ভারতের উত্তরপ্রদেশের
হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জন মারা গেছেন এবং আরও ৩১ জন আহত হয়েছেন।
হাথরাসের সেই ঘটনায় মৃতদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা
রাহুল গান্ধী।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস
সভাপতি অজয় রাই, কংগ্রেস নেতা অবিনাশ পাণ্ডে, মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতেকে সঙ্গে নিয়ে
শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোরে দিল্লি থেকে রাহুল হাথরাস পৌঁছান। প্রথমেই তিনি যান পিলখানা
গ্রামে।
সেখানে বেশ কয়েকজন মৃতের
পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। পরে একটি পরিবারের মানুষরা জানান, ‘রাহুল আমাদের কাছে
জানতে চেয়েছিলেন, কী করে এই দুর্ঘটনা ঘটলো? তিনি দলের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করার
প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।’
পরিবারের পক্ষ থেকে রাহুলকে
বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় প্রশাসনের কেউ ছিলেন না। তাদের সাহায্য করার মতো কেউ ছিলেন না।
হাসপাতালে যাওয়ার পর চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে পড়তে হয় তাদের।
হাথরসে ওই ধর্মীয় সভায়
ছয়জন আয়োজককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, তারা
সকলেই সুরজ পাল ওরফে ভোলে বাবার ঘনিষ্ঠ। তবে প্রধান আয়োজক দেবপ্রকাশ মধুকর পলাতক। তার
বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে
এক লাখ রুপি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
হাথরাস মৃত পরিবার রাহুল গান্ধী
মন্তব্য করুন
চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে জাপান এবং ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা চুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। সোমবার আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একে অপরের ভূখন্ডে সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়ে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুদেশ।
আজ সোমবার ম্যানিলায় এক অনুষ্ঠানে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া এবং ফিলিপাইনের জাতীয় প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো তেওডোরো পারস্পরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির আওতায় জাপানি বাহিনী যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য ফিলিপাইনে মোতায়েন করতে পারবে এবং ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী জাপানে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। চুক্তিটি কার্যকর হতে দুই দেশের সংসদে পাস হতে হবে।
টোকিও এবং ম্যানিলার সঙ্গে চীনের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই প্রতিরক্ষা চুক্তির পদক্ষেপটি মূলত বিতর্কিত জলসীমায় চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আচরণের কারণে নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব চীন সাগর এবং দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে জাপান এবং ফিলিপাইনে বরাবরই চীনের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে।
গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউজে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ করার জন্য এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জাপান এবং ফিলিপাইন উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী মিত্র। চীন বিষয়ে তাদের নীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতোই।
গত কয়েক মাসে দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইন ও চীনা জাহাজের মধ্যে বেশ কয়েকটি সামুদ্রিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জাপান এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তারা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় ফিলিপাইনের পাশে থাকবে।
জাপান ফিলিপাইন প্রতিরক্ষা চুক্তি চীন
মন্তব্য করুন
পাঁচ বছর পর রাশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মস্কোতে তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া সোমবার রাতে পুতিনের সঙ্গে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে।
রাশিয়া থেকে মোদি অস্ট্রিয়াতেও যাবেন যা হবে গত ৪১ বছরে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সফর। অস্ট্রিয়ায় মোদি দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান দের বেলেন এবং চ্যান্সেলর কার্ল নেহামেরের সঙ্গে।
দিল্লির বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে মোদি এক বিবৃতিতে জানান, ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমি রাশিয়ায় যাচ্ছি। এছাড়া, আগামী তিনদিনে আমি অস্ট্রিয়াতেও যাবো যা আমার প্রথম অস্ট্রিয়া সফর। তিনি আরও বলেন, গত দশ বছরে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা, শক্তি, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো।
অস্ট্রিয়া সফর নিয়ে মোদি তার বিবৃতিতে লেখেন, অস্ট্রিয়া আমাদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার। আমরা উভয়েই গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের সমর্থক। প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার এবং চ্যান্সেলর কার্লের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আমি আনন্দিত। এই সফরটি গত ৪০ বছরে কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম অস্ট্রিয়া সফর।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তির ভিত্তিতে প্রতি বছর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা একবার করে বৈঠক করবেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই চুক্তির ভিত্তিতে বৈঠক হয়ে এসেছে। কিন্তু কোভিড মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বৈঠক বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে পুতিন ভারতে আসে। কিন্তু এরপর থেকে এই বৈঠক আর হয়নি। অবশেষে ২০২৪ সালে মোদি ও পুতিন আবারও বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এই বৈঠকে গোটা বিশ্বের নজরে রয়েছে।
রাশিয়া সফর ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
মন্তব্য করুন
মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ ও বৃহৎ আয়তনের দেশ সৌদি আরব। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির নাগরিকত্ব নেওয়ার। কেউ বসবাসের জন্য কেউ আবার ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য। পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের মুকতার আলিমকে ২০২১ সালে নাগরিকত্ব দিয়েছিল সৌদি সরকার। এর পর বাংলাদেশ থেকে আর কেউ এই নাগরিকত্ব পায়নি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা গ্রহণের সময় থেকে নানা পরিবর্তন আসছে অভ্যন্তরীণ নিয়ম-নীতিতে। ভিশন ২০৩০ নামে এক নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে একে একে পেট্রো ডলার থেকে নির্ভরতা কমিয়ে সৌদি আরব এখন পশ্চিমাদের আদলে নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বিদেশিদের জন্য।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দেশটিতে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদির রাজকীয় আদেশের অংশ হিসেবে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে ডিক্রি জারি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তার সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুবরাজ সালমান তার ভিশনে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে। যাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুরের মানুষ।
দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসীরা মনে করছেন অদূর ভবিষ্যতে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এমন সুযোগ পেতে পারেন।
২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সেসময় পবিত্র কাবার গিলাফের ক্যালিগ্রাফার বাংলাদেশের মুকতার আলিমকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।
মন্তব্য করুন
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এক অবৈধ সোনার খনিতে ভূমিধসে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ সোমবার ইন্দোনেশিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপগুলোতে অনিবন্ধিত ও অবৈধ খনন কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এসব জায়গায় স্থানীয়রা প্রায়ই উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া সোনা খুঁড়ে বের করার কাজে অংশ নেন।
শনিবার দিনের শেষভাগে গরনতালো প্রদেশের বোন বোলাঙ্গো জেলার একটি গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। এর আগে বেশ কয়েক দফা ভারি বৃষ্টিপাত হয়। অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে স্থানীয়রা। আরও অনেকেই নিখোঁজ আছেন।
স্থানীয় উদ্ধার কর্মকর্তা হেরিয়ান্তো বলেন, 'আটজনের মরদেহ বের করে আনা হয়েছে। পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যারা প্রত্যেকেই হালকা থেকে ভারি আঘাতের শিকার হয়েছেন।'
তিনি আরও জানান, তিন জনের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এবং আরও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
হেরিয়ান্তো (তিনি দ্বিতীয় কোনো নাম ব্যবহার করেন না) আরও জানান, এ এলাকার বেশ কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এবড়োখেবড়ো ভূমির কারণে উদ্ধারকর্মীরা পায়ে হেঁটে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যসহ মোট ১৮০ জন উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন, যোগ করেন তিনি।
নভেম্বর থেকে এপ্রিলে বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধস খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে জুলাই মাসটি শুষ্ক মৌসুমের অন্তর্ভুক্ত এবং এই মাসে ভারি বৃষ্টিপাত খুবই বিরল।
মে মাসে দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভূমিধসে ১৫ জন মারা যান। সেসময় অনেক বাড়ি পানিতে ভেসে যায় এবং সড়কের ক্ষতি হয়।
এপ্রিলে একই প্রদেশে ভূমিধসে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিধস নিহত নিখোঁজ
মন্তব্য করুন
৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে শেখ হাসিনার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে রোববার (৭ জুলাই) একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সফর চলাকালেই আরও দুটি দেশের সরকারপ্রধান চীন সফর করবেন। তারা হলেন- প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলে।
একসঙ্গে একাধিক বিদেশি সরকারপ্রধানের চীন সফরকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে গ্লোবাল টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এবং গ্লোবাল সাউথের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত ফলপ্রসূ সাফল্যের প্রমাণ হলো এসব সফর। এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের পর্যবেক্ষকরা।
চায়না ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি হাইডংয়ের মতে, তিন দেশের নেতাদের চীন সফর পশ্চিমের ‘অপ্রচলিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার’ বিপরীতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া এবং সমর্থনের বাস্তবতা প্রদর্শন করবে।
সিংহুয়া ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিভাগের পরিচালক কিয়ান ফেং বলেছেন, উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ‘ধোঁকা বা বাধা’ দেওয়ার লক্ষ্যে পশ্চিমারা যেসব ‘হয়রানিমূলক কৌশল’ অবলম্বন করে থাকে, সেগুলোর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে এসব কূটনৈতিক ব্যস্ততা।
ঐতিহাসিক মুহূর্ত
শেখ হাসিনার চীন সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টারে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ সাইয়েদুল ইসলাম। তার মতে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন পথ তৈরি করবে এবং পারস্পরিক সুবিধার বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করতে পারে।
তিনি গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং বিদেশি বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা কোনো রাজনৈতিক সূত্রে যুক্ত বা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দাবি করে না।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে নতুন সহযোগিতা ব্যবস্থা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে নতুন সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং জ্বালানি সরবরাহ ক্ষমতার উন্নতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সাইয়েদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হবে।
সতর্ক নজর ভারতের
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে প্রতিবেশী ভারত। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর টানা তৃতীয় মেয়াদের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত জুন মাসে ভারত গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এর কয়েকদিন পরে আবারও রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি যান তিনি। পরপর দু’বার ভারত সফরের পর শেখ হাসিনা এবার চীনে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
তবে চীনা পর্যবেক্ষক কিয়ান ফেং জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার এটি পঞ্চম চীন সফর এবং এ বছরের শুরুতে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম। এটি চীনা ও বাংলাদেশি নেতাদের মধ্যে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের ইঙ্গিত দেয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে উভয় পক্ষের গুরুত্ব তুলে ধরে।
কিয়ানের মতে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চীন ও ভারতের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ নীতির প্রয়োজন।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফর চীন
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রাশিয়া রাশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেনভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । মস্কোতে তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া সোমবার রাতে পুতিনের সঙ্গে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। রাশিয়া থেকে মোদি অস্ট্রিয়াতেও যাবেন যা হবে গত ৪১ বছরে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সফর। অস্ট্রিয়ায় মোদি দেখা করবেন প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভ্যান দের বেলেন এবং চ্যান্সেলর কার্ল নেহামেরের সঙ্গে।
৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৮ জুলাই) চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে শেখ হাসিনার এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে রোববার (৭ জুলাই) একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তারা জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সফর চলাকালেই আরও দুটি দেশের সরকারপ্রধান চীন সফর করবেন। তারা হলেন- প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী শার্লট সালওয়াই এবং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রধানমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলে।