছে, যাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে তারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার নাগরিক হেভোলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মেহমুদ খান, বিজ্ঞানী জ্যাকি ইউ-রু ইং, লেবাননের বিজ্ঞানী নেভিন কাশাব।

সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট বলছে, এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।

সংবাদ সংস্থা এসপিএ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি ভিশন ২০৩০-এর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দেশটি চাইছে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনার পাশপাশজি অন্যান্য সৃজনশীল কাজে বেশি বেশি বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার। তবে কোন ধরনের খাত এ লক্ষ্যমাত্রার আওতায় রয়েছে সে বিষয়য়ে অবশ্য ওই প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।


প্রবাসী   সৌদি   নাগরিকত্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আগস্টের মধ্যে মোদি সরকারের পতন: লালু প্রসাদ

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচন সরকার গঠনের জন্য এবারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ক্ষমতাসীন বিজেপি। ফলে শরিকদের ওপর ভর করেই ভারতের কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে হয়েছে দলটিকে। তবে বিজেপির নেতৃত্বে এবারের এই সরকারকেদুর্বলবলে কটাক্ষ করেছেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব। এমনকি তিনি দাবি করেছেন, এক মাসের মধ্যে পতন হবে কেন্দ্রের মোদি সরকারের।

দেশবাসীকে লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। তিনি বলেন, আগামী আগস্টের মধ্যে পতন হতে পারে নরেন্দ্র মোদি সরকারের। সেই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে পারে লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচন।

শুক্রবার বিহারের রাজধানী পাটনায় রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আয়োজনে দেশবাসীর উদ্দেশে লালু প্রসাদ যাদব এমনই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মোদি সরকারের অবস্থান নিয়ে। তিনি বলেন, দিল্লিতে মোদি সরকার খুবই দুর্বল। আগস্টের মধ্যে এই সরকারের পতন ঘটতে পারে। তাই লোকসভার অন্তর্বর্তী নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে।

এসময় বিহারের সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো সময় (লোকসভা) নির্বাচন হতে পারে বলে আমি দলের সকল কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দিল্লিতে মোদির সরকার খুবই দুর্বল এবং এটি আগামী আগস্টের মধ্যে পড়ে যেতে পারে।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট তথা এনডিএ সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা বারবার বলা হলেও দলটি এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়েছে দিয়েছে। শুক্রবারও তারা লালু প্রসাদ যাদবের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। বিষয়ে বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, ‘লালু প্রসাদ যাদব অলীক স্বপ্ন দেখছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ মোদিকে ভোট দিয়েছে। যিনি এখন রেকর্ড তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বে (বিহারের) মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের পরিচালিত বিহারে এনডিএ বিরোধীদের পরাজিত করতেই থাকবে। সময় তিনি দাবি করেন, আরজেডির শাসনামলে বিহারের পরিস্থিতি নিম্নমানের হয়ে গিয়েছিল।

এদিকে কয়েকদিন ধরে চলমান এমন মন্তব্য ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে, দেশজুড়ে ভোটাররা প্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভোট দিয়েছেন কাজের পক্ষে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনীতির অবসান ঘটেছে এবারের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে।

উল্লেখ্য, ভারতে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ ২৯২টি আসন জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩টি আসন। তবে আগের দুই মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বিজেপি এবার এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। আর সরকার গঠনে দরকার ২৭২টি আসন এবারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোটের শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে মোদিকে।


আগস্ট   বিজেপি   সরকার   পতন   শঙ্কা   যাদব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশিকিয়ান।শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অতি রক্ষণশীল সাঈদ জালিলির বিপক্ষে জয়লাভ করেন তিনি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

নিজ মেয়াদের আড়াই বছরের মাথায় গত ২০মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটিতে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থি সরকার। সেই তারিখ ছিল ২৮ জুন।

ভোটার টার্নআউটের হার নিম্ন হওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট বা রান-অফে গড়ায় নির্বাচন। সেই দ্বিতীয় দফা ভোটের তারিখ ছিল গতকাল ৫ জুলাই।

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এরা হলেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, মোহাম্মদ বাকের কলিবফ, আলী রেজা যাকানি, সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান।

নির্বাচনে লড়াই হয়েছে মূলত সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জালিলি কট্টরপন্থি এবং মাসুদ সংস্কারপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তবে উভয়েই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ। ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য শহরে বিজয় উদযাপন করতে নেমেছেন পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা।

এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি সূত্র বলছে, মাসুদ পেজেশিকিয়ান ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। 

প্রথম দফার নির্বাচনে ইরানের ৬ কোটি ১০ লাখ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির ঘটনা।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় ৪৯ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল।

মাসুদ পেজেশকিয়ানের বয়স ৬৯ বছর। তিনি হৃদ্‌রোগবিষয়ক সার্জন। ইরানের পার্লামেন্টে ২০০৮ সাল থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। ইরানের প্রধান সংস্কারপন্থী জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে। সাবেক দুই সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানিরও সমর্থন পেয়েছেন তিনি।


ইরান   নতুন   প্রেসিডেন্ট   সংস্কারপন্থী   মাসুদ   পেজেশকিয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা এখনো জীবিত আছেন

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির চূড়ান্ত পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পদত্যাগ করেছেন। ফলে সুনাক এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটজনে।

সুনাক ছাড়াও জীবিত সাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস, বরিস জনসন, থেরেসা মে, ডেভিড ক্যামেরন, গর্ডন ব্রাউন, স্যার টনি ব্লেয়ার ও স্যার জন মেজর। গত ১৪ বছরে যুক্তরাজ্যে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গর্ডন ব্রাউনের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। তারা হলেন স্যার টনি ব্লেয়ার, স্যার জন মেজর ও মার্গারেট থ্যাচার।

জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির দুটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। প্রথমত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাজ্যে সরকারের প্রধানমন্ত্রীরা দ্রুত পদত্যাগ করেছেন। দ্বিতীয়ত, তুলনামূলক কম বয়সী ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে জীবিত আট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিনজনের বয়স ৬০ বছরের নিচে। ডেভিড ক্যামেরনের বয়স ৫৭, লিজ ট্রাসের ৪৮ এবং ঋষি সুনাকের বয়স ৪৪। এছাড়া, দুইজনের বয়স এখনও ৭০ বছরের কম। তারা হলেন বরিস জনসন (৬০) ও থেরেসা মে (৬৭)।

সত্তরের বেশি বয়সী তিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হলেন টনি ব্লেয়ার (৭১), গর্ডন ব্রাউন (৭৩) ও জন মেজর (৮১)।


যুক্তরাজ্য   প্রধানমন্ত্রী   সাবেক   কনজারভেটিভ পার্টি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

একমাত্র ঈশ্বর আদেশ দিলেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব: বাইডেন

প্রকাশ: ০৯:৩১ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিতর্কে হারার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। তবে বাইডেন জানিয়েছেন, এসব চাপকে তিনি গ্রাহ্য করছেন না এবং একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আদেশ দিলেই তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিটি নিউজকে একটিআনস্ক্রিপটেডসাক্ষাৎকার দেন বাইডেন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়-ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর থেকে তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েক জন সদস্য মনেপ্রাণে চাইছেন যে বাইডেন যেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। প্রসঙ্গে তার সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়া কী?

উত্তরে বাইডেন বলেন, “যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার সামনে এসে আমাকে (প্রার্থিতা প্রত্যাহারের) আদেশ দেন, তাহলে আমি তা করতে পারি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) নিজের শহর উইসকনসিনে ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোটারদের একটি মিছিল-সমাবেশে যোগ দেন বাইডেন। সে সময়ই কর্মসূচির অবসরে এবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, সম্পূর্ণ আলোচনা হয়েছে আনস্ক্রিপটেড প্রশ্নভিত্তিক। শুক্রবার এবিসি রেডিওকে যে সাক্ষাৎকার বাইডেনের দিয়েছেন, সেটির কোনো প্রশ্ন আগে থেকে বাইডেনকে সরবরাহ করা হয়নি। 

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক বিপর্যয়ের পর থেকে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বাইডেন, তাতে এবিসির এই সাক্ষাৎকারটিকে ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের জন্যবড় পরীক্ষাবলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আয়োজনে গত ২৮ জুন প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের মধ্যে। বিতর্কে দেশের অর্থনীতি সামলানো, পররাষ্ট্রনীতির রেকর্ড ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসী আগমণ ইস্যুতে বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প; কিন্তু স্পষ্ট আত্মবিশ্বাসপূর্ণ যুক্তি দিয়ে সেসব সমালোচনা খণ্ডন করতে অনেকাংশে ব্যর্থ হন বাইডেন। তাকে বেশ ক্লান্তও দেখা যাচ্ছিল সে সময়।

বিতর্কের পর তাৎক্ষণিক এক জরিপে জানা গেছে, বিতর্ক অনুষ্ঠানটি দেখেছেন-এমন দর্শকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখতে চান।


একমাত্র   ঈশ্বর   আদেশ   প্রার্থীতা   প্রত্যাহার   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন