ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বজনের কফিন সামনে রেখেই বড় পর্দায় খেলা উপভোগ পরিবারের সদস্যদের

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ০৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যান্ত্রিক সভ্যতার এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানা বিচিত্র ঘটনা। আর এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত  কখনও জন্ম দিচ্ছে আলোচনা আবার কখনও সমালোচনার। আবার বিশ্বের বর্তমান সময়টাকে অনেক বিশ্লেষক আধুনিকতার শীর্ষে অবস্থান করছে বলেও তাদের মত প্রকাশ করে থাকেন। কিন্তু চলমান অস্থির এই সময়টাতে মানুষের মধ্য থেকে মানবতাও অনেকটাই হয়ে গেছে উধাও। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে আপন স্বজনদের মৃত্যুর খবরেও অনেকে বিচলিত হন না। আবার এমনও ঘটনা ঘটছে যা কারো কারো অস্বাভাবিক মনে হলেও কারো কারো কাছে সেটাই স্বাভাবিক।

বিশ্বজুড়ে ফুটবল এক উন্মাদনার নাম। আর এই উন্মাদনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে প্রায় সময়ই ঘটে বিচিত্র রকমের সব কাণ্ড। ঠিক এমনই এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল চিলিতে।

দেশটির একটি পরিবার তাদের সদ্য মৃত স্বজনের শেষকৃত্যানুষ্ঠান থামিয়ে খেলা উপভোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে এই অদ্ভুত কাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মৃত স্বজনের কফিনটি পাশে রেখেই পরিবারটি প্রজেক্টরের সাহায্যে একটি বড় পর্দায় চিলি বনাম পেরুর মধ্যে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকার একটি খেলা দেখছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ভিডিওটি শেয়ার করেন টম ভ্যালেন্টিনো নামে এক ইনফ্লুয়েন্সার। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘কোপা আমেরিকায় চিলি বনাম পেরুর ম্যাচের সময় বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য পরিবারটি একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিরতি দিয়েছিল। এমনকি সৌভাগ্যের জন্য কফিনটিকে তাঁরা খেলোয়াড়দের জার্সি দিয়ে সাজিয়েছিল।’
ভিডিওতে দেখা যায়, কফিনটিকে স্বজনরা ফুল আর ফুটবল খেলোয়াড়দের জার্সি দিয়ে সজ্জিত করে ও কফিনটির কাছেই প্রার্থনার জন্য নির্ধারিত স্থানে একটি পোস্টার নিয়ে হাজির হন। আর তাতে লিখা—‘আংকেল ফেনা, আপনি আমাদের যে আনন্দময় মুহূর্ত দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমরা আপনাকে এবং আপনার কন্ডোরিয়ান পরিবারকে সব সময় মনে রাখব।’

ইতিমধ্যে গত ২৩ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওটি বর্তমানে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।


ফুটবল   আন্তর্জাতিক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন বারাক ওবামার বন্ধু ডেভিড ল্যামি

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পাওয়ার পর কেয়ার স্টারমার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) ডেভিড ল্যামিকে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৫১ বছর বয়সী এই কৃষ্ণাঙ্গ লেবার পার্টির নেতা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বন্ধু হিসেবে পরিচিত। ডেভিড ল্যামির পূর্বপুরুষ গায়ানার ক্রীতদাস ছিলেন। তার পরিবার থেকেই তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারক হয়ে উঠেছেন।

ডেভিড ল্যামি লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত মুখপাত্র হিসেবে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে তিনি ৪০ বারেরও বেশি বিদেশ সফর করেছেন।

ল্যামির জন্ম ১৯৭২ সালে লন্ডনে। তার মা-বাবা গায়ানা থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে এসেছিলেন। ল্যামি ১২ বছর বয়সে তার বাবাকে হারান, যিনি স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। ল্যামির বেড়ে ওঠা উত্তর লন্ডনের টটেনহামে, যেখানে তিনি ২০০০ সাল থেকে পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২৭ বছর বয়সে তিনি পার্লামেন্টের সবচেয়ে কম বয়সী সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও গর্ডন ব্রাউনের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেন। 

ডেভিড ল্যামি নব্বইয়ের দশকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ল স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে বারাক ওবামার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। তার স্ত্রী নিকোলা গ্রিন ২০০৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামার প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছবি আঁকেন।

ডেভিড ল্যামি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গভীর করার পক্ষে। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে আসছেন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস


যুক্তরাজ্য   পার্লামেন্ট   স্টারমার   পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা স্টারমার হাল ধরলেন যুক্তরাজ্যের

প্রকাশ: ০৮:২৯ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে লেবার পার্টির পক্ষ থেকে পঞ্চম ব্যক্তি হিসেবে কিয়ার স্টারমার দলকে বিরোধী দলের আসন থেকে ক্ষমতায় নিলেন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়া লেবার পার্টি ২০২৪ সালে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করল। তবে ডাউনিং স্ট্রিটের পথে স্টারমারের যাত্রা যে সহজ ছিল না, তা হার্টলপুল উপনির্বাচনের ফলাফল মনে করিয়ে দেয়।

প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘকাল তাঁর জীবন কাজ ছিল একেবারে ভিন্ন ধারায়। বাবা-মায়ের চার সন্তানের একজন কিয়ার স্টারমার। কেন্ট সারের সীমান্তবর্তী অক্সটেড শহরে বড় হয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন যন্ত্রাংশ নির্মাতা, মা ছিলেন নার্স। ১৯৭০এর দশকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কালে বেড়ে ওঠার সময়কার চ্যালেঞ্জগুলো নিজেই বলেছেন কিয়ার স্টারমার। এক নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি যদি শ্রমজীবী ​​হন, আপনি ঋণকে ভয় পাবেন। আমার মাবাবাও ঋণ ভয় পেতেন।

কিয়ার স্টারমার তাঁর ছোটবেলা থেকে অনেক কিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ফুটবল খেলতে পছন্দ করতেন। তিনি মাঝমাঠেসেন্টার লেফটহিসেবে খেলতেন। ছাড়া তিনি মেধাবী সংগীতশিল্পী ছিলেন। ভায়োলিন বাজানোও শিখেছিলেন।

কিয়ার স্টারমারের মধ্যে বিদ্রোহের প্রবণতা আগে থেকেই ছিল। তিনি তাঁর বন্ধুরা একবার নগদ অর্থ সংগ্রহের জন্য ফ্রান্সের সমুদ্রসৈকতে অবৈধভাবে আইসক্রিম বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন।

কিন্তু সময় তাঁর জীবনে রাজনীতি কই? কিন্তু সব সময় এর একটি সূত্র তাঁর সঙ্গেই ছিল। আর সেটি হলো তাঁর নাম। লেবার পার্টির প্রথম নেতা কিয়ার হার্ডির নাম অনুসারে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল। কিয়ার স্টারমার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এটা শুরু হয়েছিল স্টারমারের স্কুলজীবন থেকে। তখন তিনি লেবার পার্টির তরুণদের শাখাইয়াং সোশ্যালিস্ট’– যোগ দেন। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে স্কুলজীবন পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় তাঁর। তিনি প্রথমে লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

লিডসে পড়ার সময় তিনি আশির দশকেরইন্ডি মিউজিক’– প্রভাবিত হন। তাঁর জীবনী লেখক টম বাল্ডউইন লিখেছেন, স্কুলজীবন থেকে তাঁর প্রিয় পানীয় ছিল বিয়ার সাইডারের মিশ্রণ বা স্নেকবাইট। ছাড়া তিনি তরকারি চিপস পছন্দ করতেন।

স্নাতক শেষ করার পর কিয়ার স্টারমার উত্তর লন্ডনের একটি পতিতালয়ের ওপরে বাসা নিয়ে থাকতেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ, তিনি একজন কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান (ওয়ার্কহোলিক) হিসেবে খ্যাতি অর্জন করছিলেন, যা তাঁকে সফল একজন খ্যাতিমান মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী হয়ে উঠতে সাহায্য করে। সময় রাজনীতি তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল না। পরবর্তী দুই দশক তিনি আইন পেশায় সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেন। ২০০৮ সালে তিনি পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক হন। পদটি ছিল ইংল্যান্ড ওয়েলসের প্রধান কৌঁসুলির। জীবনের পর্বকে জনগণের সেবায় নিজের নিবেদনের দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন কিয়ার স্টারমার। সময় সন্ত্রাসী গ্যাংগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে তাঁর ভূমিকার কথা তিনি প্রায়ই বলে থাকেন।

২০১০ থেকে ২০১৫ সালের জোট সরকারের সময় ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের বাজেট একচতুর্থাংশ কমানো হয়। এতে কিয়ার স্টারমার তাঁর বিভাগের খরচ কমাতে বাধ্য হন। ২০০৯ সালের কেলেঙ্কারির জেরে এমপিদের পার্লামেন্টারি ব্যয় নিয়ে তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করাসহ নানা গুরুত্ব সিদ্ধান্ত তাঁর তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে।

আইনি কার্যক্রমে ভূমিকার পুরস্কার হিসেবে ২০১৪ সালে নাইটহুড উপাধি পান কিয়ার স্টারমার। কিন্তু তাঁর নেতৃত্ব কতটা সফল? তাঁর মেয়াদের শেষের দিকে বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে স্টারমার স্বীকার করেছিলেন, অসহায় ভুক্তভোগীরা এখনো বিচারব্যবস্থার অবজ্ঞার শিকার হয়ে থাকেন।

 

কিয়ার স্টারমারের বয়স ৫২ বছর হওয়ার পর তাঁর পেশাগত জীবনে পরিবর্তন আসে। তিনি উত্তর লন্ডনে লেবার পার্টির একটি নিরাপদ আসনে মনোনয়ন পান। সেখানে সহজে জয় পান। তিনি সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাক একই দিনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু সময়টা লেবার পার্টির জন্য সুখকর ছিল না। কারণ, তখন কনজারভেটিভরা মাত্রই নির্বাচনে জিতেছিল এবং জেরেমি করবিন লেবার পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর দলের ভেতরে দ্বন্দ্বের উপক্রম শুরু হয়।

একজনব্যাকবেঞ্চারথেকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে এবং এখন ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমারের যাত্রা সম্পর্কে অনেক কিছু বলা লেখা হয়েছে। তবে কিছু বিষয় রয়েছে উল্লেখ করার মতো।

জেরেমি করবিন লেবার পার্টির নেতা হওয়ার পর কিয়ার স্টারমারকে ছায়া অভিবাসন মন্ত্রী বানান। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ব্রেক্সিট গণভোটের পর করবিনকে লেবার পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরাতে দলের সামনের সারির একদল নেতা পদত্যাগ করেন। সেই দলে স্টারমারও ছিলেন। সময় তাঁর ছায়া মন্ত্রী হিসেবে এক বছরও হয়নি। কিন্তু তাঁদের ওই চেষ্টা তখন সফল হয়নি। করবিন তখন তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া নেতাদের সঙ্গে আপসরফা করেন এবং কিয়ার স্টারমার ছায়া ব্রেক্সিট মন্ত্রী পদে ফেরেন।

এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দলে কিয়ার স্টারমারের দায়িত্ব বদলেছে। ২০১৯ সালে বিবিসির ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জেরেমি করবিন দুর্দান্ত একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি সময় করবিনকে শতভাগ সমর্থন দিয়ে তাঁর সঙ্গে কাজ করার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কথা বলেন। অন্যরা যখন করবিনের সঙ্গে কাজ করতে অনীহা জানান, তখন তিনি করবিনের সঙ্গে থাকেন। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচন লেবার পার্টির জন্য বিপর্যয়কর হয়। এরপর করবিন দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে তাঁর জায়গায় আসেন স্টারমার।

কিয়ার স্টারমার যখন লেবার পার্টির নেতা হন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসন আরও বেশ কিছুদিন ক্ষমতায় থাকবেন। অনেকে স্টারমারকে লেবার পার্টিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারেন, এমন নেতা হিসেবে দেখেছিলেন। তখন গুটিকয়েক মানুষই মনে করেছিলেন যে তিনি আবার লেবার পার্টিকে ক্ষমতায় নিতে পারেন।

কিন্তু সেই পরিবর্তন কবে আসবে? জনমত জরিপগুলোয় এর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ২০২০ ২০২১ সালের জনমত জরিপে জনসনের কনজারভেটিভদের পেছনে ছিল লেবার পার্টি। ওই সময় হার্টলপুল উপনির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ের পর করোনা মহামারিতে বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটে অনুষ্ঠান আয়োজনের কেলেঙ্কারির খবর বাইরে আসতেই সব বদলে যায়।

ওই সময় জরিপে দেখা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে কনজারভেটিভদের চেয়ে স্পষ্ট এগিয়ে লেবার। এরপর লিজ ট্রাসের বাজেট ঘোষণার পর থেকে ক্রমেই লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।

কিয়ার স্টারমারের বয়স এখন ৬১ বছর। তিনি ২০০৭ সালে ভিক্টোরিয়াকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।

(তথ্যসূত্র: বিবিসি)


সাধারণ   পরিবার   স্টারমার   হাল   ধরলেন   যুক্তরাজ্যের  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৪ বছর পর ব্রিটেনের ক্ষমতায় লেবার পার্টি, বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভবিষ্যত কী?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

অর্থনৈতিক সমস্যার পর যুক্তরাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় হলো অভিবাসন ইস্যু। এবারের নির্বাচন অভিবাসীদের জন্য কতটা কঠোর হতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা রকম আলোচনা। 

ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছে কিয়ার স্টারমার। এবারের নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজর্নের পাশাপাশি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বিরোধী দল লেবার পার্টি। আর এই নির্বাচনী ফলাফলে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা হাতছাড়া হলো কনজারভেটিভ পার্টির।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সাল জুড়ে অর্থাৎ, কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় থাকা কালে রেকর্ড সংখ্যক আন্তর্জাতিক অভিবাসী  যুক্তরাজ্যে ঢুকেছে। যাদের অনেকেই গিয়েছে তাদের ক্যারিয়ার ও শিক্ষার জন্য। এছাড়াও, একটি বড় অংশ অবৈধভাবে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্যই অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যে। 

ঋষি সুনাক ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাজ্যে এত অভিবাসী ঢুকে পরে যে,  অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠাতে চেয়েছিল তার সরকার। এমনকি, বিতর্কিত রুয়ান্ডা বিল পাস করে এর পেছনে ২৪ কোটি পাউন্ড ইতোমধ্যে খরচও করে ফেলেছিলেন তারা।  

এমন অবস্থায় আগাম নির্বাচনের ডাক দেন ঋষি সুনাক। আর সেই নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন লেবার পার্টি। যারা বরাবরই অভিবাসন নীতিতে কঠোর। 

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির সদস্যরা অভিবাসন নীতিতে এখনও পর্যন্ত তাদের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, কোন দণ্ডিত ব্যক্তি যেন যুক্তরাজ্যের ভূখণ্ডে থাকতে পারবে না। যে সমস্ত দেশ থেকে তারা অপরাধ করে এসেছেন সেই সমস্ত দেশের সঙ্গে চুক্তি করে দ্রুত তাদেরকে  দেশে ফেরত পাঠানোর নীতিতে বিশ্বাসী লেবার পার্টি।  

এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশের যারা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তারা কি করবেন? আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে অবৈধ ভাবে জড়িত থাকা কিছু মানুষের জন্য সাধারণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর কোন প্রভাব পরবে কিনা সেটিই এখন চিন্তার বিষয়।   


বাংলাদেশি   অভিবাসী   যুক্তরাজ্য   প্রধানমন্ত্রী   লেবার পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় গাজাপন্থীদের কাছে হেরেছেন লেবার প্রার্থীরাও

প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতলেও দলটির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বেশ কিছু এলাকায় তাদের প্রার্থীরা গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরে গেছেন ।আরও অনেকে পড়েছেন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এর মধ্যে দলটির জন্য বড় আঘাত হলো শ্যাডো মিনিস্টার জনাথন অ্যাশওয়ার্থ লেস্টারের সাউথ আসনে হেরে যাওয়া। যেখানে আগে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেছিলেন তিনি।

১০ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোট আছে এমন আসনগুলোতে লেবার পার্টির ভোট কমেছে গড়ে ১১ শতাংশ।

ইলফোর্ড নর্থে শ্যাডো স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং আগে জয়লাভ করেছিলেন নয় হাজার ভোটের ব্যবধানে। এবার তার জয়ের পার্থক্য মাত্র ৫২৮ ভোট। তবে জর্জ গ্যালাওয়ের কাছ থেকে রোচডেলের আসন পুনরুদ্ধার করেছে লেবার প্রার্থী পল ওয়াহ। যেখানে মুসলিম ভোটার বেশি সেখানেই দলটি খারাপ করেছে। যতটুকু জানা যাচ্ছে লেবার অধিক মুসলিম জনগোষ্ঠী আছে এমন পাঁচটি আসনে হেরে গেছে। এর মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র আর একটিতে কনজারভেটিভ প্রার্থী জয়ী হয়েছে।

লেস্টার সাউথ আসনে শোকাত অ্যাডাম ৯৭৯ ভোটে জয়ের পর ঘোষণা করেছেন ‘এটা গাজার জন্য’। এই আসনে ৩০ শতাংশ ভোটার মুসলিম। ১৩ বছর ধরে অ্যাশওয়ার্থ আসনটি ধরে রেখেছিলেন।

কাছেই লেস্টার ইস্ট আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কয়েক হাজার ভোট পাওয়ায় সুবিধা পেয়েছেন কনজারভেটিভ প্রার্থী। বিশেষ করে সাবেক লেবার এমপি ক্লাউডিয়া ওয়েব্বের এলাকায়।

ওয়েব্বে হয়রানির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। তবে তিনি ফিলিস্তিনপন্থী হিসেবে সোচ্চার কণ্ঠ। তার সাবেক আসনে টোরি প্রার্থী জয় পেয়েছে ৪৪২৬ ভোটে, যা মিস ওয়েব্বের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে কম।

বার্মিংহামের পেরি বার এলাকা লেবারের খালিদ মাহমুদ ৫৭০ ভোটে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়ুব খানের কাছে।

অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যারা গাজাকেই তাদের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন তারা ডিউজবুরি, বাটলে, ব্ল্যাকবার্ন এলাকায় জয়ী হয়েছেন, যেখানে আগে লেবার পার্টির ভালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল।

মুসলিম জনগোষ্ঠী বেশ বড় এমন আরও কিছু এলাকায় সিনিয়র লেবার নেতারা খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হতে পেরেছেন।

ইলফোর্ড নর্থে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়ানে মোহামাদ, যিনি একজন ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নাতি, স্ট্রিটিংয়ের চেয়ে ৫২৮ ভোট পেছনে ছিলেন।

বার্মিংহাম লেডিউডে ছায়া বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আইনজীবী আহমেদ ইয়াকুব। টিকটকে ইয়াকুবের অনুসারীর সংখ্যা অনেক। তবে শাবানা মাহমুদের জয়ের পার্থক্য ৩২ হাজার থেকে কমে হয়েছে ৩৪২১ ভোট।

একইভাবে জেস ফিলিপস পার্লামেন্টে গাজার যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য লেবার পার্টির সামনের সারি ছাড়তে হয়েছিল। ভোটে নির্বাচিত হলেও এবার তিনি জয়লাভ করেছেন ৬৯৩ ভোটের ব্যবধানে।

ফিলিপিস জয়ের পর যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন অনেকে চিৎকার করেছে। তিনি বলেছেন ‘আমি যত নির্বাচন করেছি তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে খারাপ’। তিনি দাবি করেন তার প্রচারকর্মীরা বাধা ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

পূর্ব লন্ডনের বেথানল গ্রিন অ্যান্ড স্টেফনি আসনে ছায়ামন্ত্রী রুশনারা আলী আগে ৩১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাশরুরকে তিনি হারিয়েছেন ১৬৯৮ ভোটের ব্যবধানে।

এমনকি নির্বাচনি প্রচারণার সময় লেবার নেতা স্যার কিয়ের স্টারমার নিজেও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ডের মুখোমুখি হয়েছেন এবং তার ভোটের ব্যবধান কমেছে। গাজাপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী এন্ড্রু ফেইনস্টেইন পেয়েছেন ৭৩১২ ভোট।

ইসলিংটন নর্থ আসনে সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন জিতেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তিনি লেবার প্রার্থীর চেয়ে সাত হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এন্টিসেমিটিজম বিষয়ক এক রিপোর্টে প্রতিক্রিয়ার কারণে দলে তার সদস্যপদ স্থগিত হয়েছিলো।

রোচডেইলে লেবার পার্টির পল ওয়াহর কাছে হেরেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গ্যালাওয়ে। কয়েক মাস আগেই এক উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন।

গাজা দ্বন্দ্বের বিষয়ে অবস্থানের জন্য লেবার পার্টির ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। ইসরায়েলে গত সাতই অক্টোবরে হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ফেব্রুয়ারিতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল লেবার। কিন্তু সমালোচকদের মতে পার্টির এই অবস্থানে পৌঁছার গতি ছিল খুবই ধীর। নির্বাচনি ইশতেহারে লেবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। গত বছর স্যার কিয়েরের বক্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন ইসরায়েলের গাজায় পানি ও জ্বালানি বিচ্ছিন্ন করার ‘অধিকার’ আছে।

পরে তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন দেশটির আত্মরক্ষার অধিকার আছে।

(তথ্যসূত্র: বিবিসি, ৫ জুলাই ২০২৪)


গাজাপন্থী   যু্ক্তরাজ্য নির্বাচন   লেবার পার্টি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কি গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের সূচনা?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটের ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। লেবার পার্টি দীর্ঘ ১৪ বছর পর ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে৷ লেবার পার্টির নেতা স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৪০৯টি আসন পেয়ে লেবার পার্টি ভূমিধস বিজয় পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। সংসদীয় গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর ব্রিটেন। বিশ্বে গণতন্ত্রের যখন হতাশাজনক অবস্থা। গণতন্ত্র যখন মুখ থুবড়ে পড়ার মতো পরিস্থিতিতে উপনীত হচ্ছে ঠিক সেইসময় পথ দেখাল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ব্রিটেনে নির্বাচন শুধু ব্রিটেনের জন্য নয়, পুরো বিশ্বে গণতন্ত্রের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলো বলেই অনেকে মনে করছেন। এর আগে বিশ্বে যে নির্বাচনগুলো হয়েছিল, সেই নির্বাচনগুলো ছিল হতাশাজনক। ভোটার উপস্থিতি ছিল কম, নির্বাচন নিয়ে নানা রকম অভিযোগ এবং এই সমস্ত অভিযোগ এবং সংকটের মধ্যেই গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল।

অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন যে, শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র কী বিশেষ গোটা বিশ্বে হুমকির মধ্যে পড়বে কি না? বিশেষ করে ভারতের নির্বাচনের পর এই বক্তব্যটি আরও প্রবল ভাবে উঠে এসেছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। সেখানে নির্বাচনের সময় ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাব বিস্তৃত বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। উঠেছিল বিরোধী পক্ষকে দমন করা এবং হয়রানি করার অভিযোগও। তবে সবকিছু পাশ কাটিয়ে ভারতে নরেন্দ্র মোদী টানা তৃতীয় বারের মতো জয়ী হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্রের সংকট সেখানে কাটেনি। সেদিক থেকে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন আশ্চর্য ব্যতিক্রম বটে।

গণতন্ত্রের আর একটি বড় কেন্দ্রস্থল হল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে এক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিশ্বে নেতৃত্ব দেয়া যুক্তরাষ্ট্র নিজেই যেন এখন নেতা খুঁজে পাচ্ছেন না। জো বাইডেন আদৌ প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য কি না সেই বিতর্ক যেমন উঠেছে তেমনই জো বাইডেনের প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক, অস্বস্তি। সবকিছু মিলিয়ে ট্রাম্প বাইডেন যিনি বিজয়ী হন না কেন বিশ্ব নেতা হিসেবে তিনি কতটুকু আস্থাভাজন হবেন। বিশ্বের গণতন্ত্রের নেতৃত্ব৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কতটা দিতে পারবে সেই প্রশ্ন ক্রমশ বড়ো হয়ে উঠছে৷

এর মধ্যে যুক্তরাজ্যে নির্বাচন যেন আশার আলো দেখাল। এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় ভোটার উপস্থিতির হার ছিল বেশ ভালো। ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন এবং নির্বাচনের যে নাটকীয় ফলাফল তা গণতন্ত্রের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনে যেমন গণতন্ত্রের নবজাগরণের সূচনা হল তেমনই স্টারমারের সামনে বিশ্ব নেতা হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।

মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন যে টলটলায়মান অবস্থা তাতে নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্ব নেতা হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। সেদিক থেকে স্টারমারের ব্যক্তিত্ব, তাঁর যে নীতি এবং কৌশল তা তাকে অবলীলায় বিশ্ব নেতার আসনে আসীন করতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের জন্য গণতন্ত্রের সুবাতাসের একটি বার্তা বয়ে গেল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিই যে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর এবং জনগণের সিদ্ধান্তই যে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত তা ব্রিটেনের নির্বাচন নতুন করে প্রমাণ করে দিলো। এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাজ্যের নির্বাচন বিশ্বের গণতন্ত্রের ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ দেখায় কিনা।


যুক্তরাজ্য নির্বাচন   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন