ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রুলিং, ট্রাম্পের আংশিক দায়মুক্তি ও প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতার রুপান্তর

প্রকাশ: ০৮:৩৪ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টগণ ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি লাভের সুযোগ পেতে পারেন এ মর্মে সদ্য ঘোষিত দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিভক্ত রায়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে "পরিবর্তন" করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি এমন সিদ্ধান্তের ফলে দেশের আইনের শাসন ব্যবস্থা নিয়েও উঠতে পারে প্রশ্ন।

সোমবার, মার্কিন শীর্ষ আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অপরাধের বিষয়ে জানান, তিনি সেসময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ফলে সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে ফৌজদারি অপরাধ থেকে মুক্ত ছিলেন। এদিকে ট্রাম্প তার শাসনামলের শেষ দিনগুলিতে বিতর্কিত নানা আচরণের জন্য ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে তার নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়ার মত গুরুতর চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আদালত ট্রাম্পকে গতকালকের রায়ের মধ্যদিয়ে আংশিক বিজয় এনে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। রায়ে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টগণ সরকারি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে যদি কোনো পদক্ষেপ নেয় সেটার বিচার করা যাবে না।

আর এদিকে সোমবারের রায় ঘোষণার ফলে ট্রাম্পের অন্য দুটি ফৌজদারি মামলা বিলম্বিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ডেভিড সুপার এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রভাবের বাইরে হলেও, এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ওপর "উল্লেখযোগ্য" প্রভাব ফেলবে।

সুপার আল জাজিরাকে বলেন, “এটি মৌলিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলি অবশ্যই এমন বিশেষ শক্তি যা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রেসিডেন্টদের চেয়ে স্বৈরশাসকদের কাছে বেশি সুপরিচিত।”

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের ছয়জন রক্ষণশীল বিচারপতি সোমবার এ রায় অনুমোদন করে তাদের মত প্রকাশ করেন। পক্ষান্তরে তিনজন বিচারপতি এই রায়ের বিরুদ্ধে তাদের মত জানান।

রুলিং
সংখ্যাগরিষ্ঠদের যুক্তি ছিল সরকারী পদক্ষেপগুলোকে যদি আইনি প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা না করা হয় তবে একজন প্রেসিডেন্ট অফিস ছেড়ে যাওয়ার পরে রাজনৈতিক বিরোধীদের কাছ থেকে প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে পারেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ব্যাখ্যা করেছেন যে একজন প্রেসিডেন্টের অনাক্রম্যতার সীমা রয়েছে।

রায়ে রবার্টস লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট তার অনানুষ্ঠানিক কাজের জন্য কোনো অনাক্রম্যতা ভোগ করেন না এবং রাষ্ট্রপতি যা করেন তা সরকারি নয়।”

তিনি লিখেন, “একজন প্রেসিডেন্ট আইনের উর্ধ্বে নন। তবে কংগ্রেস সংবিধানের অধীনে নির্বাহী শাখার দায়িত্ব পালনের সময় একজন প্রেসিডেন্টের আচরণের ওপর ভিত্তি করে তাকে অপরাধী করতে পারে না।”

অন্যদিকে ফেডারেল প্রসিকিউটররা তাদের যুক্তিতে দেখিয়েছিলেন যে, ২০২০ সালে ট্রাম্প গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়লাভের বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিচার বিভাগের কাছে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। প্রসিকিউটরদের ভাষ্য, এমনকি ট্রাম্প প্রতারণামূলক নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত পরিচালনার জন্য বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে ব্যবহার করেছেন।

‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা নাকি দায়মুক্তি?

তবে সোমবারের রায় ট্রাম্পের ফৌজদারি মামলাকর ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে এ বিষয়ে নিম্ন আদালত সিদ্ধান্ত নিবে। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও দর্শনের অধ্যাপক ক্লেয়ার ফিঙ্কেলস্টেইন বলেন, এমন সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে এটি রাষ্ট্রপতিদের দায়মুক্তির সাথে কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।

তিনি বলেন, “এই রায়ের দীর্ঘমেয়াদী তাৎপর্যকে এ মুহুর্তেই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।” ফিঙ্কেলস্টেইন আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব জানান।

তিনি আরো বলেন, "এ রায়ের ফলে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তবে তিনি তার অফিসিয়াল ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আইনের অবমাননা করে নিজেকে ফৌজদারি দায় থেকে রক্ষা করতে ন্যায়বিচারকে বিকৃতের মধ্যদিয়ে আইন অমান্যের সম্ভাবনা রয়েছে।"

রাজনৈতিক ইতিহাসবিদ এবং জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাট ডালেকও বলেন, আদালতের সিদ্ধান্ত "ভয়ঙ্কর"। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, "ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে রক্ষার জন্য এই রায়টি সাংবিধানিক ক্ষমতার ওপর একটি আক্রমণ।"

ট্রাম্পের আগে কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি। অথচ সাবেক এই প্রেসিডেন্ট চারটি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। আর যেগুলোর মধ্যে দুটি নির্বাচনী নাশকতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্কের একটি আদালত ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একজন পর্ন তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানের মতো ভয়ংকর ঘটনায় অভিযুক্ত করে।

অতীতে সাবেক প্রেসিডেন্টদের নানা কেলেঙ্কারি
ট্রাম্প অবশ্য প্রথম প্রেসিডেন্ট নন যিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে আংশিক দায়মুক্তি পেয়েছেন। এর আগেও রিচার্ড নিক্সন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির অভিযোগের মুখোমুখি হতে পারতেন- যখন তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য সরকারী সম্পদের ব্যবহার করে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তার উত্তরসূরি জেরাল্ড ফোর্ড তাকে ক্ষমা করে এ দায় থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে নিক্সনের বিরুদ্ধেও দায়ের করা এক মামলায় তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির কারণ হলেও সেই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি লাভ করেন।

রোনাল্ড রিগান প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিকারাগুয়ায় একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অর্থায়নের জন্য ইরানের কাছে অবৈধভাবে অস্ত্র বিক্রি করেছে এমন অভিযোগের সাথে রিগ্যান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জড়িতের অভিযোগ এলেও প্রেসিডেন্ট কিন্তু রিগান আনুষ্ঠানিকভাবে তা অসীকার করেন ও এবিষয়ে তাকে অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়নি।


মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট   জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশিকিয়ান।শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অতি রক্ষণশীল সাঈদ জালিলির বিপক্ষে জয়লাভ করেন তিনি।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন পেজেশকিয়ান। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

নিজ মেয়াদের আড়াই বছরের মাথায় গত ২০মে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পর পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেশটিতে ক্ষমতাসীন কট্টর ইসলামপন্থি সরকার। সেই তারিখ ছিল ২৮ জুন।

ভোটার টার্নআউটের হার নিম্ন হওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট বা রান-অফে গড়ায় নির্বাচন। সেই দ্বিতীয় দফা ভোটের তারিখ ছিল গতকাল ৫ জুলাই।

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। এরা হলেন মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, মোহাম্মদ বাকের কলিবফ, আলী রেজা যাকানি, সাইয়্যেদ আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান।

নির্বাচনে লড়াই হয়েছে মূলত সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জালিলি কট্টরপন্থি এবং মাসুদ সংস্কারপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তবে উভয়েই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ। ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজধানী তেহরানসহ অন্যান্য শহরে বিজয় উদযাপন করতে নেমেছেন পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা।

এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি সূত্র বলছে, মাসুদ পেজেশিকিয়ান ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। 


ইরান   নতুন   প্রেসিডেন্ট   সংস্কারপন্থী   মাসুদ   পেজেশকিয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা এখনো জীবিত আছেন

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির চূড়ান্ত পরাজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পদত্যাগ করেছেন। ফলে সুনাক এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল আটজনে।

সুনাক ছাড়াও জীবিত সাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হলেন লিজ ট্রাস, বরিস জনসন, থেরেসা মে, ডেভিড ক্যামেরন, গর্ডন ব্রাউন, স্যার টনি ব্লেয়ার ও স্যার জন মেজর। গত ১৪ বছরে যুক্তরাজ্যে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গর্ডন ব্রাউনের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। তারা হলেন স্যার টনি ব্লেয়ার, স্যার জন মেজর ও মার্গারেট থ্যাচার।

জীবিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধির দুটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়। প্রথমত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাজ্যে সরকারের প্রধানমন্ত্রীরা দ্রুত পদত্যাগ করেছেন। দ্বিতীয়ত, তুলনামূলক কম বয়সী ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে জীবিত আট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিনজনের বয়স ৬০ বছরের নিচে। ডেভিড ক্যামেরনের বয়স ৫৭, লিজ ট্রাসের ৪৮ এবং ঋষি সুনাকের বয়স ৪৪। এছাড়া, দুইজনের বয়স এখনও ৭০ বছরের কম। তারা হলেন বরিস জনসন (৬০) ও থেরেসা মে (৬৭)।

সত্তরের বেশি বয়সী তিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হলেন টনি ব্লেয়ার (৭১), গর্ডন ব্রাউন (৭৩) ও জন মেজর (৮১)।


যুক্তরাজ্য   প্রধানমন্ত্রী   সাবেক   কনজারভেটিভ পার্টি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

একমাত্র ঈশ্বর আদেশ দিলেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব: বাইডেন

প্রকাশ: ০৯:৩১ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিতর্কে হারার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। তবে বাইডেন জানিয়েছেন, এসব চাপকে তিনি গ্রাহ্য করছেন না এবং একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আদেশ দিলেই তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিটি নিউজকে একটিআনস্ক্রিপটেডসাক্ষাৎকার দেন বাইডেন। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়-ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর থেকে তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কয়েক জন সদস্য মনেপ্রাণে চাইছেন যে বাইডেন যেন আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। প্রসঙ্গে তার সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়া কী?

উত্তরে বাইডেন বলেন, “যদি সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আমার সামনে এসে আমাকে (প্রার্থিতা প্রত্যাহারের) আদেশ দেন, তাহলে আমি তা করতে পারি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) নিজের শহর উইসকনসিনে ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোটারদের একটি মিছিল-সমাবেশে যোগ দেন বাইডেন। সে সময়ই কর্মসূচির অবসরে এবিসিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ, সম্পূর্ণ আলোচনা হয়েছে আনস্ক্রিপটেড প্রশ্নভিত্তিক। শুক্রবার এবিসি রেডিওকে যে সাক্ষাৎকার বাইডেনের দিয়েছেন, সেটির কোনো প্রশ্ন আগে থেকে বাইডেনকে সরবরাহ করা হয়নি। 

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্ক বিপর্যয়ের পর থেকে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বাইডেন, তাতে এবিসির এই সাক্ষাৎকারটিকে ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের জন্যবড় পরীক্ষাবলে উল্লেখ করেছেন অনেকেই।

এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের আয়োজনে গত ২৮ জুন প্রথমবারের মতো নির্বাচনী বিতর্ক হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের মধ্যে। বিতর্কে দেশের অর্থনীতি সামলানো, পররাষ্ট্রনীতির রেকর্ড ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসী আগমণ ইস্যুতে বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেন ট্রাম্প; কিন্তু স্পষ্ট আত্মবিশ্বাসপূর্ণ যুক্তি দিয়ে সেসব সমালোচনা খণ্ডন করতে অনেকাংশে ব্যর্থ হন বাইডেন। তাকে বেশ ক্লান্তও দেখা যাচ্ছিল সে সময়।

বিতর্কের পর তাৎক্ষণিক এক জরিপে জানা গেছে, বিতর্ক অনুষ্ঠানটি দেখেছেন-এমন দর্শকদের মধ্যে ৬৭ শতাংশেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখতে চান।


একমাত্র   ঈশ্বর   আদেশ   প্রার্থীতা   প্রত্যাহার   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী পেল যুক্তরাজ্য

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের পর যুক্তরাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ্যাচেল রিভস। দেশটির নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন ্যাচেল। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।

নতুন সরকারে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ ডেভিড ল্যামি।

যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ইভেত্তে কুপার। জন হ্যালি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ব্রিজেত ফিলিপসন শিক্ষামন্ত্রী, এড মিলিব্যান্ড জ্বালানিমন্ত্রী, শাবানা মাহমুদ বিচারমন্ত্রী, জোনাথন রেনল্ড বাণিজ্যমন্ত্রী, লিজ কেন্ডাল শ্রম কারামন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন প্রযুক্তিবিষয়কমন্ত্রী, লিসা নন্দী সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

যুক্তরাজ্যে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে গেল কনজারভেটিভ পার্টি।

এরপর শুক্রবার (৫ জুলাই)  রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্রাসাদে গিয়ে দেখা করেন কিয়ার স্টারমার। ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধান রাজা তৃতীয় চার্লস তাঁকে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।


প্রথম   নারী   অর্থমন্ত্রী   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন বারাক ওবামার বন্ধু ডেভিড ল্যামি

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পাওয়ার পর কেয়ার স্টারমার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) ডেভিড ল্যামিকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৫১ বছর বয়সী এই কৃষ্ণাঙ্গ লেবার পার্টির নেতা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বন্ধু হিসেবে পরিচিত। ডেভিড ল্যামির পূর্বপুরুষ গায়ানার ক্রীতদাস ছিলেন। তার পরিবার থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারক হয়ে উঠেছেন।

ডেভিড ল্যামি লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত মুখপাত্র হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে তিনি ৪০ বারেরও বেশি বিদেশ সফর করেছেন।

ল্যামির জন্ম ১৯৭২ সালে লন্ডনে। তার মা-বাবা গায়ানা থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে এসেছিলেন। ল্যামি ১২ বছর বয়সে তার বাবাকে হারান, যিনি স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ল্যামির বেড়ে ওঠা উত্তর লন্ডনের টটেনহামে, যেখানে তিনি ২০০০ সাল থেকে পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২৭ বছর বয়সে তিনি পার্লামেন্টের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেন। 

ডেভিড ল্যামি নব্বইয়ের দশকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ল স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে বারাক ওবামার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। তার স্ত্রী নিকোলা গ্রিন ২০০৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামার প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছবি আঁকেন।

ডেভিড ল্যামি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করার পক্ষে। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস


যুক্তরাজ্য   পার্লামেন্ট   স্টারমার   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন